প্রিয় পাহাড়টার উপর থেকে যখন কাউকে শূন্যে ভাসিয়ে দেবো
মানুষ ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে এবং তাদের আচরণে সেটা ফুটতে থাকে। পুরোপুরি বদল না ঘটা পর্যন্ত অবশ্য সেটা বোঝা যায় না। যখন কোনো একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে একজনের আমূল পরিবর্তনটা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, তখন পুরোনো ঘটনাগুলো নিয়ে ভাবলে বোঝা যায়; পরিবর্তন শুরু হয়েছিলো আরও আগে থেকেই।
স্টিভ জবস্ বলে গেছেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে জীবনের জরুরি বিন্দুগুলোকে জোড়া দেয়া যায় না। আমরা সবসময় সেই ভুলটাই করি। একেকটা পরিবর্তনের চিহ্ন দেখি আর মনে করি বিষয়টা কিছু না। ভবিষ্যতে ঠিক হয়ে যাবে। আসলে তা হয় না। অতীত থেকে সবকিছু ঠিক হয়ে সামনের দিকে যেতে থাকে। জরুরি কিন্তু অদৃশ্য বিন্দুগুলোকে জোড়া দেয়া সম্ভব কেবলমাত্র অতীতের দিকে তাকিয়েই।
সময়ের কাছে আছে জগতের প্রায় সব সমস্যারই সমাধান। তাই বিষয়গুলো সবসময় খানিকটা সময়ের দাবিদার। আমরা সেটা বুঝতে চেষ্টা করি না। অস্থির সময়ের দাবি মেনে নিয়ে নিজের ভেতর অস্থিরতাকে ঠাঁই দিই। অথচ বিশ্বাস করতে চাই না, জীবনে আবার হয়তো কখনো স্থিরতা আসবে। মানুষ আসলে প্রাণী হিসেবে যতটা উন্নত, ঠিক ততটাই অদ্ভুত। সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী যারা নিজেদের উন্নতির জন্য ডেসপারেট এবং অবনতির জন্যও।
যখন সময়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, তখন হাতে অঢেল সময় এসে ভিড় করে। যখন সময় জীবন বাঁচাতে পারতো, তখন তার দেখা মেলে না। এই কন্ট্রাডিকশনগুলা আমার কাছে অন্যরকম লাগে। এইসব দ্বন্দ আছে বলেই টিকে আছে পৃথিবী।
আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছি অকারণে। হাতে জমে আছে লক্ষ কাজ কিন্তু শরীর আর মন পড়ে আছে বিকল হয়ে। শ্বাসনালী খুঁড়ে আমি একটা মৃত্যুকূপ বানিয়েছি। কোনো একদিন পুরোনো ভয়গুলো জয় করে ঝাপ দেবো। হেডফোনে হয়তো বাজতে থাকবে, সো য়ু থিংক য়ু ক্যান টেল। আসলেই কি বলা সম্ভব সমস্ত কথা? বলে বোঝানো সম্ভব সব অনুভূতি? পৃথিবীর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধটা তো হয়ে যেতে পারে মনে মনেও। চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যেতে পারে কারও অস্তিত্বের পুরোটাই। বলে বোঝানো কি সম্ভব সেই বিভীষিকা?
মাঝে মাঝে আমার জানতে ইচ্ছে হয়, যখন প্রিয় পাহাড়টার উপর থেকে শূন্যে কাউকে ভাসিয়ে দেবো তখন কোন লাইনগুলো কানে বাজবে? নিচের লাইন দু'টো যে আমার খুবই প্রিয় সেটা কি ওই হেডফোন জানে?
হাউ আই উইশ য়ু ওয়ার হিয়ার
উই আর জাস্ট টু লস্ট সোলস্ সুইমিং ইন আ ফিশ বোল, ইয়ার আফটার ইয়ার...
---
জটিল কথাবার্তা...
কিছু বুঝলাম, কিছু বুঝলাম না
আমারও প্রায় একই অবস্থা মেসবাহ ভাই। কিছু বুঝি, কিছু বুঝি না।
অন্য প্রসঙ্গ: আমাদের সময় পত্রিকায় প্রতিদিন ৪ এর পাতায় এক কলাম নামে একটা কলাম ছাপা হয়। সেখানে আমরা মানবিকতা টাইপের লেখা ছাপি। আপনি যদি লেখেন, তাহলে বাধিত হই।
বাহ্! এতো দারুণ সুযোগ। আমি অচিরেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতেসি তাহলে।
কোপাল
আপনার মন্তব্যগুলো পড়তে ভালো লাগে। আগের পোস্টের মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অফমান করেন ক্যা?
শব্দ ভান্ডারে আমার শব্দের অভাব, সেই পুরানো শব্দটাই আবার বলি-
'দারুণ'
আপনার লেখা কেউ একবার পড়লে সে কোনমতেই আর বিশ্বাস করতে রাজি হবে না যে, আপনার ভান্ডারে শব্দের অভাব আছে।
শুভকামনা ব্রাদার। ভালো থাকেন।
এই ধরনের লেখা ভাবনার জগতকে নাড়া দিয়ে যায়... লেখা সেরাম!!
থ্যাংকিউ ব্রাদার। ভালো লাগলো আপনার মতামত পেয়ে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
কথা সত্য।
আমারও তাই মনে হয়।
আমার ধারণা অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই একদিন অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে।
অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই একদিন অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে।
লেখাটা অসাধারন।
মন্তব্য করুন