গোঁসাই পাহ্লভী'এর ব্লগ
আমার জন্যে করিলে হারাম।
জলের জাত দেখে বুঝিবার শিক্ষা গ্রহন করি নাই কভু কিসে জোয়ার আর কখন ভাটা হয়।
কখনও আমি তার পিছে থাকি
কখনও আমি তার সামনে
মধ্যখানে বা না জোয়ার না ভাটায় থাকি কখনও
তবু তার সাথে থাকা হলো না কখনো।
প্রভু এই শিক্ষা কোথা থেকে গ্রহন করি বলো?
সাথে থাকিবার লাভে ও লোকসানে নিরলস গতি যেমন বলিয়া ওঠে আরাম আরাম
সিয়াম সাধনার মাসে তুমি ইহাই আমার জন্যে করিলে হারাম।
হাম্বার আহার
জানি ভুলগুলো নিয়ে আর কিছুটা পথ পাহারা দিতে হবে
শৈশবের মুদ্রাদোষ আজো আমার পিছু ছাড়লোনা বোলে
অস্তিত্বে থাকো মানে ফুলে ফলের চিহ্ন বৃক্ষে আদি
মুক্তির অপর নাম মূহুর্তের দমকা হাওয়া।
এই হাওয়া মাঝে মধ্যে আমার ঘরে আসে
খোঁজে স্ত্রীলিঙ জাতীয় কোন পদার্থ
আমিতো তখন আদম সুরত ধরে
ধারা পাল্টানোর মসলা শুনাই শব্দশিশুর কানে ।
পাল্টাল কই এইতো সকল আদি
নিধুবাবুর নিশ্চয়তা গেল
গোলের মধ্যে সকল পাখির আবাস
ছানার সঙ্গী খড়কুটো কেবল।
লিঙ দিয়ে অঙ্গ ঢাকার কথা
কোথায় থেকে কোথায় এলো ক্রুশের মাথায় বঙ
ললনারা গঠলো বুঝি নারীসত্ত্বা সংগ ।
এইখানে তোর হাতাহাতি শুরু
গুরুর কৃপায় নমরুদও পায় পাহাড়
ধ্যান যোগে বিয়োগ নামার ঢলে
তৃন সকল হলো হাম্বার আহার।
আমার এবং শিল্পী তনিমা রাতুলের কিছু নতুন শিল্পকর্ম
বন্ধুরা ছাপচিত্রের উপরে আপনাদের কেমন আগ্রহ আছে জানি না তবুও অতি সম্প্রতিক আমার করা কতগুলো কাজের লিংক দিচ্ছি। সাথে আছে পেইন্টার তনিমা রাতুলের করা কিছু কাজ। ভালো লাগলে জানাবেন।এই কাজগুলো মানে আমার করা কাজগুলো একটু নতুন টেকনিকে করা। ক্যানভাস প্রিন্ট বলছি যাকে।এই টেকনিকের বিশেষত্ব হচ্ছে সাধারন প্রিন্টের কাজে অনেকগুলো ধাপ থাকায় ফর্ম এবং আইডিয়া থেকে বাধ্য হয়ে খানিকটা সরে আসতে হয় কিন্তু ক্যানভাস প্রিন্টে ধাপগুলো কম থাকায় সেই সম্ভাবনা নাই । যাই হোক এত কিছুর পরও বেশ খানিকটা নির্ভর করছে দর্শকের উপর তারা এই মাধ্যম এবং কালার ব্যবহার কেমন ভাবে গ্রহন করেন সেটাই দেখার বিষয় ।http://www.gonshaipahlavi.fineartsbd.com/
কেবল ইশ্বর কারো কাছে যাবেন না
প্রকৃতি থেকে নিয়েছি যা তারও অধিক
ঘৃণা এবং অপবিত্রতা মাখা প্রতিবস্তু দিয়েছি ফিরিয়ে ।
জল নিয়ে দিয়েছি প্রস্রাব
প্রেম নিয়ে প্রতিশোধ ফিরিয়ে দিতে দিতে হয়েছি মানুষ ।
বৃক্ষ থেকে নিয়ে ফল দিয়েছি তার ডাল ভেঙে
যেন দ্বিতীবার আর কোন পুরুষ গাছের কাছে না যায় অই খানকিটা
অক্সিযেন নিয়ে মৃতবৎ কার্বনডাই অক্সাইড ছেড়েছি ফনার মতো ।
বলো গ্রহণ সত্য না বর্জণ বিবিধ?
ফেরত যাবার কালে কোন কিছুই আর অক্ষত রবে না
মনে পড়ে তোমার কথা
কোন প্রকার বর্জণ না করেও তুমি কারো প্রভু কারো পিতা
কারো প্রণয় ছুঁয়ে না দেখেও তোমার উলম্ব দেহ থাকে সীতা ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:আমার আরো কবিতা প্রবন্ধ বা রাজনৈতিক চিন্তার উপর পাঠ প্রয়োজন মনে হলে দয়া করে ঘুরে আসুন:http://www.gonshaipahlavi.fineartsbd.com
শিবশবশব্দ
আবিদা তাঁর বাচ্চাটার দুই বগলের নিচে দুই হাত দিয়ে মোড়ার উপর দাঁড় করিয়ে হিস হিইইইস হিইস হিইস করছে । এইভাবে কিছুক্ষণ করার পর ফয়েরবাখ ঠিক ঠাক হিসু করে দেবে। ফয়েরবাখের স্কুল শিক্ষক মামী যে কিনা বলে যে,একদিন দেখা যাবে আবিদার এই হিস হিস শব্দে ফয়েরবাকের কোন কাজ হলো না,বাসার অন্য সবাই হিসু করে যে যেখানে আছে ভিজিয়ে দিল।আমার এইসব কথায় মন নাই। আমি কেবল ভাবছি শব্দগুনের কথা!শব্দগুন ব্যবহার করেই কি বেদেরা মানুষের শরীর থেকে বিষ বের করতো!অনেকেই হয়তো বলবেন সে-তো শব্দ নয়;মন্ত্র। আমিও বলি একই কথা। মন্ত্রতো শব্দগুনফল ধরেই মন্ত্র। মনকে ত্র মানে তরণ করে যে বার্তা পাঠানো হয়। আর সেই তরণ করা হয় শব্দ যোগে। যাই হোক শব্দের যে বিশেষ সামান্য ক্ষমতা রয়েছে সেকথা আমাদের সকলেরই জানা। এমন অনেক লোকই তো এই দেশে পাওয়া যাবে যারা তেমন কাজ কাম করেন না। কেবল শব্দ উচ্চারণ করেন আর তাতেই কাজ হয়ে যায়। পৃথিবী ধ্বংস করার
জংধরা
আরো বেশি রমণীয় হ'য়ে ওঠো তুমি,
রমণের ভেলা ভাসানো আছে অথবা সাম্পাণ
লৌহজং ষ্টেশনের কথা মনে পড়ে
মনে প'ড়ে আনসিন প্যাসেজ
জংধরা,,,
প্রজণন প্রয়োজন হয়ে থাকে বালুকাবেলায়
নাতিসিতষ্ণ অঞ্চলে ঘুম আসে ভরা পেটে
খুব বেশি রমণীয় হ'য়ে ওঠো তুমি
তোমার দেহের থেকে হাতের থেকে মাথার থেকে
আরো বেশি রমণীয় যেন।-
ভোগের কালে মনে প'ড়ে দূর্ভোগের কথা;
হাত ধরার কালে হাতাহাতি
আর গম্ভুজের নিচে প্রার্থণাকালীন নিরাপত্তা বুহ্য থাকে চুলের বেণী।
কেমন করে তুমি বয়ান করবে সকালের কথা
কেমন করে তুমি বয়ান করবে সকালের কথা
দুরের আকাশে যখন ঠুমরির তালে পাখি ডানা ঝাপটায়
অথবা থৈ থৈ জলের জারজ সন্তানেরা আওয়াজ তোলে নিধুর নৃত্য ধ’রে
কেমন করে তুমি বয়ান করবে শরতের আকাশে মেঘের পালের ভাসমান ভাষা?
কেমন করে পারা যায় অই সব নিরাবতার বয়ান করতে যেখানে আয়নাল হক ও হাল্লাজের আলখেল্লার যুগপৎ বসবাস।
তুমি দেখাতে পারো জলের নিঃশ্বাস থেকে বৃক্ষের আয়ুবর্ধক বৃদ্ধি
বেচে থাকার একমাত্র সুচক জোয়ার ভাটার আঠালো স্বভাব
কীভাবে তুমি বয়ান করতে পারো অঙ্কিত বিন্দুর সীমাবদ্ধতায় আমাদের ইতিহাস রচিত হলো।
বলো নিরুপমা, অনুরোধের আসরে কিভাবে বয়ান করবে ফুটন্ত ফুলের ঘ্রাণ
প্যারিসের বোতলজাত নিঃসঙ্গতা দিয়ে অঙ্গ ঢাকা রমনীয় পুরি
পুড়ে দিলো অক্ষরের ক্ষত;এরপর বাক্যের ঘরে যদি তুমি দেখ সাপ লুডুর খেলায় মত্ত কিছু তরুণ তরু
তাদের হারজিতে যেভাবে তৈরী হয় পরজীবী সেমিকোলন
নাম দর্শনের মাজেজা:চার
অর্জুণ নামটির কথা চিন্তা করুন,তিনি যদি কিছু অর্জন না করেন তা হলে কী ভাবে তার নাম অর্জুন হয়? কী অর্জণ করেছিলেন অর্জুন?কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে তিনি ধর্মার্থ অর্জন করেছিলেন। ।।তিনি বলছেন:আমরা রাজার ঘরে জন্মেছি,অমানুষিক ক্ষমতায় এই রাজ্য জয় করেছি,সেখানে ধর্মার্থ ত্যাগ করে মূর্খের মতো বনে যাব কেন?(মহাভারত,১২.৮.৯)।অন্যত্র দেখছি তিনি আবার বলছেন, এতদিনে শত্রু বধ করে এই পৃথিবীর অধিকার লাভ করলাম ,সেখানে সব ছেড়ে চলে যাবার কথা ভাবাটা যে একেবারেই বুদ্ধিহীনতা হবে(মহাভারত ১২.৮.৫)।তার মানে আমরা দেখতে পেলাম যে,কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে অর্জুন 'পৃথিবীর অধিকার' এবং 'ধমার্থ' নামক বস্তু দুটি অর্জন করেছেন ।েস কারনেই তিনি অর্জুন। অর্জুন নামে যথাযোগ্য হয়েছেন।। ।। এই যে আমরা এতক্ষণ যা বললাম, এতো কেবল নামের কারণ হলো মাজেজা নয়, মাজেজাটা আমরা একটু পরেই আলোচনা করতে চাই।। ।। কীভাবে করতে চাই?
নাম দর্শনের মাজেজা: তিন
কারো কারো নাম বা সেই নামের অর্থ তেমন বিশেষ কিছু নয়।তার কাজই তার নামটাকে বিশেষত্ব দিয়েছে। আবার কিছু নাম আছে যে নামের সাথে তার কাজের সম্পর্ক রয়েছে, নামের অর্থও যা তার কাজও তাই। তার কাজ যেমন থাকছে তেমনি তার নামটাও থাকছে।এই যেমন ধরুন আমাদের বাংলার দার্শনিক লালন ফকিরের নামটি। এই নামটির মধ্যে সাঁইজীর যে ধর্ম সেই ধর্মের অর্থাৎ তাঁর দর্শনের সবটুকু পাওয়া যাবে। যেমন পাওয়া যায় দেবতা রুদ্র নামের তাৎপর্য। জন্মাবার পর এই দেবতা রোদন করে উঠেছিলেন, এই জন্যে তাঁর নাম রুদ্র। আপনারা শুনলে আশ্চর্যবোধ করবেন যে এই দেবতা জন্মাবার পর তাঁর নাম চেয়ে অর্থাৎ তাঁর একটি নাম দেয়া হোক এই জন্যে কেঁদেছিলেন। কেঁদেছিলেন বারবার কারণ কোন নামই তাঁর পছন্দ হচ্ছিলনা।
ধারাবাহিক
নাম দর্শনের মাজেজা : দুই
নাম ছাড়া যে কোন কিছু চলছেই না তার কারণ কি?
আসলে এখনকার দিনের নাম রাখা কর্মসূচির দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখি যে, সন্তানটি জন্ম নেবার পূর্বেই তারা সন্তানটির জন্যে একটি নাম ঠিক করেন অনেক ক্ষেত্রে একাধিক নামও রাখা হয়। তারপর বাচ্চাটি পৃথিবীতে আসে এবং সকলে যখন তাকে একটি নির্দিষ্ট নামে ডাকে তখন বাচ্চাটিও উক্ত নামে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। প্রাচীনকালে অর্থাৎ এই নাম রাখার আদি পর্যায়ের দিকে যখন আমরা তাকাই তখন কিন্তু জন্মাবার পূর্বেই এইভাবে এখনকার মতো নাম ঠিক করা হতো না। তারা প্রথম সন্তানটির কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করতেন, তার স্বভাব দেখতেন এবং তারপর তার একটি নাম-ধাম ঠিক করতেন। এইখানে পাঠককে একটা জিনিষ জানিয়ে রাখতে চাই যে, আদিতে নাম রাখার সাথে ধামও ঠিকঠাক রাখতে হতো। নামের ব্যাক্তিটি কোথায় থাকবে সে ব্যপারটা নিশ্চিত করতে হতো।এবং এখনও ধাম ঠিক করতে হয়,তবে অবশ্যই জন্মাবার অনেক পরে করা হয়।
নাম দর্শনের মাজেজা
নাম আছে। আছে আরেকটা শব্দ সেটা হলো ধাম। নাম-ধাম আছে। লোকটার নাম ধাম আছে।
নামটা না হয় বোঝা গেল কিন্তু ধামটা কি?
ধাম হচ্ছে ভিটা বা নামটার আবাস গৃহ।
যেমন এই ধামে আর ইলিয়াস থাকেন না!
অথবা এই ধামে সাধুরা আসেন না!
আমরা যখন কোন কিছু সৃষ্টি করি তখন তার একটা নাম দেই; মানুষ বা পশু পাখি বা জগতের যা কিছু দৃশ্যে বা অদৃশ্যে মানুষ যা টের পেয়েছে তার একটা নাম আছে। এই নাম ধরে সে তাকে ডাকে।
নাম হচ্ছে পদ। নামপদ বলি আমরা। ক্রিয়া পদও আছে। ক্রিয়া কে করে ? নামের মহাজন ছাড়া আর কে!
নাম ছাড়া যেন কোন কিছুই চলছে না।
ধারাবাহিক
এপিটাপ আমার জন্যে তোমার আঙ্গুল
মামারা চাঁদ নামালো জলে;
আমরাও শরীর ডুবালাম কিছুটা।
চতুর্ভুজ কলার মধ্যে রজনী
উপরে ছোকলা আছে, পিছলে যাবে!
সাবধানি সাধু ধুপ কাঠি জ্বালে
কলমের আগায় নাচে চিত্ত চারবাক।
অঙ্গ যায় ভাসিতে গঙ্গার নাম জপে
জীবের সাথে বোনের বাসায় নিদ্রাকাল!
নারায়ন তকদিরে হয় তেপান্তর
বাসনা সাঙ্গ হলে আর আসব না!
কলিতে ফুটুক যতো বেজন্মা ঘাস
ঘুমুতে যাবার ফলে ফলেছে মাস।
ফড়িং - এ হাওয়া বাজায় নিখুঁত সুরে
দেখে হাত বদল করি গাছের ওজন।
স্বজনের বিয়োগ ব্যাথায় কাঁথা খুঁজি
এপিটাপ আমার জন্যে তোমার আঙ্গুল।
বরাবর পাল্টে গেলো বিষন্ন ভুল, ভীষন ব্যাকুল।
চির নিদ্রার প্রেরণা
ছড়িছে দেখ চারিদিকে ভাবনা
উড়িছে ছাই বাসনার রসনা
রক্ত ও অশ্রুর সাধ একাকারে লবন
আকাশে উড়িছে দেখ ভাসমান লেবানন।
উড়জাহাজও আছে অসমান সাগরে ও আকাশে
নদীতে তাকধুম তাকধুম নাচে জলজ জাহাজ
বইতে পারেনা ভার চিৎকারে জমেছে বরফ
উৎসে ফেরার চিন্তা আর করেনা চেতনা।
কোথাকার আবু হবে কাবু কাবুলের পথে
রথ দেখে কলা বেচে চরকার ছুরি
নিজেরই অজান্তে যদি ঢুকে পরে কেউ রাতের অজান্তায়
গুহার আহার শেষ হলে বেছে নেবে চির নিদ্রার প্রেরণা।
তাস অথবা বাতাস
তাস অথবা বাতাস-
এর মধ্যে হাওয়া এসে উল্টিয়ে দিলো
হুলের মতো স্থুলো সহবাস।
প্রতিবেশি মন শান্ত হলে উচ্চতা বেড়ে
ওঠে ঢেউ;মাছের পোনা না কি ফনা এসে চুমু খেয়ে গেল,
এরই নাম বুঝি বেজন্মা সুনামি!
হার্বার বারবার জল এসে
তুলে ধরে সাঁকোর প্রয়োজন;
তবু তুমি কাছে এসো সই,ধ্বংসাবস্থার আয়োজন।
যদি এসে দেখ খাল বিল বাউলের ঝোলায় ভর্তি তামাক বৃক্ষের বীজ
জগতের সকল শঙ্কার জন্ম হয়ে গেছে তখন;
ভেঙ্গে যাওয়া খোলের হাহাকার;
তুলে নেবে বিধবা বিশ্বের শেষ প্রণয় অধিকার।
চোখের তরজমা
চোখের তরজমা;
পাপড়ির পর্দা;
তারে তারে কম্পণ পৌঁছালো কী?
কলিজার ভেতর থেকে রক্ত ছাড়া আর কি দেখানোর আছে!
নখের দিকে তাকাও
নেল পলিশ ছাড়াই কী রূপে জ্বলজ্বল করে বাহারি আচড়।
আলপনা মানে হস্তরেখার খাল
নাভী ও যোনি দুই সীমান্ত,-
চলে দুই দিকে অন্ত আমার অন্তর্জাল
দুটি পা' গেছে মলয় ও হিমালয়
হিমের ভেতর দেখ অমার তালু দেখ কতো উষ্ণ!
ফিরে এসো সিঁথিপথ ধ'রে, দেখ গুঁরুদাস
সন্ধ্যা নদীর সকাল বিকাল রাত্তির নাই
জোয়ার ভাটা তবু হাটাহাটি করে এইসব তীর্থস্তনে।
ঘুমের অতীত এই সিঁথিপথ ঘুম;
স্বপ্নের আবহসঙ্গীত হলো সিলিপিং পিল।
তবু মেপে নাও পায়ের ছাপ থেকে মাছি ও মাছের দীর্ঘতা
ওড়নার খানিকটা অংশত দৃশ্য উড়ে
শিকার নিয়ে চলে মহারাজা
বাঘের স্থান বদলের ইতিহাস পাঠ করা পর্যটক।
আমাদের জন্যে অপেক্ষাই শ্রেয় হলো;
বলো,আমরাই কী তোমার শিকার হবো?