কল্পনায় ৭১ - ২
ব্রিগেডিয়ার কাছে আসতে ওরা উঠে দাড়ালো।
- আরে বসো বসো। তোমাদের সাথে কথা বলতে এলাম।
মাহফুজ বলল, জ্বী স্যার। প্লীজ বসুন। ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার চেয়ার টেনে বসলো।
- কি অবস্থা তোমাদের?
- জ্বী স্যার ভালো।
- যুদ্ধ নিয়ে কি ভাবছো?
- স্যার কিছুই না। দুঃখজনক ব্যাপারটা।
- কি রকম?
জামি বলল “ স্যার নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করাটা দুঃখজনক।”
- তুমি কি ভাবছো জাবির?
- স্যার, বেঈমানদের সমুচিত সাজা দিতে হবে। দুঃখজনক হলেও কি আর করা।
- হ্যা। তা যা বলেছো। তবে তোমরা তো বাঙ্গালী তোমাদের কাছে তো খারাপ লাগার কথা।
- স্যার তাতে কি দেশ তো পাকিস্তান। শপথতো এই দেশটাকে বাচানোর নিয়েছি টুকরা করার না।
- তোমাদের মত দেশ প্রেমিক লোক পূর্ব পাকিস্তানে থাকলে এই অবস্থা হতো না। বসো তোমরা এঞ্জয় কর। আমি যাই একটু কাজ আছে।
তিনজন তাকিয়ে রইলো ইফতেখারের গমন পথের দিকে। জামি গাল বকলো কুত্তার
বাচ্চা। মাহফুজ বলল, ...কির পোলা কি সব বলে গেলো। জাবির চিন্তিত দেখে
মাহফুজ জিজ্ঞেস করলো, “তোর কি হলো আবার?”
- আমার চিন্তা হচ্ছে ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার হঠাৎ করে এসে এই সব জিজ্ঞেস করলো কেন?
- আসলেই। বেটা কি কিছু টের পেয়ে গেছে নাকি?
- ইফতেখার হারামির হাতবাক্স। আমি যাওয়ার আগে আগে এইখানে আসছে। ইন্টিলিজিন্সে আছে।
- হুম। সাবধানে চলা লাগবে।
জামি বলল একটা জিনিস কি লক্ষ্য করেছিস তোরা?
- কি?
- এইখানে আমরা যারা নজরবন্দী অবস্থায় আছি বেশির ভাগই কমান্ডো ট্রেনিং করেছি।
- হুম।
- চল উঠি। ভালো লাগছে না।
- দাড়া কি ঠিক হলো তাহলে? জাবির ফিরোজার সাথে দেখা করবি কবে?
জাবির উত্তর দিলো, যত জলদি সম্ভব যদি না বিয়ে হয়ে থাকে।
পরদিন সকালে জাবির ওর আর্দালীকে কর্ণেল বেগের রুম নম্বর জিজ্ঞেস করে জেনে
নিলো।কর্ণেল বেগ ওদের স্কুবা ইন্সট্রাক্টর ছিলো। তাই তার সাথে খুব ভালো
পরিচয়। বাসাতেও আসা যাওয়া এমন একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিলো। মনে মনে
কর্মপন্থা ঠিক করলো, বেগের সাথে দেখা করবে আগে। বেগের দাবা খেলার প্রতি
অসম্ভব দুর্বলতা। কৌশলে দাবার কথা তুললেই ওকে বাসায় ডাকবে। দাবা খেলার নাম
করে তার বাসায় যাবে। ফিরোজার সাথে দেখা করবে। বাকী কাজ এরপরে অবস্থা বুঝে
ঠিক করবে।
লাঞ্চ করে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে মনে মনে সব ঝালিয়ে নিলো আবার। কর্ণেল
বেগের রূমের সামনে গিয়ে নক করে পারমিশন পাওয়ার পর ভেতরে ঢুকল। স্যালুট
করল। ওকে দেখেই লাফিয়ে উঠলো কর্ণেল বেগ “ ইউ সান অফ আ গান, এখানে কি করছো?”
- স্যার আপাতত এইখানে নিবাস। আপনি এইখানে শুনে আপনার সাথে দেখা করতে এলাম।
- কে বললো?
- স্যার ক্যাপ্টেন মাহফুজ।
- কোন মাহফুজ? যার পাছায় লাথ মেরে সবসময় পানিতে নামাতে হতো?
- জ্বি স্যার।
- সত্যি দেখা করতে এসেছো ? আমার মেয়ে ভাগানোর ধান্ধা নেই তো?
- নাহ।
হেসে দিলো জাবির। ট্রেনিংয়ের সময় কর্ণেল বেগে ওদের কথায় কথায় বলতেন আমার
মেয়ে ভাগাতে হলে সাতার জানতে হবে মাছের মত। পানির পোকা হতে হবে। শীতের
রাতে ৩ টায় লেকে নামানোর সময়ও চিৎকার করতেন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে
পানির সাথে আগে প্রেম করো বাবারা।
কথা চলল দুই জনের। একপর্যায়ে জাবির দাবা খেলার কথা তুলে আনতেই বেগ উত্তেজিত হয়ে গেলেন।
- আজকে বিকালে আমার বাসায় এসো একদান হয়ে যাবে।
- স্যার খেলে কি হবে? বরাবরের মতই হারবেন।
- দেখো ছোড়া বড় বড় কথা বলবে না ক’দান হারিয়েছো?
- স্যার যতদূর মনে পড়ে বেশির ভাগই ।
- মোটেও না।
- জ্বি স্যার।
- ঠিক আছে আসো আজকে খেলতে। যদি হারাতে পারো মেনে নিবো।
- জ্বি স্যার আসবো। আপাতত উঠি স্যার।
মনে মনে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলো জাবির।
মেসে ফিরে জামিকে দেখে এগুতে গেলে জামি চোখের ইশারায় মানা করলো। একটু খটকা লাগলো জাবিরের। বুঝলো ঘাপলা আছে।
দারুণ সাসপেন্স... চলুক দ্রুত
এনার্জী নাইগো আফা চলএ ইচ্ছা করে না
আরো বড় পর্ব চাচ্ছি। দারুন জমেছে
ইয়াল্লাহ এরথেইকা বড় পর্ব আমারে দিয়া হৈপে না
দারুনতো... মামু আমার বড় লেখক হৈয়া যাইতাছে দিন দিন
চলতে থাকুক... পপকর্ণ লৈয়া বইলাম
লইজ্জা পাইলাম
পরের পর্ব কুথাই?
আসিতেছে জনাব
ভালো লাগছে; একটু তারাতারি দিয়েন;
তাড়াতাড়ির চেষ্টায় আছি।
মন্তব্য করুন