পদ্মলোচন'এর ব্লগ
সকল মহামান্য ব্যাক্তি বরাবর
ইদানীং যা চলছে দেশে এই সব নিয়ে কথা বলতে আর ইচ্ছা আমার করে না। কোন সুস্থ মানুষের কিছু আর বলার থাকতেও পারে না। এক অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম উনার কথা মনে হলেই আমার আত্মতৃপ্তিতে ঢেকুর উঠে। আহা, এখনি চোখ ভারী হয়ে আসছে। এত প্রগতিশীল মহিলা দেশে আছে ভাবতেই মনটা ভরে যায়। কিন্তু ম্যাডাম হোসনে আরা আপনি কি জানেন নাবালিকা একটা বাচ্চার সাথে সেক্স করলে সেটা সেক্স থাকে না? সেটা হয় রেপ। নাকি এইটুকু ঘুলি পরমেশ্বর আপনার মাথায় দেয় নাই? আপনার কি জানা আছে মিউচুয়াল সেক্স হওয়ার জন্যে “কনসেন্ট” নামে একটা জিনিস লাগে। কিন্তু মহামান্যা মাথামোটা অধ্যক্ষা সাহেবা, ১৮ এর নিচে (ক্ষেত্র বিশেষে ১৬) একজন নাবালিকা কখনোই সম্মতি দিতে পারে না। মহামান্যা আপনি কি জানেন শুধু মাত্র এই কারনে এই দেশে ১৮ এর নিচে বাচ্চাদের যদি সম্মতির নিয়ম থাকতো কত মেয়ের বাল্য বিবাহ হতো?
কাবজাব - ৭
প্রিয় আয়েশা,
কেমন আছিস তুই? কতো দিন হয় তোর সাথে আমার কথা হয় না? ভুলেই গেছিস না? এই ছয় বছর মানে জানিসরে তুই? অর্ধযুগ মানে জানিস তুই? ছয় বছর। আচ্ছা তুই আমার সাথে ঝগড়া করে কখনই তো ২ দিনের বেশি রাগ করে থাকতি না। আমার দোষ থাকলেও তুই এসে স্যরি বলতি। সেই তুই আমার সাথে এমন করে রাগ করলি?
কাবজাব - ৬
প্রতিদিনের মত আজকের দিনটাও কোন ভাবেই আলাদা ছিলো না আমার জন্যে। সেই একই যান্ত্রিক নিয়মের জীবন। তাও প্রতিটা দিনেরই কেমন যেনো একটা আলাদা রেশ থাকে। আজকের দিনটাও শুরু হয়েছে আমার জন্যে চরম বোরিং ভাবে। তবে হ্যা মন্দের ভালো হয়ত বলা যায়। এই শেষ প্রহরে এসে ভাবছি সব ভালো যার শেষ ভালো তার এই রকম ফালতু থিওরী আসলে এখন বাদ দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
কাবজাব - ৫
আমার মাঝে মাঝেই খুব অর্থহীন লাগে জীবন। জীবন জীবনের মানে সবই অর্থহীন লাগে। শূন্যতা ঘিরে ধরে নিজেকে। দার্শনিক একটা ধাচ চলে আসে নিজের মাঝে। অর্থহীনতার মাঝেই হাতড়ে বেড়াই, অর্থ খুজি। প্রিয় কোন মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে, কথা বলে যখন নিজেকে অপরাধী লাগে বা নিজের কোন কৃতকর্মের কথা চিন্তা করে থই খুজে পাই না। কেমন যেন সব খালি হয়ে যায়। মনে হয় হয়ত বুদ্ধই ঠিক করেছিলেন, সংসার ধর্ম ছেড়ে মানব ধর্ম আকড়ে ধরেছিলেন। শূন্যতার মাঝেই খুজে পাওয়ার চেষ্টাই হয়ত তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গেছে। হয়ত লালনই ঠিক, এ জীবনের মানে শুধুই তিন পাগলের মেলা। বাউল সন্নাসীরা কেন ঘর ছাড়ে হয়ত একটু একটু বুঝতে পারছি আজকাল।
কা্বজাব - ২
শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই কথাটার সাথে আমার চরম দ্বিমত আছে। শিক্ষা আমাদের সমাজকে কি দিচ্ছে? কিছু শিক্ষিত দুর্নীতিবাজ আর কিছু শিক্ষিত অমেরুদন্ডী প্রানী এবিং কিছু শিক্ষিত মূর্খ। এই যে শিক্ষিত তাকমা লাগিয়ে কিছু অমানুষ বের হচ্ছে এদের পিছনে সমাজ , পরিবেশ পরিস্থিতি দায়ী অনস্বীকার্য। কিন্তু যাদের মানুষ গড়ার কারিগর বলি তাদের কি কোন দায়বদ্ধতা নেই?
কা্বজাব - ১
যখন আমার বয়েস ৮/৯ তখন কি যেনো একটা গুরু গম্ভীর বই পড়ছিলাম। নামটা আজ যদিও মনে নেই, তবে একটা লাইন মনে আছে। “মানুষের জীবন দুঃখ ও সুখের সমষ্টি, যেখানে সুখের মুহুর্ত খুব কম। আর আমাদের জীবন কাটে সেই সব মুহুর্ত রোমন্থন করে আর সেই সব মুহুর্তের আশায়।” ভয়াবহ ধরনের সত্য কথা। সত্য যে তার প্রমান প্রায়ই পাই যখন মানুষকে দেখি বিভিন্ন বার্ষিকী করতে। কেউ আবার মৃত্যুবার্ষিকীকে টেনে আনবেন না। উদাহারন হতে পারে বিবাহ বার্ষিকী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকাদের বর্ষপূর্তি। একটা কাপলের কি আর কোন ভালো ঘটনাই ঘটে না? তবে কেন একটা তারিখের স্মৃতি রোমন্থন করে চলা সারা জীবন? অনেক চিন্তা করেছি উত্তর পাইনি। এমনকি আমার এক্স – গার্লফ্রেন্ডকেও মনে হয় প্রশ্ন করেছিলাম । উত্তর পাইনি।
জাতে উঠা হৈল না আমার - ১
জাতে উঠিবার শখ লৈয়া বিলাত যাত্রা করিয়াছিলাম। মনে মনে দিবা স্বপ্ন দেখিতেছিলাম জাতে উঠিব, পাতে উঠিব। সাধারনে আমাকে দেখিয়া বলিবে দেখ বিলাত ফেরতা ছেলে। স্বপ্ন লৈয়া বিলাত যাত্রাই হৈল শুধু জাতে আর উঠিলাম না।
আজমেরীর জন্যে আমরা কি কিছু করতে পারি না?
সামহোয়্যারে ঘুরতে গিয়ে একটা পোস্ট চকখে পড়ল। পড়ে চোখের কোনে একটু পানি জমে উঠলো নিজের অজান্তেই। আমি পুরা পোস্টটাই দিচ্ছি নিচে।
শেষ হয়েছে আজমেরীর অপারেশন, ডোনার ও আজমেরী দুজনে সুস্থ আছে..।আগামীকাল ওষুধ কেনার টাকাটাও নেই হাতে... টাকা উঠেছে ৪৬,৯৩৯। মঙ্গলবারের মধ্যে কমপক্ষে ৭৫০০০ টাকা লাগবে ইন্জেকশনের জন্য।
কল্পনায় ৭১ - ২
ব্রিগেডিয়ার কাছে আসতে ওরা উঠে দাড়ালো।
- আরে বসো বসো। তোমাদের সাথে কথা বলতে এলাম।
মাহফুজ বলল, জ্বী স্যার। প্লীজ বসুন। ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার চেয়ার টেনে বসলো।
- কি অবস্থা তোমাদের?
- জ্বী স্যার ভালো।
- যুদ্ধ নিয়ে কি ভাবছো?
- স্যার কিছুই না। দুঃখজনক ব্যাপারটা।
- কি রকম?
জামি বলল “ স্যার নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করাটা দুঃখজনক।”
কল্পনায় ৭১ - ১
আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখি যুদ্ধে গেছি, মুক্তিযুদ্ধে। আমার অবসেশন এটা। মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয় তখন কেন হলাম না। হইনি তো কি হয়েছে? গল্প লেখতে তো দোষ নাই। তাই এই গল্পের প্রয়াস। প্লট হবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেরই। কিন্তু মর্ডান টেকনোলজি থাকবে কিছু। আশা করি এটাকে কেউ খারাপ ভাবে নিবেন না। ও হ্যা, গল্পে আমি নিজের নামটাই ব্যাবহার করলাম। অন্তত গল্পে তো মুক্তিযুদ্ধ করতে পারবো।
প্রবাসী ছাত্র ডায়েরি - ৫ম পর্ব (আপাতত শেষ পর্ব)
টিউবে করে চলে এলাম হলবোর্ণ। সেখান থেকে চেঞ্জ করে সেন্ট্রাল লাইন। সেন্ট্রালে করে এসে লেটনস্টোন স্টেশনে নামলাম। জামিরাও নতুন মাত্র ৩ দিনের পুরানো আমার থেকে। আর এই বাসায় উঠেছে আগের দিন। ওরাও রাস্তা চিনে না। হাটা শুরু করলো । হেটে এক রাস্তার মাথায় গেলাম। নোমান বলল এই রাস্তা না। পরে একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম। সে রাস্তা বলে দিলো। হাটা শুরু করলাম। ভারী ভারী সুটকেস, হ্যান্ডব্যাগ, কাধে ব্যাগ নিয়ে হাটতে হাটতে এ
একটি প্রেমের গপ্প - ৩
রুদ্রকে ক্লাসে ঢুকতে দেখে অগ্নিলা একটু কেমন যেন হয়ে গেল। দেখলো রুদ্র কাকে যেনো খুজছে। ওর চোখে চোখ পড়ার পরে যখন হাসল অগ্নিলার মনটা অকারন পুলকে ভরে উঠল। নিজেই খুশীর পরিমান উপলব্ধি করতে পেরে অবাক হয়ে গেল। গত কয়েকটা দিন যে কিভাবে কেটেছে ওর সে শুধু ওই জানে। প্রতিদিন ক্লাসে এসে খুজে ফেরা কাঙ্খিত মুখ। রুদ্র কখন আসে সেইদিকেই ছিলো ওর সম্পুর্ন মনযোগ। শুধুই শুধুই অপেক্ষা করেছে ও রুদ্রর। কেমন জানি অভিমানও হচ্
একটি প্রেমের গপ্প - ২
রুদ্র বের হয়ে এসে গাড়ীতে উঠে বসল। গাড়ী চালিয়ে ফিরছে আর বার বার ওর অগ্নিলার কথা মনে হচ্ছে। ধ্যাৎ মেয়েটাকে কিছুই ও বলতে দেয়নি নিজেই এক তরফা ভাবে বলে বের হয়ে এসেছে। নাহ ব্যাপারটা একদম ঠিক হয়নি। ভাসা ভাসা চোখ, সজিবতা , উচ্ছলতা সর্বোপরি সারা চেহারায় স্বর্গীয় লাবন্য। নাহ! এতো সুন্দর একটা মেয়ে কি করে হয়! গত কয়েকদিন দূর থেকে ওকে দেখেই বেশ ভালো লেগেছে রুদ্রর।
একটি প্রেমের গপ্প
এই সিরিজটা অন্য কোথাও শুরু করেছিলাম। ট্রাডিশনাল প্রেমের গপ্প। আবার শুরু করতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই দেওয়া শুরু করলাম। বাংলা ছিঃনেমা টাইপ লাগলে লাগতে পারে। তবে কি জানেন মনে মনে সবাই ছিঃনেমার হিরো হৈতে চায়। সো......