সাপ্তাহিক হতাশা
শ্লার লাইফ! শ্লার চাকরী!!! ইটস সাক্স!!!
সারাটা সপ্তাহ অপেক্ষা করি এই একটা শুক্রবারের জন্য। সারাটা সপ্তাহ এই ফাত্রা রাজনীতির ফাপরে পইরা জীবন হাতে নিয়া অফিস করলাম। শুক্রবারে একজনের সাথে দেখা হবে এই আশায়।
ছয়টা দিন গোলাপি বেগমের পেইন সহ্য করলাম। আর যেই না তার পেইন শেষ হইলো অমনি শুরু হইলো তথাকথিত কর্পোরেট এর পেইন।
হঠাৎ করে তাদের শুক্রবারে খোলা রাখার সাধ জাগলো!!! যদি শুক্রবারে খোলাই রাখবি রে হাউয়ার পুত, তাইলে গত ছয়দিন এত্তো পেইন দিয়া অফিস করাইলি ক্যারে???
শালা ফাউলের গুষ্টি, গাছেরটাও খাইবো আবার তলারটাও কুড়াইবো। আর তাদের এই চিপায় পইরা আমাগো জীবন নষ্ট।
ভালোবাসার মানুষটাকে সারা সপ্তাহ জুড়ে আশায় রেখেছিলাম যে শুক্রবারে তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো। আজ এটা শোনার পরে সে বললো, থাক ব্যাপার না। সবসময় যে প্ল্যান সাক্সেসফুল হবে তা তো নয়!!!!
শুনে ভালো লাগলেও, ঠিকই বুঝতে পেরেছি যে সে কষ্ট পেয়েছে। এই কষ্ট অপ্রাপ্তির কষ্ট। আর তার অপ্রাপ্তি আমায় অসহায় করে দেয়।
হয়তো শনি বা রবিবারে শুক্রবারের ছুটিটা পাবো। কিন্তু তাতে লাভ কি? তখন তো গুলাপি অবরোধের ডাক দিয়েছে। আর অবরোধের মাঝে সে বেড়হতে পারবে না!!! মানে বেড় হতে দেবেনা বা আমিই তাকে নিয়ে রিস্ক নেবনা।
এই যে এতো সমস্যা। এতে কার কি লাভ হচ্ছে জানিনা। কার কি ক্ষতি হচ্ছে তাও জানিনা। তবে আমার মতো কিছু অতিসাধারণ মানুষ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। যারা জীবনের সাথে প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করে চলে একটু সুখ বা ভালো থাকার আশায় তারা মানসিক অশান্তি নিয়ে অফিস করবে। তারপরে মন খারাপ করে ঘরে বসে থাকবে। হয়তো হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরবে ধীরে ধীরে। কিন্তু এতে কার কি এসে যায়?
সবাই তো মানুষ মেরে, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে চায়! কি হাস্যকর! তাইনা???
তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি। ভালোবাসি। বাঁচার আশা খুঁজি। আর এই আশার মরিচিকার পেছনেই আমাদের জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
বেষট অফ লাক
গুলাপী পেম বুঝে না, সে একটা অভিশাপ
ও বন্দু লাল গুলাপী।
মন্তব্য করুন