শাশ্বত স্বপন'এর ব্লগ
’৫২ সালের সময়ের উপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক গল্পঃ সময়ের লাশ
স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে ছুটে চলা স্মৃতিগুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে জোনাকীর মত জ্বলে আর নিভে। ‘সময়ের লাশ’--গল্পে বৃদ্ধ বয়সে উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে নায়িকা নায়কের সাথে তার প্রেমের কাহিনী এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভুমির কিয়দংশ বর্ণনা করেছেন। এখানে নায়ক ’৫২ সালের সময়ের ধারক, নায়িকা মাতৃভূমির ধারক অর্থাৎ গল্পটি যেন, ’৫২ এর সময়ের সাথে লাজুক মাতৃভূমির ভালোবাসার লুকোচুরি-মিছিল-আন্দোলন-যুদ্ধ-মৃত্যুর খেলা।
সময়ের লাশ
--শাশ্বত স্বপন
নতুন বছরে যুবকদের শপথ হোক--আপস নয় কোন অন্যায়ের সাথে
বাঁধাহীন ভয় নয় অথবা ভয়হীন বাঁধা নয়--আসুক বিপদসঙ্কুলে ভরা বাঁধা, ভয়। প্রাণসম্পদে পরিপূর্ন এ সময়ের যুবকরা মানবে না কোন বাঁধা, ভয়, কোন অজুহাত; আপস করবে না কোন অসত্যের সাথে। পূর্বপুরুষের মত সত্যের কঠিন আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে সমকালের শ্যাঁওলা পথের শত বাঁধা ডিঙিয়ে মহাকালের নতুন প্রাণে জাগাবে নতুন আলোর স্রোতধারা।
`ঝরা পাতার গান ' শেষ পর্ব
সারাদিন হাঁটতে হাঁটতে আর কাঁদতে কাঁদতে উত্তরের বালুপথ আর নদীর তীর ধরে পদ্মা নদীর তীরে এসে বসলাম। গোদারা ঘাটের মাঝিরা আমার বাবাকে, আমাকে চেনে। তিন পুরুষের যাতায়াত এ নদী দিয়ে। পদ্মা বিধৌত উর্বর মাটির সন্তান আমি এবং আমার পূর্ব পুরুষ। এ নদীকে কেন্দ্র করে এর কাছাকাছি শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বিক্রমপুর-এ হাজার বছর ধরে আমাদের পিতৃগণ ও মাতৃগণের বসবাস। আমার জন্মস্থান বিক্রমপুরের লৌহজং-এ। নদী পার হয়ে দিঘলী বাজারে এসে কিছু চিড়া-মুড়ি খেয়ে কদম বাবার মেলায় চলে এলাম। কদম বাবার মেলা শীত প্রকৃতির আরেক অকৃত্রিম রূপ। নানা জাতের মাঘের পাগল এখানে এসে মাস খানিক ভীড় করে গান করে। ব্যবসায়ীরা আর ভক্তরা খুশী থাকলে এ মেলা সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত চলে। নানা রকমের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা। নানা স্বাদের মুড়ী, চিড়া, খইয়ের মোয়া, সন্দেশ, নাড়ু, বাতাসা, কদমা, মিষ্টি খই, চিনি মাখানো ছোট ছোট গোল মিষ্টি, নিমকী, গজা কত না স্বাদের, গন্ধের খাবার। মাঘ মাসের শীতের মেলায় মানুষের ভীড়ে একটুও শীত লাগে না। ছোট্ট বেলায় তাই আগুন না জ্বালিয়ে উষ্ণতার জন্য মেলায় চলে যেতাম।
`ঝরা পাতার গান ' পর্ব-৩
এই বন পথে প্রতিদিন সূর্যের উদয় দেখি, দেখি দূরের টিলা, জঙ্গল; আবার সন্ধায় বন ঝাউ, দীর্ঘ ঘাস (বাঁশ) তথা বনশীর্ষ লাল আভায় মাখিয়ে সূর্য ঘুমিয়ে যায়। ফিরে আসি কিছু কাচা টাকা হাতে নিয়ে। আবার ছুটে চলি লাউয়া ছড়ায়, চিম্বুক পাহাড়ে, ভাওয়াল বনে অথবা অন্য কোথাও। রাতের চর বন আর ভাওয়াল বন একই রূপ ধারন করে। নিঃশব্ধ অরন্যভূমি, নিস্তব্ধ জনহীন নিশীথ রাত্রি, চকচকে সাদা বালু, কোথাও দো-আঁশমাটি মিশানো বন, দিনের রৌদ্রে কাচা শুকনা কাঁশবনে জোৎসার আলো পড়ে অপার্থিব সৌন্দর্যের অপূর্ব মহিমায় ভরে দেয় আমার দৃষ্টির দিগন্ত। জল ডোবায় সাদা-বেগুনি কলমী ফুলের সমারোহ আর এই ভিজা বালু-দো-আঁশ মাটিতে সাদা সাদা (কেউ বলে এর নাম দুধলি ফুল) ফুল--বড় মিষ্টি সুগন্ধ ছড়ায় আশেপাশে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে হঠাৎ করে। এ সময় বৃষ্টি! অবাক হলাম, এটা কি মাস? কখনো কখনো পৌষ মাসে কিছু কিছু বৃষ্টি পড়ে। মাঘ মাসে বৃষ্টি নাই। সবাই বন পথে সাপের ভয়ে গান গেয়ে অথবা হাততালি দিয়ে পথ চলে। আমি সবাইকে ‘শীতনিদ্রা’ সম্পর্কে বললাম--দেহের তাপমাত্রা শীতের সাথে উঠা-নামার কারনে সাপ-ব্যাঙ এখন দেখা যাবে না।
ঝরা পাতার গান পর্ব-2
মনে পড়ে, কাজের সন্ধানে কয়েকবার যেতে হয়েছে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ। বর্ষায় দিগন্তবিহীন হাওর--কূল নাই, কিনারা নাই--এযেন, সাগর। শীতের আগমনে ছোট ছোট নদী-নালা-খাল-বিল হাওর থেকে যেন, জেগে উঠে ফসলের মাঠ। নদী-নালা-খাল-বিল-পুকুর-ডোবা মিলেই এ সুবিশাল হাওর। শীতকালে হাওরের সীমানায় দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য চোখে আমি তাকিয়ে থাকি। ভাবি, হাওরের পানি কোথায় চলে যায়। দেখি, চারদিকে মাছ ধরার মেলা; কোন কোন নৌকার খোলা, মাছে পরিপূর্ণ। কোথাও হাঁটু পানি; গরু-মহিষ সেই পানি পেরিয়ে যাচেছ সবুজ তৃণভুমিতে। বিল-ঝিল হাওরের অতি আপন বৃক্ষ হল হিজল গাছ; মাসের পর মাস পানিতেই কেটে যায় এদের জীবন। শকুন, ভূবন চিল মাছ শিকারের ফাঁকে এ গাছের ডালে ডালে বিশ্রাম করে। ঝাঁকে ঝাঁকে পানকৌড়ি, বক, শালিক ইত্যাদি জানা-অজানা বিদেশী পরিযায়ী পাখিরা ভীড় করে হিজল গাছে, জেগে উঠা জলাশয়ে খুঁজে খাবার। কাজের অবসরে আনমনে ভাবতে থাকি--বর্ষাকালের জলডুবা হাওর আর শীতকালে সেই হাওরে ঢেউ খেলানো সবুজ ফসলের মাঠ--প্রকৃতির কি বিচিত্র খেলা!
এ বাংলার, শাশ্বত শীত প্রকৃতির গল্প ঃ `ঝরা পাতার গান ' পর্ব-১
কুয়াশার অন্ধকারে হাজার বছর ধরে শীত কন্যা আসে ষড়ঋতুর লীলা বৈচিত্রের হেমন্তের ফসলে আঁকা মেঠো পথ ধরে। স্থান, কাল ভেদে এ শীত কন্যায় রূপ নানা অঞ্চলের দেব-দেবীর মত নানা সজ্জায় সজ্জিত হয়। হেমন্তের মাড়াই করা ধান বড় বড় কড়াওয়ালা মাটির হাড়িতে রাখতেই শীত রূপসী শীতের নানা উপকরণ কুয়াশার চাদরে ঢেকে এনে রাখে গৃহস্তের আঙ্গিনায়; কড়াওয়ালা মাটির হাড়িতে টোকা দিয়ে বলে, ‘এই গৃহস্ত আমি এসেছি ; চল, পিঠা-পুলি-পায়েস বানাই।’
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২-এর স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, '৯০-এ স্বৈরাচার পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে ! কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার স্বাধীনতা? এ বিজয়ের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১-এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়? পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
মুক্তিযুদ্ধ এবং অতপরঃ
ঝিক্-ঝিক্...ঝিক্-ঝিক্...করে ট্রেন চলছে দৃশ্যমান গতিতে, আর আমার জীবন চলছে অদৃশ্যমান গতিতে। যে গতির গতিময়তা কখনো আমি উপলব্ধি করি না--করতে পারি না। ট্রেনের কামড়ায় বসে আধবোজা চোখে অনুপম সেনের ‘কল্পনা’ উপন্যাসের নায়কের নিজের মতামত পড়ছি। লেখকের প্রতিটি কথা সমুদ্রের ঢেউ এর মতো আন্দোলিত করে আমার মনে। জীবনের অনেক মিল রয়েছে স্বকল্প আর আমার ব্যর্থময় জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে। ছত্রিশ বছরের জীবনে আজো বিয়ে করিনি। নীড়হারা পাখি সব হারিয়ে ক্লান্ত মনে যেমন করে ভাবে, তেমনি ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো। ট্রেন থামছে কোন এক অচেনা ষ্টেশনে। জায়গাটির নাম মনে নেই। ট্রেন থামার সাথে সাথেই আরো তিন জন মানুষ একই কামড়ায় উঠল। তিন জনের মধ্যে একজন ৪০/৪৫ বছর বয়স্ক পুরুষ, এক জন ৩০/৩২ বছর বয়স্ক স্ত্রীলোক, আরেক জন ১০/১১ বছরের বালিকা।
হেমন্তের লোকায়ত মিথ
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে হেমন্ত এক অদ্ভুত ঋতু। শরৎ শেষে প্রকৃতি কিছুটা মলিন হতে থাকে। আগাম পড়তে শুরু করে শীতের হিম কুয়াশা। ছাই রঙ কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে ফেলে সকাল-সন্ধ্যার সুনীল আকাশ। ফসলহীন মাঠ যেন, পরিত্যক্ত জনপদ; এর উল্টো পিঠও আছে। কৃষকের ঘর জুড়ে আনন্দের বন্যা। মাঠশূন্য করা ফসল যে তার গোলা ভরিয়েছে। মিটেছে অভাব। তাই তো দিকে দিকে শুরু হয়ে যায় নবান্ন উৎসব। শুধুই কি নবান্ন! হেমন্তে আরও কত কত উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে সেই সুদীর্ঘকাল থেকে।
‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা--যমের দূয়ারে পড়ল কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা--আমি দিলাম আমার ভাইকে ফোঁটা।--ভাইয়ের কপালে বোন এই ছন্দ বা মন্ত্র পাঠ করে চন্দন, ঘি, মধু দিয়ে ফোঁটা দেয়; ভাই যেন বিপদ মুক্ত থাকে। ভাইও বোনকে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু দিয়ে আশির্বাদ করে।’--কবে যে এই ভাই ফোঁটা উৎসব শুরু হয়েছে--তা কেউ বলতে পারে না। বলা হয়ে থাকে, এটা অনার্যদের আচার অনুষ্ঠান; কেউ বলে, অনার্য নারী-পুরুষ উভয়েই জঙ্গলে শিকারে যেত, চাষবাস করত আর আর্যদের মধ্যে সাধারনত পুরুষরা যুদ্ধ করত বা শিকারে যেত, তাই বোনরা ভাইদের বিপদ মুক্তির জন্য এই অনুষ্ঠান করত, তাই এটা অনার্যদের
দূর্গা পূজার ইতিহাস
দূর্গা পূজার ইতিহাস
লিখেছেন: শাশ্বত স্বপন | অক্টোবর ২০, ২০১২ - ১২:২১ পূর্বাহ্ন
মা দিবস উপলক্ষ্যেঃ অভিমানী মা আমার
একটা চিঠি। সে অনেকদিন আগের কথা; আমার বয়স পাঁচ কি ছয় হবে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির ঐ সময়টা খুব একটা কারো মনে থাকার কথা নয়। পরবর্তীতে মা আবার সেই স্মৃতিটা গল্পের মত বলেছিল এবং কেঁদেছিল, যখন আমি পড়তে পারি। পদ্মা বিধৌত উর্বর মাটির সন্তান আমি এবং আমার পূর্ব পুরুষ। এ নদীকে কেন্দ্র করে এর কাছাকাছি শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বিক্রমপুর-এ হাজার বছর ধরে আমাদের পিতৃগণ ও মাতৃগণের বসবাস। ’৪৭ ও ’৭১ এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আমাদের মাতৃ ও পিতৃকূলের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্রমান্বয়ে ভারতে চলে যায়। আমার মা বাদে দাদু তার পুরো পরিবার নিয়ে নদীয়ায় চলে যায়। চিরতরে মা-বাবা হারানোর মত করে মা টানা পাঁচ-সাত দিন কেঁদেছিল।
রোহিঙ্গা সমস্যা এবং রামু সহিংসতা....
কক্সবাজারের রামু, উখিয়া, টেকনাফ চটৃগ্রামের পটিয়া ও পাশ্ববর্তী অন্যান্য এলাকায় সংখ্যালঘু সাম্প্রদায়ের উপর সংঘটিত নাশকতা বিষয়ে কিছু বলবার আগে বার্মা, আরকানের ইতিহাস থেকে সামান্য আলোকপাত করতে চাই।
সভ্যতার শুরু থেকে এ পৃথিবীতে যত যুদ্ধ-বিগ্রহ ঘটেছে, তার অধিকাংশই ছিল ধর্ম যুদ্ধ (অথবা অন্য কোন বিষয় নিয়ে দ্বন্ধ শুরু হলেও, শেষ পর্যন্ত তা ধর্ম যুদ্ধের রূপ নিত)। আদিতে ধর্মীয় যুদ্ধ এমনি নৃসংশ রূপ নিত যা বাঘ-হায়েনা-শকুন এর শিকারকালীন সময়ে কিছুটা বুঝা যায়। সভ্যতার উন্নতির কারণে বর্তমান আগ্রাসনের যুদ্ধ, দেশ দখলের যুদ্ধ ধর্ম যুদ্ধের মত এতটা নৃসংশ হয়তো হয় না, এত মানুষও মারা যায় না, তবে যুদ্ধের উপকরণ (বিশেষ করে গোলাবারুদ) বেড়ে যাওয়ায় সম্পদের ক্ষতি, আহতের সংখ্যা পূর্বতন ধর্মীয় যুদ্ধের চেয়ে বেশী হয়। ধর্ম যুদ্ধ হোক আর আগ্রাসনের অথবা অন্য কোন যুদ্ধ হোক, কোন যুদ্ধই মানুষ চায় না। তবে হিসাব করে দেখা গেছে, সব ধর্মীয় যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা অন্য সব যুদ্ধে নিহতের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশী এবং প্রায় সব যুদ্ধের সুত্রপাত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে।
শরতের সরোদ
‘তুমি যাবে ভাই-যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়...।’
ভরা যৌবনের জলতরঙ্গে শরতের কোন এক পড়ন্ত ভাদ্র বেলায় কবি জসিম উদ্দিনের নিমন্ত্রণের ডাকে সারা দিয়ে আমার হাত ধরে উপমা বলেছিল, শুনেছি তোমার গ্রামকে বড় ভালবাস তুমি; ছবির মত ছায়া সুনিবিড় তোমার গ্রাম; এ দেশের গ্রাম দেখা হয়নি আমার কোনদিন; দেখিনি ধান-পাট-শষ্যে ক্ষেত; দেখিনি ডোবা-নালা-খাল-বিল-বাওর-হাওর-নদী-সাগর; দেখিনি প্রকৃতির পাহাড়-ঝরণা-ছড়া-মেঘ-কুয়াশা-নদী আর রহস্যময় পাহাড় ঘেরা অপার সৌন্দর্যের পাহাড়ি ভুমি। আমায় তুমি নিয়ে চল সখা, তোমার যেখানে খুশী-তোমার চোখে দেখব আমি শরতের শাশ্বত রুপ।