তাফসীরে গিয়ানী লুকের বাণী - সাময়িক পোস্ট
কয়দিনে অনেক নতুন বাণী পাইলাম। সব গিয়ানি মানুষের। সেগুলা জেনে একটু তাফসীর করার চেষ্টা করি।
বাণী ১: কোন চলচ্চিত্র সম্পর্কে মন্তব্য করতে হৈলে সেটা অবশ্যই দেইখা নিতে হবে, রিভিউ পড়ে কিছু বলাযাবে না। ।
- আমি বানজারান, বাইসাইকেল থিফ বা শিন্ডলার্স লিস্ট কোনটাই দেখি নাই। তাই আমি এই চলচ্চিত্রগুলা নিয়ে কোন মনতব্য করবো না। এগুলা সবই এক কাতারের সিনেমা। কাতারের নাম আমি দেখি নাই। তা ছাড়া আমি আইজ থেকা বাংলাদেশের সিনেমা নিয়া কোন কথা বলবো না।। আমি বাংলাদেশের সিনেমা দেখি ৫ বছরে একটা।। ১ পার্সেন্টও না ।
বাণী ২: কোন কিছু রেখে-ঢেকে বলার কি দরকার। এই যেমন শারীরিক সম্পর্ক না বলে চো**** বললে সমস্যা কি? জীবন ঘনিষ্ঠতা বৈলা কথা।
- বাণীদাতার নিকট কেউ মারা গেলে আমরা তার ফেইসবুকের ওয়ালে গিয়া বলবো "ওহে অমুক, তোমার তমুক নাকি পটল তুলেছে।" শালীনতা, ভদ্রতা, পরিমিতিবোধের গুষ্টি কিলাই। এই প্রসংগে একটা ঘটনা মনে পড়ল। স আদ্যাক্ষরের এক ব্লগে ম আদ্যাক্ষরের এক ব্লগার একটি পোস্ট লিখেছেন। প্রবাসে আগুনে পুড়ে যাওয়া তার বোনের স্ম্বতি নিয়ে। বোনটিকে চিনতাম। খুব মেধাবী। বোনের লেখায় মৃত বোনের প্রশংসা এসেছে। র আদ্যাক্ষরের এক ব্লগার বললেন, মৃত সব মানুষগুলো দেখি খুব ভালো হয়।। কি গিয়ান, কি বোধ ঐ র আদ্যাক্ষরের ব্লগারের।। ।
গিয়ানি মানুষরা সবসময়ই উপদেশের সাথে উদাহরণও রাখেন যাতে আমরা ফলো করতে পারি। ।
(র আদ্যাক্ষরের ঐ ব্লগার গালিবাজিতে ব্যাপক দক্ষতার পরিচয় রেখেছিলেন। এখন তিনি পাকিস্তানী-বিহারী প্রেমের ফোয়ারা বইয়ে দিচছেন ব্লগে ব্লগে। তবে দুষ্টলোকে তাকে কেবলই গদামিত করে।)
আসলে কথা বলা যাবে না এটা ঠিক না। যে বলছে সে বা আপনি হয়ত বুঝতে ভুল করছেন। বাট অবশ্যই মুভি/বই যাই হোক, না দেখে/পড়ে আরেকজনের কতঃা/রিভিও পড়ে বেশি পাকনামী না করাই ভালো।
এই পোস্ট টা একটা বেহুদা চুলকানির পোস্ট। খোচায়া একটা ক্যাচাল করার পায়তারা করা এই পোস্টদাতার উদ্দেশ্য বইলা মনে হইতাছে।
পোস্টের বক্তব্য আপত্তিকর। আমাদের চুলকাচুলকির অভ্যাসটা আর গেলো না।
চুপচাপ পড়ে গেলাম।
(আমার গুরু'র মন্তব্য ভাল লাগল)
শাতিল/হাসান রায়হান
আমি লোক খারাপ। যারা বেশ অনেকদিন ধরে আমারে ব্লগিং করতে দেখসেন তারা জানেন, আমি ক্যাচালপ্রিয় লোক। আপনাদের সাথে সহমত। পোস্ট আপততিকর। আপততিকর ব্লগারের সব ব্লগই আপততিকর। নিজেই নিজেরে ব্যান করার দাবী তুলবো কিনা ভাবছি। পোস্ট কিন্তু সাময়িক। আশা করি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ড্রাফট করে ফেলবো।
এই মন্তব্যটা চরম দুঃখজনক।
[অ.ট. ভদ্রমহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, সজ্জন মানুষ, জানতাম না উনি পরিচিত ব্লগারের বোন]
======================================================
সরাসরি কথা বলতে পারা একটা গুণ; তবে সব সময় বা সব পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য বা মানানসই না। আপনার পোস্টেরও মনে হয় সে অবস্থা হয়েছে
আমার তো মনে হইছে রোবোট যা বলতে চান সেইটা সরাসরি বললে বরং ভালো ছিলো, অনেক ঘুরাইয়া কওয়াতেই বিষয়টা নোংরামি মনে হইছে।
আর এইটা কিন্তু সত্য যে আমাগো দেশে মৃত সব মানুষেরা ভালো হয়। আওয়ামি নেতা আইভী রহমান মরার পর দেখি সবাই সে কতো ভালো নারী নেত্রী ছিলো এই গবেষণায় নামছে। আর আমার এক্সপেরিয়্যান্স হইলো সে জা.বি'র ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের টাইমে সে আমার সামনে কইছিলো, কই অন্যরা করলে তো কিছু হয় না, আমাদের ছেলেগুলোর বিরুদ্ধে সব আন্দোলন। এই কথায় উনি ধর্ষণরে রীতিমতো জায়েজ করতে নামছিলেন...
১। আমারে যা বলেন, বলেন।
২। ঐ পোস্ট ঐ ব্লগার বা আমার অকালপ্রয়াত প্রাক্তন সহকর্মী নিয়ে কিছু না বললে খুশী হৈ। ঐ ব্যাপারে আপনি তেমন কিছু জানেন না বৈলাই ধারণা করি। । যা হোক বোন অকালে মারা গেলে বোনের ১০১টি দোষ নিয়ে পোস্ট দেয়াটা কি স্বাভাবিক ছিলো?
৩। একটা প্রশ্ন-নোংরামি কি? যৌন সুড়সুড়ি দিয়ে কথাবার্তা বলাতে ক্রুদ্ধ ভাবে আপত্তি তোলা?
সিনেমার কথা বলছেন? ব্লগে ফেইসবুকে যাদের রিভিউ পড়লাম সবাইতো সিনেমা দেখেই ধুয়ে দিসেন।
(ফারুক ওয়াসিফ ছাড়া)। বানজারান বা নরমগরম বা ঢাকাই সিনেমার বেশীরভাগই আসলে সিনেমা হিসাবে নিম্নশ্রেণীর - এটা বিচিত্রায় মাহমুদা চৌধুরীর রিভিউ পড়েই জানতাম। হলে গিয়ে দেখতে হয়নি।
৪।আমাদের দৈনন্দিন জীবন ছাড়া সবই আসলে কমবেশী রিভিউ।। ইতিহাসও কি একরকম রিভিউ না?
৫। প্রবাসীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশন তুললে ব্যক্তিগত ভাবে নেয়া যাবে না, গোষঠীগত ভাবে নেয়া যাবে কি?
মাহমুদা চৌধুরীর রিভিউ দিয়া যদি বিচার করেন বর্তমান অবস্থারে তাইলে আমার কিছু বলার নাই...আর আমি বাংলা সিনেমা দেখতে গিয়াই বুঝছি মাহমুদা চৌধুরী একটা ফিকটিশাস ক্যারেক্টার। পঁচাইয়া লেখাটাই ছিলো মধ্যবিত্তরে আকর্ষণ করার স্টাইল। না দেইখা রিভিউ বিশ্বাস করাতেই বাংলা সিনেমা দর্শক হারাইছে আর যেই কারনে ব্যবসাহীন ছবিগুলির মান আরো খারাপ হইছে...
যে কোনো কিছু নিয়াই প্রশ্ন তোলা যায়। প্রশ্ন তোলা নিয়া আমার কোনো বক্তব্য নাই,,,কিন্তু তার একটা যৌক্তিক ভিত্তি থাকতে হয়। আপনে ব্যক্তিগত ভাবে বা গোষ্ঠীগতভাবে নিলেও আমার দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু করার নাই।
ইতিহাস রিভিউ হওয়াতেই তার অল্টারনেটিভ রিডিঙের প্রশ্নটা এখন একাডেমি'র মূল উপজীব্য...
আমার মনে হয়েছে রোবোট সরাসরি বলেছেন। পোস্টের দ্বিতীয় অংশে মানব মনস্তত্ত্ব, বাঙালির মৃত্যু বিষয়ক স্পর্শকাতরতা ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত লিখে শুধু উদাহরণ হিসেবে বাকীটুকু তুলে আনলে সেক্ষেত্রে মেটাব্লগিং-এর অভিযোগে আপত্তিকর বলা সহজ হতো না হয়তো।
রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে এমন অভিজ্ঞতা অনেকের আছে। চট্টগ্রামে আইভির কাউন্টারপার্ট, সাবেক আওয়ামী মন্ত্রীর স্ত্রীর কাছে একবার একটি মহিলা সংগঠনের পক্ষ থেকে যাওয়া হয়েছিল। সংগঠনের একজন আমাকে নিয়ে যান, কারণ ঐ মন্ত্রীর কন্যা আমার বন্ধু; অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সুবিধা হয়। বাবামায়ের সামনে দু্ই সন্তানের ধর্ষণের অভিযোগ ছিলো ছাত্রলীগের কয়েকজনের বিরুদ্ধে। নেত্রী সোজা বলে দিলেন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে তিনি ফুয়েল দেবেন না। সেই নেত্রী বেশ কিছু মানুষের উপকারও করেছেন, তাও দেখেছি।
এখন উনি প্রয়াত। তার কন্যার ফেসবুক ওয়ালে মৃত্যুসংবাদ দেখে ঐ ঘটনাটি মনে পড়েছিলো; তবে অতোখানি স্পষ্টভাষী হবার প্রয়োজন বা আগ্রহ বোধ করিনি যে সেটা আবার বলে আসবো। কে জানে, আমার চেয়ে বেশি দায়িত্বশীল কেউ হয়তো করতেন।
মনে হওয়া বাস্তবতা নিয়া আসলে কথা আগায় না। আমি নিজে র আদ্যাক্ষর টাইপ বিষয় না থাকলে বুঝতামই না যে এই অভিযোগ কার বিরুদ্ধে করা হইতেছে, কেনো করা হইতেছে। আমার তো আপনের কমেন্টগুলি বরং অনেক স্পষ্ট সরাসরি বইলা মনে হইছে যেইটা রোবটের কমেন্ট দেইখা মনে হয় নাই...
এইটাকে কি সরাসরি বলেছে বলছেন? @ নুশেরা
যার যেমন মনে হয়
মনে হওয়ার কিছু ভিত্তি তো অবশ্যই থাকে। তবে-
নুশেরা
নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে ভালো লাগে না।
আমি একটু ভিক্টোরিয়ান মেন্টালিটির লোক। কেউ যখন প্রচলিত অর্থে অশালীন কথাবার্তা বলে (বাংলাদেশে বা প্রবাসে) তখন আমার কানে লাগে।।। প্রবাসে এসে দেখি এফ শব্দটি অনেকেই ভার্ব, নাউন, এ্যাডজেকটিভ, এ্যাডভার্ব সব হিসাবেই ব্যবহার করে। তারপরও দেখি যে ওপেন ফোরামে (ইনফর্মাল হলেও) শব্দটা কেউ ব্যবহার করেননা। এমনকি টিভিতেও অনেক শব্দ সেন্সর করা হয়। (সামুতে পড়েছি, ফারুকী সাহেব নাকি তার সিনেমার গানে শব্দটা ব্যবহার করেছেন) প্রতিবন্ধী বোঝাতে এখন আর অনেকে হ্যান্ডিক্যাপডও বলে না। কেবলই শালীনতার প্রয়োজনে, সহমর্মিতার খাতিরে। মৃত্যু আর অক্কা পাওয়া সমার্থক হলেও ঠিক সমার্থক না।। যারা ঐজাতীয় শবদগুলো যথেচ্ছা ব্যবহারের অধিকার চান তারাও আসলে এগুলো জানেন। আসলে একটু গালিগালাজ/একটু যৌন সুরসুড়ি না থাকলে তাঁরা কোন বক্তব্য দিয়ে ঠিক জুত পান না
সামুতে ঐ কমেন্টটা ব্লগার মুছে দিয়েছিলেন।
সিনেমাটা প্রসংগে নীড় সন্ধানীর কথাটা ভালো লেগেছে। এটা আসলে প্রচার (নেগেটিভ হলেও) পাওয়ার জন্যই বানানো, টাকা কামানোর জন্য না।।।
ফালতু পোস্ট
একমত
যে যেমনে চ, ম, ব, খ, ল দিয়া লিখা যান, আমি আপত্তি করার কে? আমি মডুও না, কারো গারজিয়ানও না। তবে কখনো যদি কারো গায়ের উপর এইসব শব্দ আইসা পড়ে, তখন তার হয়ত অন্যরকম মনে হৈতেও পারে। ।
আমি ছাপোষা মানুষ। জানি-বুঝি কম। সেজন্য মানি বেশী। সবার আপত্তি-অভিযোগ মাইনা নিলাম। আমার কথা যত খারাপই হোক (কাউরে গাইল দিসি কি?) তাতে কোন মেেসজ ছিলো কিনা এইসব তর্ক করবো না।
তর্ক করতে ভালো লাগে না। শেষমেশ কেউ যদি এমন বলেন মেহেরজান ছবির ভিলেন হৈল রোবোট সেটাও মাইনা নিবো।
ভাবছি এরপর শুধু ইনজিনিয়ারিং ইকুয়েশন আর বিভিন্ন প্যারামিটারের ভ্যালু নিয়ে পোস্ট দেবো। নাকি বলেন?
হাদিস কোরান নিয়েও লিখতে পারেন।
তাইলে আর পোস্টই দিয়েন্না
ইঞ্জিনিয়ারিং বুঝি না, বুঝার আগ্রহও নাই
হা হা, পোষ্টটা সরালেন কেন! ২৪ ঘণ্টাতো পার হয় নাই, মডুরাও তো দেখছি কিছু বলে নাই!
পাকি প্রেমীরা যে বাংলা ব্লগে ছিল না তা নয়, কিন্তু এদেরে রুখতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত যখন তখন যার তার মধ্যে পাকি প্রেম ভারত প্রেম খুজে পাওয়া বাংলা ব্লগজগতে ফ্যাশন/ম্যানিয়ার রুপ নিছে। এই ট্রেন্ড অদূর ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলেই মনে হয়। বাংলা ব্লগের এই "ইউনিভার্সাল" ট্রেন্ড টারে আপনার "সাময়িক" পোস্ট সফলভাবে তুইলা ধরছে!!! কংগ্রাটস।
অকারন পাকি-প্রেম খুজে পাওয়ার দীক্সায় নবদীক্সিত আপনার উন্নতি কামনা করার প্রয়োজন আদৌ অনুভব করছিনা, কারণ এই জিনিস যেহেতু রপ্ত করে ফেলছেন সো কোনরুপ শুভকামনার প্রয়োজন ব্যাতিরেকেই আপনার মুহুর্মুহু "উন্নতি" ঘটবে বলে ধারণা করছি। আই অ্যাম ইমপ্রেসট ...
একটা জিনিস লক্ষনীয়, এই ট্যাগিং ম্যানিয়াতে আমরা ভুগে আজ একে পাকমন পেয়ার কাল তাকে ভারতমন পেয়ার বানায়া বিভেদের ২৪ টা বাজায় দিচ্ছি ক্রমাগত। অথচ যারা সত্য সত্যই পাকমনা তাদের মধ্যে কিন্তু কোনো রকম বিবেধ নাই। সামু ব্লগে যারা এক সময় ছাগু তাড়ানীতে ক্রসেডে নেমেছিলো তারা আজ সেই সামু ছেড়ে নানা ব্লগে ব্লগিং করে ব্লগ বিপ্লবে মত্ত অথচ সামু ব্লগে বাচ্চা রাজাকারা ধারীদের সাথে তুমুল ভাবে নেচে যাচ্ছে খালি মাঠে। আমরা সামু ব্লগে ছাগুব্লগ বলে হয়তো আত্মতৃপ্তি পাই আর ভাবি নিজের বাড়ীতেতো ভালোই আছি, অথচ ওরা কিন্তু ঠিকই নিজ নিজ গোলে পৌঁছে যাচ্ছে। আজ মেহেরজান নিয়ে আমরা সেইরকম উত্তপ্ত অথচ আমাদের মাঝে কেউ কি এসেছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সেই রকম সিনেমা বা নাটক বানাতে? ব্লগার নজরুল ইসলাম নাটক বানান - লেখেন, উনি কি এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নাটক লিখেছেন বা বানিয়েছেন ? হয়তো টাকা পয়সা - স্পন্সর নানাবিধ অজুহাত খাড়া করা যাবে কিন্তু আদতে মাঠে বল নামলো কি না সেটাই শেষ বিচারে সবাই দেখে।
মন্তব্য করুন