আমার সোনালী হলুদ সূর্য ডোবার কিনারায়
মাঝে মাঝে সিরিয়াস রকম উইয়ার্ড (weird) অবস্থা তৈরী হয়। ভদ্রলোকী-অভদ্রলোকী কোনো কাজ করেই মন ওঠে না। এমন হলে খুব নাজুক পরিস্থিতিতে পড়ে যাই। কেননা আমার দু'টো মুখোশ আছে। দু'টোই যখন আমাকে আড়াল করতে ব্যর্থ হয় তখন ভেতরে ভেতরে অস্থির না হয়ে পারি না। অস্থিরতা কমাতে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম সেদিন। 'না না আজকে আমি জামাইএর সঙ্গে বাইরে যাবো। তুমি চলে যাও।' দ্রুত স্থানত্যাগ করলাম।
সে সময় কেন জানি মাথার ভেতর তিন পাগলের হলো মেলা গানটি বাজছিলো। লালন সাঁইএর তিন গুরু- শ্রীচৈতন্যদেব, শ্রী নিত্যানন্দ ও অদ্বৈত আচার্য। পনেরো শতকে জন্ম নেয়া তিন বাউন্ডুলে। আবার তিন বৃহত্তম মানবপ্রেমিক। আমার পরিচিত আরো দুই মানবপ্রেমিক হচ্ছেন, স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ। এরা আবার উনিশ শতকের মানুষ। মনে পড়ে গেল একটি গল্প।
একবার শ্রী নিত্যানন্দ কৃষ্ণের নাম জপ করতে করতে রাস্তা ধরে তন্ময় হেঁটে যাচ্ছিলেন। জগাই আর মাধাই নামে দুই মদ্যপ তাঁর দিকে মাটির পাত্র ছুঁড়ে মারে। সেটি মাথায় লেগে রক্তারক্তি ঘটে গেলে নিত্যানন্দ বলেছিলেন,
মেরেছিস কলসির কানা
তাই বলে কি প্রেম দেবো না।
এই গল্পটা মনে হতেই বুঝে ফেললাম তিন পাগল আমার মাথায় ঘুরছে কেন? সেইদিন ইমন জুবায়েরের ব্লগে এ বিষয়ে একটি তথ্যবহুল লেখা পড়েছিলাম।
হাঁটতে হাঁটতে ভাটিয়ারীর আর্মি ক্যম্পে চলে এসেছি। এখানে একটা খাঁড়িমতোন আছে। আমার সেটার কিনারায় বসে সোনালী হলুদ রংএর সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখতে ভালো লাগে। এসময় আত্মিক সুখ-সুবিধা অনেক তুচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। ঢাকায় যখন থাকি, তখন মাঝে মাঝে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু পার হয়ে, গ্রামের দিকে চলে যাই। সূর্যাস্ত দেখতে। সূর্য ডুবে যাওয়া যতবার দেখি ততবার আমার মনটা রাইট ক্লিকে রিফ্রেশ হয়ে যায়। পৃথিবীতে প্রতিদিন এই এক দৃশ্যের মঞ্চায়ন হয়, শুধু একটি কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য; তুমি আছো আজ, একদিন থাকবে না, একদিন তোমার জায়গাটি নিয়ে নেবে অন্য কেউ।
সবশেষে আমি অপার হয়ে বসে আছি।
---
চিরন্তুন সত্য ...
তবে একটা করতে পারে... রাইট ক্লিক দিয়া রিফ্রেস না কইরা.. Ctrl+F5 চাইপেন... অনেক দ্রুত অনেক বার চাপা যায়
আইচ্ছা তাইলে কনদি' অনেকবার রিফ্রেশ চাপা আর একবার রিফ্রেশ চাপার মধ্যে পার্থক্য কি?
আম্রাতো কেউ একবার রিফ্রেস দেই না
... অনেক বার দেই
আর অনেকবার দিতে এফফাইভ 
আমি একবার রিফ্রেশই ঠিকমতো দিতে পার্তেসি না। বার্বার হ্যাং হয়ে যায়।
১. আজকা শাহবাগ না গেলে চলে যাইতাম বশিলা সূর্যাস্ত দেখতে
২. সাঁইজির গানের জন্য থ্যান্কস। বিকাল পর্যন্ত্য এইটাই চলবে
৩. মনের মানুষ দেখছেন? প্রসেনজিৎরে আমার খুব একটা ভালো লাগেনা। সাইজির ভূমিকায় নেয়া হইলে আশাহত হইছিলাম। মানাইবনা ভাবছিলাম। কিন্তু ছবি দেখে অভিভূত, চমৎকৃত। জোস অভিনয় করছে। শুধু কলকাত্তীয় টোন ছাড়া পারফেক্ট।
রায়হান ভাই, গরীবের কথা বাসি হৈলে ফলে
এই জায়গার কথা কিন্তু আমি অনেকবার কৈছিলাম। 'ছবিহাটা' হৈতে পারে সেখানে। ব্রীজটা দারুণ, ব্রীজ পার হলে পুরো একটা গ্রাম।
মনের মানুষ দেখি নাই। প্রসেনজিতের একটা মুভিতে অভিনয় খুবই ভাল্লাগসে। সেইটা হলো অটোগ্রাফ। আর কোনো মুভি দেখসি কি না, মনে করতে পারছি না। ছোটবেলায় দেখে থাকতেও পারি। তখন ছিলো ফিতার ক্যাসেট আর ভিসিআরএর যুগ। একেকটা ছবির ভাড়া দশ টাকা।
@ রায়হান ভাই
গানগুলো খোঁজার সময় আপনের কথাই ভাবছিলাম
ওকে গরীবের কথাই সই। নেক্সট ছবিহাটা বশিলা।
মনের মানুষ সবমিলিয়ে আমার কাছে খুবই ভাল লাগছে। দারুণ একটা ছবি।
বশিলা নদীর কথা সেইদিন কার কাছে যেন শুনলাম, সামনের হাটা সেই দিকেই যাইতে চাই!...
মীরের তাইলে সুমতি হৈছে
রিফ্রেস হবার কায়দা কানুন জানা থাকা ভালো, গান শুনে আর ঘুরাফিরা করে যদি সেটি হয়ে যায় কত মজা.......আরো একটা উপায় আছে! ব্লগে রোজ পোস্ট দিয়েন, তাইলে কোন কিছু না করেই মনটা একদম চাঙা থাকবে
আপনেও তো প্রত্যেকদিন পোস্ট দ্যান না। তাইলে তো আমিও দিই।
আপনার পোস্ট দেবার কথার মধ্যে আমারে টানেন কেন?! আমি এত লেখতে পারি না, আপনারে লেখতে কৈছি লেখবেন। কথা শেষ
তিন পাগলের হ্ল মেলা গানটা শুনতাম আজকে ক্লিয়ার হ্ল
সূর্যাস্তের সময় আত্মিক সুখ-সুবিধা অনেক তুচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় মনে হয়- খুব সত্যি কথা
কাল প্রায় সারারাত জেগে ছিলাম, কাজের ব্যস্ততায়, সকালে ক্লাস নিয়ে ফিরে এই লেখাটা পড়ে "রাইট-ক্লিক-রিফ্রেশড" এফেক্ট হইলো।
ভালো লেখা দেয়ার জন্য একটা দারুন গান দিলাম আপনাকে। পথের পরান -- শুনে দ্যাখেন।
এই ধরনের অবস্থার ভেতর দিয়ে মনে হয় সবাইকে যেতে হয়! আপনি কী চিটাগাং থাকেন?
প্রসেনজিতের দোসর ছবিটা দেখো মীর। যদিও প্রসেনজিতের গুন নাই সেটা হলো পরিচালকের গুন।
লালন আমারো খুব প্রিয়। ফরিদা পারভীন। আর একটা গান খুব ভালো লাগে ওনার, তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদের নাম.....................।।
তোমার পোষ্ট পড়া শুরু করি নাম দিয়ে "সূর্য ডোবার পালা। আসে যদি আসুক বেশতো বেশতো"
দেইখেন।
ক-ত-দি-ন বসিলা ব্রিজে যেতে চাইলাম, গ্রামটাতেও, কিন্তু সঙ্গীসাথীরা বারবারই ধোকা দিয়েছে।
এইটাতে সারা সিনেমা প্রসেনজিত শুয়েই ছিলো।
প্রসেনজিতের আরেকটা সিনেমা ভালো লেগেছে তার নাম হচ্ছে ''খেলা'' আর ছোটবেলায় একটা দেখেছিলাম সেখানে প্রসেনজিতে মা মারা যায় দিয়ে বেলুনে করে চিঠি পাঠায়।
দুটো গানের পর শেষ পর্যন্ত কিছু কথা থেকেই যায়। কথাগুলো অনুচ্চ, কিংবা সহজ করে বললে "...অমৃত মেঘের বারি, শুধু মুখের কথায় কি মেলে হে চাতক! স্বভাব না হলে!"
রিফ্রেশ করা ম্যালা ভেজালের কাজ!!...
আমি আছি আজ, একদিন আমি থাকবো না, একদিন আমার জায়গাটি নিয়ে নেবে অন্য কেউ।
মন্তব্য করুন