এলোমেলো কথাবার্তা, অবাস্তব ভাবনা-চিন্তা ১: তবুও আশায় থাকি, তবুও স্বপ্ন দেখি
সব মানুষের না হলেও, কত মানুষের জীবনেই কত দুঃখজনক ঘটনা থাকে আমরা জানিনা।
যে মানুষটা মিছিলে আপনার বিশ্বস্ত কমরেড, সে আবার আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুও। হঠাৎ এক বিচিত্র দুপুরে জানতে পারলেন সে খুন হয়েছে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেন্জের গুলিতে। চোখ ফেটে কান্না আসতে চায় কিন্তু চোখের পানি কখন শুকিয়ে গেছে। আশা করেন, ধরা পড়বে খুনী। মেধাবী সহপাঠী, সতীর্থরা চারদিক কাঁপিয়ে উঠবে- এমন আশায় বুক বাঁধেন। যতটুকু আশা, ততটুকুই আশাভংগ। সহপাঠী, সতীর্থরা হত্যার বিচারের দাবীকেও নোংরা পলিটিক্স বানাতে দ্বিধা করেনা। মানুষের বিচিত্র চেহারা দেখেন। দিন যায়। মাস যায়। মাস গড়িয়ে বছর। বছরের পর বছর। হ্ত্যার বিচারের যে কোন দাবী ছিল এটাই সবাই ভূলে যায়। হয়ত আজো কাঁদেআপনার বন্ধুটির মা-বাবা-ভাই-বোনেরা। আপনার বুকটা ভারী হয়ে আসে কোন নির্জন রাতে। অথবা ব্যস্ত এক দুপুরে। মনের ভিতর কে যেন বলে, একদিন ঐ খুনী নিশ্চয়ই সাজা পাবে। এ জীবনে, অথবা আরেক জীবনে।
একটি শিশু। সদ্য কথা শিখেছে। বাড়ির প্রথম শিশু। সবার আদর-ভালবাসা সব তাকে ঘিরে। একসময় জানা গেল সে ভূগছে মস্তিষ্কের জটিল অসুখে। পৃথিবীর সব চিকিৎসা, সব চেষ্টাকে বৃথা প্রমাণ করে একদিন সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেল অন্য পৃথিবীতে। চার বছরের সন্তানের মৃতদেহ হয়ে উঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভারের নাম। তবু একসময় জীবন স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। সেই বাবামার ঘর আলো করে আসে আরো সন্তান।
আবার শুরু হয় স্বপ্ন দেখা। আশা করা।
শুধু কি এরাই, যে বাবামা তার একমাত্র সন্তানকে হারান তার ১৮ বছর বয়সে তারাও একসময় শুরু করেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করা।
আডডায় যাকে দেখেন সবচেয়ে উঁচু গলায় হাসতে, ভাবেন সে খুব সুখী। সে জানেনা তার মৃত্যর পর তার পংগু সন্তান টির ভার কে নেবে? তবু সেও স্বপ্ন দেখে।
পেশাগত জীবনের শেষ দিক। পুরোপুরি ব্যর্থ একজন মানুষ আপনি। তবু মনে করেন, একদিন একটা অন্যরকম দিন আসবে। জীবনে সফলতার মুখ দেখবেন। শেষ হবে অবিচারের পালা। আপনার বহু বছরের অমানুষিক পরিশ্রমের যোগ্য প্রতিদান পাবেন।
মানুষের জীবনই তাই। সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত মানুষটিও আশায় মন বাঁধে। স্বপ্ন দেখে। শুধু স্বপ্ন দেখে যাওয়া, শুধু আশা করে যাওয়া। এছাড়া যে আমাদের বাঁচার আর কোন উপায় নেই।
লেখাটি সামহোয়ারে প্রথম লিকহেছিলাম। এপ্রিল ২০০৯এ।
নানা এই ব্লগের ফোনেটিকে একটা ক্ষুদ্র সমস্যা আছে ক চাইপা হ চাপলে খ হয় না খ হওয়ানোর জন্য শিফট চাইপা ক চাপা লাগে
নানা এই ব্লগের ফোনেটিকে একটা ক্ষুদ্র সমস্যা আছে ক চাইপা হ চাপলে খ হয় না খ হওয়ানোর জন্য শিফট চাইপা ক চাপা লাগে
ৃজানি তবু ভুইলা যাই।
তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। জেলার মহিলা বিষয়ক সংগঠনের নেত্রীর অনুরোধে এক মন্ত্রীর স্ত্রীর সাক্ষাতপ্রার্থী দলে ভিড়ে যাই। ঐ মন্ত্রীপত্নী আবার ক্ষমতাসীন পার্টির জেলা পর্যায়ের নেত্রী। আমার অন্তর্ভূক্তির কারণ হলো ঐ বাসায় আমার সামান্য যাতায়াত ছিলো, পলিটিশিয়ান দম্পতির কন্যা আমার সহপাঠী ছিলো স্কুলকলেজে।
দাবী ছিলো কয়েকজন ছাত্রনেতার বিচার চাওয়া, যারা একটি পরিবারের দুটি কলেজপড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করতো, এক পর্যায়ে ঘরে ঢুকে বাবামায়ের সামনে ধর্ষণ করে। নেত্রী সোজা বলে দিলেন, এগুলো রাজনৈতিক অপপ্রচার। আমরা মাথা নিচু করে বেরিয়ে এলাম।
সরাসরি যারা ভুক্তভোগী, তারা কি স্বপ্ন দেখে, আশায় থাকে? নাকি এসব শুধু দর্শকদের জন্য প্রযোজ্য?
দেকহে নিশচয়ই। হ্যত স্বপনের ধরণ ভিন্ন। তবু দেকহে। যেই মেয়েগুলর কথা বললে তারাও নিশচ্যই মনে কের ঐ অপরাধীদের শাসতি হবে। এি জীবনে, অথবা অন্য জীবনে? সেটাও কি স্বপ্ন না?
অন্য জীবনের ব্যাপারটা আমার কাছে লাউ দিয়া ভাউ দেয়ার মতন মনে হয় শান্তনা ছাড়া আর কিছুই না, অক্ষম মানুষের শেষ আশ্রয়, স্বপ্ন টপ্ন কিছুনা হতাশা ঢেকে রাকহার প্রয়াশ
বন মালী তুমি আর জনমে হইয়ো রাঁধা -- একটি অতি রোমান্টিক প্রলাপ বই কিছু না
স্বপ্ন দেখার চেয়ে বড় রোমান্টিক প্রলাপ আর কি আছে?
অফটপিক: ২য় পোস্টই নীতিমালা ভংগ?
ব্লগার মাত্রেই ভুল, রোবোট ইজ মরটাল
আনটি যা বলেছেন
মন ছুঁয়ে গেল।
ধন্যবাদ
ঘটনা সইত্য :(
হুমম
হুমম
সময়ের উপ্রে বড় ঔষধ নাই
হুমম
তবুও আমরা বেঁচে থাকি জীবনের তাগিদে
সেই আর কি
কিছুই আর মনের গভীরে নেই না .. মনের গভীরতা সম্ভবত ভরাট হয়ে যাচ্ছে
হুমম
শেষের প্যারাটা কি আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা? তাহলে তীব্র নিন্দাসহ ধিক্কার জানাইলাম।
পোষ্ট লাইকর্লাম।
মানুষের জীবনই তাই। সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত মানুষটিও আশায় মন বাঁধে। স্বপ্ন দেখে। শুধু স্বপ্ন দেখে যাওয়া, শুধু আশা করে যাওয়া। এছাড়া যে আমাদের বাঁচার আর কোন উপায় নেই।
এিটার মাঝে খারাপ কি পাইলেন? আর যদি তার আগেরটার কথা বলেন, সেটা আমার নিজেরে নিয়া লেখা।
আপনার পোস্ট লাইক করাটা আমি লাইক কর্লাম।
মানুষের জীবনই তাই। সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত মানুষটিও আশায় মন বাঁধে। স্বপ্ন দেখে। শুধু স্বপ্ন দেখে যাওয়া, শুধু আশা করে যাওয়া। এছাড়া যে আমাদের বাঁচার আর কোন উপায় নেই।
ইদানিং ক্যান যানি কোন কিছুতেই আবেদন রাখে না... হতে পারে হতাশাগ্রস্থা এই সমাজে আমাদের নতুন করে আর হতাশা হই না
হায়রে পোলাপাইন
সবচেয়ে হতাশাগ্রস্ত মানুষটিও আশায় মন বাঁধে। স্বপ্ন দেখে। শুধু স্বপ্ন দেখে যাওয়া, শুধু আশা করে যাওয়া। এছাড়া যে আমাদের বাঁচার আর কোন উপায় নেই।
দামী কথা কইছেন নানা। আপ্নের ব্লগে আইসা দেখি মন পুরাই খারাপ হইয়া যাইতেছে। তয় লেখাটা ভালো লাগছে। লাইক করলাম।
ধন্যবাদ।
১৮ পিলাচ কৌতুক দিতে পারিনা,
সেজন্য মানুষের মন খারাপ করার টেন্ডার নিসি।
হা হা হা হা। ১৮+ কৌতুক আর মন খারাপের টেন্ডার। ভালো বলছেন।
মন্তব্য করুন