শাশ্বত স্বপন'এর ব্লগ
ইতিহাসের ধারায় দূর্গা পূজা
বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ভারত তথা ভারতবর্ষ অথবা পৃথিবীতে দূর্গোৎসবের কালক্রমিক ইতিহাস নির্মাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ কাজের উপযোগী সুস্পষ্ট ও অনুপুঙ্খ ধারাবাহিক তথ্য-উপাত্তও পাওয়া যায়নি। কোনো ইতিহাসবিদ বা সমাজবিজ্ঞানী ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীতে দূর্গোৎসবের উদ্ভবের ইতিহাস ও আনুষঙ্গিক ঘটনাপঞ্জি নির্ভরযোগ্য দলিলপত্র ঘেঁটে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি। ফলে কখন, কীভাবে দূর্গোৎসব শুরু হলো--তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পূরাণ, মহাভারত, রামায়ন, ধর্মীয় কাব্য, নানা ঐতিহাসিক গ্রন্থ ও সূত্র থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
ইতিহাসের ধারায় দূর্গা পূজা
ইতিহাসের ধারায় দূর্গা পূজা
--শাশ্বত স্বপন
বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ভারত তথা ভারতবর্ষ অথবা পৃথিবীতে দূর্গোৎসবের কালক্রমিক ইতিহাস নির্মাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ কাজের উপযোগী সুস্পষ্ট ও অনুপুঙ্খ ধারাবাহিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়াও যায়নি। কোনো ইতিহাসবিদ বা সমাজবিজ্ঞানী ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীতে দূর্গোৎসবের উদ্ভবের ইতিহাস ও আনুষঙ্গিক ঘটনাপঞ্জি নির্ভরযোগ্য দলিলপত্র ঘেঁটে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি। ফলে কখন, কীভাবে দূর্গোৎসবের শুরু হলো তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে নানা ঐতিহাসিক গ্রন্থ ও সূত্র থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
ধারাবাহিক উপন্যাসঃ কাক-জ্যোৎস্নায় কাক-ভোর (পর্ব-২)
ধারাবাহিক উপন্যাসঃ কাক-জ্যোৎস্নায় কাক-ভোর (পর্ব-২)
--শাশ্বত স্বপন
গদ্যকাব্য/মুক্তগদ্য/শরৎকাব্যঃ শরতের সরোদ
গদ্যকাব্য/মুক্তগদ্য/শরৎকাব্যঃ শরতের সরোদ
শাশ্বত স্বপন
‘এ সখি, হামারী দুঃখের নাহি ওর। এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর--শূন্য মন্দির মোর।।’--মধ্যযুগের মিথিলার কবি, বিদ্যাপতির কবিতায় রাধার সুদীর্ঘ প্রতিক্ষা ঃ বর্ষাকালের আষাঢ়-শ্রাবণ যায়, শরতের ভাদ্র আসে তবু কৃষ্ণের দেখা নেই, ছোঁয়া নেই; আছে শুধু, শারদীয় অনুভূতি। আমি বিদ্যাপতির কবিতার কৃষ্ণের রাধার মত দু’চোখের শ্রাবন ধারার ক্লান্তি শেষে ভাদ্রবেলায় হাহাকার হৃদয়ের শূন্য মন্দির নিয়ে অপেক্ষা করি আমার রাধার জন্য অথবা অনুভব করি, তার আগমন বার্তা। ধুপাগ্নি যাতনায় হৃদয় জ্বলে যায় তবুও এ শরৎ রূপসী আমার জীবনানন্দ হৃদয়ের আঙিনায় বসে আঁধারী কাশবনের জোনাকী আলোর মত শুধু স্বপ্ন দেখায়।
গদ্যকাব্য/শরৎ কাব্যঃ ভাদ্র বেলার গান
গদ্যকাব্য/শরৎ কাব্যঃ ভাদ্র বেলার গান
--শাশ্বত স্বপন
‘তুমি যাবে ভাই--যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়--গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়...।’--ভরা যৌবনের জলতরঙ্গে শরতের কোন এক পড়ন্ত ভাদ্র বেলায় কবি জসিম উদ্দীনের নিমন্ত্রণের ডাকে সারা দিয়ে আমার হাত ধরে উপমা বলেছিল, “শুনেছি, তোমার গ্রামকে বড় ভালবাস তুমি; ছবির মত ছায়া সুনিবিড় তোমার গ্রাম; দেশের গ্রাম দেখা হয়নি আমার কোনদিন; দেখিনি ধান-পাট-সর্ষে ক্ষেত; দেখিনি ডোবা-নালা-খাল-বিল-বাঁওড়-হাওড়-নদী-সাগর; দেখিনি প্রকৃতির পাহাড়-ঝরণা-ছড়া-মেঘ-কুয়াশা-নদী আর রহস্যময় পাহাড় ঘেরা অপার সৌন্দর্যের পাহাড়ি ভুমি। আমায় তুমি নিয়ে চল সখা, তোমার যেখানে খুশী--তোমার চোখে দেখব আমি শরতের শাশ্বত রূপ।”
দূর্গা পূজার ইতিহাস
বাংলাদেশের দূর্গোৎসবের কালক্রমিক ইতিহাস নির্মাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ কাজের উপযোগী সুস্পষ্ট ও অনুপুঙ্খ ধারাবাহিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। কোনো ইতিহাসবিদ বা সমাজবিজ্ঞানী বাংলাদেশে সবের উদ্ভবের ইতিহাস ও আনুষঙ্গিক ঘটনাপঞ্জি নির্ভরযোগ্য দলিলপত্র ঘেঁটে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি। ফলে কখন, কীভাবে দূর্গোৎসবের শুরু হলো তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে নানা ঐতিহাসিক গ্রন্থ ও সূত্র থেকে বাংলাদেশে খবর পাওয়া যায়।
দূর্গা পূজার ইতিহাস
--শাশ্বত স্বপন
দূর্গা পূজার ইতিহাস
দূর্গা পূজার ইতিহাস
--শাশ্বত স্বপন
মেঘ-বৃষ্টি আর আলোর মেলা
ভাটিদেশের মানুষের বর্ষা বিলাস যেন, হয়ে উঠে নৌকা বিলাস। বিস্তীর্ণ জলরাশি--যে দিকে তাকাই জল আর জল। বারিধারায় সিক্ত প্রকৃতি। ছোট ছোট বাড়িগুলো যেন, এক একটা দ্বীপ। কাঁদা রাস্তায় পাদুকা হাতে নিয়ে গাঁয়ের মানুষের পথচলা। উজানের স্রোতে ভেসে আসা সর্বহারারা জল-কাঁদা মাখা রাস্তার দু’পাশে পোকা-মাকড়ের বসতি গড়ে। বর্ষাকালের আষাঢ় আর শ্রাবন--এ দু’মাস ভাটিবাংলার আকাশে মেঘের ভেলা আলো আঁধারীর নানা ছবির রঙে ভেসে বেড়ায়। গুরুগুরু গর্জনে, বিদ্যুতের ঝলকানিতে ঝড় আর বৃষ্টি, কোনদিন বিরামহীন মুসলধারে বৃষ্টি, প্রকৃতির ডোবা-নালা-খাল-হ্রদ-নদী-বিল-ঝিল-বাওর-হাওর-সমুদ্র জলধারাকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে; তৃষিত ভূমিকে জলদানে করে পরিতৃপ্ত; তৃষ্ণার্ত প্রকৃতিকে করে শান্ত। যেন, প্রকৃতির মাঠ-ঘাট তথা ভূমি বর্ষাকালে পূর্ণ গর্ভধারণ করে মাতৃমমতায় জেগে উঠবে শরতে এবং মাঠ-ঘাট শত শত সহস্র কোটি সন্তানতুল্য শষ্যদানায় ভরিয়ে দিবে। গ্রীস্মের প্রচন্ড দাবদাহে প্রজ্জ্বলিত গ্রামীন জীবনে বর্ষা আনে অনাবিল শান্তি আর পরিতৃপ্তি, বর্ষা আসে স্নিগ্ধ সজল রূপ নিয়ে, ভেঁজা উর্বশীর পায়ের মল বাজিয়ে।
আজ ২৬ শে জুনঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় এর ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালের ২৬ শে জুন (বাংলা ১২৪৫ সালের ১৩ ই আষাঢ়) নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম যাদপচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়। তিনি মেদিনীপুরে ডেপুটি কালেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয় কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্রাচার্যের কাছে। পিতার অতি আদরের ৩য় সন্তান বঙ্কিম অসাধারন মেধাবী ছিলেন। তিনি একদিনেই বাংলা বর্ণমালা আয়ত্বে এনেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র ১৮৪৪ সালে মাত্র ছয় বছর বয়সে পিতার কর্মস্থল মেদিনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলে এসে ভর্তি হন।
স্বপ্নের বীজ বোনার অপেক্ষায়
(মুক্তগদ্য)
আজ ২৬ শে জুনঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় এর ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকী
বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় ১৮৩৮ সালের ২৬ শে জুন (বাংলা ১২৪৫ সালের ১৩ ই আষাঢ়) নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম যাদপচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়। তিনি মেদিনীপুরে ডেপুটি কালেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয় কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্রাচার্যের কাছে। পিতার অতি আদরের ৩য় সন্তান বঙ্কিম অসাধারন মেধাবী ছিলেন। তিনি একদিনেই বাংলা বর্ণমালা আয়ত্বে এনেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র ১৮৪৪ সালে মাত্র ছয় বছর বয়সে পিতার কর্মস্থল মেদিনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলে এসে ভর্তি হন।
আজ কবি সুফিয়া কামালের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী
ঘন ঘোর অন্ধকারের মধ্যে বেশ কিছু নারী মোমবাতি জ্বালিয়ে ধীর গতিতে সামনে এগোচ্ছে। এক একজন নারী তার নিজের সময়কে হাসি মুখে পার করে পিছনের নারীকে সামনে এনে তার আরেক হাতে নিজের মোমবাতির বাকি জ্বলন্ত অংশটুকু রেখে যাচ্চেন। আলোকিত অন্ধকার সভ্যতায় দাঁড়িয়ে জাপসা চোখে আমি দেখতে পাচ্ছি নারী জাগরণের প্রথম পথিকৃৎ রাস সুন্দরী দেবী, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, নুরুন্নেচ্ছা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী, আশালতা সেন, লীলা নাগ প্রমুখ। তবে আমার সময়ে স্পষ্টভাবে যাকে চলে যেতে দেখলাম তিনি বেগম সুফিয়া কামাল। আরেক নারী জাহানারা ঈমামের হাতে নিজের মোমবাতিটি দিয়ে তার সময়কে হাসি মুখে অতিক্রম করলেন ।
মা দিবস উপলক্ষ্যে: মায়ের অভিমান
একটা চিঠি। সে অনেকদিন আগের কথা; আমার বয়স পাঁচ কি ছয় হবে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির ঐ সময়টা খুব একটা কারো মনে থাকার কথা নয়। পরবর্তীতে মা আবার সেই স্মৃতিটা গল্পের মত বলেছিল এবং কেঁদেছিল, যখন আমি পড়তে পারি। পদ্মা বিধৌত উর্বর মাটির সন্তান আমি এবং আমার পূর্ব পুরুষ। এ নদীকে কেন্দ্র করে এর কাছাকাছি শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বিক্রমপুর-এ হাজার বছর ধরে আমাদের পিতৃগণ ও মাতৃগণের বসবাস। ১৯৪৭এর পরে এবং ১৯৭১ এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আমাদের মাতৃ ও পিতৃকূলের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্রমান্বয়ে ভারতে চলে যায়। আমার মা বাদে দাদু তার পুরো পরিবার নিয়ে নদীয়ায় চলে যায়। চিরতরে মা-বাবা হারানোর মত করে মা টানা পাঁচ-সাত কেঁদেছিল।