ভু সা'ইমে তৌস্, তোজু'র্স
দশ-বারো বছর আগে যারা দেশের অবস্থা দেখে 'কি দিন আইলো রে' বলে আক্ষেপ করতো, তারা আজকের ঊর্ধ্বমূল্যের বাজার দেখে কি বলবে মনে হয় বুঝতেই পারছে না। আব্বুকে অনেকদিন জিনিসপত্রের দাম নিয়ে অনুযোগ করতে শুনি না। সারাদিন খালি পেপার পড়ে। পেপারের মধ্যে যে কি পাইলো লোকটা! অবশ্য ট্রাফিক জ্যাম, পাবলিক বাস আর ধুলিমুখর এই শহরে আর কিইবা আছে, যার প্রতি আগ্রহ জন্মায়? ভার্চুয়াল জগতটাকে বরং অনেক উষ্ণ মনে হয়। অনেক নিরুত্তাপ, বৃক্ষের ছায়ার মতো একটা জায়গা।
সে মনে হয় বৃটিশ পিরিয়ডের কথা, চিটাগাং হোটেলে পরোটার দাম ছিলো দুই টাকা। ময়লাটে সাদা রঙএর ডালডায় ভাজা পরোটা আর সঙ্গে বুটের ডালের তরকারী ছিলো ফ্রি। তরকারী বলছি কারণ, ওর ভেতর থাকতো গিলা-কলিজা। এখন চিন্তা করা যায়? নিজের দোকানের বিক্রি বাড়াতে দোকানীর তখন এই ছিলো ব্যবসায়িক ফিকির। ভোর ছয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত ভীড় লেগে থাকতো। আমরা অবশ্য জাক্কু স্যারের (প্রিয় জাকারিয়া স্যার, আদর করেই জাক্কু ডাকতাম) পড়া শেষে সাতটার মধ্যেই সেখানে হাজির হয়ে যেতাম। ছয় থেকে দশ টাকা বরাদ্দ ছিলো সকালের নাস্তার জন্য। বেশ হয়ে যেতো ওর মধ্যেই। এখন চিন্তাই করা যায় না।
গোহাইল রোডের শেষ মাথায় একটা স্কুল ছিলো। কি জানি নাম ছিলো স্কুলটার। সন্ধ্যার সময় সেটার গেটের সামনে পাঞ্জাবী পড়া এক বুড়ো আলুর চপ ভাজতেন। শুধু একটাই আইটেম। আলুর চপ। ভর্তা করে খাওয়ার জন্য বিখ্যাত হাগড়াই আলু চামড়াসহ পরিস্কার করে ধুয়ে, ঝাল ঝাল মশলা দিয়ে মাখা হতো। ভাজা হতো কেরোসিনের বড় স্টোভে। উপরে বিট লবণ ছড়িয়ে এক টাকা দরে বিক্রি করা হতো। জিনিসটা আজ দশ বছর হয়েছে খাই নি। হঠাৎ মনে পড়ে গেল।
আরেকটা কাজ করে মজা পেতাম। দাওয়াতছাড়া বিয়ে খাওয়া। অবশ্য আমাদেরকে দাওয়াত দেয়ারও কোনো কারণ ছিলো না। তাই শুক্রবারের নামাজ পড়ে নিজেরাই কমিউনিটি সেন্টার খুঁজে বের করতাম। সেখানে যে বিয়েই হোক, কয়েকজন খুব ভাব ধরে ঢুকে পড়তাম। পাঞ্জাবী-টাঞ্জাবী পড়া থাকতো বলে কেউ কিছু বুঝতো না। সেরকম এক বিয়েতে ঢুকে একবার চেয়ে বসলাম, গরু। আশপাশে সবার চোখ গোল গোল হয়ে গেল। যে লোকটা খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, ভাই হিন্দু বিয়ায় গরু কই পাবেন? আমি সাথে সাথে কথা ঘুরানোর জন্য বললাম, আরে আজ-কাল কি আর ওসব মানে নাকি? তাও ভালো আপনারা মানেন। এই যে আমিও তো হিন্দু। কিন্তু ধুমায়ে গরু খাই।
আসলে আমার খাওয়া-দাওয়ায় কোনো বাছবিচার নেই। সর্বভূক'দের মতো খাই। তেমনি বই পড়া, মুভি দেখা, গান শোনা'তেও কোনো বাছবিচার নেই। এ প্রসঙ্গে অটোগ্রাফের কথা মনে পড়ে গেল। অরুণ চ্যাটার্জী মেয়েটির কাছে জানতে চাইছে, কি গান শোনেন?
-সব গান শুনি।
আচ্ছা, বলুন তো শেষ ভোজপুরি লোকসঙ্গীত কোনটা ভালো লেগেছে?
-ইয়ে ভোজপুরি লোকসঙ্গীতটা যেন কি?
তাহলেই বুঝুন গানের ক্ষেত্রে সব কথাটা বলে দেয়া সহজ নয়।
ডায়লগটা ভালোই লাগলো। আজ-কাল মানুষকে বিট্ দিতে পারলেই মনে হয় ইমপ্রেস করা সহজ। আমি একটু পেরেশানিতে আছি। কাউরে বিট্ দিতে পারতেসি না। অবশ্য মুভিটায় এরকম চমৎকার আরো কিছু ডায়লগ আছে। কোথাও কোথাও একটু বেশি ন্যাকা হয়ে গেছে। কিন্তু সবশেষে কথা একটাই, দারুন! কলকেতার বাংলা মুভি দেখার মুডে বসে, যে কেউ শেষতক মুগ্ধ হয়ে উঠতে পারেন।
আবার মুগ্ধ হওয়ার জন্যই দেখতে বসেছিলাম কারিয়োস্ত্রো নো শিরো। একটু মুভিটা দিয়ে কেবল একটা অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছি, একটা ফিয়াট গাড়ির ছাতে পাএর ওপর পা তুলে আধশোয়াভঙ্গিতে প্রকৃতির রূপলীলা দেখা শুরু করেছি। ব্যস্, শুরু হয়ে গেল টেনশন। অদৃশ্য সেই টেনশন আমাকে ঠেসে ধরে বিরাট একটা মুভির শেষ দেখিয়ে ছাড়লো। কিন্তু কিসের টেনশন বুঝলামই না। এই প্রসঙ্গে ব্লগার নাম নাই'কে কি একটা ধন্যবাদ দেবো? কিন্তু সে তো টেকিং আ হাইড।
ওদিকে জয়িতা আপু ইদানীং সবখানে মুখটা বাংলা ফাইভ করে রাখে। তার ইমো'ই হচ্ছে দুইটা। একটা ব্রোকেন হার্ট, আরেকটা আপসেট। এমনকি যদি একটা রুমান্তিক কবিতাও শুনাই, চোখ-মুখ শুকনো করে বলে 'না'। আজব একটা মানুষ! একদিন সবাই মিলে তাকে ধরে কাতুকুতু দেয়া শুরু করতে হবে। যতক্ষণ না সে মাপ চাইবে এবং ঐ দুইটা ইমো আর না দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করবে, ততক্ষণ ছাড়া হবে না। অবশ্য যাদের নিজেরই কাতুকুতু আছে, তারা অন্যকে দিতে ভয় পায়। লীনা আপুকে যদি বলি, একটু কাতুকুতু দেন তো, সে বলবে; না বাবা। কখন আবার আমাকে দিয়ে বসপে। আমার কিন্তু এই সমস্যা প্রায় নেই। শুধু সন্ধ্যার দিকে একটু একটু হাসি পায়। ভদ্রমহিলার বিরুদ্ধে আরেকটা অভিযোগ, তিনি লেখা-লেখি করেন খুবই কম। আসলে কি যে করেন, ওস্তাদই জানে ভালো।
অভিযোগ রয়েছে ব্লগের সব কবিদের প্রতিও। নাজনীন আপু, নাহীদ ভাই, রুমিয়া, লিজা এন্ড দ্য আদার্স। মিসিং অল য়ু'র্স লাইটনিংস্। ঝলকানি মিস করছি। একলব্যের পুনর্জন্ম জানে না তার লুকিয়ে ফেলা কবিতাগুলোর কথা আমার মনে থাকবে সবসময়।
মেসবাহ্ ভাইএর জানি কি হইসে। শুধু যেখানে তাকে কেউ টান দেয়, সেখানে এসে একটা ধমক মেরে চলে যায়। আমরা যে কয়েকজন বাড়তি লোক সারাদিন এই মহল্লায় ঘুরতেসি, দোকানে চা-বিড়ি খাচ্ছি, গুলতানি মারছি; সেদিকে ভ্রুক্ষেপই নাই! তাকে কত ভালো পাই সেইটা বুঝলোই না? এইটা কোনো কথা? এইটা কোনো কাম?
দুইজন বিগ বস্ হচ্ছে রায়হান ভাই আর মাসুম ভাই। পরেরজন আবার প্রথমজনের গুরু। পরেরজন অবশ্য আরো অনেকেরই গুরু। সেদিন রেঁস্তরায় বসে ঘন শ্যামদেশীয় ঝোল খাচ্ছিলুম। দুই ভাইএর কথা একসঙ্গে মনে পড়লো। একদিন এই দু'জনের সঙ্গে বসে ঘন ঝোল খেতে হবে।
এক বন্ধুকে সেদিন বললাম, চলো দুইজন সাউথ আফ্রিকা চলে যাই। পরে থাক জীবন-সংসার। তাকাবো না। মাগো মা, ফিরে আসছি না; ইতি তোমার আদরের রমা। রাজিই হলো না। বলে সামনে নাকি জীবন-মরণ এক্সাম। আচ্ছা কেউ নিজেই যদি না থাকে, তাহলে তার এক্সামের খাতাগুলো থেকে লাভটা কি? বুঝতে পারলাম না এখনও। ইত্যবসরে একটি কথা বলে নেয়া যেতে পারে, লীনা আপুর মতো নরম মনের মানুষ আমি খুবই কম দেখেছি। এবং শেষ কবে কাকে দেখেছি, বেশ ক'দিন ধরে চিন্তা করেও বের করতে পারছি না। ব্যক্তিগতভাবে তাকে আমি খুবই পছন্দ করি।
লাস্ট একটা কথা। মনিটরের কোণার যে ঘড়িটা, সেটাকে আমি ঘৃণা করি। ওর মতো দ্রুতগতির ঘড়ি আর কোথাও দেখি নি। লেখাটা শুরু করতে না করতেই বেলা গড়িয়ে গেল। কবিগুরু বলে গেছেন,
সুখ-আশে দিশে দিশে বেড়ায় কাতরে–
মরীচিকা ধরিতে চায় এ মরুপ্রান্তরে।
ফুরায় বেলা, ফুরায় খেলা, সন্ধ্যা হয়ে আসে–
কাঁদে তখন আকুল-মন, কাঁপে তরাসে।
তাই আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই। সবাইকে শুভেচ্ছা নিরন্তর।
---
(এই লেখাটা টুটুল ভাই, নাজ আপু এবং ঋহানকে উৎসর্গিত। )
মনিটরের কোনার ঘড়িটা আমারো চোখের কাঁটা।
কমেন্টে লাইকি।
বিয়াপুক হৈসে


আপনে একটু কোক-পানি খান
রাসেল ইন্তেকাল ফরমাইলেন ক্যান?
মীরের কাছ থেকে ছাড়া পাইছি। ওরে নিয়া ইদানিং খুব ভয়ের মধ্যে থাকি।হাজার হলেও পোলা ছোটবেলায় চিটাগাং ছিলো।
সবুজ বোতলে কোক??দেখে তো সজু মনে হয়।আর পাশের মগে তো গো-চোনা।ওয়াক থু।।
কিছুক্ষন আগে কফি খাইছি।
অটোগ্রাফ মুভিটা এককথায় খুব ভালো লাগছে। গানগুলা তো দারুণ। এই দেখেন
এর মধ্যেই কাল আমি কালো মানুষটা রোদ, গরমের আদরে লাল ফোসকায় লাল হয়ে গেছি। এরপরও কেমনে দাঁত বাইর করে রাখুম কন?
আপনার এই পোষ্ট পড়ার আগে একজায়গায় ব্রোকেন হার্ট আর স্যাড ইমো দিয়া আসলাম। এসে দেখি এই কান্ড।
জয়িতাপু এক জায়গায় দারোয়ানের চাকরী করে।পরশু নানান ক্যাচালের কারণে রাত দুইটা পর্যন্ত দারোয়ানের ডিউটি দিয়ে বাসায় গেলাম। ভাবলাম, নো মোর অফিস, কাল অনেক ঘুমাবো।ভোরবেলায় আম্মার ফোন, আমার বস আম্মার মোবাইলে ফোন করে আমাকে চাইছে কেন, সেই টেনশনে অস্থির। বললাম, ঘুমের মধ্যে বুঝতেছিনা কাহিনী, পরে বলবো। সকাল ৮ টায় দেখি অফিস থেকে ফোন।ফোন বালিশের নীচে রেখে দিলাম আবার ঘুম। একটু পরে পিওনের বেল বাসায়, কোনরকম চোখে পানি দিয়ে দৌড়াইলাম।সেই দৌড় চললো বিকাল পর্যন্ত। মাঝখানে এক দোকানদার ফোন করে কয়, আপা আপনার জন্য বন্ধের দিন দোকান খোলা রেখে কেস খামু, জলদি আসেন। গেলাম সেখানে, দেখি দোকানদার শাটার একটুখানি খোলা রেখে শাটারের নীচ দিয়ে করুণ মুখে তাকায়া আছে।তার কাছে থেকে দৌড়ের মধ্যে এক বোনের নানা রকমের জিনিসপত্র নিলাম, সেগুলা আজ কানাডা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।বিকালে ছবির হাট কাতুকুতু আপার সাথে। আম্মার শরীরটা একটু খারাপ। সারাক্ষণ আম্মার খোঁজ।তারপরও রাতে আবার দারোয়ানের ডাক পড়লো।
তার মধ্যে আপনি আজকাল শুরু করছেন বিটলামি। পোষ্ট দিতে বললে করেন গাইগুই।শান্তি নাই কুথাও।
এইজন্য কই ছাতি আপার একটা আমব্রেলা ব্রাদার জুরুরী।

আাজকের ইমো দুইটা পছন্দ হৈসে।
যত কাজ তত হাসি, বলে গেছে নন্দী মাসি
আমার একটা অমব্রেলা জরুরী। পাঠাইয়েন তো! @ রাসেল।
@ মীর
কাল যাবো নরসিংদী। আপনার দাওয়াত।
আসল ঘটনা কই তাইলে, বসের মোবাইল বদলাইছে। আমারে কইলো , মাহপুজা তোমার পোন নম্বরটা দাও তো! আমি নিজেই আমার নাম্বারটা সেভ করে দিলাম। উনি ফোন করে দেখলেন আমার মা ফোন ধরছে। আমি যে মার নম্বরটাই উনাকে নিজের ফোন নম্বর ভেবে দিয়ে দিলাম, সেটা বুঝলাম।গড জানে এই ভুল আরো করছি কিনা। তাইলে তো কেউ, হ্যালো শুনতে ভালো লাগে বলে এস এম এস পাঠাইলে আম্মার প্রেশার যাইবো বাইড়া।
আমি কি আমব্রেলার বিজনেস করি নাকি??
যে ফোন করে খালি হ্যালো শুনে তারে এত না ঝুলিয়ে মাথার উপরের আমব্রেলা বানালেই হয়।
আর তা না হলে কাকারে কন।উনার কাছে ম্যালা পাত্র আছে।
আরে মিয়া যে ফোন করে তারে তো আমি চিনি না। গভীর রাতে ফোন করে। এসএম এস করে ভোর বেলায়---ভালো থেকো তুমি।
হেতে যে কে, আল্লাহ মালুম।
বিজনেস না করলে কিনে পাঠান।
মেজাজ খারাপ হইলো। সবার আগে আমি কমেন্ট লিখতে বসলাম। আমার কমেন্ট এত পরে কেন?

ঠিক হয়েছে
মেসবাহ্ ভাইএর জানি কি হইসে। শুধু যেখানে তাকে কেউ টান দেয়, সেখানে এসে একটা ধমক মেরে চলে যায়। আমরা যে কয়েকজন বাড়তি লোক সারাদিন এই মহল্লায় ঘুরতেসি, দোকানে চা-বিড়ি খাচ্ছি, গুলতানি মারছি; সেদিকে ভ্রুক্ষেপই নাই! তাকে কত ভালো পাই সেইটা বুঝলোই না? এইটা কোনো কথা? এইটা কোনো কাম?
একদম হাসা কতা
লেখা সেইরম
আপনার প্রথম লেখাটা পড়ে আমিও স্টিভ হয়ে গিয়েছিলাম।
কি যে কও !! তুমিতো স্টার ব্লগার
আমি ভাই ছড়া লিখি গদ্য লিখতে পারি না। 
মীর স্টার ব্লগার এইটা হয়তো শতভাগ সত্যি (স্টার ব্লগার জিনিসটা কি!)। মীর দারুণ লেখক এইটা হলো আমার রায়। কিন্তু তুমি ছড়ায় আছো গদ্যে নয় এইটা মানলাম না। গদ্যে তোমার দখল দেখেছি বলে বলবো, তুমি গদ্যে চমৎকার।
স্টার ব্লগার হইলো যে স্টারে সকল ব্লগারদের কাচ্চি খাওয়ায়
হ।
১. এই পোস্ট লাইক্করা কর্তব্য
২. এই পোস্ট পছন্দ করা কর্তব্য
৩. এই পোস্ট প্রিয়তে নেয়া জাতীয় কর্তব্যের মধ্যে পরে
মীরের লেখা নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা বহুত আগেই হারাইছি
... তয় যেইটা দিতারি সেইটা হইলো 


এরপর
আর মীর বাসায় যাওয়ার টাইমে
টুটুল ভাইএর এই কমেন্টের উত্তর দেয়া কি সম্ভব? কোনো আদমসন্তানের পক্ষে? বলি মানুষের লজ্জা-শরমেরও তো একটা বিষয় থাকে, নাকি?
যাক্; রিয়েল থ্যাংক্স ব্রো এবং আবার বলছি, আমার মতো বেলাজ-বেহায়াও ঈষৎ লজ্জিত।
আর একটা বিষয়, আপনের এই কোকটা নিয়ে সুধীমহলে নানাবিধ ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত, সেটা দেখেছেন নিশ্চই। তবে আমি বলবো, এটা শতভাগ কোকই। এতে কোনো অসাধু উপাদান নেই। সারাদিন খাচ্ছি কিছু হচ্ছে না। এ থেকেও বোঝা যায় এটা নিতান্ত কোক। তাই আমার রিকুশ, আপনি এ ইমো বদলাবেন না। কেননা এটা আবার আমার এক বন্ধুর ফেভারিট।
আমি আবার কী করলাম ? খালী গত ৪০ দিন এলাহী রকমের ব্যস্ত ছিলাম। আসেন্না একদিন আড্ডাই, চা-বিড়ি খাই...
আসবো বস্। খালি একটু ভয়ে ভয়ে আছি বলে পেরে উঠছি না। ভয়টা কেটে গেলেই চলে আসপো। এবং তখন আপনাদের তিক্ত-বিরক্ত করে জ্বালিয়ে খাবো।
আর দেখা দিসেন এ নিয়ে লুক-জন নানা কথা বলতে পারে, আমি কিন্তুক জানতাম যে আপনে দেখা দিবেন। ভাই-ভাইএর একটা বিষয় আছে না?
ভাই, আজকে HRM Presentation. আর আগামী রবিবার Managerial Finance এর Mid-Term. Finance এর সব কিছুই মাথার কয়েক হাত উপর দিয়া যাইতেছে। তাই ভাবছিলাম, আজকের পোষ্ট দিয়া সোমবার পর্যন্ত ডুব দিমু। এর মাঝেই আপনি পোষ্ট দিলেন
, না পড়ে তো থাকা যায় না। তাও আবার উৎসর্গ'তে নিজের নাম খানা দেখতে পারতেছি, এই লেখায় এই মুহুর্তে কমেন্ট না করে বসে থাকা অপরাদের সামিল।
হ্যাঁ, আসলেই ঘড়ির কাটা'টা যে কিভাবে এত দ্রুত ঘুরে
সবশেষে আপনাকে অনেক থ্যাঙ্কস!
, তাই সে মীর চাচ্চু'র থেকে কিচ্ছু নিবে না
"
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কথা হচ্ছে, ঋহান আপনার উৎসর্গ গ্রহন করে নাই। সে বলছে "মীর চাচ্চু তারে কোলে নিলো না
আপনি তাকে একটু বলেন না, এইবার এটা নিয়ে নিতে। এরপরে চাচ্চু এসে কোলে নিয়ে চকলেটের বদভ্যাসটা ধরিয়ে দিয়ে যাবে।
এইটা কে? ঋহান নাকি?
হু
আব্বুটাকে একটু আদর করে দেন।
লেখালেখি হচ্ছেনারে ভাই অনেকদিন থেকে।কিন্তু এখানে আমি থাকি দিনের বেশীর ভাগ সময়ই।অফলাইনে তোমাদের লেখাগুলো পড়ি।(অনিবার্যকারণবশতঃ অনলাইনে আসিনা :
)
ভাল থাকো আর এভাবেই ভাল ভাল লেখাগুলো দিয়ে আমাদেরদ মুগ্ধ করে রাখো।
ওকে ডিয়ার। লেখালেখি হচ্ছে না ঠিক আছে, কিন্তু হলে কিন্তু পালাতে পারবেন না।
আরে কারিওসুতোরো দেইখা ফেলছেন! ঐটা আমি জীবনে একবার দেখছি মাত্র, তাও অনেক আগে। 'পোরকো রোসো' দেখছেন? ঐটা জটিল, পুরানো হলিউডি ফিল্ম দেখার মজা পাওয়া যায়
নতুন দেখলাম ধোবি ঘাট। ফিল্মটা নিয়ে এতো হাউকাউয়ের কারন বুঝলামনা, ইন্ডিয়ানরা ঠিকঠাক ইন্ডি ফিল্ম বানানো শুরু করছে, এর বাইরে মুভিটাতে এতো মুগ্ধ হবার মত কিছু পাই নাই।
নাম নাই, নাজনীন খলিল, মেসবাহ য়াযাদ.. হাজির হে
বাই দ্যা অয়ে, ব্লগে কিন্তু এখন লীনা দুইজন। কার কথা কন, পারলিক প্যাঁচ লাগায়ে ফেলবে তো। সো, তাদের দুইজন'কে নম্বর দিয়া ডাকেন। লীনা নম্বর ওয়ান আর লিনা নম্বর টু
আর হ্যাঁ,
আপনের বয়স কত?
নাজের সাথে একমত। নাম হৈতারে এরাম :
লীনা দিলরুবা = শেয়ার লীনা / পুলিশ লীনা / আন্ডা লীনা
লীনা ফেরদৌসী = কাচ্চি লীনা / জ্বিন লীনা / অঞ্জু লীনা / পিছলা লীনা
আমার প্রস্তাবনা জানাইলাম। কেউ ক্ষেপলে নিজ দায়িত্বে ক্ষেপবেন
সবই বুঝলাম, পিছলা লিনা বুঝলাম না !!!!!!!!!!!!!!....আপনি কি আমারে ধরতে চাইছিলেন
পিছলাইয়া গেছি?
সেইটা কি স্বাভাবিক না?
আমাদের নাম আমরা দিলাম
সুখুলিনা ( লিনা দিলরুবার ধারণা আমি খুব সুখি) 
দুখুলিনা ( লিনা দিলরুবার ধারণা ও খুব দুখি ) 
ওরেরে, হাহাচোপা(হাস্তেহাস্তেচোক্ষেপানি)।
ওরে লীনা কী কমেন্ট করলা। তোমার জন্য এক প্লেট চটপটি বরাদ্দ হইল।
আমার তরফ থেকে লীনারে এক প্লেট কাচ্চি

সবাই এতো হাসাহাসি শুরু করে দিলো যে, আমি কমেন্টের কি উত্তর দিতে চাইসিলাম সেটা ভুলে গেছি। নাজ আপুকে বরং প্রচুর পরিমাণে ফ্রেশ ধইন্যাপাতা দিয়ে দিই।

আমি এখনো ৭ বছর আগের বাংলাদেশকে নিয়ে পরে আছি। সেই সময়ে যা কিছু দেখেছি , সে সময় যা যেরকম ছিলো , দাম কেমন আছি ...... ইত্যাদি এখনো মনে হয় সেই রকমই আছে সেটা ভেবে যাই বেকুবের মতো। অথচ কত পরিবর্তন হয়েছে, ২ টাকার চা এখন কতো ?
২০ টাকায় ৫ টা বেনসন কি পাওয়া যায় ? ১২ টাকায় কি এখনো বিআরটিসি বাসে মতিঝিল যাওয়া যায় ? সব ভুলে গেছি........ বন্ধুরা যখন বসে দোস্ত ৬০ হাজার পোষায় না, ১ লাখে পোষায় না তখন অবাক হই ! অথচ আমরাই এক সময় ১২০০ টাকা নিয়ে কক্সবাজার - চট্টগ্রাম - রাঙামাটি বেড়িয়েছি, ১০০ টাকার হোটেলে থেকেছি শেয়ার করে...... বাসায় যখন বলে অমুক জিনিসের দাম এতো তখন বিশ্বাস হয়ে না ।
আমি পড়া - শোনা - দেখার ক্ষেত্রে সর্বভুক ....... বাজারের ফর্দ থেকে রসকষহীন রিসার্স জার্নাল ...... চটি থেকে শুরু করে গাবদা সাাইজের উচ্চমার্গীয় বই........ ঢাকাইয়া বাংলা মুভি থেকে শুরু করে মাথার উপ্রে দেয়া ফালতু আর্ট ফিল্প দেখি........ শরফুদ্দীনের গান থেকে শুরু করে ক্ল্যাসিকেল শুনি....... যখন যেইটা ভালো লাগে।
২ টাকায় এখনো চা পাওয়া যায়। আমি মাঝে মাঝে খাই। ভালো লাগে। কিন্তু চাইলেও তো আসলে দুই টাকা দাম রাখতে পারেন না দোকানী। এক কৌটা কনডেন্সড মিল্ক মনে হয় ৫০ টাকা। যেটা ২৯ টাকা বা এমন কোনো একটা দামে পাওয়া যেতো একসময়। একটা মজার বিষয় হচ্ছে, গত আট-দশ বছরে এদেশে সবকিছুর দাম বেড়েছে শুধু পত্রিকার দাম বাড়ে নি।
সুমন ভাই কেমন আছেন? গোলাগুলি বন্ধ ক্যানো?
বাপরে! ব্যাপক
পুরোনো একটা কমেন্টের কথা মনে পড়ে গেল ম্যাডাম।
আজকে এট্টা বাংলা সিনেমার গান শুনলাম,
আমি যে ভালোবাসার কাঙালি
ভালোবেসে হতে চাই খাঁটি বাঙালি
ভালোবেসে (প্রেম টাইপ) কেম্নে খাঁটি বাঙালি হওয়া যায় । ব্যাপুক গবেষনা করেও বুঝলুম না ।
সেখানে সম্ভবত বাঙাল'কে কাঙাল বলে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী এর সঙ্গে একটি বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গূঢ যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যপারে সরকার দলীয় নেত্রী বলেছেন, এটি বিরোধীদলের ঈর্ষাজাত উস্কানি। এখন বিরোধীদল কি বলে জানতে চাই।
অফিসে থাকলে মনিটরের কোনার ঘড়িটাকে ভালু পাই
বাসায় থাকলে না
আপনি একজন সুন্দরী ভদ্রমহিলা হয়েও অফিসের ঘড়িটাকে ভালু পান! ওয়াই ম্যান?
মীর চলেন, তিন ভাই মিলে একদির জমাইয়া আড্ডা দেই, সঙ্গে পর্যবেক্ষকরাও থাকুক।
অভাজন কিন্তু লজ্জা পাচ্ছে ভীষণ।
সিরিয়াসলি বলি মাসুম ভাই, একদিন অবশ্যই আড্ডাবো। কিন্তু আমার তো সাহস খুবই কম, তাই আগে সাহস সঞ্চয়ের সুযোগ চাই; দিতে হপে, দিতেই হপে।
তোমারে কইলাম বড় সাহেব পীরের মাজারের তাবিজ আর ঐ মাজারের পুকুরের পানি খাইতে তাইলে সাহস বাড়তো।

কোলকাতার বাংলা ছবিগুলোর ধরণ অনেক বদলে গেছে। শুকনো লঙ্কা দেখছেন মীর?
সেদিন দেখেছি।আমার কাছে বেশী ভালো লাগে নাই।
আবহমান বা অটোগ্রাফ লেভেলের না, কিন্তু অংশুমানের ছবির অনেক নাম শুনে দেখতে বসেছিলাম। ভাল লাগে নাই। সে তুলনায় শুকনো লঙ্কা বেটার।
''অংশুমানের ছবি'' এই নামটা কেন দিসে বুঝি নাই।খুন খারাবী করে সিনেমাটার বারোটা বাজাইছে।
শুকনো লঙ্কা দেখি নি। তবে অচিরেই দেখতে চাই।
লেখাটা পড়ার পরে মন্তব্য পড়তে পড়তে কী মন্তব্য করুম ভুইলা গেছি
বস্ আপনারে দেখার পর আমিও কি কি মন্তব্য করতে চাইছিলাম ভুলে গেছি।
ও, জিগাইতে চাইছিলাম শিরোনামের অর্থ কী? মুর্খ মানুষ, বিদেশী ভাষা বুঝি না
লাভ য়ু অল, অলওয়েজ
আপনার লেখাগুলো পড়তে ভালো লাগে।
কামাল ভাইএর কমেন্ট পেলেও ভালো লাগে।
আর আপনার কাছে নতুন লেখা চাচ্ছি আরো।
মন্তব্য করুন