শব্দটা মনে হয় 'রানীক্ষেত' লিখতে চাইছিলেন। 'রানীক্ষেত' সম্পর্কে জানতে গিয়া যা জানলাম

রানীক্ষেত রোগ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। আমাদের দেশেও এ রোগকে এলাকাভেদে চুনাহাগা, ঝিমানি রোগ, ঝুরানি রোগ ইত্যাদি নামে চিহ্নিত করা হয়। চট্টগ্রামের গ্রামীণ কৃষাণ-কৃষাণীর কাছে এটি চুনাহাগা ও ঝুরানি রোগ হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত।

সূত্র: দৈনিক সমকাল

হুমম, দুইটা প্রশ্ন করেছি, কেমন আছেন এবং কী করছেন?।

এসিটা চলছে । আরাম দায়ক নিজস্ব অফিস কক্ষে বসে আছি। অফিস বয় এই মাত্র গরম এক মগ কফি দিয়ে গেল। কাজেরও তেমন চাপ নেই। বসে বসে ব্লগিং করছি। কেমন আছি? ভাল??

এবার আসা যাক কী করছি?

আমার ছোট্ট শিশু কন্যাটিকে দেখিনা আজ অনেক দিন। বউটা'র মুখটাও মনের মধ্যে ঝাপসা মনে হয়। মা বাবা, তাদের কে কি দেখতে ইচ্ছে করে না? বন্ধু বান্ধব? ইচ্ছে কি করে না ব্লগার বন্ধুর দাওয়াত পেয়ে ধানমন্ডি গিয়ে ফুচকা খেয়ে আসি?

তারমানে আমি ভাল আছি, ভাল নেই
বন্ধুদের মাঝে বাঁচি, বেঁচে তো আছি! কিন্তু এটাকে কি বাঁচা বলে??!

নীড়ুদা, বড় প্যাচাইলা উত্তর দিলেন রে ভাই। তয় উত্তরটা কারেক্ট হইছে মনে হয়।

ভাবতাছি দ্যাশে যামুগা। তয় দ্যাশে গিয়া কি করুম সেটা অনিশ্চিত। তারপরও যামুগা। আপনার চাকরীর খবরটা জানাইয়েন। যদি পারেন তো এই অধমের জন্য একটা চাকুরীর খোঁজ দিয়েন। অধম বউ-বাচ্চা ওলা মানুষ। বউ বাচ্চারে সাথে নিয়া দুইডা ডাইল ভাত খায়া বাঁচতাম চাই। ঘামাইতে রাজি আছি। প্রবাসের এসি বিষের মত লাগে।

মাঘাকুপা = মাঘ মাসে কুত্তা পাগল?!!! মাঘ মাসে কুত্তা কি কারনে পাগল হয় সেটাতো নিশ্চই জানেন। ভাইজান বিবাহ না করিলে সত্তর করিয়া ফেলেন। "ফেলেন" কথাটা কিন্তু খারাপ ভাবে নিয়েন না।

রোবোদা, সরি। এই প্রবচণটা অনেক আগে শুনছিতো তাই আউলাইয়া গেছে।

" মাথার ঘাটা মূলত ব্যক্তিগত/পারিবারিক নানা ঝামেলা/বিপর্যয়কে মিন করে বলা।"- আমারও একই অবস্থা। প্রবাসের চাকুরী ছাইড়া দ্যাশে চলে যাওয়ার প্রিপারেশন নিতেছি। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। চোখে অন্ধকার দেখতেছি। আত্মার আত্মীয় বিহীন এই নির্জন দ্বীপে আর নয়, তাই মহাসাগরে ঝাপ দিলাম।

৩/৪ মাসের মধ্যেই।

টম হইয়া গেলা নাকি!

আমি সেইরাম। বিস্তারিত কইতে গেলে চোক্ষে পানি আয়া পড়ব। তখন আবার আপনারে টিস্যু দেওন লাগব। থাউক।

ঘটনা হইলো গিয়া জয়িতাপু, আমি থাকি প্রবাসে দ্যাশ থাইকা সাত সমুদ্দুর, তের নদী, পঁচিশ খাল, ঊণপঞ্চাশটা বিল দূরে। দ্যাশে আছে আমার টুনটুনি, আর টুনটুনির মা, আর টুনটুনির দাদী। আমি পয়সার জন্য বৈদেশ পইড়া থাকি আর আমার মাইয়া তার বাপরে চিনে না আমি কাবলীওয়ালা'র মত আমার মাইয়ার হাতের ছাপ নিয়া বৈদেশ থাকতে চাই না।

এই সমস্যা ঘুমের না ঝিমানোর। একটু ভাল কইরা ঝিমায়া লন। দেখবেন ফ্রেস হইয়া গেছেন।

মাথারে একটা ঝাকি দেন। তাতে যদি সমস্যাটা মাথা থাইকা পড়ে। সমস্যারে কন "দূরে গিয়া মর"।

হুমম.

ধন্যবাদ আপনাকে লোকেন দা গা ঝাড়া দেয়ার জন্য।

এই বাইচা থাকনডারে সেলিব্রেট করা উচিৎ।

"ব্লগাইতেসি?" = শব্দের শেসে এই প্রশ্নবোধকটাই বইলা দেয় আসলেই ব্লগাইতেছেন কিনা।

ব্লগ এইরকম ঝিমায় ক্যান? = কারন আমরা তেমন ব্লগাই না বা এই পোষ্টের মত ফাঁকিবাজি পোষ্ট দিই।

ওরে, সেই কুখ্যাত পোষ্ট আমাদের ছাড়েনা,
সেদিন রাকিবরা চরম আড্ডাইলো..ঐ এলাকায়, অনেক পরে টের পাইলাম....

বুঝিতেছি তা মরমে

পজিটিভলি নেয়া ছাড়া কুনো উপায় নাই। যেমন:

গ্যাসের চুলায় রান্না থেকে পাটখরির রান্না সুস্বাদু।

ঢাকার বন্যা সাঁতার শেখার বিরাট সুযোগ তৈরি করে।

বিদ্যৎ হীন রাত শহুরে মানুষকে আবার জোছনা দেখতে শেখায়।

১৯ তলা থেকে লিফট ছাড়া উঠা নামা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

তায়াম্যুম কি জিনিষ আমরা প্রায় ভুইলা গেছিলাম, পানির অভাব আমাদের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ধর্মীয় মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনে।

এই গরমে মানুষ আবার শীতল পাটির ব্যাবহার শিখবে। একটা পুরনো ঐতিহ্য আবার স্বগৌরবে ফিরে আসবে।

মানুষ পানির অভাবে সরাসরি নদীর কাছে চলে যাবে। গিয়ে দেখবে এতদিনে নদীর কি হাল করেছি আমরা। তারপর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নদী ড্রেজিং করে এর নাব্যতা এর বিশুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার মনোযোগী হব আমরা।

যেগুলো আছে তা আর এমন কি সমস্যা। ভালই আছি।

arifgold@gmail.com