টুটুল'এর ব্লগ
মেরেছ কলসির কানা... তাই বলে কি প্রেম দিব না?
মেরেছি কলসির কানা... তাই বলে কি প্রেম দিব না?
এটা কোন কথা হইলো? কেউ ভুল কইরা কলসির কানা ছুইড়া মারতেই পারে... এই মারন না মারনটা তার বুঝের উপর নির্ভর করে। বুঝলে কি এম্নে কইরা আস্ত কলসি ছুইড়া মার্তো? তো? আম্রাও কি তাইলে অবুঝের মত আচরণ করবো? তাইলে আমার বিচক্ষনতা কৈ রইলো?
ব্লু-মুন = নীল চাঁদোয়া....
নীল চাঁদোয়া...
আকাশটাকে আজ লাগছে যেন,
মাঝে মাঝে কিছু কিছু তারা বোনা...
বৃষ্টি ধোয়া
এই গানটা দূর্দান্ত লাগতো এক সময়... শম্পা রেজা হয়তো সেই আমলেই জানতেন ব্লু মুনের বিষয়ে। আমরা জানলাম হপায়
অধুনা ব্লু-মুনের একটা ক্রেজ দেখলাম। আমাদের বন্ধুদেরই দুইটা গ্রুপ দেশরে দুই প্রান্ত থেকে ব্লু-মুন দেখতেছে সদলবলে। এক দল সুনামগঞ্জে আর এক দল বরগুনা গেছে চাঁদ দেখতে। আজ পত্রিকায় দেখলাম ঢাকার আশে পাশেই নাকি দর্শনার্থীরা ভীর করেছে ব্লু মুন দেখার জন্য। অগত্য আমাদের তো আর দুরে কোথাও যাওয়ার নেই.. তাই মহল্লার চিপা অথবা বাড়ির ছাদই ভরসা। তাই মহল্লার কতিপয় উৎসাহী লোকজন শ্যামলীর কোন এক ছাদে বসছিলো চাঁদ খুজতে...
ফটো ক্রেডিট: ফারহানা জেবীন
ফটো: ঋহান চাঁদ খুজতেছে
শুধু কি ঋহান একাই চাঁদ খোজে?
নতুন টার্ম আইফনুগ্রাফার
নিজ দায়িত্বে তালা দিয়ে ঈদে বাড়ি যান : ঠিকাছে
‘নিজ দায়িত্বে তালা দিয়ে ঈদে বাড়ি যান’
হঠাৎ করে ঢাকা তালা শূন্য হয়ে পরেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি ঘোষনার পর মানুষ দিকবিদিক হয়ে ছুটছে হার্ডওয়ারের দোকান গুলোতে। কিন্তু কোথাও মিলছে না একটি তালা। ঢাকার সয়াবিন/চিনি সিন্ডিকেট পুরাই তব্দা আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন ক্রিয়েটিভিটি দেখে। এমন একটি হট আইটেমের কথা শোনার পর থেকে তারা এখন কি থেকে কি করবে কোন হুশ পাচ্ছে না। প্রচণ্ড আফসুস খেয়ে তারা বলছে, ১৫ দিন আগেই যদি মন্ত্রী মহোদয় একটু টাচ দিতেন তাহলে সিন্ডিকেট সকল তালা লগ্নি করে বসে থাকতে পারতে। আমদানী কারকরা এখন ব্যাপক সেন্টু খেয়ে ঈদের শপিং বাদ্দিয়ে তালার খোজে হন্যে হয়ে সারা দেশ ঘুরছে।
ক্যামেরাবাজী ...
বৈবাহিক সূত্রে শব্দটা কি ঠিক হইবো? ঠিক বুঝতে পারতেছি না ... তয় বউ এক্টা ক্যামেরা গিফট করছে। সেইটা লইয়াই ব্যাপক আনন্দে আছি... আগে যেইসব ফটুক তুলতাম সব কুয়াসায় ঢাকা থাকতো... আর এখন ক্লিক দিলেই ঝকঝকা ফটুক... কি যে তামশা বইলা বোঝানো যাইবো না ... তয় চিকনে আপনাগো বইলা যাই... এখনো কিন্তু ক্যামেরার পুরা অপারেশন জানি না... কিন্তু ক্যামেরা বেটা একটা অটো অপশন দিয়া রাখছে আমাগো মত ফাউল পোলাপাইনের জন্য... এখনো সেইটার মায়া ছার্তারি নাই
বর্তমান জামানায় ডিএসএলআরেএ ফটুক তোলা ৬০% আর পোস্ট প্রসেসিং ৪০%... সো পোস্ট প্রসেসিংয়ে ব্যাপক মজা ... ছবি তোলার পর ফটোশপ লাগে... সেইটা পারি না ... সেই কারনে লাইটরুম ধরছি... কিছু পারি কিছু পারি না ... জনে জনে জিগাই... পড়তে আইলসামি লাগে
... বুঝতেছিনা আমারে দিয়া ক্যামেরা হবে কিনা... সেইটা বুঝতে হইলে মাঠে নামতে হবে
...
গফ শেষ
প্রাইমারী স্কুলের স্যারদের কাছে জিজ্ঞাসা... "স্যার নীতি মানে কি?"
আমার প্রথম স্কুলে যাওয়ার কথা মনে নেই... ক্লাস ওয়ান/টুর কথা মনে করা আসলেই কষ্টকর। কিন্তু থ্রি কি ফোরে যখন পড়ি তখন আমাদের স্কুলের ফযল স্যার কোন এক ক্লাসের মাঝেই বলতে ছিল... "তরাতো এক দিন অনেক বড় হবি... আমাগো কথা মনে থাকবো না... রাস্তায় দেখলে ছালাম দিবি কিনা সন্দেহ"। ওই দিন ছোট সময়ের সেই আবেগেই হোক আর যাই হোক... স্যারকে বলছিলাম... "স্যার ... আপনারে ভুলমু না"। সত্যি স্যারকে আমাদের সেই ব্যাচের (যাদের চিনি) কেউ ভোলে নাই। আজ ফজল স্যার ক্যামন আছে জানি না...
শিক্ষা বিস্তারের একদম শুরুটা যেইসব মানুষের হাত দিয়ে.. তাদেরকে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর... তাদের হাত দিয়েই জীবনের ভিত্তি স্থাপনের কাজ শুরু... এইতো কয়দিন আগেই তেমনি একজন কারিগরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো তাদের জিবন জীবিকার তাগিদে সামান্য কয়েকটা টাকা বেতন বাড়ানোর জন্য।
আগুন....
শ্যামলীতে আজকে সকালে লাগা আগুনের ছবি...
সকালেই বসের ফোন... তাদের বাসার পাশে আগুন লাগছে... দৌড়াইয়া গেলাম অফিস খালি কইরা... অফিসে কিছু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি আছে... সিকিউরিটির লোকজন সেগুলো নিয়ে রওনা হলো... আমরা একটা পাশে সর্বৌচ্চ চেষ্টা চালালাম... প্রায় গোটা ৫০ লোক আমাদের... সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় একটা সাইডে আগুনকে আর বাড়তে দেই নাই...
অফিস থেকে যাওয়ার সময় মনে হইছিল একবার ক্যামেরাটা নিয়ে বের হই... আবার এটা মনে হইলে ছবি তোলার চাইতে অনেক বড় কাজ হয়তো সেইখানে আছে... নেয়া হইলোনা আসলে ক্যামেরাটা... অনেকেই বলছে চমৎকার কিছু ছবি মিস করলাম... সব ছবি হয়তো তোলা হবে না আমার
ছবিতে
একটা সময় ছিল যখন আমরা ব্যাক্তিগত ব্যাবহারে ক্যামেরা কিনতে পারতাম না... এ এক বিশাল বিষয় ছিল। স্টুডিওতে গিয়ে পারিবারিক ফটোসেশন হইতো। তারপর সেই ফটুকের পেছনে ফ্লিমের নাম্বার দেয়া থাকতো... সেই নাম্বারটা যত্নের সাথে লেইখা রাখা লাগতো। আবার নতুন কৈরা ওয়াশের টাইমে ওই নাম্বার নিয়া স্টুডিওতে গেলে সেই ফ্লিম খুইজা ওয়াশ কইরা দিতে স্টুডিও ওয়ালারা।
আমার দখলে থাকা প্রথম ক্যামেরা যতদুর মনে পরে এইটা
স্মরণীয় সময়: বাংলাদেশের জয়
বিশ্বকাপের পর আর মাঠে যাওয়া হয় নাই... মধ্যে বিপিএল গেল... ক্যান জানি মন টানলো না ... খুব বেশী যে খেলা দেখি তাও না... মাঝে মাঝে ঢু মারি স্টেডিয়ামের পথে... বাঙালী জাতীর আনন্দের জায়গা খুব কম... মাঝে মাঝে দু/একটি ম্যাচে জয় আমাদের সত্যই আনন্দীত করে... উদ্বেলীত হই নতুন আশা নিয়ে। ফুটবলতো গেছেই... ভরষার জায়গা একটাই... ক্রিকেট। হকি নিয়ে কিছু করার সুযোগ ছিল... আমাদের বদমাইশ কর্মকর্তারা সেইটারেও খাইছে...
টেস্ট পোস্ট
এখনো ভোর হয় / শিশির ঝড়ায় রাত্রি / পাখিরা গায় গান / দিন শেষে রাত আসে
কিন্তু আমার আর গ্রামে যাওয়া হয় না। অনেকগুলো হাতের মাঝে অন্যতম হাত হলো অজুহাত। যে কোন কারনে পই পই করে আমরা এই হাতের সদ্বব্যবহার করি... করতে হয়। শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে নগ্ন পায়ে হাটা হয় না... নগ্ন পায়ে আমার প্রভাত ফেরী করা হয় না। সারা রাত জেগে শহীদ মিনারকে সাজানো হয় না। যান্ত্রিকতায় বাসবাসে যন্ত্র হয়ে যাওয়ায় যন্ত্রের যত দোষ। আমি সুফি মানুষ... বাইতুল মোকাররমের খতিব। আমার কোন দোষ নাই।
একদা জাহাঙ্গীর নগরে
আপনি নতুন ক্লিকবাজী করেন? কোটি কোটি ছবি তুলেছেন? হয়তো আপনার ছবি নিয়ম মত হয় নাই। তো কি করবেন? প্রকাশ করবেন না? বড় বড় ফটোগ্রাফারদের ছবি আপলোডের পর আর নিজের ছবি আপলোড শরমের ব্যাপার ... তাই অন্যদের আগেই নিজের গুলা প্রকাশ করা উচিত।
সেই থিউরি মাইনা কিছু ফটুক তুইলা দিলাম আপনাদের আলোচনার জন্য।
আমাদের একটা ফটোগ্রাফী ক্লাব আছে... তো হুট কইরাই আয়োজন... ৩০/৪০ জন যাবে বইলা নিশ্চিত করার পর বাসে উঠে দেখি মাত্র ১০ জন। এই হয়... সব্বাই কইবো আমারে কয় নাই ... কিন্তু যাওয়ার টাইমে হাপিস
যাউকগা... এইসপ ব্যাপার্না ... চলেন এক চক্কর জাহাঙ্গীরনগর দেইখা আসি
ছবি :: ০১ :: জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর দর্জা
ছবি :: ০২ :: প্রকৃতি
আসিফ মহিউদ্দিনের নিঃশর্ত মুক্তি চাই
সারা বিশ্বে অনলাইন এক্টিভিষ্টদের বিভিন্ন ইস্যুতে সরব উপস্থিতি এখন আর কারো অজানা নয়... মিশর থেকে তিউনেসিয়ার ক্ষমতার পালাবদল এদের হাত ধরেই... বাংলাদেশেও বিকল্প মিডিয়া হিসেবে অনলাইন কমিউনিটির বলিষ্ঠ ভূমিকা আজ প্রতিষ্ঠিত প্রায়... বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে মেইন স্ট্রিমের মিডিয়া অর্থনৈতিক বন্ধনের কারণে নিশ্চুপ থাকায় জনগণের ক্ষোভ/হতাশা এখন অনলাইন কমিউনিটির এক্টিভিষ্টদের হাত ধরে একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থানে দার করিয়েছে। আর তাই এই অনলাইন এক্টিভিষ্টরা আজ সরকারের চক্ষুশূল।
গতকাল রাতে আমাদের এক সহব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে সরকারের একটি নিরাপত্তা সংস্থা আটক করেছে।
র্যাব কি নিজেরাই বিচার শুরু করে দিল? এ তো ভয়াবহ অবস্থা.....
শুরুতেই একটা গল্প তৈরি করি...
রাত প্রায় ১২টা... রহিম দ্রুত পা চালাচ্ছে... জায়গাটা ভাল না... প্রায়ই ছিনতাই হয়... কয়েকদিন আগেও রহিমের মোবাইলটা নিয়ে গেছে... বৈষয়িক কারণেই রহিম এখনো একটা মোবাইল কিনতে পারে নাই... ভুশ্ করে একটা কালো গাড়ি তাকে অতিক্রম করে চলে গেল.. রহীম নিশ্চিত হলো যে এখন আর কোন ভয় নেই... মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক... কালো গাড়িটা কিছুদুর গিয়েই আবার ফেরত এসে থামল রহীমের কাছে... ৪/৫ জন কালো পোষাক পড়া লোক আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল...
একটা রপ্তানীমুখি পোশাক কারখানায় রহিম লাইন সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিল। ওইদিন শিপমেন্টের কারণে প্রচণ্ড কাজ থাকায় রহিমের গার্মেন্টস থেকে ফিরতে প্রায় মাঝ রাত। গাজীপুর মেইনরোডের উপরেই গার্মেন্টস। প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে রহিম থাকে। প্রতিদিন হেঁটে হেঁটেই তারা যাতায়াত।
আমার আর কিচ্ছু করার নেই :)
অনেক দিন পোস্ট দেয়া হয় না... কি লিখবো ভেবেই পাই না... অথবা ভাবার সময় পাচ্ছিনা জীবিকার যাতাকলে পিস্ট যাপিত জীবনে... তাই হয়তো মুচকি হাসে জীবন... মাঝে মাঝে মনে হয় ও গান ওয়ালা.. আরেকটা গান গাও... আমার আর কোথাও যা্ওয়ার নেই... কিচ্ছু করার নেই...
কখনো সময় আসে জীবন মুচকি হাসে
ঠিক যেন পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা
অনেক দিনের পর মিলে যাবে অবসর
আশা রাখি পেয়ে যাব বাকি দু'আনা
আশা নিয়ে ঘর করি আশায় পকেট ভরি
পড়ে গেছে কোন ফাঁকে চেনা আধুলি
হিসেব মেলানো ভার আয় ব্যয় একাকার
চলে গেল সারাদিন এলো গোধূলি
সন্ধ্যে নেবে লুটে অনেকটা চেটেপুটে
অন্ধকারের তবু আছে সীমানা
সীমানা পেরোতে চাই জীবনের গান গাই
আশা রাখি পেয়ে যাব বাকি দু'আনা
বন্ধু দিবস... :: বন্ধুগো... আমার...
বন্ধু তোমার চোখের মাঝে চিন্তা খেলা করে
বন্ধু তোমার কপাল জুড়ে চিন্তালোকের ছায়া
বন্ধু তোমার নাকের ভাজে চিন্তা নামের কায়া
বন্ধু আমার মন ভাল নেই / তোমার কি মন ভালো
বন্ধু তুমি একটু হাসো / একটু কথা বলো
বন্ধু আমার বন্ধু তুমি / বন্ধু মোরা ক' জন
তবুও বন্ধু...... মন হলো না আপন’- কৃষ্ণকলি
বন্ধুত্বের আহ্বান... বন্ধুত্বের অবগাহন... বন্ধুত্বেই জীবন... বন্ধুত্বেই মরন... এত এত বন্ধুর ভীরেও পুরোনোরা হারায়... খুজে পাওয়ায় আত্মহারা সুমন হয়তে বলে ওঠে
হঠাৎ রাস্তায়, অফিস অঞ্চলে
হারিয়ে যাওয়া মুখ, চমকে দিয়ে বলে
বন্ধু কি খবর বল?
কতোদিন দেখা হয় নি।