ইউজার লগইন
ব্লগ
মেয়েটা নদীকে “মা” ডাকতো
মেয়েটা নদীকে "মা" ডাকতো ।
যে নদীতে ওর ঘর-চালা-গোয়াল
আর সাথে দেড় বছরের ভাই -
মা'র কোল চুরি করা ভাই
ভেসে গিয়েছিলো
গত আষাঢ়ের আগের আগের বার বানে
....নাকি তারও আগের !
সেই নদীকে -
কাঁশের ফাঁকে হাঁটতে হাঁটতে মুখে
বুলানো জোয়ার-বাতাস আঁচল ভেবে -
মায়ের নুন-হলুদ গন্ধ আঁচল ভেবে ;
আরামে চোখ বুজে ফেলতো
খোলা মাঠে শিশিরের ঘুম -
মেয়েটা
কাশবনের কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে
ছোটোমেয়ের মত আহ্লাদ করতো -
আদরের বাবা এবং তার ছেলেমেয়েরা...
আদর আমার বন্ধু। তার বড়াপার বিয়ে হয় নিজের পছন্দে। আদরদের বাবার বাড়ি আর বড়াপার শ্বশুরবাড়ি একটাই। আপার পছন্দ ছিলো তারই জেঠার (বড় চাচা) ছেলে। আদরের বাবা এ বিয়েতে একদম রাজি ছিলেন না। তার মা’র কারনেই আপার বিয়েটা হয় ১৯৮২ সালে। এটি আদরদের পরিবারের প্রথম বিয়ে।
ক্যানবেরা সফর - পর্ব ১
অবশেষে সবার কাজের সময় ক্লাসের সময় হিসাব করে আমাদের ক্যানবেরা যাওয়ার দিন ঠিক হল ২৮শে ফেব্রুয়ারী। প্রথমে আমি আর মামু (মাহবুব রব) যাওয়ার কথা ছিলো। পরিকল্পনার শেষ মুহুর্তে মুজা কাকুর (সৈয়দ এনায়েত হোসাইন মুজাফ্ফার) ফোন
"মুজা কাকুঃ তোমরা কখন রওয়ানা হবে?
আমিঃ কেনো? সকাল ১০ টায়।
মুজা কাকুঃ আমার কাজ শেষ হবে সকাল ৯ টায়। যদি ৩০ মিনিট পরে যাও তাহলে আমিও আসবো।
একটি সকালের গল্প [অনুগল্প]
কাদের ঘুম থেকে জেগে দেখে মাথার কাছের ফ্যানটা নিশ্চুপ হয়ে আছে। সারারাত ঘড় ঘড় শব্দ করে বাতাস দেয়া টেবিল ফ্যান এখন আর নড়াচড়া করছে না। নিচে তোষক , চাদর, বালিশ ঘামে ভিজে জুবুথুবু অবস্থা। অনেক ক্ষন ধরেই ইলেকট্রিসিটি নাই।
শৈশবজুড়ে বর্ণমালা
আমাদের লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় বর্ণমালা দিয়েই, যদিও অক্ষরগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠতা দূরে থাক, পরিচয় হওয়ার অনেক আগেই আমরা শিখে যাই পাগলা ঘোড়ায় চড়ে তেড়ে আসতে আসতে বুবুকে ধমকে দিতে, কিংবা চাঁদকে নিজের কপালে টিপ দিতে অনুরোধ করতে করতে অজ্ঞাতসারেই মামা ডেকে বসা অথবা, শিখে ফেলি Humpty Dumpty জুটির গল্প। তারপরও আমাদের মোটামুটি সবার পড়াশুনাটা বাংলা বর্ণমালা দিয়ে শুরু হয়ে ইংরেজিতে নোঙর ফেলে অংকের বন্দরের দিকে নতুন করে
ডাইরী ৬২
এক.
সে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমিও সকল সংসারে আগুন জ্বেলে দিতে সাথে সাথে সাড়া দেই। তবে তার আগে খেয়ে নেয়া যাক চকোলেট চিপ বিছানো নতুন ফ্র্যাপে...
যার হিম বরফে আমার প্রতিহিংসার আগুন নিভে গেলো, দপ করে। আহা কফি ওয়ার্ল্ড, কেনো যে আসি নাই এতোদিন আমি তোমার নিগরে। অতঃপর আমি তারে সোজা না বলেছি, বলেছি চিকিৎসক রমনীরা সুখেই থাকুক...
মূল্যহীন বা অমূল্য কথামালা
নখরামীটা ছাড়না এবার
ছাড়না ভূতের দাবী
দেশটা কি আর লুটের মাল
যে লুটেপুটে খাবি ।
পুর্ন থালা ভরছো আবার
করছ বেজায় ছল
অন্ধকারের হয় না যে শেষ
বক্ষে চোখের জল ।
খেলায় খেলায় হেসে হেসে
নিংরে নিলি শ্বাস
হিসাব হলে নেইকো গতি
পড়বে গলায় ফাঁস ।
কাস্তে কুড়াল পায় না কদর
শুধুই জোটে আটি
ভুলিস কেন এরাই সেদিন
ছিনিয়ে আনল মাটি ।
স্বপ্ন এখন শুকনো পাতা
ইচ্ছাগুলোয় হাড়ের ব্যথা
একখানা ভদ্রলোকের কবিতা, কবিতার নাম বালিশ
নিঃস্বঙ্গ শয্যার মম একমাত্র সাথি
হে মোর বালিশ! সেই যুবাদল বিশাদে কাটায় যারা রাতি
বধুহীন নিদ্রাহীন অশান্তির ঘরে;
তোমারে সৃজিল প্রভূ তাহাদের তরে;
যাতে তারা সহজেই সব কষ্ট যেতে পারে ভূলি'
এবং করিতে পারে তব সাথে হর্ষে কোলাকূলি!!!!
কিসের বা কষ্ট তাহে, কিসের বিষাদ
যদিও এ ওষ্ঠ মম না পারিল নিতে কোন সূন্দরীর অধরের স্বাদ
নাহি তাতে খেদ মোর, তাহা লাগি এতটুকু দুঃখ না করি;
মানুষ - ১
ধরা যাক্ , দুটি মানুষ x ও y
তারা পরস্পর থেকে xy দূরত্বে দাঁড়িয়ে ;
দাঁড়িয়েই ।
x ও y সমাধান না করেও এখানে
বলা যায় , "যথাক্রমে m1 ও m2 তাদের
ভর যদি হয় , তারা G m1 m2 / (xy)^2 বলে
নিজেদের আকর্ষণ করবে - কোনও শর্তেই
পদার্থবিদ্যার এই সূত্র মানুষ মানে না । "
এবং এমনকী -
দূরত্ব সসীম রেখেও তারা G, m1, m2
এর মতো ধনাত্মক অংকগুলোর গুণনে
নিরেট শূন্য করার ক্ষমতা রাখে ।
আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না(বিদায় আমরা বন্ধু)
এই আমরাবন্ধুতে আমি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। সহব্লগারদের কাছে আমি এইজন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কিছু ব্লগারদের রূঢ় ব্যাবহারে আমি যারপর নাই ব্যাথিত, দু:খিত, মর্মাহত, থতমত, আতঙ্কিত, কষ্টিত,বেদনার্ত। মানুষ এমনও হয়। এমন ব্যাবহারও করতে পারে। আমি কারো নাম উল্লেখ করে কাউকে ছোট করতে চাই না, কিন্তু না বলেও পারছি না যে কতিপয় প্রাগৌতিহাসিক ব্লগারের লুলামি, ভন্ডামি,অপপ্রচারে বিভ্রা
দেখতে দেখতে এক বচ্ছর হয়ে গেল...
)
========================
এইতো সেদিন...এখনো মনে হয় সেদিনই আমরাবন্ধু ব্লগে নিবন্ধন করেছি। দেখতে দেখতে এক বৎসর হয়ে গেল!
আহা! কী সব দিন ছিল। সেইসব মায়ামুখী ব্লগার, সেইসব স্মৃতি। আজ সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ডাইরী ৬১
এক.
উকি মারা বিদ্যায় আমার তেমন দক্ষতা ছিলো না কখনো। ঘাপটি মেরে গোপনেরে দেখি নাই এমন না, কিন্তু কখনোই ভাবি নাই গোপনের বিনিময়ে চেয়ে নিবো কিছু। বেশতো ছিলাম...অথচ সে আমি পাগলের মতো খুঁজে ফিরি সব গোপনীয়তারে। সে আমি ভেঙে ফেলি সকল আড়াল। যদিও তাহার আড়ালের বেড়া বেশ নাজুক মাজুল ছিলো।
হ্যাকিং কেচ্ছার শেষ পর্ব
হ্যাকারদের মোট তিনভাগে ভাগ করা হয়, হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার, গ্রে হ্যাট হ্যাকার, ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন হয়তো, সাদা দল খুব ভাল, কালো দল খুব খারাপ আর ধূসর দল এদের মাঝামাঝি কিছু একটা। তবে যতোটা সহজেই এই তিন রঙে হ্যাকারদের রাঙ্গানো যাবে ভেবে এই শ্রেণীবিভাগ তৈরি করা হয়েছিল, ব্যাপারটা ততো সহজ হয়নি। রয়ে গেছে বিতর্ক, প্রশ্নবোধকতা। তবু বিভিন্ন গণমাধ্যম কিংবা অন্তর্জালের বিভিন্নজগতে যাদেরকে এই তিন রঙে ভাগ করা হয়েছে, তাদের এ শ্রেণীবিভাগের পেছনে ক্ষমতা, গণমাধ্যম ও কর্পোরেট স্বেচ্ছাচারিতা আর অন্যান্য কিছু উপাদান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। জেনে নেয়া যাক হ্যাকারদের সাদা-ধূসর-কালোতে কিভাবে ভাগ করা হয়।
শিরোনামহীন দুইটা ছবি
এইম ইন লাইফ
জীবনে প্রথম যেটা হতে চেয়েছিলাম সেটা হলো লঞ্চের সারেং।তখন থাকতাম বরিশালে।মাঝে মাঝে বাবা মার সাথে ঢাকা আসতাম।আসতে হতো লঞ্চে।লঞ্চ ভ্রমনটা তাই আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার ছিলো।ঢাকা বরিশাল রুটের লঞ্চ গুলো ছিলো বিশাল।পানির উপর দিয়ে চলা ছোটখাটো এক একটা হোটেল বলা চলে।সেই বিশাল জিনিসটাকে যে চালিয়ে নিয়ে যায় সেই সারেং হবার ইচ্ছা আমার হতেই পারে।তো আমি আমার বাসায় ঘোষনা দিয়ে দিলাম যে আমি সারেং হতে চলেছ