আজ আমার বউ দিবস
এই দুনিয়ায় একটা জিনিসই খোদা আমারে দুই হাতে দান করছেন। বন্ধু। শত্রু কম নাই, কিন্তু বন্ধুর সংখ্যা তাদের কয়েকশ গুন বেশী। তিন বছর আগে এই দিনে আমার ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুরা নাজিল হইছিলেন তাদের সবটুকু শুভেচ্ছা নিয়া। তারও দিনকয়েক আগে হঠাৎ জামাল ভাস্কররে ফোন দিয়া বললাম- বস শনিবার বাসায় আসতেছি। ফ্রি থাইকেন। বিয়া করুম। ফোনে এমন ভাবে উনি কথাটা নিলেন যে ব্যাপার না, তার বাসাটা একটা কম্যুনিটি সেন্টারই বটে। সেখানে তিন বেলা বিয়েশাদীর অনুষ্ঠান হয়। একই আওয়াজ পাইলাম আরিফ জেবতিকের গলায়ও। আমার উকিল বাপ প্রচুর ধুপধাপ বিয়া (ধুমধামের বিপরীত) পড়াইছেন। আমারটা তার বেহেশতী ছাড়পত্র আরেকটু কনফার্ম করবো এই খুশীতে বাগবাগ। কয়েকঘণ্টার নোটিশে সিলেট থিকা হাজির নজমুল আলবাব। খুব গোপন সিদ্ধান্তটায় উপস্থিতি কনফার্ম করলো কৌশিক, শরৎ আর সারিয়া। সব ব্লগার। সারিয়া বাদে সবার সঙ্গে আমার ইন্টারঅ্যাকশন শুরু ব্লগ থেকেই।

লোকে বিবাহিতদের নিহতদের কাতারে রাখে। সেদিন আমার কপালে ব্যাপারটা সত্যিই ঘটতে যাইতেছিলো। ধুমাইয়া বৃষ্টি নামছে সকালে। আমি হলুদ ক্যাব একটা ভাড়া করছি ২০০টাকা বেশী দিয়া। কন্যা সাজতে গেছে পার্লারে, সেখান থেকে তারে তুইলা নিব। রামপুরা বাজারের কাছে ফাল্গুন নামের বিশাল দেশী বাসটা হামলাইয়া পড়লো গাড়ির পিছন দিকটায়। পুরা চিরাচ্যাপ্টা হয়া গেলো পিছনের বনেট। আমার মাথায় তখন ওইসব নাই। আমি ক্যাব ওয়ালারে দুই মিনিটের রাইডের জন্য ১০০ টাকা বখশিশ দিয়া ধরলাম সিএনজি। বৃষ্টির পানিতেও কাবু না। এরপর যা যা ঘটে, তাই তাই ঘটলো। মাস দুয়েক পর দ্বিতীয় দফা কবুল কইলো আমার বউ আমারে। এইবার ধুমধামে। সে আরেক কাহিনী। তবে এইটার মর্তবা অন্য। ব্লগে আমি এমনই অ্যাডিকটেড যে বিয়াটাও করলাম ব্লগারদের নিয়া, সে বিয়া লাইভ আপডেটেড হইলো ব্লগে। এরপর আর কেউ সাহসটা করে নাই বইলা, এখনও আমি অনন্য এক রেকর্ডধারী।

আফসুস। বউ আমার পরীক্ষার জন্য বাপের বাড়ি, মাইয়া নিয়া গেছে। সারাদিন একটা এসএমএস, একটা ফোন পাই নাই। আহারে বিবাহ, আহারে!






আহারে...একটা এসেমেসও দিল না! পাষাণ
আহা...........আপনে কি করেন? আপনে দেন মিয়া।
রাজকন্যারে মিস করি আমি।
আমি তো দিছি, তাই তো এতো জোর গলায় কইতাছি
রাজকন্যা ভালোই আছে নানী বাড়ি। আমাদের বাসায় পানি আর বিদ্যুত সমস্যা, অস্থির হইয়া যাইতো
অভিনন্দন, তিন বছর একসাথে কম না আজকালকার দিনে
হিসাব কইরা দেখলাম এর মধ্যে দেড় বছরই সে ছিলো বাপের বাড়ী, বাকি একবছর রাজকন্যারে নিয়া ব্যস্ত
আপনের বিয়ার খিচুড়ী আর মাংসের গন্ধ পাইছিলাম...
অভিনন্দন... চিয়ার্স...
হ, বিয়ারটা মিস কর্ছি
আমি একটুর লাইগ্গা হাজির হইত পারি নাই
এই দু:খ সারাজীবন থাকবো
বস... অনেক অনেক শুভ কামনা
হাত ধরে থাক আমৃত্যু
ব্যাপার না, আপ্নার বিয়াও আমি একটুর জন্য যাইতে পারি নাই। লন শোধবোধ
অভিনন্দন।
প্রথম ছবিটা দারুণ।খাবার ছবিটা দেখে খাইতে মন্চাইতাছে। পিয়াল ভাই বিবাহোত্তর কুনু খাবার দাবার নাই?
ধন্যবাদ। এই বিয়ার যাবতীয় রান্নাবান্নার বাবুর্চি ছিলো জামাল ভাস্কর। পরে সারিয়াও তারে হেল্প করছে। ভাস্করের রান্না যারা খাইছে তারা জানে অমৃত কি জিনিস।
আপনারে খাওয়াইতে হইলে হয় আমারে আরেকটা বিয়া করতে হইবো, নাইলে রাজকন্যার বিয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হইবো। এর আগে তো আর সম্ভাবনা দেখি না
আপনার কমেন্ট পড়ে হতাশ হলাম পিয়াল ভাই। বিয়া আরেকটা করতে কই নাই। অপনি মিয়া আরেক্টা বিয়া করতে চান?ছি ছি। ভাবীরে বলা দরকার। লক্ষণ সুবিধার না। রাজকন্যার বিয়ার দাওয়াত খাওয়ানের কথা বলে খাওয়ানের কথা এড়িয়ে গেলেন।
হ, আমিও অনেক খানির লাইগা বিয়ার খাওয়াডা মিস করছি--
ত, এসেমেস পাঠায়নাই কেন?
ঐযে, বিবাহ উত্তর খানাদানার বিষয়টা-------নেক্সট বিবাহ বার্ষিকিতে আমরা যারা গরীব আছি, আপনের সাথে নতুন পরিচিত হৈতে চাই, তাদের খাওয়াই দিলে হয়না?
যাই হোক-----
বিবাহ বার্ষিকির অনেক অনেক শুভেচ্ছা, আপনারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করেন------
ঠিকাছে
বিবাহ বার্ষিকী অনেককককককক শুভেচ্ছা থাকলো পিয়ালদা । ফুন কিংবা এসএমএসের অপেক্ষায় না থাইক্যা আপনি নিজেই তো ভাবীর সাথে দেখা করতে যাইতারতেন। ওদিকে ভাবীও হয়ত এমনটাই আশা করছিলেন ...ভাবীর পরীক্ষা ভালো হোক । রাজকন্যার জন্য অনেক ভালোবাসা আর দোয়া । আপনেরা খুব ভালো থাইকেন ।
শুভেচ্ছাটা মাথায় নিলাম অনেক ধইন্যাপাতা দিয়া
পিয়াল ভাইর জন্য শুভকামনা। ভালোবাসায় বসতি হোক।
গতকাল তাইলে আপনার শাহাদত বার্ষিকী ছিল , মিলাদের খবর দিতে পারতেন মেসেজে ।
শুভকামনা....
আমারও এইরাম ঘটনা ঘটাইবার ইচ্ছাছিলো। কিন্তু আফসোস, কেউ রাজি হৈলো না।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা পিয়াল ভাই।
ব্যাপার কি? ১২ মে লুকজন বিয়া করছে দেখি ব্যাপক পরিমান। গতকাল দুইজনরে শুভেচ্ছা দিলাম। এখন দেখি আপনিও ১২ মে তালিকায়। শাহাদাতের অভিনন্দন!!! রাজকন্যারে নিয়া আজীবন শাহাদাত হয়ে থাকেন বস!
প্রথম ছবিতে পিয়াল ভাইরে মনে হইতেসে সে বিয়া বাড়ি সাজাইতে আসছে :(; জামাইরে কেউ একটা পান্জাবী জোগার কইরা দেয় নাই কি আজব
অভিনন্দন
দিছেরে ভইন দিছে, দেহেন টি শার্টের উপর চাপাইয়া পোজাইছি

এইটা ঠিক আছে
মে মাস ভাবুকদের মাস
তাই বাড়তি একটা অভনিন্দন এই মাসে বিবাহ বার্ষিকী হওয়ায় আপনেরে
আপ্নারেও, শুনছিলাম কি জানি ঘটাইছেন
সেই যে আপনার বিয়ের লাইভ হইলো, তিন বছর হইয়া গেছে!!!!
মাই গড! সময় কত দ্রুত যায়!
যাইহোক, অভিনন্দন রইলো আপনাদের মিয়া-বিবি-বেটির প্রতি
সেই টাইমেতো আপনেও বিবাহ করেছিলেন জ্বিনজী
হ, এর লিগাই বেশী টাসকিত হইলাম
অনেক ধন্যবাদ আপ্নেরে। জটিল একটা সিরিজ ধরছেন
পিয়াল ভাই, ভাবী ও রাজকন্যার জন্য শুভকামনা।
পিয়াল ভাই, বিয়ার অনুষ্টানটারে মনে হইতেচে পিকনিক স্পট। আর আপনেরে তো দুলার মতো লাগতাচে না। বড়োজোর পিকনিকের আয়োজক কওয়া যাইতে পারে। খ্যাক।
ভালো থাইকেন, তিনজনেই।
অনেক অভিনন্দন পিয়াল ভাই ....
বাহ! আপনাদের দুজনকে দারুন মানি্য়েছে। রাজকন্যা আরেকটু বড় হোক, তারপর যখন জেদ ধরবে, তোমাদের এত সুন্দর ছবির পাশে আমি নাই কেন? আমি তখন কোথায় ছিলাম? তখন বুঝবেন মজা। হা হা হা
আপনাকে ব্লগ সূত্রে আমি যতটুকু চিনি, তাতে এভাবে বিয়ে না করলে আপনাকে কিছুতেই মানতো না। ভালো থাকুন আপনারা ত্রিজন।
অভিনন্দন পিয়াল ভাই..
অভিনন্দন
এইটা তো একটা ইতিহাস। কত ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী আপনারা। আম্রা তো নাদান পাব্লিক মাত্র

সকলে মিলে ভালো থাকুন।
মন্তব্য করুন