যৌন হয়রানি ও ইত্যাদি বিষয়ক বিচ্ছিন্ন ভাবনা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
ইদানিং ইভ টিজিং-যৌন হয়রানি -ধর্ষণ নিয়ে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। সম্ভবত ইভটিজিংএর মাত্রাও অনেক বেড়েছে।।।
ধর্ষণ যৌনতা নয়, সন্ত্রাস (খানিকটা বিকারও)। সেখানে মেয়েদের পোশাক ভূমিকা রাখে সেটা মনে করিনা। ছেলে শিশু কিশোররা কেন ধর্ষণ/যৌন হয়রানির শিকার হয়? এখানে পোশাকের কি ভূমিকা? আমি আমেরিকার একটা কলেজ টাউনে ২ বছর ছিলাম। ওখানে শর্টস পরা একটা মেয়ে রাত ২টায় নিরাপদে একা হাঁটতে পারে। ঢাকায় কি হিজাব/বোরকা পরেও পারে? পশচিমা দেশে সীবিচ গুলোতে কি ধর্ষণ -ইভ টিজিং অনেক বেশী? মনে হয় না।
নারায়ণগন্জে একটা মেয়ে (সিমি নাম মনে হয়) সিরিয়াস ইভটিজিংএর শিকার হলো। থানার ওসি বললো তোমার মত মেয়ের আত্নহত্যা করা উচিত। পুলিশই যদি এমন হয় তাহলে ইভ টিজিং না হওয়াটাই তো খবর।
পোশাকের অসতর্ক মুহুর্ত একটি মেয়ের হতেই পারে। সেটা কোন ছেলে দেখে যদি উত্তেজিত হয় (এবং নিজের মাঝেই রাখে) তাতে দোষের কিছু নাই-এটা মানতে পারি। কিন্তু সেটা রসায় রসায় আরেকজনের কাছে বলা যৌন হয়রানির মতই মনে হয়। সামু ব্লগে এক বিশিষ্ট ব্লগার স্মৃতিচারণ করেছিলেন - ছাত্র জীবনে সহপাঠিনীদের পোশাকের ভিতর অন্তর্বাসের আভাস দেখতেন পিছনে বসে বসে, আর সেটার উপর ভিত্তি করে শারীরবৃত্তীয় গবেষণা করতেন।।।
ছাগু তাড়ানোর নাম করে ফ আদ্যাক্ষরের এক ব্লগারের নামকে বিকৃত করে অনেকেই একটি যৌন উস্কানিমূলক নামে ডাকেন। এটা কি যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না? হুমম, এমনকি খাঁটি রাজাকারের যৌন হয়রানিও অন্যায়।।।
ইভটীজার বা ভীড়ের মধ্যে যৌন হয়রানিকারিদেরকে প্রতিবাদ করতে গেলে কিন্তু জীবন হারানোর ১টা আশংকা থাকে। ৮৪-৮৫ সালের দিকে ঢাকার কল্যাণপুরে বুলবুল বলে ১৬-১৭ বছরের ১টা ছেলেকে খুন করা হয়েছিল, কারণ সে ছোটবোনের ইভটিজারদের রুখে দাঁড়িয়েছিলো। আর আজকালতো এরকম অনেকগুলো ঘটনাই ঘটছে।
নারীর পোশাক ধর্ষণের কোন কারণ না, তবে অবশ্যই ইমেজের জন্য ফ্যাক্টর। হিজাব/বোরকা পরা একটা মেয়েকে যখন দেখি অন্য ছেলের (প্রেমিক না) গলা জড়িয়ে ধরে আছে, তাকে ভন্ড মনে হয়। একদিকে রোজা নামাজ করে আরেকদিকে শর্টস পরা বা সি থ্রু জামাকাপড় পরা ছবি তোলে যে মেয়ে তাকেও ভন্ড মনে হয়। যে নারী-পুরুষ অপজিট জেন্ডারের কাছে নিজের নারী-পুরুষ পরিচয়টা মুখ্য হিসাবে দেখাতে চায় তাকে আমার খুব স্থুল রুচির মনে হয়। মেয়েদের পোশাক এখানে একটা বিরাট ভূমিকা রাখে। ছেলেদেরও রাখে, যে কারণে সালমান খানের যখনতখন টপলেস হওয়া দেখলে তাকে আমার থাপড়াইতে মন চায়।।।
আদালতে নাকি আসামী পক্ষের উকিলরা খালি প্রমাণের চেষ্টা করেন, ধর্ষিতা চরিত্রহীন।া। সেটার জন্য নাকি বিচারের রায় ধর্ষিতাদের বিপক্ষে যায়।। বিচারক সাহেবদের কি ধারণা চরিত্রহীনা/পতিতাকে ধর্ষণ করা যায়?
সামু ব্লগে কে যেন বলেছিলো, যে মানসিকতা নারীকে বিকিনি পরায় সেই একই মানসিকতাই তাকে হিজাব পরায়। কোন এক বিচিত্র কারণে কথাটা আমার সত্যি মনে হয়।
(এটা আসলে মৌলিক পোস্ট না। অন্য একটি ব্লগে ব্লগার কাঁকনের পোস্টে কমেন্ট দিয়েছিলাম। বেশ খানিকটা বদলে দিলাম। নুশেরা/টুটুল অনুরোধ করেছিলো এখানে পোস্ট দিতে। তাই দিলাম।। তবে ১ম পাতার যোগ্য মনে হলো না)
আমারও কথাটা সত্যি মনে হয়।
বস পোস্ট প্রথম পাতায় দেন। এই পোস্ট সবার সামনে থাকা উচিত।
আপনার লেখা অনেকদিন পর পেয়ে ভাল লাগছে। সামনের পাতায় দেন। আলোচনা হোক।
প্রথম পাতায় দেন, আলোচনা হোক ।
লাইক দিলাম।
"যে মানসিকতা নারীকে বিকিনি পরায় সেই একই মানসিকতাই তাকে হিজাব পরায়। কোন এক বিচিত্র কারণে কথাটা আমার সত্যি মনে হয়।" সত্য হতেও পারে ।
পোস্টটি প্রথম পাতায় দিন, আলোচনা হোক, আরো অনেক তথ্য জানা যাবে ।
১। এটা অমৌলিক পোস্ট, সেজন্য ১ম পাতায় কেমনে দেই?
২। অালোচনা করতে চাইলে এখানে কেন করা যাবে না? ব্লগারের ব্যক্তিগত ব্লগের প্রয়োজন কি তবে?
তবে কি আমার কথাই ঠিক যে ১ম পাতায় না দিলে আমার মত হাবিজাবি ক্যাচাল প্রিয় লোকের পোস্টরে কেউ পাত্তা দেয় না।
৩। আমি অন্য ব্লগেও এ লেখা দেবো। সুতরাং ১ম পাতায় দিয়ে সে সুযোগ হারাতে চাইনা।
৪। লাইক দেয়া ও না দেয়া সবাইকে ধন্যবাদ। ।
আগে দেখিনাই এমন না।
কি আগে দেখেছেন?
আপনার শর্ট বাট শার্প লেখাগুলো চিন্তাভাবনায়-কন্টেন্টে ইউনিক। অভিবাদন পুনর্বার।
পোস্টের তুলনায় কমেন্ট শর্ট।
প্রথম পাতায় দিতে বলেছি এজন্য যে, তাহলে আপন আপন বেশি লাগে। আর না হলে মনে হয় দূরে দূরে আছেন।
আসেন ব্লগিং করি
এমনিতে আমি দুরেরই মানুষ।।।। সুতরাং পোস্টও দুরেরই হবে ।
নিজের পাতায় লিখলে কি ব্লগিং না? নিজের পাতা কি রাফ খাতা? তাইলে আর ডেভেলপাররা কষ্ট করে কেন ড্রাফট আর নিজের পাতা বানাইলো?
এতো কথা বলার কারণ, আপনাকে নিয়মিত চাচ্ছি। বাকিটা আপনার ইচ্ছা আর আগ্রহের বিষয়।
হুমম
যে নারী-পুরুষ অপজিট জেন্ডারের কাছে নিজের নারী-পুরুষ পরিচয়টা মুখ্য হিসাবে দেখাতে চায় তাকে আমার খুব স্থুল রুচির মনে হয়।
==============
আমার ক্লাসের ছেলেদের একটা কমন পোষাক দেখছি - একটাইপের টিশার্ট , যেইটা সোজা হয়ে দাঁড়াইলে পিঠ দেখা যায়, আবার পিঠে যে জায়গাটা দেখা যায় সেইখানে উল্কি আঁকা
---------------------
মামা, কেমন আছেন? বাসায় সবাই ভালো ?
এইতো।
মন্তব্য করুন