পিকনিক আপডেট
চারিদিক থেকে দাবী শান্ত পিকনিক নিয়া পোষ্ট দেও। তানাবীরা আপু মেসেজ পাঠাইছে, হেলাল ভাই আস্থা রাখছে, গৌতম দা সবার নাম রাখতে বলছে আরো চারিপাশের মানুষজন বলতেছে শান্ত পিকনিক নিয়া একটা ফাটায়া পোষ্ট দেও। আসলে ফাটানোর মালিক আল্লাহ আমি তো শুধু উসিলা মাত্র। যেহেতু সবার মুখে শুনি আমি নাকি দিনলিপি ভালো লিখি আমার নিজের অবশ্য দিনলিপি ছাড়া কিছু লিখতে পারিনা বলেই লিখি তাই দিনলিপির মতো করেই পোষ্ট শুরু করি!
ইদানিং দেরীতে ঘুম থেকে উঠার কারনে পিকনিক নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। মামাকে মজা করে বলছিলাম দেখা গেলো ঘুম থেকে উঠছি সাড়ে নয়টায় পিকনিকের বাস টাস দিছে ছেড়ে আমি মুহাম্মদপুরের বেড়ীবাধ দিয়ে বাবুবাজার ব্রিজ গেলাম বাসে করে তারপর মেসবাহ ভাইকে ফোন দিয়ে বলছি ভাইয়া এখন কি করবো? কোন দিকে যাবো? কি একটা অবস্থা হবে তখন। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে অবস্থা হয় নাই দুই দুইটা মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রেখে জেগে উঠছি সকাল ছটায়। ফজরের নামায পড়লাম কারন জানি আর কোনো ওয়াক্ত পড়া হবে না। তারপর বিবিসির প্রত্যুষা শুনলাম। শুনে সাতটা সাড়ে সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হ্লাম হেটে নান্নুর দোকান। জানতাম দোকান বন্ধ থাকবে তারপর রিক্সা দিয়ে এসে আড়ংয়ের মোড় তারপর আবার হাটা। এসে দেখি কেউ নাই। এক গ্রুপ মইত্রী বাসের সামনে লোকজন দাঁড়ানো তাদের ভুড়ির উপর কি একটা কার্ড ঝুলানো তার একটু ধুরেই কুস্টিয়ার কোন কলেজের ৯৭ ব্যাচের পিকনিক বিয়ারটিসি বাস এইটাও না। রাস্তা পার হয়েই রাজধানী স্কুলের গেটের পাশে চা খাচ্ছিলাম আর দেশ জাতির টাইম সেন্স নিয়ে কি স্ট্যাটাস দেয়া যায় তা ভাবতেই ভাবতেই দেখি শুভ ভাই আর গৌতম দা আর ভাবী হাজির। তারা নাকি আরো আগে আসছে। জেনে খুশি হ্লাম আগে আসার বেকুব তাহলে আমি একাই না। অইসময়তেই ভাবতে ছিলাম বিষন্নরে ফোন দিয়ে আসতে কই কাছেই তো ত্থাকে ইন্দিরা রোডে আর মনে ছিলো না। লোকজন আরো ১০-১৫ মিনিট পর আসা শুরু করলো। হেলাল ভাই মনে হয় আগে আসলো। উনার মুখ থেকে শুনলাম টেনশনে উনি নাকি ঘুমায়ই নাই ভালো মতো। ছায়ারআলো ভাবী আয়শা এক সাথে আসলো। কি অদ্ভুত ব্যাপার প্রতিবছর এই একবারই আমার উনার সাথে দেখা হয়। তার মুখেও একি সুর ঠিক ঠাক মতোই ঘুমাই নাই সময় মেইন্টেনের ভয়ে। তার একটু পরেই দেখলাম ঝাকে ঝাকে খালি আসতেছে আর নামতেছে কাউকে চিনি কাউকে চিনিনা। জেবীন আপু। জয়ীতা আপু, টুটুল ভাই, নাজ আপু মেজবাহ ভাই ভাবী সব এসে একাকার। মেজবাহ ভাইরে এই প্রথম আমি পরিবারসহ কোথাও দেখলাম। তার বড় ছেলের দিকে কেউ তাকালেই তিনি বলছেন এটা আগের ঘরের। মেসবাহ ভাইয়ের যা অবস্থা শরীরের তাতে উনি আগের ঘরের হয়ে যায় কিনা কে জানে! যাই হোক সবাই আসলো তাও বাস আসে না। শেষে আসলো নতুন রং করা উইনার। প্রথম দেখা হলো রনি ভাই আর কনা আপুর সাথে। সিট সংকটের আবাস ছিলো তাই পিছনে হলেও তড়িগড়ি করে বসে পড়লাম ছালু ভাইয়ের পাশে। পিছনে জয়িতা আপু, জেবীন আপু আর ডক্টর হিলারী ইব্রাহিম। হিলারী ইব্রাহীম নিয়ে জেবীন আপু্রা খুব মজা নিতে ছিলেন। শামীম আসে নাই বলতে না বলতেই সে হাজির। এসেই দেখা গেলো সিট নাই খেকুর। তারপর মেসবাহ ভাই আমারে আর শামীমরে ডাকলো নাস্তা বন্টনে আমি পিছাইলাম। কিন্তু খেকু ধরা খায়া গেলো। মন দিয়ে নাস্তা দিলো আমরা সিদ্ধ ডিম দু পরোটা আর ভাজি গিললাম হাপুস নয়নে। কিন্তু বক্সটা খাওয়া শেষে নিয়ে পড়লাম বিপদে কারন রাখবো কোথায় বা ফেলবো কোথায় তাই বক্স নিয়েই বসে ছিলাম। বাচ্চা হাতে তাই ছালু ভাই খেতে পারে না। বিবাহিত মানুষদের কত কষ্ট। অনেক সময় পরে গাড়ী যখন কেরানীগঞ্জের দিকে তখন ছালু ভাই খেতে পারলো। বিমা ভাইই ভালো ঝামেলা হবে বলে বঊ আনে নাই। মনের সুখের মতো হইরই আর ফিল্ডিং দিয়ে বেড়াইছে। থাক সে কথা পিকনিক মৃন্ময় মিজান ভাই গ্রুপ ব্যাপক গান বাজনা করছে। শুরুতেই তারা একতারার স্ট্রীং ছিড়ে ফেলছে তাও থামিয়ে রাখতে পারে নাই। সাথে মেয়েরাও যোগ দেয় যাদের আমি চিনি না। তবে মেসবাহ ভাইয়ের মুখে শুনছিলাম টাংগুয়ার হাউর গ্রুপ তারাও দারুন সংগ দেয়। তাদের লিরিক্স মুখস্থ করার গুন দেখে অবাক হই। এতো গান শুনি এখন কোনো গানই মনে থাকে না আর। তাদের পরিবেশনা ভালোই তবে আমাদের শিল্পী গোষ্ঠীর একমাত্র প্রতিনিধি বিমা ভাই গান গাইলো না আমরা হতাশ হয়ে স্পটে আসলাম। দারুন জায়গা নিঃসন্দেহে। গাছ পুকুর কাঠের পুল হেভেনলী পরিবেশ। তবে হেভেনলী পরিবেশের সব চাইতে সুন্দর জিনিস গৌতম আর ভাবীর এসেই দোলনায় চড়ে দোল খাওয়ার সিন। লোকজন সব নানান ক্যাম্পে ভাগ হলো এক গ্রুপ তাস খেললো আরেক গ্রুপ বসে ছিলো, কেউ কেউ ছবি তুলতে ও নানা জায়গায় হাটতে বেড়িয়ে গেলো। আমি শামিম আর হেলাল ভাই এমনি চক্কর মারছিলাম এরমধ্যে চা খেতে হবে জরুরী ব্যাপার। যদি রাস্তা ধরে হাটি তবে একটু দূরে যেতে হবে। দূরে যাবো কিনা যাবো না এই তত্ত্ব নিয়ে ভাবতে ভাবতে পেয়ে গেলাম উজ্জল সাহেব নামের এক লোকের খোজ। তিনি জানালেন সামনেই দোকান হেটে গেলেই পাবেন। গেলাম দেখি উজ্জল সাহেবের দোকান বলতেই হাজির। টেটলী টিব্যাগ দেয়া চা খেলাম। চা দোকানীকে জিগেষ করা হলো উজ্জল আপনার কে হয়? উনি দিলো হাসি আর বললো যা হবার তাই হয়। যাই হোক চা খেয়ে আমরা স্পটে ফিরলাম ফিরতে না ফিরতেই দেখি বিমা ভাই বলতেছে হেলাল দা চলেন পদ্মার পাড়ে যাই। পদ্মার পার শুনে আমার মনে হয়ছিলো কাছেই। পরে দেখি বাসে যেতে হবে। বাস ড্রাইভার অনিচ্ছা সত্তেও আমাদেরকে নিয়ে গেলো দেরী হলো একটু। তবে যা হয় আর কি কেউই পথ চেনে না ড্রাইভারো না তাই আমরা গেলাম ভুল পথে গেলাম আবার ফোন দিয়ে গাড়ী ঘোড়ানো হলো মধ্যে তারিক নামের এক সদ্য পরিচিত ভাই বাকরখানী খাওয়াইলো গরম গরম অমায়িক টেস্ট। অনেক কষ্টে সৃষ্টে পদ্মার পাড়ে পৌছলাম দারুন জায়গা। হেটে হেটে যখন যাচ্ছিলাম মনে হচ্ছে পতেংগা বিচে দাড়িয়ে। ফিরে গেলাম কিশোর বেলায়। যখন প্রতিদিন আমাদের সকাল বা বিকাল যেতাম কাঠগড় স্টীলমিল এর তীর ধরে জেলে পারা তার পাশ দিয়ে যে নির্জন সি বিচ সেই সব কংক্রিটের উপরে বসে থেকে দিন গেছে তার কথা। এর মধ্যেই জেবীনআপু, জ্যোতি আপু বিমাভাই নৌকায় উঠলো প্রথমে পা ধুবে কোথায় এই টেনশনে থাকলেও হিলারী ইব্রাহীমও উঠে গেলো। আগামী ৭-৮ দিন সেই নৌকার অনেক ছবি ফেসবুকে দেখবেন। শামীম কনাআপুও গেলো। আমি আর হেলাল দা বসে ছিলাম এক বোটে। হেলাল দাকে ছবি তুলার আর্জি জানিয়ে ছবি তুলানো হলো অনেক। হুডি মাথায় উঠিয়ে বিমা ভাই কনাপুর ব্যাপক টাইটেনিক পোসে ছবি তুললো। তা দেখে উপস্থিত জনতারাও খুব খুশি। একটূ পর তাদের বোট চলা শুরু করলো আমি আর হেলাল ভাই সব কিছু ছালু ভাইয়ের হাতে রেখে চা খেতে হাটা দিলাম। সঙ্গে পেলাম গৌতম দা আর ভাবী। তখনি গৌতম দায়ের মুখে শুনলাম কালজয়ী এক সমীকরন। যে চার পাচ জন একত্র হলেই যে কাজটা করতে চান করে তা ফেলা উচিত। মানুষের আশায় বসে থাকাই লস। তখন উনার রাজনৈতিক জীবনের একটা ব্যাপার শুনলাম। হেভ্ভী মজা পেলাম। বাজারে চা খেতে দেখি চারিপাশে আমাদের পিকনিক পার্টি। কাউকে চিনি না চেনার চেষ্টাও করি নাই তাই এই পিকনিক নতুন কারো সাথেই আমার পরিচয় হয় নি। যদিও সম্ভাবনা ছিলো প্রচুর। হেলাল ভাই সিগারেট খুজতে বাজারে গেলো। তাকে ধরায়া দিলো স্টার লাইটের একটা দশটার প্যাকেট। লোকটার হাতে এক বান্ডিল ভাংতি দেখে লোভ হলো। এরপর আমরা দলবেধে বাসে উঠলাম। স্পটে ফিরে দেখি মেসবাহ ভাই ফায়ার। কিন্তু তার ফায়ারনেস বেশীক্ষন থাকলো না। জেবীন আপু শামীম জ্যোতি আপুরা সালাদ কাটতে ঝাপিয়ে পড়লো। আমি আর হেলাল ভাই ব্রীজে ঠায় বসেই থাকলাম মাঝে আসলো শুভ ভাই আর সাইদ ভাই। বিমা ভাই খাবার টেস্ট করলো। লবন ঠিকঠাক হইছে নাকি যার একটা নামও আবিস্কৃত হলো নুন-সেন্স। এই করতে করতে বেলা গড়িয়ে গেলো। খিদা তাড়াতেই হোক আর যে কারনেই হোক এক দল ছেলেমেয়ে গান গাচ্ছিলো দারুন। লাকরি নিয়া একটা সংকটে পড়লেও সাড়ে তিনটা চারটার দিকে খাবার দেয়া হলো। কিভাবে জানি আমরাই সিরিয়ালের প্রথমে। পেট উপচায়া খাইলাম। এমন ভাবে খাচ্ছিলাম যেনো বাপের জন্মে কোনোদিন পোলাও খাই নাই জরদা মিস্টি গরুর মাংস সব খেলাম। খেয়ে দেয়ে নড়তে পারতেছিলাম না তারভেতরে পাঠায় দিলো প্লেট নিয়ে কলতলা। আমি চাপি আর পাব্লিক হাত ধোয় আর জেবীন জয়িতা আপু প্লেট ধুয়ে দেয়। চাপতে চাপতে হাত ব্যাথা হয়ে গেলো। খেয়ে দেয়ে বসে থাকলাম। লোকজন ছবি তুললো। আমাদের কুপরামর্শে উজ্জল সাহেব গরম পানির ডিব্বা আর টি ব্যাগ চিনি নিয়ে স্পটেই হাজির। এবারো গৌতম দা তার তত্ত্ব মেনে আগে ভাগেই চলে গেলো। আমরা গেলাম চা খেয়ে তেমন টেস্ট পেলাম না। কেমন জানি লবন লবন। হয়তো পানির সমস্যা। বাসে সীট সুনিশ্চিত করার জন্য আমি শামিম আগে ভাগেই চলে গেলাম। বাস ছাড়লো সন্ধ্যা নামলো হঠাত করেই দেখলাম বাস একেবারেই থেমে আছে। বিমা ভাই হেলাল ভাইকে উৎসর্গ করে গান গাইলো আছেন আমার মুক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার। পুরোনো গানের দলও জিপ্সি একতারায় গাইলো গান। জানা গেলো বাসের সমস্যা ভয়াবহ। মিস্ত্রি লাগবে মিস্ত্রি পায় না খুজতে সামনে পিছনে গেলো কোথাও কেউ নাই। আমাদের বাস ঠায় দাঁড়ানো। এর ফাকে বিমা ভাই কিছু এবি সংগীত গাওয়ার চেষ্টা করলো মাগার তার লিরিক্স মনে নাই। লিরিক্স আংশিক মনে আছে গৌতম ভাইয়ের ওয়াইফের কিন্তু গান আর হইলো না তেমন। আমরা মিস করলাম লীনা আপুকে। মেসবাহ ভাই সাইদ ভাইয়ের গাড়িতে কেনো জেবীন আপুরা গেলো না তা নিয়ে খোচা বিনিময় করলেন। করিৎকর্মা রনি ভাই ঘন্টার ভেতরেই নতুন বাস আনলো ছোট্ট এক্সিডেন্ট করে। এই বাসের সিট আরো কম তাও আমাদের জলদি জলদি উঠার কারনে ভালো সিটই পেলাম। বিমা ভাইয়ের পুরানা গান শুনতে শুনতে দারুন লাগছিলো আর শামীম বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলো। এতো কিছুর পরেও তাড়াতাড়ি গুলিস্থান এসে পড়লাম বাস থেকে নেমে পড়তে হবে। সবাই হুড়মুড় করে নেমে পড়লো আমাদেরও আর নতুন করে কারো সাথে পরিচয় হলো না। হেলাল ভাই আমি বিমা ভাই স্ত্রীর বারন সত্তেও গৌতম দা শুভ ভাই সবাই মিলে চা গিললাম। চা গিলে ভাবলাম বাসে যাবো কিন্তু বাসে গেলে খরচা ২০+১৫=৩৫ আর রিক্সায় গেলে আশি নব্বই। নব্বইয়ের রিক্সাতেই চলে গেলাম নান্নুর দোকান ১০ মিনিট বসে বাসায় এসে লিখে ফেললাম এই পোষ্ট। শেষে হয়ে গেলো দারুন একটা পিকনিক। এই পিকনিক হতো না যদি রনি ভাইয়ের পরিশ্রম না থাকতো। টুটুল সাইদ ভাইয়ের চেষ্টা আর মেসবাহ ভাইয়ের গাইডেন্স না থাকতো তাছাড়া চেনা অচেনা সবাই মিলেই পিকনিকটা দারুন হলো। আর যারা আসেন নি তারা গ্রেট মিস করছেন। এরচেয়ে বড় মিস খুব কমই আসছে আপনাদের জীবনে। পোষ্টটা অতো যুতের হলো না তাও রিক্সা ভ্রমনের গলা ব্যাথা আর নাক দিয়ে অবিরত জলধারা অগ্রাহ্য করে লিখে ফেললাম!
শান্ত ভাই তো পুরাই অশান্ত ছিলেন পিকনিকে! গান বাজনায় আনন্দ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ! পিকনিকের আপনার পুরো রিভির পরার অপেক্ষার রইলাম!
আপনে যে ব্যাপক পরিশ্রম ও ঘাটের পয়সা খরচা করে এক্সিডেন্ট তুচ্ছ করে পিকনিকটা কমপ্লিট করলেন এই জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। এডিট করে লিখলাম একটা পোষ্ট আরো ভালো লেখতে পারতাম। হ্যাটস অফ টু ইউ বস!
সুখে আছে যারা সুখে থাক তারা সুখেরও বসন্ত সুখে হোক সারা
যারা মিস করিলো তাদের জন্য সমবেদনা
এমন দিন তারা আর পাবে না!
ফেসবুকে আপডেট ভালো দিতে পারি নাই সে জন্য আপু মাফ চাই!
আরাফাত শান্ত'র লেখাই পড়লাম এতদিন
এবারই প্রথম দেখলাম ..... দেখতেও লেখার মতই প্রানবন্ত
ভালোমত পরিচিত হইতে পারলাম্না আফসুস .........
ইনশাল্লাহ সামনেই হবে। অনেক অনেক থ্যাঙ্কস ভাইয়া!
পিকনিকে না যাইতে পারার জন্য আফসোস লাগছে!
যাবার খুব ইচ্ছা ছিল, ফ্যামিলি প্রব্লেমের জন্য যেতে পারলাম না!
আপনে গেলে খুব ভালো হইতো। আপনার সাথে কথা দেখাটা হলো না তাও মিস একটা!
পরিচয় পর্ব থাক্লে কী এমন ক্ষতি হইত ।:(
সবাই সবাইরে চিনতে পারত।
আমার পায়ের সাথে লেগে একজন ব্যাথা পাইছিল বাসে। আমি তার নামও জানলাম না ।
খালি কয়েকবার স্যরি দিয়া ব্যাপারটা মিটাইয়া ফালাইছি।
সুন্দর একটি পিকনিক উপহার দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
পরিচয় না হলেও মনের একটা যোগাযোগ তো হলো। আপনাকে দেখলেই চিনবো তখন কথা হবে আলাপ জমবে। তবে আপনাদের গ্রুপটা দারুন গানবাজনা করে তারা মাতিয়ে রাখছে পিকনিক!
এই পর্যন্ত অনুষ্টিতব্য এবির পিকনিকগুলোতে... পরিচয় পর্ব রাখা হয় না ...
পুরা এবি স্টাইল
মিজান ভাই যাকে আহত করসেন তিনি হলেন জেবিন আপু।
আহা বেচারী
ছি ছি পরিচয় পর্ব রাখে নাই, এইটা কোন কথা হইল?
যাউজ্ঞা ফিকনিক ভালা ফাই।
কিন্তুক যাইতাম ফারি নাই, আফসুস!!!
হ্যাপি পিকনিকবাদ!!!
হ্যাপি পিকনিকবাদ আপু ভালো থাকেন!
মন ভাল হল না কপাল টা ------
মন খারাপ কইরেন না আপু। বেচে থাকলে অনেক পিকনিকে যাওয়া যাবে খালি এইটাই মিস!
সব সময় আপনার পোস্ট পড়ে যা বুঝতাম তা হইল আপনে সবাইকে চা খাওয়ান। তাই পরিচয় না থাকা সত্ত্বেও চা খাইয়া আপনাকে বিল দিতে বইলা চইলা আসছিলাম। শেষে চায়ের বিলটা দিসিলো কে? ঐখানে অবশ্য স্বপন ভাই নিয়া গেসিল চা খাওয়াবে বলে। পরে উনি নিজেই পালাইলো
প্রথম উজ্জলের দোকানে যে চা খাইছি তার বিল আমার দেয়া এরপর নদীপারের বিল আমার দেয়ার কথা থাকলেও গৌতম দা তাড়াহুরায় জিতে যায় তাই উনি দেয়। আর তৃতীয় দফা উজ্জলের দোকানে আমার মানা সত্তেও বিল দেয় হেলালভাই। ভাংতি টাকা পকেট ভর্তি নিয়ে গেছিলাম বলা যায় কোন খরচাই তেমন হয় নাই। চা খাওয়ার দাওয়াত দিলাম যখন যেখানে চা খেতে চান খবর দিয়েন চা নাস্তা করিয়ে দেবো ইনশাল্লাহ। আর চায়ের দোকানে আমি বিল দিতে ভালো পাই দেশের টাকা দেশে থাকে। একজন মায়াবতী নিকটাই ভালো আছিলো!
হিংসায় পেট পুড়তেছে
এন্টাসিড খাও!
ব্যপক চা খাওয়াখাওয়ি করলা, আমরা চা খাই নাই
এরম পিকনিক বারবার হয় না কেন?
রনি মিয়ার কাছে দাবি জানাও পিকনিক যেন এ বছরই আরেকটা হয়
ইনশাল্লাহ আমরা হাত তুলবো চিল্লাপাল্লা করবো আপ্নারাও জিকিরে শামিল হবেন!
আপনার ছবি গুলান ব্যাপক হইছে!
আসলেই অনেকের সাথেই পরিচয় হয়নাই... না যাওয়া অনেকেরে মিসও করছি অনেক অনেক কইরা... মোটের উপরে জোস পিকনিক হইসে...
এবি গ্রুপ এক সাথের হইলেই জোস পিকনিক তো বিশাল উসিলা মাত্র!
সারাদিন একসাথে পিকনিক করার পরো লোকের একজনের সাথে আর একজনের পরিচয় না হওয়া একটা বিশাল ব্যাপার বটে
ইহা খারাপ না একেবারেই। একদিনের পরিচয় হয়ে লাভ কি? অনেক কাল আগে সামুর পিকনিকে গেছিলাম নারায়ণগন্জের মুড়াপাড়ায় সেখানে ছিলো পরিচয় পর্ব কে কি হতে চায় ব্লগ নিয়ে কার কি ধারনা এই সব নিয়ে সবার বলতে হবে দুটা ঘন্টা বলা যায় পেকে গেছি পিকনিকে আর কি করবো
অংশগ্রহনকারী সকল বন্ধুদের সহযোগীতায় চমৎকার এবং সফল একটা পিকনিক সম্পন্য করার জন্য সব্বাইকে ধন্যবাদ। হাতে হাতে সকল কাজ আপন ভেবে করে গেছেন। কেউ কোন ভুল ধরতে যায় নি... এই না হলে বন্ধুতা? জীবনের এই ছোট পরিসরে এই সব মুহুর্ত গুলো বেচে থাকাকে অনেক বেশী যৌক্তিক এবং আনন্দময় করে তোলে।
জয়ীতা জেবীনকে পিকনিকের জিকির শুরু করার জন্য ধন্যবাদ। সাঈদকে উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ... আর মেসবাহ ভাইকে মেসবাহ ভাই হওয়ার জন্যই ধন্যবাদ ...
তবে বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য দুইটা ছেলে... রনি এবং রাব্বি... পিকনিকের বাস, বাবুর্চি, বাজার, রান্নায় সহযোগীতা, এবং ফিরে আসা পর্যন্ত সবগুলো কাজ ব্যাপক পরিশ্রমের... কিন্তু কি হাসি মুখেই না করে গেল ছেলে দুটো... তোমাদের আসলে ধন্যবাদ দিলেও তোমাদের কাজের ওজনের সমনা হবে না... স্যালুট দুই বস কে
সকলের অবগতির জন্য জানাই... আমাদের বাস যখন খারাপ হয়ে গিয়েছিল... তখন রনি নতুন বাস আনতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিল.. ছেলেটা সেই মুহুর্তে আমাদের বিষয়টা জানতে দেয় নি ... ব্যাথাটা চেপে হাসিমুখে আমাদের ঢাকা পর্যন্ত পৌছানোর ব্যবস্থা করেছে... ... তোর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা...
সবশেষে সফল ভাবে পিকনিক সুসম্পন্য করার জন্য মাইকে সব্বাইরে ধইন্যা
সববাইরে থ্যাঙ্কস। রনী-রাব্বী ভাইরা যুগে যুগে আমাদের জন্য এই স্যাক্রিফাইস কষ্ট করবে আমরা তাদের জন্য প্রানভরে দোয়া করবো আর পোস্ট স্টেটাস দিয়ে আমরন সেই ঋন শোধ করার চেষ্টা করবো!
নিজ নিজ দিক থেকে লেখলে কত্তো কি জানা যায়! অন্যেরাও যদি লিখতো এমন করে!!
তোমার দিনলিপি স্টাইলই ভালো! এই যে ঝটপট করে লিখে টুকরো টুকরো করে মজার ঘটনাগুলা দারুন করে জানাইলা!!. তবে, পিকনিকে শান্ত'র হুট করে বলা নানান কথা জোস লাগছে! আবার কিনা বলে মাসুম্ভাই নাই এট্টু কিছু তো বলা লাগেই!!
নুন-সেন্স কথাটা বেশ লাগছে
মাসুম ভাই তো মাসুম ভাই উনার মতো হতে গেলে অন্তত সাত বার দুনিয়ায় আসিতে হবে অতো সময় নাই হাতে। আরো কিছু লেখতে পারতাম কিন্তু পেশেন্সে কুলায় নাই তাই অল্প লিখেই ছেড়ে দিছি। আপনার পোষ্টটা দারুন তাও আবার ছবিওয়ালা। আরো ছবি দিতে পারতেন সেল্ফ সেন্সরশীপ করে ফেললেন এই ভাবে!
আমি তো খালি পোষ্ট আর কে দেয় এক হোম পেজে আমারই পোষ্ট তিন খান ইহা কোনো কথা হইলো!
মন্তব্য করুন