ইউজার লগইন

শেয়ারবাজারও কি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ?

শওগাত আলী সাগর
দেশের অর্থনীতি নিয়ে আতংক ছড়ানোর রাজনৈতিক অরাজনৈতিক প্রচেষ্টাটা শেষ হতে না হতেই আতংকজনক কিছু ঘটনাই ঘটে গেলো বাংলাদেশে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে হঠাত করেই একদিনের জন্য বন্ধ রাখলেন শেয়ারবাজারের লেনদেন। সরকারি দুটি সিদ্ধান্তের জের ধরেই শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে সেটি পরিষ্কার। তবে যে কথাটি পরিষ্কারভাবে কেউ বলছেন না, সেটি হলো – সরকারকে বিশেষ একটি বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জের এই সিদ্ধান্তে।সেই বার্তাটি কি তা সরকারের খতিয়ে দেখার বিষয়,অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা যারা করেন, তারাও এ ব্যাপারে আগ্রহী হতে পারেন। তবে একদিন শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ রেখে বিনিয়োগকারীদের,দেশের সাধারন জনগোষ্ঠীর মনে একটা আতংকভাব তৈরি করা গেছে। আর বিদেশে,আন্তর্জাতিক বাণিজ্যজগতে একটা প্রশ্নবোধক বার্তা পাঠানো গেছে। এটিও হয়তো কেউ কেউ চাচ্ছিলেন।
যে দুটি খবরকে ভিত্তি করে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হলো ,সেই খবরগুলো কি সত্যিই আতংক তৈরির মতো খবর? জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বলেছে, অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না। এতে তো বিনিয়োগকারীদের খুশিই হবার কথা। যে ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীর কথা আমরা সবসময়ই শুনি,তারা তো আর আপরাধের দ্বারা অর্জিত টাকা এনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন না। তাহলে তারা আতংকিত হবেন কেন? আতংকিত হবার কথাতো তাদের, যারা অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে সেগুলোকে সাদা করতে চান। শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগ করতে দেওয়া না দেওয়া নিয়েও এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়। ‘অপরাধে অর্জিত টাকা’ কিংবা ‘অপ্রদর্শিত আয়’ নিয়ন্ত্রনের যে কোনো উদ্যোগ যাতে সফল না হয়, সেজন্যে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে এ নিয়ে শেয়ারবাজারে বিভিন্ন সময় অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। এবারও সেটিকে আরো তীব্র করে তোলা হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের যোগসাজস। তারই অনিবার্য পরিণতি লেনদেন বন্ধ রাখা।
কেউ হয়তো বলবেন, বাজার আরো পড়ে যাওয়ার আশংকায় লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। আমি বিনীতভাবে একই প্রশ্ন করবো, অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে বাজার পড়ে যাবে কেন? বাজারে তো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা। আর বাজার যদি পড়তেই শুরু করে তাহলে, বড় বিনিয়োগকারী,প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী তারা কোথায়? তারা বাজারকে সাপোর্ট দিয়ে ভারসাম্য আনতে পারবেন না? দু:সময়ে যদি তারা ভূমিকা না রাখেন তাহলে তাদের কাজ কি? আইন শিথিল করে ব্যাংকগুলোকে যে শেয়ারবাজারে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হলো তারা কোথায়? দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কর্তাব্যক্তিদের কেউই কিন্তু বাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার চিন্তা করেন নি, তারা বাজার বন্ধ রাখাকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন। সেটা দিয়েছেন সরকারকে চাপে ফেলার অভিলাষ থেকেই, বাজারকে সহায়তা দেওয়া কিংবা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ চিন্তা করে নয়।
আর সরকারি চাকরীজীবীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না কেন? সরকারের ভেতরে এমন বুদ্ধিমান লোকগুলো কারা যাদের মাথা থেকে এই উর্বর পরামর্শটি জন্ম নিয়েছে? বলা হচ্ছে, এটা নাকি পুরনো আইন, নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাত্র। বিশ্বের কোনো দেশেই তো এমন নজির নেই যে কোনো পেশাজীবী বা কোনো গোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে যদি এই আইনটি থেকে থাকে তাহলে সেটি অনতিবিলম্বে বাতিল করা উচিত।বাংলাদেশে বিনিয়োগের আর কোনো উপাদান নেই বলে সবাই শেয়ারে বিনিয়োগ করতে ছুটে। উন্নত দেশগুলোতে নানা রকম বিনিয়োগ উপাদান আছে এবং সেখানে সবার জন্যই সব বিনিয়োগ উন্মুক্ত।তবে ওই সবদেশে বিনিয়োগের জন্য কঠিন আইনি কাঠামো আছে।সেই কাঠামোর ভেতর থেকেই সবাইকে বিনিয়োগ করতে হয়। প্রতিটি বিনিয়োগ এবং সেই বিনিয়োগ থেকে আয় তাদের ঘোষনা করতে হয়। বাংলাদেশে আইনি কাঠামোকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ কখনোই শক্তভাবে নেওয়া হয়নি।
সরকার পরিচালনা আর আর ছোট্ট বাচ্চাদের পুতুল খেলা এক জিনিস নয়- এটা সরকারে যারা আছেন তারা যে বুঝেন না, তা নয়। ছোট ছেলেমেয়েরা পুতুল খেলায় যখন তখন পুতুলের বিয়ে দেয়, বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। সরকারের আচরন দেখে মনে হচ্ছে তারাও যেন ‘নিতান্তই বাচ্চা’ এবং শেয়ারবাজারের মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে পুতুল খেলছেন। নইলে মন্ত্রী সভায় সিদ্ধান্ত,এমনকি পরিপত্র জারি হওয়া সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সংবাদসম্মেলন করে কিবাবে বলেন, মন্ত্রী সভায় এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর এসইসি চেয়ারম্যানের ঘোষনার পর আবার পরিপত্র জারি হয় কিভাবে? এখন তো এসইসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তোলা যায়।অর্থবাজারে মিথ্যা তথ্য দেওয়া একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার পর ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকারটিও তো তিনি হারিয়ে ফেলেন।আর পরিপত্রের ভাষা দেখে তো মনে হচ্ছে সরকারের জনপ্রশাসনে পড়াশুনা জানা,অর্থবাজার সম্পর্কে জ্ঞান সম্পন্ন কোনো লোক সেখানে নেই। পরিপত্রে বলা হয়েছে, “ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে এক শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফটকা কারবারে বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করছেন। এ ধরনের বিনিয়োগ ওই বিধিমালা অনুযায়ী আরোপিত বিধি-ননিষেধের লঙ্ঘন।” সরকারি একটি ঘোষনায় ‘ফটকা বাজার’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় কিভাবে? আবার পরিপত্র নিয়েও কতো নাটক। একবার জারি হয় তো পরক্ষণেই প্রত্যাহার করা হয়।আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বলেছেন,“পরিপত্রটি আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংশোধিত আকারে তা পরবর্তীতে আবারো জারি করা হবে।” ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া প্রকাশ হওয়ায়’ না কি এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ থেকে ধারনা করা যায়, সরকারি চাকরীজীবীদের শেয়ারবাজারে থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে যায় নি।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা আছে, লেনদেন পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী আছে। তাহলে সরকারি চাকরীজীবীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে সমস্যা কোথায়। এখানে স্বার্থের দ্বন্ধটা কোথায়? হ্যাঁ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি,স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা কর্মচারীরা লেনদেনে জড়িয়ে পড়লে স্বার্থের দ্বন্ধ হতে বাধ্য। স্বার্থের দ্বন্ধতো বরং হয়, মন্ত্রী এমপিরা কোনো ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে। কই সেগুলো নিয়ে তো তেমন উচ্চবাচ্চ হতে দেখি না। আর যদি বলা হয়, সরকারি কর্মচারীরা অফিস ফেলে রেখে শেয়ারবাজার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে বলবো সেটা সংশ্লিষ্ট অফিসের শৃংখলাজনিত ব্যর্থতা।
বাংলাদেশে যারা স্টকব্রোকার বা ডিলার হিসেবে লাইসেন্স নিয়েছেন- তারা কি বিনিয়োগবাজার সংক্রান্ত কোনো পেশাদার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লাইসেন্স নিয়েছেন? কিসের ভিত্তিতে তাদের লাইসেন্স দেওয়া হলো ?পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্রোকার ডিলার তো বটেই, ব্রোকারেজ হাউজে বসে যারা কেনা বেচার অর্ডার নেবেন,তাদেরও নির্দিষ্ট পরীক্ষায় পাশ করে লাইসেন্স নিতে হয়। আর যারা পেশাদার হিসেবে বিনিয়োগ সংক্রান্ত পরামর্শ দেবেন,তাদের লাইসেন্স পাওয়া যে কতোটা কঠিন সেটা না হয় নাই বললাম। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে নিয়ে স্পষ্টতই একটা খেলা চলছে।সেই খেলার নিয়ন্ত্রকদের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে ব্র্যাকেটবন্ধী করার সুযোগ নাই।নানা রাজনীতির, নানা মহলের স্টেক রয়েছে তাতে। সমস্যাটা হচ্ছে,সেটা বোঝার মতো দূরদৃষ্টি সরকারের আছে বলে মনে হচ্ছে না। থাকলে সরকারি কর্মচারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে কি পারবে না- এই সব বিষয় মন্ত্রীসভার মতো গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে উঠতে পারারই কথা নয়। মন্ত্রীসভা যদি এই সব নিয়ে মাথা ঘামায় তাহলে এসইসির কাজটা কি?
শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের কথা বলার সুযোগই থাকা উচিত না।শেয়ারবাজার নিয়ে চিন্তা করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত এবং নৈতিক সমর্থন দেওয়া। পেশাদার যোগ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৈরি করে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার যদি শেয়ারবাজার তথা বিনিয়োগবাজারকেও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ভাবতে শুরু করে তাহলে হিতে বিপরীত হতে বাধ্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, কেবল সরকারই নয় অন্যান্যরাও শেয়ারবাজারকে এখন আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের মতো ভাবতে শুরু করেছে। সরকার নিজে যেমন শেয়ারবাজার নিয়ে বিজ্ঞ কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারছে না। আর সরকারকে ‘সাইজ করার’ জন্যও শেয়ার বাজারই যেন যুতসই একটি হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

( লেখাটির সম্পাদিত সংস্করন বিডি নিউজে প্রকাশিত হয়েছে।।। সম্পাদনাবিহীন পুরো লেখাটা এ বি'র বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। )

http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/01/19/%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A4%E0...

পোস্টটি ৯ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


সরকার যা বলচে সব ঠিক বলচে
আমরা যা বলচি সব ভুল বকচি
(..এর বাইরে কিছু বলার নাই, কিংবা বলে লাভ নাই..)

~

শওগাত আলী সাগর's picture


এর বাইরে অবশ্যই বলার আছে। এবং সেই কথাগুলো বারবারই বলতে হবে। ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

লীনা দিলরুবা's picture


লেখাটা সুলিখিত। বিডিনিউজে পড়ে একটা কমেন্ট করেছিলাম, তারা পোস্ট করার মতো মনে করে নাই তাই আসে নাই।

সুচক যে হারে পড়ছে কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াবে কে জানে!

শেয়ার কেলেঙ্কারীর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? সরকার দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করলো কিন্তু নাম প্রকাশ করলো না, এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?

শওগাত আলী সাগর's picture


িবডি নিউজে আপনার মন্তব্যটা প্রকাশিত হয়েছে। আমিমনে করি, শেয়ারবাজার জানেন বা বুঝেন এমন লোকদের পরামর্শ সরকারের নীতি নির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে না। সরকার সবকিছুতেই দল এবং রাজনীতি খুজেঁন। এসইসিও ঠিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতো কাজ করতে পারছে না, তারা দলীয় আনুগত্য দেখাতে বেশি ব্যস্ত।
আর ডিএসইতে কিছু প্রভাবশালী লোক আছেন যারা মনে করেন সরকারকে সাইজ করার এটাই হচ্চে মোক্ষম অস্ত্র। ফলে নানামুখী খেলায় বিনিয়োগকারীদের পিষ্ট হয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।
৯৬ এর কেলেংকারির নায়কদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য টানা লড়াই করে গেছি আমি এবং আমরা। আমি, ডেইলি স্টারের এম শামসুর রহমান মোমেন(বর্তমানে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান), ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের রায়হান এক্টিভিষ্ট এর মতো কেলেংকারির নায়কদের বিরুদ্ধে কলম চালিয়েছি। আমি এখনো মনে করি ৯৬ এর কেলেংকারির নায়কদের বিচারের মুখোমুখি করা দরকার ছিলো। তাদের বিচার হয়নি বলেই নতুন করে বাজারে কারসাজির ঘটনা ঘটেছে।
সরকারের নিজেদের লোক কারসাজি করেছে বলেই সরকার তাদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তবে যারা মতিঝিলে বিক্ষোভ করছেন তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি আছে, কিন্তু সমর্থন নাই। তাদের না বুঝে কিংবা না জেনে মহল বিশেষের পারপাস সার্ভ হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছেন। এটি শেয়ারবাজারের পরিবেশকেও নষ্ট করছে। বিক্ষোভকারীরা সূচকের উর্ধগতি চায়, বাজারের স্থিতিশীলতা চায়, তারা কিন্তু জোড় গলায় কেলেংকারির নায়কদের বিচার দাবি করতে পারে না। মতিঝিলের পুরো বিক্ষোভটা যদি জোড় গলায় ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্ট অনুযায়ী কেলেংকারির নায়কদের শাস্তির দাবিতে আওয়াজ তুলে দেখবেন, তাদের পেছন থেকে সমর্থনের শক্ত অনেকগুলো হাতই সরে গেছে। এ নিয়ে আলাদা করে কিছু লেখার চিন্তা আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

লীনা দিলরুবা's picture


মন্তব্যটা প্রকাশিত হয়েছে দেখে খুশী হলাম, মডারেশনে এতক্ষণ অপেক্ষায় রাখলে ফলো করাইতো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়!

বিক্ষোভকারীরা সূচকের উর্ধগতি চায়, বাজারের স্থিতিশীলতা চায়, তারা কিন্তু জোড় গলায় কেলেংকারির নায়কদের বিচার দাবি করতে পারে না।

এই কথাটির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালাম।

শওগাত আলী সাগর's picture


িবনিয়োগকারীদের ক্ষতিজনিত আবেগ এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও বলি, মতিঝিলের আন্দোলনটাকে আমি কিন্তু যৌক্তিক মনেকরি না। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে অজান্তেই তারা ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের আন্দোলনকে দেখিয়ে অন্যপক্ষ সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করছে।

তানবীরা's picture


ভালো লাগলো আপনার লেখাটি

শওগাত আলী সাগর's picture


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

বিশ্বজুড়ে's picture


৪০ বছর পের েযমন রাজাকারেদর িবচার চলেছ অাশা করব েতমনি ভাবে েশয়ার কেলেংকারীর িবচার হবে। Panama lawyers.

১০

শওগাত আলী সাগর's picture


আশায় থাকতে পারেন ভাই। কিবরিয়া সাহেবের মতো কোনো অর্থমন্ত্রী, সাঈদ সাহেবের মতো এসইসির চেয়ারম্যান হলে হয়তো বা সেটা হতে পারে। এই দুই ভদ্রলোকই ৯৬'র কেলেংকারির নায়কদের বিচারের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। অন্তত একবারের জন্য হলেও তাদের আদালতের কাঠগড়ায় স্বশরীরে দাড় করিয়েছিলেন। সেই কিবরিয়াও নাই, সেই সাঈদও নাই.....

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

শওগাত আলী সাগর's picture

নিজের সম্পর্কে

আমি কি তারই সন্ধান করে ফিরি