ইউজার লগইন

“ আমরা অসহায় পরছি, আমাগোরে যদি দয়া কইরা একটু স্হান দেন, তয় আপনাগো দেশে থাকতে পারি”

[এটি একাত্তরের গনহত্যাকারী ,গনধর্ষণকারী ও মহাকাব্যিক স্বাধীনতার শত্রু দেইল্যা রাজাকারে ফাঁসির রায় উত্তর জঙ্গি জামায়েত-শিবিরের মধ্যযুগীয় নারকীয় হামলার শিকার এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী বৃদ্ধার একটি আবেদন। আবেদনটি করেছেন এই দেশের জনগণের প্রতি।]

thumb_jammat 1.jpg

কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাইদি ওরফে দেইল্ল্যার ( আল্লামা কিংবা মাওলানা জাতীয় পবিত্র শব্দগুলি এই অপরাধীর সাথে ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি) ফাঁসির রায় হওয়ার পর স্বাধীনতা বিরোধীদল জামায়েত-ইসলাম ও শিবির দেশব্যাপি মধ্যযুগীয় ধংসাত্নক ও নারকীয় তান্ডব চালিয়েছে। কোন সভ্য, বিবেকবান ও মিনিমাম ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ এই তাণ্ডব লীলাকে সমর্থন করতে পারে না, পারে কি? দেশের অনেক জেলাতে পশুর মত নিরীহ মানুষ ও পুলিশকে হত্যা , বাড়ি ঘর ও সরকারী অফিস আদালততে অগ্নি সংযোগ , লুটতরাজ ও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ প্রশাসনের উপর যে ভাবে হামলা করেছে তা ১৯৭১ সালে রাজারবাগ পুলিশলাইনের উপর পাকিস্তানি সেনাদের হামলাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

jammar 3.jpg

দেশব্যাপী নারকীয় তাণ্ডবের আরেকটি বৈশিষ্ট্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা । বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগণের উপর । জামায়েত শিবির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হত্যা করেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের বাড়ি ঘর ,ধর্মীয় উপসনালয় ও মন্দির । লুটতরাজ করেছে তাদের ধনসম্পদ।

প্রশ্ন হল এই সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ কেন ? সাইদির বিচার কি এই সম্প্রদায়ের লোকেরায় করেছে ? যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার রাজনৈতিক সিদ্বান্ত নিয়েছে রাষ্ট্র । রাষ্ট্র তার নৈতিক দায় থেকেই একাত্তরের এইসব মানুষরুপী প্রানিদের বিচারের কাঠগড়ার দাঁড় করিয়েছে । রাষ্ট্র মহান একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে ঐতিহাসিক দায় থেকে জাতিকে মুক্ত করতে চাচ্ছে। সাইদির বিচার হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ার । এই বিচার প্রক্রিয়ার স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসাবে যে কোন ধর্মাবলম্বী মানুষের পক্ষ নেয়াটা কি খুব অনৈতিক, অধর্মীয় ও রাষ্ট্র বিরোধী? আজ যাদের উপর হামলা হয়েছে, তারা ত হামলাকারিদের মত এইদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি। বরং স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে তাদেরকেই বেশী মুল্য দিতে হয়েছে । আজকের এই জঙ্গি দলটি একাত্তরে পাকসেনাদের সাথে এক হয়ে নির্বিচারে হত্যা করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস , স্বাধীন বাংলাদেশেও একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবারও হামলা করছে ওদের উপর । তারা হামলাকারীদের মত গনহত্যা, গনধর্ষণ, লুটতরাজ কিংবা কারো উপাসনালয় ভাঙ্গেনি, কারও বাড়িতে অগ্নি সংযোগও করেনি। এদের কেও রাজিব হায়দার মত কোন ধর্মের বিপক্ষে কিংবা কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখার জন্য অভিযুক্ত হতে হয়নি। এদের কেউ জামায়েতের গনহত্যা কিংবা গনধর্ষণকারীদের বিচার চেয়ে মামলা করেনি। প্রতিবেশি ভারতে এই সম্প্রদায়ের কেউ ত বাবরি মসজিদের মত কোন মসজিদও ভাঙেনি। তবে কি জন্য এদের উপর হামলা ? দোষ কি এদের ? হামলার শিকার যারা , তারা কিভাবে নিজেদের কে বোঝাবে যে তারা অপরাধী। এদের অনেকেই বলছে , তারা এই দেশে জন্ম গ্রহণ করেছে , এটাই তাদের অপরাধ। এটা কি ভাবা যায় সারাদেশ ব্যাপী পনরটি জেলায় তিন দিনে একশ ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর করেছে জামায়েত-শিবির।

thumb_JM 1.jpg

জঙ্গি জামায়েত-শিবির যে কতটা পাশবিক , পাঠক তার একটি উদাহরন নিচে আপনাদের জন্য দেওয়া হল। ( খুব প্রাসঙ্গিক বিধায় নিচের উদাহরনটি ব্যবহার করলাম, এর চেয়েও ভয়ানক হত্যাকাণ্ড জামায়েত-শিবির সম্প্রতি ঘটিয়েছে)

চট্রগ্র্রামের বাঁশকালিতে জামায়েত-শিবিরের কর্মীরা সুনীল শীলের বাড়িতে গিয়ে পানি চায়। সুনীল টিউবয়েল থেকে পানি এনে দেয় । শিবির কর্মীরা পানি খেয়ে পাশে থাকা সুনীলের খরের গাদায় আগুন দেয়। প্রানের ভয়ে সুনীল দৌড়ে ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে দেয় । তারপর ঘরেও আগুন দেয়া হয় । ঘর থেকে বাহির হয়ে পালাতে চাইলে সুশীলকে মারধর করে জামায়েত-শিবির জঙ্গিরা। পরে দিন জঙ্গি জামায়েত-শিবিরের হামলার প্রতিক্রিয়ার টকি শীল বলেন, ‘একাত্তরের যুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু এর চেয়ে আর খারাপ কী হবে একাত্তর! আমরা তো কোনো দোষ করিনি। বরং আমরা তাদের পানি খাইয়েছি। কিছুক্ষণ পর তারাই আমাদের ঘরে আগুন দিল!’( সুত্র: প্রথম আলো,৫-৩-২০১৩)। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দিরসহ ঘরবাড়ি। গরু, ছাগল ও মানুষ পুড়ে মারা যায় এক সাথে । মেয়ের বাড়িতে বেরাতে আসা দয়াল হরি (৫০) লাশ হয়ে ফিরলেন নিজের বাড়িতে।

প্রিয় পাঠক, জঙ্গি জামায়েত-শিবিরের দানবীয় হামলার শিকার যারা, তাদের কয়েকজনের একটি সাক্ষাৎকার দেওয়া হল (সূত্র: সময় টিভি)। এখানে উল্লেখ্য যে এই কলামটির টাইটেল করা হয়েছে বাঁশখালিতে জামায়েত শিবিরের ধর্মীয় সন্ত্রাসের শিকার এক বৃদ্ধার একটি উক্তি (আবেদন)কে । আমার বিশ্বাস ,এই সাক্ষাতকারগুলি আপনার বিবেককে ভীষণভাবে নাড়া দিবে।

http://www.youtube.com/watch?v=JFj64g5wQuc

জামায়েত-শিবির তার জন্মের পর থেকেই ধর্মীয় বিদ্বেষ জড়িয়ে স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে এক শ্রেণীর সরল ধর্মপ্রান মানুষদের দলে নেয়। এই দলে যেমন আছে একাত্তের চিন্হিত মানবতা বিরোধী অপরাধীরা,তেমনি আছে উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল নেতাকর্মী। কিন্তু সাইদির বিচার উত্তর যে সব সাম্প্রদায়িক হামলা হল এই বিষয়ে একটি গনতান্ত্রিক দল হিসাবে দাবি করা বিএনপির ভুমিকা কি ছিল ? যেখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমগুলি সাম্প্রদায়িক এই সহিংসতার এর জন্য জামায়েত-শিবিরকে দায়ি করল, সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে খালেদা জিয়া প্রেস কনফানেন্সে (?) এই বিষয়ে টু শব্দটি করেননি । বেশ চতুরতার সহিত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন । বিরোধী দল হিসাবে এটি যে উনার নৈতিক দ্বায়িত্ব তা তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন । বরং রাজিবকে হত্যা করার পর রাজিবের নামে যে সব ইসলামবিরোধী লিখা হয়েছে তাকে পুঁজি করে ইসলাম রক্ষার নামে টার্ম কার্ডটি খেলেছেন । অথচ প্রযুক্তিবিদেরা এই পোস্টগুলি ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি অর্থাৎ রাজিব হত্যার পরে দেওয়া হয়েছে বলে মতামত দেন। তবু উনারা থামেননি। রাজিবের হত্যার পর তার নামে যে সব ইসলামবিরোধী লিখা পোস্ট হয়েছে , এগুলিই কে ইসলামের প্রলেপে হাইব্রিড করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যাপক ক্যাম্পপেইন করে বিএনপি। মেতে উঠে নোংরা খেলায়। অপর পক্ষে হিন্দু ধর্মের একশ মন্দির পুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হল ,এই বিষয়ে উনি প্রতিক্রিয়াহীন। নাকি উনার সৃষ্টিকর্তা ,বাঁশকালিতে যাদের মন্দির ভেঙ্গে ফেলেছে তাদের সৃষ্টিকর্তার চেয়ে শক্তিশালী।

দুইদিন পরে যখন ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাসসহ বিদেশি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে হিন্দুদের উপর হামলার নিন্দা জানানো শুরু হল ,তখন আমাদের আপোষহীনা বিবৃতি দিলেন, তাও এই হামলার দায় সরকারে উপর চাপিয়ে। বিএনপির এই নিম্নমান ও অসুস্থ রাজনীতির ফলে দানব জামায়েত-শিবির আরও হিংস্র হয়ে ওঠবে এতে আমাদের কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়।

সংগত কারনেই প্রশ্ন জাগে বিএনপির এই রাজনৈতিক অবস্থান কি জামায়েত-শিবিরের তাণ্ডব কে aggravate করেনি ? বিএনপি কি শুধু কোয়ালিশন এর স্বার্থেই জামায়েত-শিবিরের এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদ করেনি , নাকি এর পিছনে রয়েছে ভোটের রাজনীতি ? আবার অনেকেরই ধারনা বিএনপির রাজনীতির ড্রাইবিং সিটে নিজামী-মুজাহিদরা, আর ফুয়েল হিসাবে কাজ করছে পাকিস্তানের আইএসআই । এই ধারনা গুলি অমূলক বলে মনে হয় না । কারন বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের অর্থায়ন পুরুটাই জামায়েত-ইসলামের । তাছাড়া সরকার বিরোধী মিডিয়ার গুলির মধ্যে বিএনপিপন্থি একটি মিডিয়াও নেই। বিতর্কিত ইঞ্জিনিয়ার কাম সম্পাদকের সাম্প্রদায়িক পত্রিকার ৭০ শতাংশ নাকি জামায়েত-শিবির কিনে নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটের বিএনপিকে পঙ্গু তফাজ্জল হয়ে জামায়েতের কথার উঠবস করা ছাড়া বিকল্প হাতে নেই । বর্তমানে বিএনপির এই রাজনৈতিক অসততা ও দেউলিয়াত্বপনা এই ধরনের অনেক নির্ভরশীল ধারনার জন্ম দেয়।

সাম্প্রতিক এই হামলার বিষয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থান অনেকের কাছেই অস্পষ্ট। অনেকেই আবার এই অস্পষ্টতা জন্য বিএনপির রাজনীতির দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই দায়ি করেন । আমার মনে হয় এইভাবে অতিমাত্রায় সরলীকরনটির ফলে এর পিছনে মুল ইস্যুগুলিকে ভয়ানকভাবে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে । আমার বিশ্লেষণটি হল , হিন্দুদের উপর জামাত-শিবিরের এই হামলা বরাবরের মতই বিএনপির ভোটের রাজনীতির পক্ষে গেল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী সংখ্যালুঘদের ভোটের সংখ্যা মোট ভোটারের প্রায় ৭-৮ % এবং আনুমানিক এই ভোটের প্রায় ৯৫% পায় বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ। তাই এই ভোট ব্যাংকের উপর কোন হামলা কেন, মারতে মারতে ভারতও পাঠিয়ে দিলেও বিএনপির কিছু যায় আসে না । বরং বিএনপিই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে রাজনৈতিকভাবে। বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে হিন্দুদের ভোট ব্যাংকটি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এক ক্ষেত্রে সাইদিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের নামে যদি এই সংখ্যালঘু গোষ্টিকে ভয় ভীতির মধ্যে রাখা যায় , এর প্রভাব আগামী নির্বাচনে পরবে , তা আপোষহীনা (?) ভাল করেই জানে। অন্তত যে সব এলাকায় হামলা হয়েছে , সেই সব এলাকার হিন্দু ভোটরা ভোট দেওয়া ত দুরের কথা, নিরাপত্তার জন্য নো - ম্যান্স ল্যান্ডে গিয়ে বসে থাকবে। এখানে উল্লেখ্য যে হামলার সময় এলাকাতে কোন আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মী কে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুজেও পাওয়া যায়নি। ফেইসবুক বান্ধব আওয়ামি এম,পিরা ঢাকায় বসে বসে ফ্যামিলির সাথে পিকনিকে ব্যস্ত ছিলেন। অথচ মহাজোটের ২৭০ টি এম,পি। পরাধীন ও স্বাধীন বাংলাদেশে সে সব জেলা গুলিতে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, এবারও হামলা হয়েছে সেই জেলাগুলিতেই। কিন্তু স্বাধীনতা -উত্তর বাংলাদেশে এই রকম হিংস্র তাণ্ডব , বিশেষ করে এই অল্প সময়ে ব্যাপকভাবে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া স্বাধীনতাপূর্বেও এইদেশে কখনও দেখা যায়নি। সে সব এলাকাতে এই হামলাগুলি হয়েছে সেই সব এলাকার নির্বাচনী আসনগুলিতে এর প্রভাব যে ব্যাপক প্রভাব পরবে তাতে সন্দেহ নেই। বিএনপি জানে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় এই দেশের হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ৩১ % এবং ১৯৪৭ সাল থেকেই দীর্ঘ দিন হিন্দু বিতারনের (elimination )রাজনীতি কিভাবে চলে আসছে । ২০০১ সালের নির্বাচন উত্তর সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের উপর হামলার পরে দেশের পরিসংখ্যান থেকে কিভাবে ২% হিন্দু ভারত চলে গেছে। পাঠক খেয়াল থাকার কথা ২০০১ সালে নির্বাচন উত্তর সহিংসতার কালে এক মা তার মেয়েকে ধর্ষণের সময় দাঁড়িয়ে থেকে একজন একজন করে যাওয়ার জন্য ধর্ষকের অনুরোধ করেন। পুকুরে লাফ দিয়ে ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি , তুলে এনে গনধর্ষণ করা হয়। বিএনপি এত ভাগ্যবান যে সংখ্যালঘুদের উপর বিএনপির এইসব বর্বরোচিত হামলার দায় কোনভাবেই নিতে হয়নি।

শাহবাগের তরুণদের আন্দোলন যে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির বিপক্ষে যাবে তা বিএনপির কাছে প্রথম থেকেই পরিষ্কার। বিএনপি বুঝতে পারে যে এই বিশুদ্ধকারি আন্দোলন সরকার বিরোধী সকল ইস্যুগুলি খেয়ে ফেলবে। পাশাপাশি তাদের জুনিয়র পার্টনার জামায়েতের বিগ ফিশগুলিকে চাঁদে পাঠানোর ব্যবস্থায়ও পাকাপাকি করে ছাড়বে। সরকারে ব্যর্থতার জন্য তরুণ প্রজন্মের যে ভোটগুলো বিএনপি পাওয়ার কথা , যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার ফলে তরুণ প্রজন্মের সেই ভোটগুলি পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। গন মানুষের এই দাবির প্রতি বিএনপির তবে/কিন্তুর রাজনীতি যে ভন্ডামির রাজনীতি তা জনগণ অনেক আগেই বুঝে গেছে । বিএনপির সামনে খোলা এখন ইসলাম কার্ড। এবং এই কার্ডটি বিএনপি নিরাপদ দুরত্ব থেকে জামায়েত-শিবির কে দিয়ে খেলিয়ে নিবে। দেশে যতই রাজনৈতিক অস্হিরতা বাড়বে, ডানপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলি খুজতে থাকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু। আর পর্দার আড়াল থেকে দাবার চাল খেলবেন আমাদের আপোষহীনা।

বাঁশখালির এই বৃদ্ধার আকুল আবেদন মঞ্জুর হবে কিনা তার উত্তর বর্তমান প্রেক্ষাপটে একমাত্র আপোষহীনাই দিতে পারে। তবে আমরা যদি ১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯২, ২০০১ সালের দিকে তাকাই , এর উত্তর পাওয়া যায়। ইতিহাস বলে এই সকল আবেদনকে ফড়িয়া ( একটি কোরিয়ান শব্দ যার অর্থ অকেজো) হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থেকে।

ভাবতে ভালই লাগে , দেশ এগিয়ে গেছে । আজ স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী এক বৃদ্ধা স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিপক্ষে শক্তির হাতে হামলার শিকার হয়ে এই দেশে বসবাস করার জন্য দয়া প্রার্থনা করছে ।

পোস্টটি ১৫ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

একজন মায়াবতী's picture


লজ্জা লাগে এসব দেখে Puzzled

বিজন সরকার's picture


ম্যাঙ্গু জনতা হিসাবে আপনার আমার লজ্জা। , ওনেক রাজনীতিবিদের জন্য গর্বের না হোক, চামে থাকার বিষয়। ।

আরাফাত শান্ত's picture


এতো লজ্জার দায় রাখি কিভাবে! Sad

বিজন সরকার's picture


এটি একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা।।, ১৯৪৭ এ দেশ ভাগের পর থেকে এটি চলে আসচ্ছে.। ইংরেজরা আমাদের শিখিয়ে চা পান করা, আর পাকিস্তানি মতলববাজ রাজনীতিবিদেরা আমাদের দিয়ে গেছে এই বিতারনের রাজনীতি। ।।

তানবীরা's picture


লজ্জা লাগে এসব দেখে

বিজন সরকার's picture


এই লজ্জা ত রাজনীতিবিদের নেই ।

নিভৃত স্বপ্নচারী's picture


Sad Sad Sad

বিজন সরকার's picture


নিভৃত স্বপ্নচারী
Sad Sad Sad Sad

আহমাদ মোস্তফা কামাল's picture


আমার এক কবিবন্ধু কুমার চক্রবর্তী সেদিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন -

সংখ্যালঘুদের কোনো দেশ নাই, আছে দেশের জন্য আর্তনাদ।

আমি কেঁদেছি, কাঁদছি...

১০

বিজন সরকার's picture


কামাল ভাই, ধন্যবাদ।।গুনদার কবিতাটা পুড়ুন।
guner kobita.jpg

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

বিজন সরকার's picture

নিজের সম্পর্কে

স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি।।। ...। ঘৃনা করি সেই সব মানুষদের যারা স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী। ।