কাবজাব - ৬
প্রতিদিনের মত আজকের দিনটাও কোন ভাবেই আলাদা ছিলো না আমার জন্যে। সেই একই যান্ত্রিক নিয়মের জীবন। তাও প্রতিটা দিনেরই কেমন যেনো একটা আলাদা রেশ থাকে। আজকের দিনটাও শুরু হয়েছে আমার জন্যে চরম বোরিং ভাবে। তবে হ্যা মন্দের ভালো হয়ত বলা যায়। এই শেষ প্রহরে এসে ভাবছি সব ভালো যার শেষ ভালো তার এই রকম ফালতু থিওরী আসলে এখন বাদ দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
কাজ যা ছিলো মোটামুটি সবই ঠিক ভাবে শেষ করেছি। রায়হান সাঈদ ভাইয়ের উপদেশই মেনে নিয়েছি। মেনে নিয়েছি সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর পরামর্শ। নিজের জন্যে না বরং মার জন্য, পরিবারের জন্যে, ভালোবাসার মানুষগুলোর জন্যে বেচে থাকার চেষ্টায় আছি। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ভালো ছেলের মত দেশে কল করে মার সাথেও অনেকক্ষন কথা বলেছি। তাও বুকের ভিতর কিসের যেনো খচখচ। কিসের খচখচ জানার চেষ্টায় লাগলাম। গান শুনছিলাম “ একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘররে মন আমার, কেন বান্ধো দালান ঘর রে মন আমার...... প্রানপাখি উড়ে যাবে পিঞ্জর ছেড়ে, ধরাধামে সবই রবে তুমি যাবে চলে। বন্ধু বান্ধব যত, মাতা পিতা দ্বারা সুতো সকলি হবে তোমার পররে মন আমার কেন বান্ধো দালান ঘর।”
সমস্যার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি আর চিন্তা করছি আসলেই তো মারা যাওয়ার পরই তো সব পর। যদিও আধ্যাত্মিক মানে আছে গানখানির। কিন্তু আমি চিন্তা করলাম যতটা সময় পাই এটুকুই ভালোবাসার মানুষদের জন্য, তাদের সাথে ভালো ভাবে থাকলে লাভ বই ক্ষতি নেই। তখনি মনে পড়ল ছোট ভাই আপেলের কথা।
আপেল ওকে দেওয়া আমার ডাক নাম। আমার খালাতো ভাই। এক হিসাবে বলা চলে আমার কোলে পিঠে করেই মানুষ। তার কাছে এই দুনিয়ায় সৃষ্টি কর্তার পরে কেউ থাকলে সেটা আমি। আমি যখন প্রথম আমি আমার আপন ছোটভাই যতটুকু না কান্নাকাটি করেছে সে কেদেছে তার থেকে বেশী। মা বলে আমি আসার পরে সে নাকি আমার রূমে ঢুকে কাদত প্রায়ই।
সে যাক। মাঝে কিছু সমস্যার কারনে তার নার্ভাস ব্রেকডাউন মত হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে চোখের জল চেপে হলেও আমিই পরামর্শ দেই রিহ্যাবে দেওয়ার। দেওয়াও হয়। এই জীবনের সবচেয়ে কষ্টের কাজ ছিল মনে এটাই। দিনে দিনে আমার ফেরার সময় হয়ে যাওয়ায় আমি যাই দেখা করতে। কিন্তু তার ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দেখা করতে পারিনি। সেদিন ফোন দিয়েছিলাম বাসার আসার পরে। প্রথম কথাই সে আমাকে বলল “ ভাইয়া তুমি যে আমাকে একদিনও দেখতে আসলা না” শুনে আমার বুকের ভেতর কোথায় যেনো মোচড় দিয়ে উঠেছিল। আসলেইতো আমি যাইনি একটা দিন তাকে দেখতে। কি উত্তর দেওয়ার ছিলো আমার। আমার ছোট ভাই আর আপেলের মাঝে আমার কাছে আমার কোন পার্থক্য নেই। ওদের আমি শুধু ছোট ভাই না বয়েসে বেশ গ্যাপ থাকায় মাঝে মাঝে সন্তানের মতই দেখি। আমার কিছুই বলার ছিলো না তাকে। শুধুই মনে হচ্ছিলো আমার কোলে বসা ছোট্ট আপেল আমার দিকে তাকিয়ে আছে সব কিছু হারানোর শোক দু চোখে নিয়ে। হয়ত সে একদিন বুঝবে আমি তার মঙ্গলের জন্যেই দেখা করতে যেতে পারিনি। হয়ত, একদিন মাফও করে দেবে। হয়ত, একদিন ভূলে যাবে। কিন্তু আমি যে সারাজীবনে ভুলতে পারবো না তার সেই অভিমানী কণ্ঠ। সেই তখন থেকেই চেষ্টা করছি ওকে কল করতে। কল করে জিজ্ঞেস করতে ও কি পারবে আমাকে মাফ করতে, বলতে কতটা ভালোবাসি আমি ওকে, বলতে ভাই আমাকে মাফ করে দিস। কিন্তু সাহস হয় না। আমি একটা চিঠি লেখে তাকে সব ব্যাখ্যা করে আসতে পারতাম । আসিনি। বাহানা সময় স্বল্পতা। নিজের অক্ষমতায় নিজের স্বার্থপরতায় কুকড়ে যাচ্ছি। নিজের উপর ঘৃণায় ভরে উঠছে মনটা। বার বার কানে বাজছে “ভাইয়া তুমি যে আমাকে দেখতে আসলা না”।





পুলাপাইনের এত মন খ্রাপ কেন?
দিমু।
গানের লিংকু দেন দেখি!
http://www.mediafire.com/?owxrms1jh2kimlh
গান্টা বাজতেই আছে, শুনতেই আছি। মন্টা বড়ই উদাস হইলোরে।
। লিংক দেওয়ার খবরটা জানানোর জন্য আবারো 
লিংকুর জন্য
আরো কিছু গানের লিংক চাই। ডাউনলোড করে সারারাত ধরে শুনবো।
গান পছন্দ হৈসে। খুঁজতেসিলাম কয়দিন ধৈরাই
ডায়রী ভালো হচ্ছে জাবির।
মন্তব্য করুন