জলভেজা পাহাড়ে উদাসী মেঘের ভেলা
পিরীতে সাজায়েছি রো বাসরের বাঁশি
সুরে সুরে সুরোমালা ভেতরে ফাঁকি
প্রতিভাবানেরা সবসময় নিজ নিজ প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেন বলে মনে হয় না। আমি আগেও একবার একজন বন্ধুর কথা বলেছিলাম, রবীন্দ্র গানের শিল্পী। শুধু শিল্পী বললে মনে হয় ভুল হবে। চমৎকার একজন শিল্পী। তার প্রতি আমার পরামর্শ ছিলো, জীবনে অন্য সবকিছু বাদ দিয়ে শুধু গান করতে হবে। এমনকি অন্য সব গান বাদ দিয়ে শুধু রবীঠাকুরের গান করতে হবে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, বুদ্ধু শুধু রবীন্দ্র গান করে কি পুরো জীবন পার করে দিতে পারবো? আমার কি কখনোই আজকের মতো করে হাসতে-খেলতে-গাইতে ইচ্ছে করবে না? বললাম, রবীঠাকুরের কাছে সবই আছে। এমনকি তিনি আজি হতে শতবর্ষ পরে কি হবে তাও ভেবে গেছেন। লিখে গেছেন। বন্ধু বললেন, ওরে নারে, সেই শতবর্ষ পার হয়েছে। রবীঠাকুরের আবেদন একবিন্দুও কমে নি সত্যি, তবে আরো অনেক অনেক আবেদন যে তৈরী হয়েছে। আমার যখন রবীন্দ্র গান গাইতে ইচ্ছে করে তখন সেটা গাই। আবার যখন অন্যকিছু গাইতে ইচ্ছে করে তখন অন্যকিছু গাই। কেন তুই বুঝি একেক সময় একেকরকম গান শুনিস না? যখন যেটা ইচ্ছে করবে, সেটা করাই তো সবচে' দরকারী; তাই না? বললাম, তাইতো তাইতো। দেখি অন্যরকম গান শোনাও।
সেবার বেড়াতে গিয়েছিলাম ওদের পাহাড়ে। ভাটিয়ারী’র পাহাড়ঘেরা পথ। সমুদ্রসজীব বাতাস আর সবুজ দিগন্ত। আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া নাম না জানা শাদা পাখি। মনে হচ্ছে বৃষ্টি হয়ে গেছে কিছু আগেই। আশপাশে ভেজা ভেজা চনমনে গন্ধ। মেঘের ভেলাগুলো এত কাছে যে মনে হয়, হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। বহুদিন পর পুরোনো ইয়ামাহা এন্টিকা ১৫০ সিসি’তে চড়ে পাহাড়ী পথে ঘুরলাম। ওস্তাদ গলাও একটা দিয়েছিলেন মেয়েটিকে। পুরো কাঁসায় তৈরী। প্রতিটি শব্দ এত ঝকঝকে আর সুরগুলো নির্ভুল, তন্ময় হয়ে ওর গান শুনছিলাম। আগে যদি জানতাম রে বন্ধু, তুমি হইবা পর…।
গান শুনে বললাম, এই রে মনটা উদাস করে দিলি। এবার একটা ভালো গান শোনা। কেন? যেটা গাইলাম সেটা ভালো ছিলো না? বললাম, তাতো ছিলোই। সেজন্যই তো উদাস হলাম। এখন মনটা ঠিক করে দিবি না? সে বললো, অতো উদাস হোস নে বাপু। পাহাড়ী ঢালু রাস্তা, একটু সাবধানে চালা। তোর না হয় আগে-পিছে কিছু নাই। আমার নতুন বিয়া হইসে। এখন মরে গেলে মনভরে জামাইটার আদর না নিতে পারার আফসোসই রয়ে যাবে অনেকদিন।
আমি সাবধান হলাম। সে এরপরে মনটা আরো উদাস করে দেয়ার জন্য শুরু করলো, ফুল কান্দে পাখি কান্দে, কান্দে গাঙ্গের পার…।
---
হ! আগে যদি জানতাম রে বন্ধু, তুমি আইবা না সামনে
কতোদিন পর একটা ব্লগ পোস্ট পড়লাম মনে হয়...কবিতা গল্প ছাড়া আর কিছুতো পড়া হয় না আজকাল...
মীরের সব কিছুই এতো জীবন্ত মনে হয়। দৃশ্যকল্প তৈরিতে মীর অসাধারণ।
চমৎকার একটা লেখা পড়ে দিন শুরু করলাম। তবে একটু বেশি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল, মীর। আরেকটু লিখলে ভালো হত।
সাতটার সময় দিন শুরু হইলে এখন কি? বিকাল?
হইলে একটা লাইভ ছবি দেন। অনেকদিন ছবি দেখি না।
হু, এখন বিকাল ৫টা, কেবল ক্লাস থেকে ফিরলাম।
এটারে বলে এখানে বলে সেন্ট্রাল স্ট্যান্ডার্ড টাইম।
"বলে" ২ বার হয়ে গেসে!
মেসেজ এডিটের অপশন চাই!
মীরের একটা খারাপ পোস্টের লিঙ্ক খুঁজতেছি... যেইটা পইড়া বলা যাবে ফালতু লেখা
মন উদাস করনের পোস্ট।
দারুন!
মিছা কথা। প্রতিভাবান মীর নিজ প্রতিভার পুরো সুবিচার করছে।
মাসুম ভাইর কমেন্ট এর সাথে সহমত,
শেষের গানডা শুনলে কিরাম উদাস উদাস লাগে !! লেখা সুস্বাদু হইছে
আপনি একটা ঝা তা। যা লিখেন তাই অসাধারণ। কেমনে পারেন? সারাজীবন ধরেই অসাধারণ লিখবেন। গান শুনবো এখন। সকালবেলায় দারুণ সব পোষ্ট পড়তেছি। চা খান।
মাসুম ভাইয়ের সঙ্গে আমিও একমত। আপনার দৃশ্যকল্প তৈরি করার ক্ষমতা অসাধারণ। আপনি কি কোনোভাবে নাটকের সঙ্গে জড়িত? আমার ধারণা, আপনি নাটক লিখলে সেটি চমৎকার হবে!
মন্তব্য করুন