রন'এর ব্লগ
ব্ল্যাক আউট কর্মসূচী প্রত্যাহার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ব্লগ ব্ল্যাক আউটের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে আজ ৮ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে।
আমরা বেশ কয়েকটি ব্লগ এক হয়ে ব্লগ ও ব্লগারদের কন্ঠরোধ ও ব্লগার গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছি! এইরকম ঐক্য ব্লগ বা ব্লগার গুলোর মধ্যে এর আগে দেখা যায়নি! আমরা বন্ধু ব্লগ আশা করে ব্লগ ও ব্লগারদের এমন ঐক্য আমরা ধরে রাখবো এবং সামনের সময় গুলোতে প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবো, রুখে দাঁড়াবো প্রয়োজনে!
আমাদের প্রতিবাদের কথা গুলো ছড়িয়ে গেছে অনেক দূর! ছড়িয়ে দেবার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানায় আমরা বন্ধু ব্লগ! আমরা আমাদের ব্লগারদের কাছ থেকেও পেয়েছি অভূতপূর্ব সহযোগীতা যা আমাদের সাহসী করেছে ব্ল্যাক আউট ধরনের কর্মসূচী পালন করতে! ব্লগ গুলোর প্রতি ব্লগারদের এমন আস্থা ভবিষ্যতে আরোও বেশি সচেতন ভাবে পরিচালিত করতে শক্তি যোগাবে!
ব্ল্যাক আউট কর্মসূচী নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ব্লগ মডারেটর জানিয়ে দিবেন কিছু সময় পরেই!
লিখুন, লিখতে থাকুন!
হাতে হাত রেখে চলো নিঃশঙ্ক হই!
৪ এপ্রিল, জাগরণ মঞ্চের ডাক এসেছে
গত কিছুদিন ধরেই হতাশা ঘিরে ধরেছে আমাকে! বেশ কিছু কারনে ক্ষোভ জমেছে মনে! না পাওয়ার ভয় গুলোকে এতোদিন ইগ্নোর করছিলাম তবে গত কয়েকদিন সেই ভয় গুলোই সামনে এসে দাড়াচ্ছে বার বার! হ্যা, এই সব কিছুই শাহবাগ, প্রজন্ম চত্তর কে ঘিরে! ভাবছিলাম কি হবে শাহবাগ গিয়ে? এই আন্দোলনের সাথে থেকে? কেনো নিজের সময় নষ্ট করে যাচ্ছি ওখানে? যারা বিরোধীতা করছে কেনো তাদের সাথে লড়াই করে যাচ্ছি অনলাইনে? কেনো আজ আমার সব কিছুতেই শাহবাগ?
সব কয়টি প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে স্পষ্ট! এই বাংলাদেশ যারা গড়ে দিয়ে গেছেন তারা একটি চেতনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন এবং আমি সেই চেতনা গুলোকেই বাস্তবায়ন করতে চাই! তাদের বিসর্জন গুলো বৃথা যেতে দিবোনা আমি! আমি তাদের অসমাপ্ত কাজ গুলো করার জন্য একটু ভাগিদারী হইতে চাই! হ্যা, পাওয়ার যায়গাটুকু হয়তো খুব সামান্য, তাই বলে কি আমি পিছু হাটবো? নাহ, আমি পিছু হটছিনা! আমি লড়াই করে যাবো! আমি আছি শাহবাগে!
গণজাগরণ মঞ্চের নতুন কর্মসূচী ও আমার ভাবনা
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে! বিচার ও জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবী নিয়ে আগামী ৩১ মার্চ যাচ্ছি জাতীয় সংসদে এবং ৪ এপ্রিল যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে! মিছিল করে, স্লোগান দিয়ে যাবো আমরা! এই কর্মসূচীর প্রতি আমার সমর্থন আছে!
আমি কখনই জাগরণ মঞ্চের কোন কর্মসূচীকে ছোট করে দেখার সাহস করি নাই! বরং মনে হইসে, মঞ্চের কর্মসূচী গুলোর সাথে থাকতে হবে আমাকে এবং সবাইকে! কর্মসূচী গুলোর মূল শক্তিটা আসলে এইখানেই, মানে জনগনই মূল শক্তি! এই শক্তিই পারে আমাদের দাবী গুলো পূরণ করাতে!
গোয়িং ব্লাক আউট: বার্থ থ্রু জেনোসাইড [অন্ধকারে নিমজ্জন অত:পর একটি রক্তস্নাত জন্ম]
২৫শে মার্চ, ১৯৭১- রাতের আঁধারে নেমে আসে হিংস্র হানাদারবাহিনী। ঘটে ইতিহাসের জঘণ্যতম গনহত্যা। আমরা স্মরণ করতে চাই সেই সকল শহীদদের। আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে তাদের প্রতি আমাদের সম্মান জানাতে চাই।
মনে করিয়ে দিন বিশ্বকে, সেই গনহত্যার কথা, যা আজও আমরা ভুলি নি। মনে করিয়ে দিন সেই জেনোসাইডের কথা, যার জন্য আজও ক্ষমাপ্রার্থনা করে নি পাকিস্তান আমাদের কাছে।
২৫শে মার্চ আমরা ৫ মিনিট ব্লাকআউট করবো। ঘরের সকল আলো নিভিয়ে দেব। নিজেদের প্রোফাইল পিকচার কালো করে দেব। সামনে থাকা কম্পিউটার/ল্যাপটপ বন্ধ করে দেব। ৫টি মিনিট কাটাবো আমরা অন্ধকারে, শহীদদের প্রতি সম্মানার্থে।
ব্ল্যাক আউট হয়ে যাক বাংলাদেশ। ১৯৭১ এর সেই কালো রাত- ২৫শে মার্চের স্মরণে।
গোয়িং ব্লাক আউট: বার্থ থ্রু জেনোসাইড
ফেইসবুক ইভেন্ট লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/events/111707482353513/
তারিখ: ২৫শে মার্চ
বাংলাদেশ সময়: রাত ১১.৫৫ - ১২.০০
সাথে থাকুন। আমরাই আপনারা, আপনারাই আমরা।
জামাত-শিবিরের হরতাল প্রতিরোধে আমার কর্মসূচী
এইটা বলিনা যে আমি এর আগে হরতালের বিপক্ষে ছিলাম বা সমর্থন করসি! পূর্বের হরতালে আমার অবস্থান নিরপেক্ষ ছিলো! তবে আগামী কালের হরতাল আমি মানছিনা এবং আমি স্পষ্ট ভাবেই এর বিপক্ষে, রুখে দেবার জন্য যা করার তাই করবো আমার অবস্থান থেকে!
যা করমু ভাবতেসিঃ
# বাসায় বাজার নাই, আম্মু কইলো বাজারে যাইতে...পরিস্কার জানায় দিসি, কালকেই যাবো! আজকে না খাওয়ায়ে রাখো ব্যাপার না! কালকেই বাজার কৈরা আমি হরতাল প্রতিরোধ করমু!
# বাসায় ইলেক্ট্রিশিয়ান দিয়ে কিছু কাজ করানো দরকার! এত্তদিন ধরে বাসা থেকে বলা হইতেসে করাইতে, আমার টাইম হয়না ওই কাজ গুলো করানোর! ঠিক করসি কালকেই করুম! কালকে করায়ে আমি হরতাল প্রতিরোধ করুম!
# ক্লায়েন্ট বলসে গিয়ে পেইমেন্ট নিয়ে আসতে! কইলাম ব্যাংকে জমা দিতে , আইতে পারুম না! তোহ আজকে ফোন দিয়ে বললাম, ব্যাংকে দিতে হবেনা, আমি কালকে আস্তেসি স-শরীরে, পেইমেন্ট নিতে! কালকে গিয়ে পেইমেন্ট কালেক্ট কৈরা আমি হরতাল প্রতিরোধ করুম!
আমার শেখ মুজিব
আজকের দিনেই তোমাকে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছিল! যেই দেশকে তুমি নিজ হাতে তৈরি করেছ এবং চেয়েছিলে সাজাতে আরো সুন্দর করে, যেই দেশের মানুষকে বেসেছ এতো ভাল, সেই দেশেরই কিছু মানুষ তোমাকে চিরতরে তোমার এই প্রিয় দেশ ছাড়া করেছে!
তোমার অভিশাপেই হয়ত আজকে আমাদের এই অবস্থা! জানি তুমি অভিশাপ তো দুরের কথা, যেখানেই আছো এখনো তোমার এই দেশটাকে সুন্দর করে দেখতে চাও! আমি তোমার এই চাওয়াটা অনুভব করি! তোমাকে আমি দেখিনি, তোমার সময়ে আমার জন্মই হয়নি, তারপরেও তোমাকে অনেক আপন মনে হয় আমার! তোমাকে অনেক ভালবাসি শেখ মুজিব! তোমাকে ভালবাসার জন্য টিভিতে প্রচারিত তোমার ভাষণ গুলোই যথেস্ট! তোমার ছবি গুলোই অনেক!
স্বাধীনতার পরে তুমি তোমার দেশের মানুষ গুলোকে জড়িয়ে যখন তোমাকে কাদতে দেখি, তখনই বুঝে ফেলি তুমি কতটা ভালবাসতে এই বাংলার মানুষ গুলোকে! বুঝতে পারি, কি চেয়েছিলে আসলে তুমি আমাদের জন্য! বুঝতে পারি তুমি আসলে কতটা মহান ছিলে!
আজকের ইফতার ও আড্ডা - ভাল লাগার একটি দিন
তখন বাজে দুপুর ২টা, ইফতারস্থলে গিয়ে জানিয়ে আসতে হবে কতজন আমরা ইফতার করব! কনফার্ম করে আসতে হবে! বের হব, তখন দেখি বাইরে জোর বৃষ্টি হচ্ছে! বের হওয়া পসিবল না কোন ভাবেই! বসে অপেক্ষা করছি বৃষ্টি কমার! কমছেনা, তো চিন্তা করলাম এখন আর না যাই, ৪টার দিকে একবারে গিয়ে সবার যায়গা আমি একাই দখল করে বসে পড়ব!
তার কিছুটাইম পড়েই কনা আপার ফোন, কইলো যে, আমি অফিস থেকে বের হব ৪টায়, তুই আমার সাথে চল! আমিও রাজি হয়ে পড়লাম! কথামত ৪টায় বের হইলাম! এটিএম থেকে টাকা তুলে কনা আপার গাড়ি করে রওনা দিলাম ক্যাপ্টেনস ওয়ার্ল্ড-এর পথে! ১৫মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাই আমরা! সবার প্রথম আমি আর কনা আপায় হাজির হই ক্যাপ্টেনস ওয়ার্ল্ড-এ! গিয়ে কাজ শুরু, সবার জন্য ইফতার অর্ডার করা লাগবে এবং বসার যায়গা রিজার্ভ করতে হবে!
আমরা বন্ধু ইফতার অনুষ্ঠান ২০১২
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা,
ইফতার অনুষ্ঠানের গরম-গরম ঘোষনা দিতে চলে আসলাম আমি! ব্লগে এতো মহান মহান ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও এই গুরু দায়িত্বটা আয়োজক কমিটির পক্ষ হতে আমার ওপরই দেয়া হয়েছে যাই হউক, গতকালই ঘোষনাটা দেয়ার কথা ছিল তবে আমার ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারনে ঘোষনা টা দিতে একটু দেরী করে ফেললাম(এই জন্য আমাকে জিয়াউর রহমান থেকে কম কিছু ভাববেন না দয়া করে )
ঘোষনাঃ
আমি আশরাফুল ইনসান রনি, ইফতার আয়োজক কমিটির পক্ষ হতে ঘোষনা করছি যে, আগামী ১২ তারিখ, রবিবার ২০১২ইং আমরা বন্ধু ব্লগের জন্য ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে! অনুষ্ঠানটি চাঁদার বিনিময়ে ইফতার কর্মসূচী ভিত্তিতে আয়োজন করা হয়েছে! অনুষ্ঠানে এবি ব্লগের স্বনামধন্য ব্লগাররা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে!
এক নজরে ইফতার অনুষ্ঠানঃ
ইফতার অনুষ্ঠান স্থলঃ ক্যাপ্টেনস ওয়ার্ল্ড (মহাখালী)
তারিখঃ ১২।০৮।১২ - রবিবার
সময়ঃ শুরু বিকেল ৫টা
চাঁদাঃ জন প্রতি ২৫০টাকা
aB ইফতার অনুষ্ঠান'১২
আমরা বন্ধু ব্লগের জন্য ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজনের চেষ্টা চলতেসে! এই উপলক্ষে আয়োজক কমিটি পুরোদমে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন! ইফতার অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে খুব শীঘ্রই! আশা করছি এবির সব বন্ধুদের কে পাওয়া যাবে ইফতার অনুস্থানে!
সম্ভাব্য স্থানঃ ক্যাপ্টেনস ওয়ার্ল্ড (মহাখালী)
সম্ভাব্য তারিখঃ আগামী রবিবার, ১২.০৮.১২
আজকে ইফতার করতে বসার আগে অব্যশই একটু দোয়া করবেন আয়োজক কমিটির জন্য, যেন তারা বন্ধুরের জন্য আয়োজন টা সুন্দর ভাবে করতে পারেন!
এইবার একটু আওয়াজ করেন দেখি সবাই
আবদুল্লাহ আবু সায়িদ স্যার
``মন্ত্রী-এমপিদের কোনো নীতি নেই` - সায়িদ স্যার এই কথাটি বলার কারনে স্যারকে নাকি আমাদের জাতীয় সংসদে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে, এমনটাই দাবী তোলা হয়েছে শোনা যাচ্ছে! স্যার, আমি এই দেশের নাগরিক, ওই ১৬ কোটির মানুষের মধ্যে আমিও একজন এবং আমি বলছি আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবেনা, কোন ভাবেই না! আপনি যা বলেছেন তা আমারো মনে কথা, আরো অনেকের! ঠিক কথাই বলেছেন!
এই BAL সরকারের আবুল মন্ত্রী গুলো হয়ত আপনাকে জোর করেই ক্ষমা চাওয়াইতে পারে তবে আমরা তা হতে দিবোনা! প্রয়োজন হলে যেই সংসদে আপনাকে ক্ষমা চাইতে ডাকা হচ্ছে ওই সংসদে আমরা আপনার ছাত্ররা দেয়াল তৈরি করে দিবো আপনার জন্য।
হারিয়ে পাওয়া সাধের ফোন!
হারানো কিছু ফিরে পাওনের আনন্দ যে কি, যার এই অভিজ্ঞতা না হইছে বুঝানো যাবে না। জিনিসটা হারানোর পর হাল না ছেড়ে দিয়া লাগ্লো হতাশ না হইয়া একটা চেষ্টা করে দেখি। ভাব্লাম কারো উপরে ভরসা না করে নিজেই একটু চেষ্টা করে দেখিনা, কতটুকু আগাইতে পারি! কিভাবে কি হইলো অনেকেই জানতে চাইতেসে! জনে জনে তো এক কথা বার বার বলা সম্ভব না তাই এই পোস্টের সহযোগীতা নিলাম!
আচ্ছা এই পোস্টা টা দিতেসি সব বুড়াপান আর পোলাপানের ধাক্কাধাক্কি তে! আমার একটা হ্যান্ডসাম স্মার্ট ফোন আছে, যারে দেখেই অনেকের হিংসায় গা জ্বলে যায়, নাম HTC Desire HD
শুভ জন্মদিন ভাষ্করদা
ছয় বছর হয়ে যাইতেসে এই ভাষ্করদা কে চিনি, যার লেখা ও কথা বলার স্টাইল তারে আমি অনেক পছন্দ করি! আপনার আজকে জন্মদিন, শুধু এই কারনেই পোষ্ট তা লিখতেসি!
শুভ জন্মদিন ভাষ্করদা
ওহ! আপ্নিতো বিজ্ঞাপন বানান, এক কালে আমিও আপনাকে নিয়া এক্তা বানাইসিলাম, যদিও অইটা ষড়জন্ত্র করে প্রচার করতে দেয়া হয়নাই! আজকে আমি ওইটা জনগনের সামনে তুলে দিলাম!
শুভ জন্মদিন!
জয় ভাই, এবি'র শুরুর দিকের একজন সদস্য।
কি দিয়াম!
জাগরনের গান