ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
এখনো বিকেল
এই পৃথিবীর বিকেল দেখি দিব্যি বেঁচে আছে
নীল আকাশের সাদাগুলো ছুটছে লালের কাছে
দিব্যি দেখি বইছে বাতাস
দিব্যি আছে আলো
গাছের ডালে পাতার আড়াল
দিব্যি লাগে ভাল
দিব্যি চিলের আনাগোনা
কিংবা কালো কাকে
বাসায় ফেরার সময় বলেই
হয়ত বৃথাই ডাকে
রাস্তাজুড়ে মানুষ কত ঘোরে
কারোর তাড়া কারোর নোঙ্গরছেঁড়া
কারোর সময় থমকে থাকা সুখে
কারোর আবার স্মৃতির পারে ফেরা
লালচে হয়ে আকাশ দেখি আজো
সন্ধ্যাটাকে সময় করে ডাকে,
আমরা যতই রোবট হয়ে মরি,
বিকেলগুলো দিব্যি বেঁচে থাকে!
বনস্পতির জন্য ভালোবাসা..
দিবসওয়ারী উদযাপন আমার অতটা ভালো লাগে না। অনেক আগে থেকেই আমার এই মনোভাব, তবে ইদানিং অনেক কিছুই সয়ে নিতে শিখছি। ভালো না লাগলেও আজকাল অনেক কিছু করে নিতে পারি হাসিমুখেই। মুখের উপর মুখোশখানা দিনে দিনে বেশ খাসা হয়ে উঠছে আর কি!
যাই হোক, অনেকদিন কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না লেখার মত। আর, বাবাকে নিয়ে কিছু গান নিয়ে একটা কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল তারও আগে থেকেই। আজ এই বাবা দিবসে হঠাৎ মনে হল, লিখতে বসেই দেখি কিছু হয়ে উঠে কি না!
একটা কিছু লেখার কথা চিন্তা করলে অনেক কিছুই মাথায় আসতে থাকে কিন্তু লিখতে বসলে দেখা যায় পুরাই আউলাইয়া গেছি, ভাবি এক জিনিস লেখি আরেক জিনিস! আজব ব্যাপার!
আমার আব্বু মাঝেই আফসোস করেন যে আমরা দুই ভাই-ই নাকি শুধু সারাদিন আম্মু আম্মু করি। কথাটা অবশ্য পুরোপুরি মিথ্যাও নয়। ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছি আব্বুর খালি আপিস আর আপিস, তাই খুব একটা ধারে কাছে ঘেঁষতেই পারতাম না। আর হাল্কা ঝাড়িঝুড়িও আব্বুর কাছেই খাইতাম। তাই একটু ভয়মিশ্রিত শ্রদ্ধার একটু দুরের আসনটা যেন আপনাতেই বরাদ্দ হয়ে গিয়েছিল আপনাতেই।
তোমার স্মৃতি
আমারও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
নীল আকাশের নীচে দাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে চিতকার করে বলতে ইচ্ছে করে "ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি।"
হাজারো মানুষের মাঝে হাটুগেরে বসে ফুল দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি কি আমার হবে?"
তোমায় ঘিরে শত-সহস্র মোমবাতি জ্বেলে বলতে ইচ্ছে করে "এরচেয়েও বেশি আলো তুমি জ্বেলেছো মোর হৃদয়ে।"
চাদেঁর আলোয় তোমার মুখোমুখি বসে চাদঁকে কাচকলা দেখিয়ে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি মোর অপরুপা।"
হাজারো নারীর আহ্বান পেছনে ফেলে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি আমার একটাই তুমি।"
সর্বোপরি তোমায় বলতে ইচ্ছে করে "তুমিই সে যার ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়ে আমি ঘুমোতে চাই , আবার ঘুমের পরে চোখ খুলেই যাকে দেখতে চাই।
হয়তো আমার এই আবেগ তোমার কাছে স্বস্তা ! কিন্তু তারপরও তুমিই আমার একটাই তুমি। তুমি নেই কিন্তু তোমার স্মৃতি তো আছে, বেঁচে থাকার জন্য ওটাই বা কম কি???
আবার আসলাম
দীর্ঘ দিবস রজনী কিছু লেখা হয় না বিধায় কি-বোর্ডে মরচে পড়ে গেছে। আজকাল আর কিছুই লিখতে পারি না। অনভ্যাসে বিদ্যা নাশ। আর সে বিদ্যা যদি ক্ষুদ্র হয় তাহলে তো সর্বনাশ। আমারও আর সর্বনাশের কিছু বাকি নেই।
প্রথম ব্লগ লিখেছিলাম ১৫ই জুন ২০০৭-এ সামুতে :-
সবাইকে সালাম। সামহয়্যার ইনতে নিয়মিত ঘোরাঘুরি করলেও কখনো লিখিনা। তার প্রধান কারণ অবশ্য লিখতে পারিনা। তাই বলে আমাকে আবার কেও বকলম ভাববেন না। লিখতে পারিনা মানে গল্পটল্প কবিতা টবিতা লিখতে পারিনা। তবে সমালোচনাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখি (কাজটা তুলনামূলক সহজ কিনা!!!)। এখন থেকে ভাবছি সমালোচকের কাজটা নেব। আপনাদের দারুণ দারুণ লেখার সমালোচনা, মতান্তরে নিন্দা করব। আসলে অন্যের নিন্দা করার মজায় আলাদ।
সমালোচনার কথা বললেও আমি কথা রাখিনি। বিভিন্ন ব্লগে প্রায় হাজার খানেক ব্লগ লিখে ফেলেছি এবং সত্যি কথা বলতে তার দুই একটা লেখা আমাকে আত্মতৃপ্তিও দেয়। অমর করে রাখার মতো কিছু না, তবু আত্মতৃপ্তি দেয়। সেটাই বা কম কিসে?
প্রসংগ হিন্দী ভাষা কিংবা ভিন্ন সংস্কৃতি
আজকাল বেশ একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে দেশের আধুনিক ছেলেমেয়েদের মধ্যে “হিন্দী ভাষা”কে ঘৃনা করি টাইপ কথা বলার। যদিও “ঘৃনা” শব্দটা খুবই শক্ত, কোন কিছুকে নিয়ে মন্তব্য করার জন্যে, “অপছন্দ করি” কথাটা হয়তো তাও চলে যায়। যারা এধরনের ঘৃনা শব্দগুলো উচ্চারন করেন তারা কিন্তু অবলীলায় ইংরেজি, আরবী, চায়নীজ কিংবা ফ্রেঞ্চ গান, সিনেমা, বই পড়ছেন - উপভোগ করছেন। একশ কোটির বেশি মানুষ যে ভাষায় কাঁদেন, হাসেন, প্রেমিকাকে প্রেম নিবেদন করেন, রাত জেগে বই লিখেন, আবেগে কেঁপে কবিতা লিখেন সেই ভাষাকে আমরা কেনো ঘৃনা করি? তার কি কারণ? এতোগুলো মানুষের আবেগ প্রকাশের মাধ্যম কি করে অন্যদের ঘৃনার উদ্রেক করতে পারে? অনেকেই বলতে আসেন, তারা আমাদের সাংস্কৃতিকে গ্রাস করে নিচ্ছে, তাই ঘৃনা করি। তাই কি? নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে অন্যকে ঘৃনা করাই সার? তারা এসে চড়ে বসেছে আমাদের ওপর? বাধ্য করেছে আমাদেরকে তাদের সিরিয়াল দেখতে, শাড়ি পড়তে, তাদের গরু, পেয়াজ খেতে?
অনেকেই সমস্যায় পরছে ফুলফ্রেম আর ক্রপ বডি নিয়ে। আসলে বিষয়টা কি?
SLRএর সময় কালে কিন্তু এরম ফুল/হাফ (ক্রপ) বলতে কিছু ছিল না... ক্যাচাল্ডা লাগছে DSLR আসার পরে। এর লাইগ্গা সেই আমলের লুকগো এইসপ ক্যাচালে মাথা ঘামাইতে হয় নাই... মনোযুগ দিয়া খালি ফটুক তুলছে। তয় তাগোরে দুকানে যাইয়া এক্টা ফ্লিম কিন্তে হইতো আর বহুত হিসাপ নিকাশ কৈরা সবকিছু ভালোমত খিয়াল কৈরা ৩৬ খান ফটুক তুলতে পারতো ... কারণ ফ্লিম ক্যামেরার ক্যাপাসিটি সিল ৩৬টা ছবির
যখন DSLR মার্কেটে আইলো ... ঝামেলাটা বাধলো তখন... DSLRএ কোন ফ্লিম নাই... তার বদলে বসানো হইলো সেন্সর... সেন্সরকে ব্যাপক দায়িত্ব দিয়া বানানো হইলো। ক্যামেরার ভিত্রেই ছবিটারে প্রসেস কইরা ডিসপ্লেতে দেখানোরমত এক্টা বিশাল দায়িত্ব পাইয়া বসলে এই সেন্সর ভাইজানে। ফটুক তোলার লগে লগেই ছবি জমা রাখার জন্য মেমোরী/কার্ডের ব্যবস্থাও হইলো। তো এই সেন্সরের সাইজটা আসলো SLR এর ফ্লিমের স্ন্যাপের মাপে ;)। এইখানে একটা মজার বিষয় আছে... এই ফ্লিম ক্যামেরার প্রত্যেকটা স্ন্যাপ/ছবির জন্য যেই জায়গা... সেইটার মাপ হইলো 24mm x 36mm যেটাকে ৩৫মিমি ফ্লিম বলা হয়। আর ফুলফ্রেমের সেন্সরের সাইজও ২৪ x ৩৬ ... ৩৫ মিমি।
দুই মাথা ওয়ালা পাখি
আমার ছেলে গতকাল আমাকে একটা গল্প নেট থেকে খুজে দেবার জন্য বলল, কারন গল্পটা ওর বইতে নেই কিন্তু সিলেবাসে আছে। গল্পটা লিখতে হবে ইংরেজীতে। আমি বাংলায় গল্পটা জানি কিন্তু ইংরেজীতে লিখতে হবে তাই ভাবলাম দেখি নেটে সার্জ করে যদি পাওয়া যায়, তবে প্রিন্ট করে দিলেই হবে। কিন্তু অনেক সার্চ করেও গল্পটা পেলাম না। কিন্তু একটা গল্প পেয়েছি যা আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না। আর ছেলের গল্পটা আমাকেই লেখে দিতে হবে। সেটাও সবার সাথে একদিনের জন্য শেয়ার করব যদি কোন সংশোধন থাকে বিনা সংকোচে করে দিবেন। আমি ইংরেজীতে লেখা কোন পোষ্ট ব্লগে দিতে চাই না। তবু একদিনের জন্য দিব, কারন আমি, আমরা বন্ধু একটি পরিবার এখানে ছোট বড় কিছু নেই। কিন্তু ছেলের স্কুলের স্যারদের কাছে ভুল ধরা খেতে আমার পাহাড়সম আপত্তি আছে।
গল্পটা হল
দুই মাথা ওয়ালা পাখি।
বাজেট, সিনেমা-এই সব আর কি
১.
বাজেট আসলে একটাই চিন্তু কিভাবে এবার রিপোর্ট করবো। কিভাবে সাজাবো পাতাগুলো। রিপোর্টের ধরণ কি হবে। প্রথম পৃষ্ঠায় কি কি থাকবে।
একসময় বাজেট রিপোর্ট মানেই ছিল কতগুলো সংখ্যা তুলে দেওয়া। ছবি দিতাম ব্রিফকেস হাতে অর্থমন্ত্রী। বাজেটে সংক্ষিপ্তসার বইটায় কিছু আয়-ব্যয়ের চার্ট থাকতো, সেগুলো হুবহু ব্যবহার করতাম।
অথচ অন্য দেশগুলো বাজেটের পরিসংখ্যান উল্লেখই করে না বলা যায়। কারণ সংখ্যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না। বরং বাজেটে দর্শন আর মানুষ কি পেলো সেটাই মূল।
এবার বাজেটের জন্য অন্য দেশের পত্রিকাগুলো দেখছিলাম। মজা লাগলো টাইমস অফ ইন্ডিয়া দেখে। ভারতীয়দের জীবনে সিনেমা তাদের জীবন যাপনের অংশ। ওদের বাজেট ইলাস্ট্রেশনটা এরকম:
অ্যাং লির লাইফ অফ পাই-এর ঘটনাস্থল ভারত। আর এটিই ছিল এবারের অন্যতম আলোচিত সিনেমা। এই সিনেমার একটা দৃশ্যকে ফিউশন করে বাজেটের মূল ছবি করেছে পত্রিকাটি। দেখে মজাই লাগলো।
২.
শাদ্দাদের ভূস্বর্গ এবং আরাফাত শান্তর রোদে পুড়া (পর্ব-২)
ইরাম আদ জাতিরই একটি গোত্রের নাম।তাদের রাজত্ব ছিল। তারা বড় বড় ইমারতরাজি নির্মাণ করত। সেসব ইমারতের জান্নাতসম বৈশিষ্ঠ হচ্ছে – তারা তাতে ও অর্ধেক স্বর্ণ আর অর্ধেক রৌপ্যর গাছ বানিয়ে সবুজ যমররদের পাতা সেসব গাছে লাগাত। এসব গাছের ডালপালা সমূহ ছিল লাল ইয়াকুদ পাথরের। রকমারি ফলফলারি এসব গাছে লাগানো হয়েছিল। শাদ্দাদের কল্পিত জান্নাতের মেঝে মাটির পরিবর্তে মেশক আম্বর ও জাফরান দ্বারা ভরে দেওয়া হয়। এর প্রাঙ্গণে নুড়ি পাথরের পরিবর্তে মতি ও অন্যান্য পাথর বিছিয়ে দেয়া হয়। এতে দুধ, মদ্য ও মধুর নহর প্রবাহিত করা হয়। সে তার কল্পিত ভূস্বর্গের দরজায় চার চারটি বিস্তৃত মাঠ তৈরী করে। সে মাঠে ফল ফলারির গাছ লাগান হয়। প্রতিটি মাঠে স্বর্ণ রৌপ্যের নির্মিত লাখ লাখ কুরসী পাতা হয়। প্রতি কুরসীতে হাজার দস্তরখান ও প্রতি দস্তরখানে রকমারি নে,মত রাখা ছিল।
গ্রীষ্মের দাবদাহে ফাল্গুনের গদ্য
১.
এদেশের ভবিষ্যত নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হবার মানুষ কম। যে কয়েকজন আশাবাদী মানুষ আছে তারা কতোটা অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করেন, বলা মুশকিল। এখানে কেউ নিরংকুশ ভালো নেই। কেউ আর্থিক, কেউ মানসিক, কেউ শারিরীক, কেউ পারিবারিক, কেউ বৈষয়িক, কেউ সামাজিক, কেউ নৈতিক সমস্যায় আক্রান্ত। 'আমি ভালো আছি' - এই কথাটা জোর দিয়ে বলার মতো মানুষের সংখ্যা হাতের আঙুলেই গোনা যাবে হয়তো। আমি অন্ততঃ সেরকম মানুষের দেখা পাইনি আজো। আশেপাশে সমস্যাক্রান্ত ঘনিষ্ঠ মানুষের মধ্যে থেকেও কেউ যদি বলে 'আমি ভালো আছি', তাহলে সে চরম স্বার্থপর মানুষ। আর এতটা স্বার্থপর ভালো থাকাকে মেনে নেয়া যায় না। তাই 'আমি ভালো আছি' কথাটা কেবল মুহুর্তের উচ্চারণ এবং ওই ভালো থাকা অল্প কিছু সময়ের আপেক্ষিক মাত্রা।
২.
পরাজিত মানুষের ইতিহাস থাকে না
পরাজিত মানুষদের ইতিহাস থাকে না, তারা ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে প্রতিনিয়ত আত্মাহুতি দেয়, প্রচন্ড নির্যাতন সহ্য করে, প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে, গণমাধ্যমের সহানুভুতি -ঘৃণা পায়, তাদের মানবেতর জীবনযাপন ও লড়াই মানবাধিকার সংস্থার স্বীকৃতি পায় কিন্তু বিজয়ের আস্বাদ তারা পায় না।
পূর্বপুরুষের পাপের জের টানা এবং নিত্যনির্যাতিত হওয়ার গল্পগুলোর একপেশে উপস্থাপন থাকে বিজয়ীর গাঁথায় কিন্তু পরাজিতের জবানীতে তার আত্মঅধিকার এবং স্বীকৃতির লড়াইয়ের গল্প ততটা প্রচারিত হয় না।
যেমন ধরা যাক রোহিঙ্গাদের কথা, আমাদের সীমান্তবর্তী রোসাঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা তারা, রোসাঙ্গ রাজাদের রাজসভা আলোকিত করেছে চট্টগ্রামের কবিরা, তারা সেখানে মধ্যযুগের বাঙলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগের সূচনা করেছিলো, চট্টগ্রামের আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ তার জীবনের দীর্ঘ একটা সময় এইসব কবিদের সাহিত্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা করে অতিবাহিত করেছেন।
সিরাজউদদৌলা যখন কোলকাতা অবরোধ করলেন তখন একজন ইংরেজ সেনাপতির চট্টগ্রাম অভিমুখে আরকান রাজ্য দখল করতে যান, তাদের ধারাবাহিক আক্রমণে অবশেষে আরকান রাজ্য ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশভুক্ত হয়।
স্বর্ণালী অপ্সরী !!!
যখন ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম তখন তুমি তেমন জনপ্রিয় ছিলেনা। তারপর কেটে গিয়েছে অনেক সময়। কিন্তু তুমি সেই সোনালী পোশাকে মোরানো ফর্সা ধবধবেই রয়ে গেছো।
স্বর্ণালী অপ্সরী !!! হ্যাঁ এটাই বুঝি তোমার জন্য সবথেকে ভালো নাম।
হে সোনালী পোশাকে আবৃত শ্বেতশুভ্র অপ্সরী , তোমাকে সবচেয়ে অপরূপা কোথায় লাগে?
দুই আঙ্গুলের ফাকে নাকি দুই ঠোঁটের মাঝে ?
তোমায় চুমুতে ভরিয়ে দেই আমি সর্বদা। যুগে যুগে কত্তো মহামানবরা তোমায় একটি চুমু দেওয়া কে শত নারীর ঠোঁটের চেয়েও মূল্যবান বলেছে।
তুমি এখনো সুন্দর ওই সোনালী ঘরে। তোমার সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায় যখন তুমি জ্বলন্ত অবস্থায় থাকো দুই আঙ্গুলের ফাকে অথবা দু'ঠোঁটের ফাকে।
তুমি একাকিত্বের সঙ্গি। তুমি অবসরের সাথী। তুমি মানসিক প্রশান্তি জোগাও প্রচন্ড ব্যাস্ত সময়ে। করে তোলো উতফুল্ল অনেক চিন্তার মাঝেও। নতুনভাবে ভাবতে সাহায্য করো যখন ভাবনার সীমান্তে পৌঁছে যাই।
মাঝে মাঝে তোমারই কারনে প্রেমিকার সাথে হয়ে যায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ !!!! মাঝেমধ্যে তোমার জন্য মা'র সামনে চকলেট খেতে খেতে যাই।
বন্ধুত্বের টানে, বন্ধুদের পানে
প্রায় দু'বছর আগে ব্লগ খুলে আজ প্রথম পোস্ট দিচ্ছি। লেখালেখি থেকে বিচ্ছিন্ন অনেকদিন। সামু দিয়ে ব্লগিং শুরু করলেও পরিচিত, প্রিয় বন্ধুদের টানে এখানে আবার আবির্ভূত হলাম। আশা করি প্রাণময় ব্লগারদের লেখা পড়ে নিজেকে আবারো ঋদ্ধ করবো আর ছাইপাশ লিখে সবাইকে বিরক্ত করে যাবো
পেশাগত কাজের তাগিদে সাম্প্রতিককালে পড়াশোনা করছি শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। আর নিরন্তর ভেবে যাচ্ছি আমাদের দেশের শিশু-কিশোরসহ পূর্ণবয়স্ক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার কী সুযোগই বা আছে? দুশ্চিন্তা, হতাশার মত মানসিক সমস্যাগুলো নিয়ে বাচ্চারা স্কুল-কলেজে কারই-বা শরণাপন্ন হতে পারে? পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-বন্ধুসমাজের কারো, কিংবা নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা ঠিক কতটুকু সচেতন? প্রতিটি স্কুলে 'স্কুল সাইকোলজিস্ট' নিয়োগ দেবার সরকারি পরিকল্পনাটি ঠিক কি অবস্থায় আছে কেউ জানেন?
সবার জন্য শুভকামনা।
বাথরুম না রেস্ট রুম ( গল্পটি আমি প্রথমে গেট টুগেদার নামে আরম্ভ করেছিলাম)
আমাদের সমিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র মোক্তাদির (আদরণীয় পূর্নাইয় পণ্ডিত) কে মেইলে প্রেরন করার ক্ষনিক বাদেই,তিনি আমাকে মহান ব্যক্তি হিসেবে ঊল্লেখ পূর্বক পাল্টা মেইল করিলেন। আমি এবার সেল যন্ত্রটি হাতে লইয়া ডিজিটাল যুগের নির্দেশিত ডিজিট গুলোতে অঙ্গুলি নির্দেশ প্রদান করত প্রেরন বাটনে চাপ প্রদান করিলাম। পণ্ডিত অবশ্যই কর্ম ফুসরতে ছিলেন। পিক করার সাথে সাথেই আক্রমন করিলাম। কিরে ব্যটা পাম দিতে তো ভালই শিখিয়াছ। আমি আবার কবে থেকে মহান ব্যক্তি হইলাম। নারে দোস্ত তুই.........।
লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপ
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। স্নিগ্ধর মনটা আজ খুবই খারাপ। তার ভালোবাসার মানুষটি তার থেকে অনেক দূরে থাকে। তাদের সময়ের ব্যাবধান ১২ ঘন্টার ; স্নিগ্ধর দেশে যখন রাত নামে তখন মিনির দেশে করকরে রোদ।
মিনি অনেক ভালো একটা মেয়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতপরিবর্তনশীল দেশে থেকেও যে তৃতীয় বিশ্বের একটি ছেলের জন্য অপেক্ষা করে। তার সকল ভাবনা জুড়েই স্নিগ্ধর বিচরণ। এমনকি স্বপ্নও আসে স্নিগ্ধর স্নিগ্ধতা নিয়ে।
তাদের মাঝে যোগাযোগের একটাই মাধ্যম , সেটা হলো ভার্চুয়াল জিনিস। হয় ফোনে তাদের ভাবনার বিনিময় ঘটে নয়তো চ্যাটিং এর মাধ্যমে আবেগের আদানপ্রদান ঘটে। তবুও হাজার মাইল দূরের দুটি মানুষ কিসের যেনো একটা বাধনে বাধা।
স্নিগ্ধ জানালায় বসে আছে। দেশে এখন চার নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে সারাদেশে বৃষ্টি নামছে। স্নিগ্ধ স্বাভাবিক একটি ছেলে। আর তাই আজকের আবহাওয়া তার মাঝে রোমান্টিক একটা আবহের সৃষ্টি করেছে; মাঝে মাঝে এটি মিনির শূণ্যতাকে প্রকট করে তুলছে|