স্টক মার্কেটে ‘ক্র্যাশ’!
(শওকত হোসেন মাসুমের লেখা পড়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া । পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বরাবরই খারাপ জিনিস, তবে ছোঁয়াছে কী না তা পরীক্ষাসাপেক্ষ! )
ওয়াল স্ট্রিটের জাদরেল সব ফাইনান্সিয়াল এনালিষ্টরা হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছেন কম্পিউটারের স্ক্রীনের দিকে।। ক্রমশ:ই লাল হয়ে যাচ্ছে কম্পিউটার স্ক্রিনে চলমান লেখাগুলো।। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন শুরু হয়েছে ৩০ মিনিট বিলম্বে।।বিলম্বিত লেনদেনটা এমন বিপর্যয় দিয়ে শুরু হবে কেউই সেটা ভাবতেও পারেন নি। ।। ফাইনান্সিয়াল টাইমস,ব্লুমবার্গ এর মতো প্রভাবশালী মিডিয়ারও শিরোনাম হয়ে গেছে লেনদেনের শুরুটা। । “আন্তর্জাতিক বাজারে অকস্মাৎ দরপতনের বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে । সূচকের নিম্নমুখী যাত্রা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে। দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এই ধরনের ব্রেকিং নিউজে দেশগুড়ে আতংক তৈরি হয়ে যায়।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের দরপতন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। চিন্তিত হয়ে পড়েন ওবামা প্রশাসনও। শুরু হয়ে যায় বাজারে হঠাত ধসের কারন খোঁজা। তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের ‘মার্কেট ক্র্যাশ’ হয়েছে- এমন একটি সংবাদে দুনিয়াব্যাপী শেয়ারবাজার মুখ থুবড়ে পড়ে। আর তারই প্রতিক্রিয়ায় পতন শুরু হয় নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জেও।
কিন্তু নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ‘ক্র্যাশ’? ও হ্যাঁ, দিনের লেনদেন শুরু হওয়ার ঠিক আগে আগে একটি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এসে ধাক্কা দিয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের দেয়ালে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন। আহত হওযার মাত্রাটা মোটামুটি বেশিই। পুলিশি তদন্ত ও আনুসঙ্গিক কারনে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনও শুরু করতে হয়েছে ৩০ মিনিট দেরিতে। কোনো একজন ব্রোকার ব্যস্তসমস্ত হয়ে ছুটার সময়ে ‘ ক্র্যাশেস ইন নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ’ শব্দটা শুনেছিলেন। তার মোবাইল ফোন থেকেই সারা দুনিয়ায় 'স্টক মার্কেট ক্র্যাশে'র খবরটা চাওড় হয়ে যায়।
(এটি কোনো মৌলিক লেখা নয়)
মাসুম ভাইর কোন লেখাটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সেটা ধরতে পারলাম না। তবে গল্পটা কৌতুহলদ্দিপক এবং ভয়ঙ্কর।
ওই যে কয়েকদিন আগে মাসুম একটা পোষ্টে রম্য লেখার টিপস শিখাইয়া দিলো। । তার টিপস অনুসারে এটি তৈরির চেষ্টা হয়েছে। তবে বই দেখে রান্না করতে গেলে বিপদও আছে। বাতাসে বইয়ের পাতা উল্টে গেলে লবনের জায়গায় চিনি পড়ে যেতে পারে।
এই ক্ষেত্রে সেরকম কিছু হয়ে থাকলে দায় আমার না, আমার আনাড়ীপনার।
শেয়ার মার্কেটে আসলে সবাই অস্থির!
হোহোহো...মাসুম ভাইতো এই ছবি দিয়াই একটা রম্য নামাইয়া ফেলতো...
~
ঠিকই বলেছেন ভাই!
হায় রে অস্থিরতা! চমতকার বলেছেন।
আপনার আবেগী লেখাগুলি বেশি ভালো। আপনার মেয়েকে নিয়া তো মনে হয় উপন্যাসও লিখতে পারবেন...
আর আপনিও সম্ভবতঃ অর্থনীতি পাতায়ই ছিলেন...আমাদের জন্য অথর্নৈতিক রিভিউ টাইপও কিছু লেইখেন, উপকৃত হবো।
উপন্যাস! েসটা মেন হয় অামার কম্ম না, মােঝ মধ্যে গল্প লেখার সখ হয়, কিন্তু সেই সখটা আর পূরণ করে উঠতে পারি না। ফলে মেয়েদের নিয়ে গল্পো সাজাই। সেগুলো অন্যদের ভালো লাগছে জেনে উতসাহ বোধ করছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করুন