‘ভৃত্য হবার দায়, হায় এড়াই কিসে’
পৃথিবীর সবকিছু ক্রমে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ, এক্কেবারে খাঁটি চাঁপাই'এর আম; তাদের জন্য। যারা সাধারণের স্তর থেকে উপরে উঠেছেন, তাদের জন্য আবার সবকিছু সহজ। সাবলীল ও মসৃণ।
বিষয়টা অনেকটা ব্যংকক-সিঙ্গাপুর-হংকং'এর ট্রাফিক ব্যবস্থার মতো। আমি নিজে এসব জায়গায় কখনো যাই নি। মানুষের মুখে শুনেছি। সেখানে অপেক্ষাকৃত কম যান চলাচলকারী রাস্তা দিয়ে চলতে হলে বেশি পয়সা গোনা লাগে। যাদের সে সামর্থ্য নেই, তারা যানজটে আটকে থাকে। আমাদেরও আজ সেই দশা।
উল্লিখিত জায়গাগুলো বাংলাদেশের চেয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উন্নত। তার মানে আমাদেরও জাতিগত উন্নতি ঘটছে। কারণ আমাদের গরীবরা প্রতিদিন আরো গরীব হচ্ছে। আর ধনীরা প্রতিদিন আরো ধনী। পয়সা নাই, ফাঁকে যাও। পয়সা আছে, আরাম নাও।
দুর্ভাগ্যবশত আমি প্রথম শ্রেণীর মানুষ। দিন দিন তাই আমার জন্য জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। আগে ৫০০ টাকায় যে বাজার করতে পারতাম, এখন ১০০০ টাকায় তা করতে পারি না। খুব বেশি আগের কথা বলছি না। ২০০৭-এও অবস্থা অনেক সহনীয় ছিলো।
পাঁচ বছর আগেই বা কেন যাই? ২০১০-এর শেষেও পেট্রল, অকটেন সবকিছুর দাম ছিলো ৭০ এর ঘরে। এখন ২০১২'র শুরুতে সবকিছু ৯০-এর ঘরে। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ফল করেছে উল্লেখযোগ্য হারে। যে কারণে মেইনটেনেন্স কস্টও বেড়েছে প্রায় একই হারে। ফলাফল, আগে যেখানে যাতায়াত ব্যয় সর্বসাকুল্যে দুই হাজার টাকা খরচ হতো মাসে; এখন সেটা গিয়ে ঠেকেছে প্রায় পাঁচ হাজারে। ১৫০% বেশি। এই হিসাব রিকশা, বাস, মটরসাইকেল, প্রাইভেট কার সবকিছুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ফিরে আসি বাজারদরে। ৫০ টাকা কেজির নিচে খাওয়ার মতো কোনো চাল নেই। কি সেলুকাস! খুঁজে খুঁজে একটা রেস্টুরেন্ট বের করুন, যেখানে অন্তত দুই বছর যান নি। সেখান যান এবং গিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়ুন। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম পাবেন অন্তত দ্বিগুণ। বাটিগুলোর সাইজ দেখবেন অর্ধেক হয়ে গেছে। শুধু এই নয়। রেস্টুরেন্টগুলোর ওয়েটারদের ব্যবহারও দেখবেন সমানুপাতিক হারে খারাপ হয়ে গেছে।
এই একটা মজার বিষয়। জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি ইফেক্ট তৈরি করছে মানুষের মনে। ইদানীং অপরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে দেখবেন অকারণে খারাপ ব্যবহার পেতে হয়। রিকশাওয়ালা গায়ের জোরে প্যাডেল ঠেলে রিকশা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেট কারের ড্রাইভার এসি'র ভেতর থেকে খিস্তি করে বের হয়ে যায়। তাও কোনো কারণ ছাড়াই, কিংবা ছোট্ট কয়েক সেকেন্ড দেরি করিয়ে দেবার শাস্তি হিসেবে।
এই যে এই অবস্থাটা, এটাকে কি খারাপ বলবেন? কিভাবে বলবেন? পৃথিবীর নিয়মই তো এটা। সবল আজীবন দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে যাবে। সে অর্থনৈতিক ভাবে সবলই হোক, আর যেভাবেই সবল হোক। ধনী চিরকাল আরো ধনী হবে, গরীব দিন দিন গরীবতর হতে থাকবে। এটা তো সারা পৃথিবীরই রীতি। আজ কতদিন ধরে বিশ্বের সেরা ১০ ধনীর কাতারে কিছু সুনির্দিষ্ট পরিবারই ঢুকে আছে চিন্তা করে দেখেন। ১০০ কিংবা ২০০ বছর? কিংবা তারও বেশি। স্টিভ জবস্ নিজের যোগ্যতায় বড় হয়েছিলেন। বিল গেটস বা মার্ক জুকারবার্গও তাই। কিন্তু আরবের শেখদের কথা ভাবুন। ইহুদি ব্যবসায়ীদের কথা ভাবুন। রুপার্ট মার্ডক কিংবা ওয়ালমার্ট ভাইদের কথা ভাবুন। ভারতের টাটা পরিবারের কথা চিন্তা করুন। কালানুক্রমে তারা ধনী। এমন তো হয় না যে, তাবৎ ধনীদের সম্পদ একদম উল্টে গিয়ে সব গরীবদের হাতে চলে আসলো। এমনকি এমনও হয় না যে, সব সম্পদ একজন কেড়ে নিয়ে সবাইকে সমানভাবে ভাগ করে দিলো। তাহলে ধনী দিন দিন আরো ধনী হবে না তো কি হবে?
কিন্তু পৃথিবী তো এগোচ্ছে। উন্নতিও হচ্ছে। তারমানে এটাই (ধনী ও গরীবের ক্রমাগত ওঠা ও নামা) পৃথিবীর নিয়ম। এভাবেই উন্নতির দিকে আগাতে হয়। আমরাও আগাচ্ছি। এই ব্যবস্থার সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, মানুষের মধ্যে আত্ম-কেন্দ্রিকতা তৈরি হওয়া। সবাই যার যার নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আশপাশে নজর দেয়ার এক মূহুর্ত সময়ও হাতে নেই। স্বার্থপরতার চোরাবালিতে ডুবে যাওয়া নিরন্তর। আমরা তাই যাচ্ছি।
অথচ এতকিছুর মধ্যেও আমার বলতে ইচ্ছা করে ‘যাপন মুখ্য, আহরণ নয়’। বরং যাপনের পর আমাদের পরের দিকে নজর দেয়া উচিত। চেষ্টা করা উচিত পৃথিবীটাকে আরেকটু সুন্দর করে সাজিয়ে রেখে যাবার। কে শুনবে সেসব কথা? আমি নিজেই বা তার কতটুকু মানি? এক উদ্ভট সময়ে, অদ্ভুত পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে একটা বেকার জীবন যাপন করছি। যার কোনো অর্থ নেই। যা কোনো কাজে আসবে না। যা দিয়ে একটা কুটোপরিমাণ উন্নতিও এই পৃথিবীর হবে না। তাহলে আমি কেন পৃথিবীতে আসলাম? আজব লাগে আজকাল নিজেকে দেখলে। আজব লাগে এই শহরটা।
---
আসলেই আজব লাগে আজ ।
এত আজবের মধ্যে আবার নতুন এক আজব এসেছে বাজারে। বেনসন সুইচ। রেগুলার বেনসনের স্বাদও পাওয়া যায়। আবার ফিল্টার টিপে সেটাতে মেন্থলের স্বাদও আনা যায়। অর্ধেক সিগারেট রেগুলার, অর্ধেক মেন্থল। এই আজব বুদ্ধি কার মাথা থেকে বেরিয়েছে আল্লাই জানে। সে ব্যটা জীবনে কোনোদিন সিগারেট খাইছে কিনা, তা নিয়ে আমার বিস্তর সংশয় আছে। কোনো ধূমপায়ী অর্ধেক রেগুলার, অর্ধেক মেন্থল খায় কিনা; তাও আমি জানি না। আমি কেবল গতকাল সন্ধ্যায় জিনিসটা হাতে নিয়ে বেশ একচোট হেসেছি। কত রঙ্গ যে দেখলাম এই দুনিয়ায়!
এতদিন কোথায় ছিলেন এইটা না জিগাই, শুধু দুম করে নাই হয়ে যাওয়া যে অন্যায় তা স্মরণ করিয়ে দেই
(উপন্যাসের বাকীটুকু জলদি পোস্ট করেন)
যা লিখলেন তা সবার মনের কথা মীর। অনেক আগে জানতাম দেশের ৮৮ শতাংশ সম্পদ ১২ শতাংশ লোকের হাতে আর ১২ শতাংশ সম্পদ ৮৮ শতাংশ লোকে হাতে... এখন অবস্থা মনে হয় আরো খারাপ। চারদিকের পরিস্থিতি দেখে দমবন্ধ লাগে। তখন ভাবি, মাঝি তুই বাইয়া যারে আমি আর বাইতে পারলামনা
এখন ৯৯:১।
যাদের মনের কথা, আমার ধারণা তারা সবাই ৯৯%-এর অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু ৯৯ থেকে সংখ্যাটা ৯৯.৯৯-এ উত্তীর্ণ হলেও মনে হয় না কোনো লাভ হবে। এটাকে মানুষের একটা জিনেটিক সমস্যা হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। একটা সময় ছিলো, যখন মানুষ ক্ষমতাধরের পাপাচার মেনে নিতো নিজের পূর্বজন্মের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে। এখন কুসংস্কার থেকে বিজ্ঞান মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু একই ধরনের আরেকটা সমস্যার ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক বন্দিত্ব।
(আসলে বহুত ঝামেলায় আছি দিলরুবাজি! দিয়ে দেবো জলদিই।)
দারুণ বলছেন। ঝামেলা শেষ করে উপন্যাস হাজির করেন।
শিওর ম্যা'ম। ওকি-ডকিজ
খুব ভাল লেখা ! ধন্যবাদ মীর ! আমার অবস্থা কেরোসীন ! নিজের ব্লগ খুলতে পারছিনা । নূতন পাস ওয়ার্ড নিয়েও । এক বারের পর নূতন পাস ওয়ার্ডটি আ্যক্টিভ থাকেনা আর । ২য় দিন আবার একই সমস্যা ।সম্ভব হলে হেল্প প্লীজ
ধন্যবাদ কাদের ভাই। লগিন করতে না পারলেও, আপনি আমার লেখায় কমেন্ট করেছেন দেখে ভালো লাগছে।
সমস্যার সমাধান: প্রথমে সিস্টেমের কাছ থেকে একটা নতুন পাসওয়ার্ড চেয়ে নিন। সেটা দিয়ে কিংবা মেইল এড্রেসে সিস্টেমের পাঠানো লিংক দিয়ে লগিন করুন এবং প্রথম লগিনেই পাসওয়ার্ডটা চেঞ্জ করে নেন। তারপরেও দু'একবার পাসওয়ার্ড এরর দেখাতে পারে। কয়েকবার ট্রাই করেন। কাজ হবে। আমিও যখন পাসওয়ার্ড চেঞ্জাই তখন এই সমস্যা ফেস করি। কিন্তু 'জিগার আঠা'র মতো লেগে থাকি বলে সিস্টেমটা আমার সঙ্গে খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারে না। আর পাসওয়ার্ডগুলা ফায়ারফক্সে সেভ করে রাখলে এই সমস্যা অনেক কমে যায়, আমি দেখেছি।
আপনার লেখাটা গতকাল রাতেই পড়েছিলাম, কিন্তু আর কমেন্ট করতে মন চাচ্ছিলো না। এই বিষয় গুলো নিয়ে কথা উঠলেই কেমন যেন মনমরা হয়ে যেতে ইচ্ছে করে, সত্যি বলতে কি একটু আনমনাই (নাকি বিমনা!) হয়ে যাই।
সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে যে আরো কতদূর যাবো আমরা আর কত বাধা-বিঘ্নের সাথে লড়াই করে এই জীবন সংসারে ঠিকে থাকতে হবে তা একমাত্র স্রষ্টাই ভালো বলতে পারবেন।
থ্যাংকু ভাইয়া, ৯৯% এর খাতায় নাম ওঠানোর জন্য। তবে মানুষের এই সমস্যা মানুষকেই লড়াই করে কাটিয়ে উঠতে হবে। যেভাবে মানুষ কুসংস্কারের বৃত্ত থেকে তারা বেরিয়ে এসেছিলো। আর সে লড়াইয়ে অংশ নিতে হলে এখন শত কষ্ট করে হলেও টিকে থাকতে হবে। এটাও সত্য।
তাই অন্তত সঠিক কাজটি করছেন, এটা জেনে খুশি হোন।
এই নিষ্ঠুর জগদীশে বসবাস করা আর দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নিরন্তর হাল টনে ধরে রাখা নিয়ে আপনার আপনার চিন্তা-চেতনা ও সৎ ভাবনার বিস্তৃত পরিধি আমাকে মুগ্ধ হতে বাধ্য করলো। স্যালুট আপনাকে !!!!!!!!!!!
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ব্রাদার।
শুনছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নিত্য নতুন মডেলের গাড়ি দেখছি রাস্তায়। আর ৬ নাম্বার বাসে মানুষের ভিড় বাড়ছে। আমাদের জীবন যাপন ক্রমান্বয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।
ভৃত্য –এর স্বপ্ন দেখতে নেই।
মানসিকতায় এখনো ভৃত্য হই নি। তাই, আশা রাখিতে চাই বাকি দু’আনা।
এই পোস্টে আসলে লিটারালি 'ভৃত্য'দের কথা বলা হয় নাই কোথাও। বলা হয়েছে একটা বন্দি অবস্থার কথা। যে অবস্থার ভেতরে ঘানিপেষা হচ্ছেন এ দেশের ৯৯% মানুষ।
আর আশার কথা যেটা বললেন, সেটা ঠিকই বলেছেন। কখনো সময় আসে, জীবন মুচকি হাসে...
আগে বলেন কোথায় ছিলেন এতদিন? আছেন কেমন?
এটা ঠিক না।
এতদিন নানাবিধ ঝুট-ঝামেলায় ছিলাম, ইভন এখনও আছি। তবে মূল কারণ হচ্ছে, পর্যাপ্ত ইন্টারনেটের সংস্থান হচ্ছে না। নাহলে ব্লগিং চালাতে আসলে ঝামেলাকে পাত্তা দিতে হয় না।
ওয়েল ঠিক তো অনেক কিছুই না। তাও তো আমরা কাজগুলো করি। টু এরর ইজ হিউম্যান। যাক্ আমার লক্ষী জয়িতা'পুটা কেমন আছে? বলেন তো শুনি।
ঝুট-ঝামেলা কি গেছে? ইন্টারনেট কি পর্যাপ্ত পাচ্ছেন? ভালো আছেন তো!এমন হাওয়া হয়ে যাইয়েন না। মিস করি আমরা।
আমি আছি! কেমন আছি জানিনা। তবে অবস্থার পরিবর্তন হয়ে হয়ত আগের চেয়ে এক্টু খারাপ আছি। তাতে কি! একদিন ভালো থাকব আশা করছি।
আর ইন্টারনেট পাওয়া! সরকারের কাছে মাথাপিছু ব্যান্ডউইথ বরাদ্দের দাবি জানাবো বলে ভাবছি।
ভালো তো আমরা কেউই নাই। কিন্তু এটা আসল সমস্যা না, আসল সমস্যা হচ্ছে- খারাপ আছি এবং খারাপ থাকাটাকে সবাই মেনেও নিয়েছি। কিন্তু এভাবে তো চিরকাল চলতে দেয়া যায় না। এই দেশে একটা বিপ্লব কেন যে হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না।
আর আপনে মানুদা'কে রমজান বললেন কেন? উনি কত সুন্দর কবিতা লেখেন! আমি তো তাকে ভীষণ হিংসাই।
এই লিংকটা শান্ত এফবি তে দিছে। মনখারাপ মনকে বিষিয়ে তুলতে এই গানের নাকি বিকল্প নাই। শুনে দেখলাম ঘটনা সত্য।
বিপ্লবের ডাক দিলে জানায়েন।
রঞ্জনকে কতিপয় দুষ্টু লুক রমজান বানাইছে, তাতে আমার কুনু দোষ নাই।
বিপ্লবের ডাক ব্লগে পাইবেন্না, পাইলে রাস্তায় পাইতে পারেন।
লিংকটায় পয়েন্টার রাইখা রাইট ক্লিক দিসিলাম। যাতে ওপেন লিংক ইন নিউ ট্যাব করতে পারি। কিন্তু হাবিব ওয়াহিদ নামটা দেখে তাড়াতাড়ি ট্যাব ক্লোজ করসি। হাবিব হজম হয় না। পেটে গিয়া ভুটভাট করে।
আপনের চৌক্ষে ঘুম নাই? এত রাইতে ব্লগে কি করেন?
পেটে গিয়ে ভুটভাট হয় বলেই তো বলেছে যে, মন বিষিয়ে যায়। পেটের কথা বলে নাই আর কি। মনের বিষ পরে পেটে যায়।
আপনার চোক্ষে ঘুম নাই? সকাল হয়ে যাচ্ছে। আমি তো ঘুমাচ্ছি।
এক্টা বিপ্লবের অপেক্ষা করি।
ভাইরে মনের কথা গুলান এত্তো সুন্দর কইরা কইয়া দিলেন..
...হ্যাটস্্ অফ...
.. তয় ভালো লাগে না কিছুই, জীবন অনেক কঠিন হইয়া যাইতাছে....
(
জীবন কঠিন হয়ে যাইতেসে বলেই তো এত পেরেশানি। এমন তো হওয়ার কথা ছিলো না ভাইজান। মানুষের মধ্যে সহনশীলতা জিনিসটা হারায়ে গেছে একদম পুরাপুরি।
এত কষ্টের মধ্যেও এই শহর, এই জীবনটারে ভালোবাসি মীর। আপনিও কি বাসেন না ?
আছেন কিরাম ? আপনেরে মিস কার ব্রাদার...
বাসি। আর বাসি বলে কষ্ট পাই বেশি বেশি। আমি এখন এত বেশি মরিয়া যে, যেকোন কিছু করতে রাজি এই অবস্থা পরিবর্তনের স্বার্থে।
আছি ভালো। মিস করেন জানি। তাই খুব বেশিদিন বিচ্ছিন্ন থাকতে পারি না। আপনে কেমন আছেন?
জীবনটা অনেক কঠিন লাগে
বাংলাদেশে থাকলে আর লাগতো না।
সুপার লাইক, আপনের কমেন্টে
পরিস্থিতি জটিল
ক্যান ৫ বলে ১০ করছে দেইখা ? দু....র.....
পরিস্থিতিটা পাল্টাতে হবে মাসুম ভাই।
এই পরিস্থিতিতে বোধহয় ইন্ডিভিজুয়ালিজম তৈরি হয় না, হয় সেল্ফ সেন্টারিজম বা আত্নকেন্দ্রিকতা! সবখানেই এই ব্যাপার দেখতে পাই আজকাল!
আপনার লেখা সবসময়ই ভালো লাগে! নতুন করে আর কী বলবো!
শব্দটা পাল্টায় দিসি শব্দটা কামাল ভাই। আমি আসলে আপনের কথাটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম।
যাক্ এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। ছোট ভাই মনে করে এরকম ভুল-ত্রুটি মাঝে মাঝে ধরায় দিয়েন। কৃতজ্ঞ থাকবো। শুভকামনা
মোটেও না। সবকিছুকে খারাপ বলেছি।
মন্তব্য করুন