কি লিখি?
১) সরাসরি ব্লগের পাতায় লিখি না কখনো। আগে লিখি রাফ খাতায়, তারপর ফাইনাল, তারপর ব্লগে কপি পেষ্ট। পাবলিকও তাই করে বলে মনে হয়। আজকে সরাসরি ব্লগের খাতায় লিখতে বসলাম। কারণ গুরুতর নয়, আমার কপিপেষ্ট বোতামের কোমর ধরে গেছে হেমন্তের হঠাৎ ঠাণ্ডা বাতাসে।
২) বাজারে এখন নতুন টাকার রূপে ঝলমল। একেকটা নোটের কয়েক রকম রূপ। ৫০০ টাকা ৩ রকম, ১০০ টাকা ৩ রকম, ১০০০ টাকা ২ রকম। টাকার নোটের এই তামাশার কারণে ঈদের দিন সিএনজি ওয়ালারে ৫০০ টাকার নোট মনে করে আক্কেল সেলামি দিলাম ১০০০ টাকার একটা নোট। ভাড়া পেয়ে এতটা খুশী হতে দেখিনি কোন টেক্সিওয়ালাকে। সে যাবার পর মানিব্যাগ খুলে বুঝলাম ঘটনা।
৩) বাংলাদেশে কোরবানীটা যতটা ধর্মীয় তার চেয়ে বেশী সাংস্কৃতিক হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে এটা আরো বেশী। ফলে বড় গরু কেনার উৎসব চলে ধনী লোকদের। এবার গরু সস্তা হওয়াতে মওকা আরো বেড়ে গেছে। আমার এক আত্মীয় ১ লাখ ৩০ হাজার দিয়ে বিশাল এক গরু কিনে আনলো। কিন্তু কোরবানীর আগের রাতে গরুটা হঠাৎ করে ইহধাম ত্যাগ করলো সবাইকে চরম বিপদের মধ্যে ফেলে। আগে মরা জিনিসে ভেজাল হতো, এখন জীবন্ত জিনিসেও ভেজাল শুরু হয়ে গেছে।
৪) দিন দিন ইন্টারনেটে বিচরণ কমছে। ব্যস্ততার চেয়ে কর্মস্থলের নিষেধাজ্ঞাও একটা কারণ। তবে এই কমাটা সাময়িক। বয়সের সাথে আবারো একসময় বাড়বে নেট হাতড়ানো। ফরমালিনের কল্যানে যদি টিকে যাই, বুড়া বয়সে একাকীত্ব কাটাতে ইন্টারনেট একটা ভালো উপায় হতে পারে। আগের যুগের বুড়োরা বসে বসে হুকো টানতে টানতে রাজা উজির মারতো আর খানা পেতে দেরী দেখলে বুড়ির সাথে খিটিমিটি করতো। এই যুগে বুড়ো বয়সের খিটিমিটি ঝাল ছড়িয়ে দেয়া যাবে ব্লগের জগতে। যারা ব্লগিং এর চর্চা করেন এটা ধরে রাখুন শেষ ইহকালের জন্য।
শিরোনাম খুঁজে পেলাম না। তাই যা ভাবতেছি তাই দিলাম।
তখন পোলাপান দৌড়ানি দিবো
কোন পোলাপান, নিজের না পরের?
টাকা নিয়া ব্যাপক পেরেশানি... ৫টাকা মনে কইরা ৫০ টাকা দিছিলাম... দোকানদার চোনা ছিল বইলা বাইচা গেছিলাম
ক্যামন আছেন নীড়দা?
৫ টাকারে আমিও ৫০ মনে করে বেকুব হইছি কয়েকবার।
আমি ভালো আছি। আপনার খবরও ভালো আশা করি
যা দিন কাল পড়তেছে পরকালেও নেটিং-ব্লগিং-ফেবুকিং এর দাবী ঊঠতে পারে বসের কাছে!
হুরপরী দুই-একটা কম দিয়েন বস, কিন্তু নেটিং-ব্লগিং-ফেবুকিং চাই'ই চাই!!
~
পরকালে তো নেটের দরকার নাই, তখন হাত বাড়ালেই সবকিছু নাগালে চলে আসবে। খালি স্বর্গে ঢুকার রাস্তাটা পরিষ্কার করেন এই কালে বসে
আমি বাড়ী যাওয়ার সময় বাসের টিকেট কাটতে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা দিলাম, বেটা হারামজাদা কেমনে বুঝলো যে, অামারই ভুল! সে ভাংতি ফেরত দিলো না, আমার কেমন জানি মনে হলো , একটু উকি দিয়ে অাবার চলে গেলাম, বাড়ী গিয়ে টের পেলাম যে হারামজাদারে ৫০০ টাকা দিছি। মন্টাই খ্্রাপ হয়ে থাকলো দীর্ঘ সময়। আরেকদিন ওই কাউন্টারে গেলে বলব ঠিকই।
ধরার তালিকায় আপনিও নাম লেখাইলেন তাইলে
কিভাবে ধরে রাখবো? নিজে তাড়াতাড়ি বুড়ো হবো? নাকি ব্লগিং এর উননয়নে বাধা দিবো?
বালাই ষাট! আপনি বুড়ো হবেন কেন? আপনি বড়জোর বুড়ি হবেন
দাদা খাসা একটা লেখা দিয়েচেন। এরকম লেখা আরো চাই কিন্তু!
আগের মতো ভালো লিখতে পারি না, তাই ভাসা-খাসা লেখাই
চমৎকার একটি লেখা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভালা পাইছি।
রঙবেরঙ্গের টাকা নিয়া মশকারিটা আমারও ভাল লাগে নাই।
আগামী বছর আবারো নতুন রঙ্গ শুরু হতে যাচ্ছে
আমি টাকা হাতে পাইলেই খুব খেয়াল করে সেটা আগে দেখি আর আসল-নকল চেক করি। টাকা চেক করতে আমার খুব মজা লাগে। নীড়দা' কেমন আছেন? পিচ্চি দু'টো কেমন আছেন/
দৌড়ের উপ্রে থাকলে আসল নকল চিনার সময় কই?
পিচ্চিপাচ্চি বিটলামির উপ্রে আছে। আপনি না চিটাগং আসার কথা ছিল? ঈদে চাঁদেও ঢাকায় পড়ে থাকেন নাকি?
কাঁটা ঘায়ে সোডার ছিটা
(কপিরাইট তানবীরা'পু)
ভাল্লাগছে।
মন্তব্য করুন