আহসান হাবীব'এর ব্লগ
তমসা ভানু হে
আবুল হোসেন //তমসা ভানু হে।।
হাসনাবাদ
০১/০১/২০২১
তমসা ভানু হে//
এসো শ্যাম সুন্দর এসো তমসা ভানু হে
আপনা গরমে আপনা মরমে সাজাও শিশুকে
সাজাও সাজাও নতুন অতিথি এসেছে দ্বারে যে।
তমসা ভানু হে।।
আজি আকাশে বাতাসে সাজো সাজো রব, পুঞ্জবনে বিহগে কলরব
সাগরে পাহাড়ে মর্তে জীব যত, শূন্য ঝুলা ঝুলিছে কতশত।
ভরিয়া লহ ভরিয়া লহ অঞ্জলি হে।
তমসা ভানু হে
তন্দ্রা হারা সমীরণ, নতুনে করিবে বরণ,
শন শন বহে ক্ষণে ক্ষণে।
তারা নিহারিকার দলে, সারিসারি চলে
বিনায় মুরজে বাজে সারেগামাপা গাহে ওই নীল গগনে।
তমসা ভানু হে
Dark and light
Dark and light
Hasnabad
01/01/2021
Dark and light
Come Black Come White, come Dark Come light
Decorate your baby with your own pride with your own heart
Decorate Decorate that new guests have come to the door.
Decorate your baby with your own pride with your own heart
Oh dark and light
Dark & light hye.
Today in the sky, in the air, there is a commotion, in the forest, there is a commotion
As many creatures as there are mortals in the mountains in the sea, there are hundreds desire empty bag hanging in the air.
Fulfil, Fulfill all desire empty bag with offering heart.
Decorate your baby with your own pride with your own heart
Oh dark and light
dark and light hye
Sleep deprivation to welcome newcomers,
Shawn flows momentarily.
জপ নাম গাহ গান
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
৩১/১২/২০২০
জপ নাম গাহ গান//
আজি নতুনের আগমনে গাহ গান নিরজনে
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
আজি বিনায় মুরজে গরজে শ্বশনেে
মিনারে মিনারে আজানে আজানে
জপ নাম গাহ গান নিরজনে।
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
যত দুঃখ যত খরা ভরিয়া আছে ধরা লও গো তুলি
যত পাপ তাপ লেগেছে অভিসম্পাত দাও, দাও গো তব করুণার ঝুলি।
পূর্ব গগন আলোকিত যেমন ধুইয়া মুছিয়া কর সাফ
চাই ক্ষণে ক্ষণে।
জপ নাম গাহ গান নিরজনে।
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
তব সৃজিত রংগমঞ্চে রোদন হাসন নয়ত বারণ
তবে কি শুধু হাসিব আপন, না করি রোদন
তুমি চাহিলি হবে বিলক্ষণ ওহে নিখিল রাজন
চাটনি সম রোদন হাসিতে করিব বরণ।
দাও দাও দাও দাওগো চাহি ক্ষণে ক্ষণে।
জপ নাম গাহ গান নিরজনে।
কুটিরে কুটিরে কিংবা নিপবনে।।
তোমার ফুল বাগানে
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৯/১২/২০২০
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল
তোমার সন্ধান পাইতে ছাড়ে সংসার জাতি কুল।।
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল
কত জাত যে আছে জগতে কারো কি জানা আছে
কত জাত যে আসবে জগতে কত জাত চলে গেছে
কেউবা যাহা ভাবে আহা আমারটাই সেরা অন্যরা সব ভূল।
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল।।
কেউবা তোমায় মানতে চায় না নাস্তিক হয়ে যায়।
কেউবা মানলেও ধার ধারে না ধর্ম কর্মের হায়।
কেউবা আবার অহর্নিশি তোমার সেবায়, প্রার্থনায় মশগুল।
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল।।
আমি অধম বুঝতে চাই না অতশত মত পথ।
তুমি দয়াল দাওগো বলে, দিয়েছ বলে কোনটা সঠিক পথ।
তবু শয়তান যেন না দেয় ধোকা,না যেন চলি যে পথটি বাঁকা।
তোমার নামের শান রাখ তুমি, তুমিই কাইয়ুম তুমিই তো হাইয়ুল
মাওলা তোমার ফুল বাগানে কতই রঙের ফুল।।
খেলছো ইদুর বিড়াল
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
২৮/১২/২০২০
খেলছো ইদুর বিড়াল//
তুমি কি গো খেলছো ইদুর বিড়াল খেলো যদি মন চায়।
আমার কিছু ভাল লাগে না উরুউরু মন কি যেন আরো চায়
প্রথম দেখা কোথায় হলো মনে কি পড়ে তোমার
সেইতো পুকুর ঘাটে গাছের আড়ে আমরা গাছের ধার।
আমায় দেখে ভৌ-দৌড় দিলে যেন হুরপরি পালায়।
আমার কিছু ভাল লাগে না উরুউরু মন কি যেন আরো চায়।
সেই থেকে খেলছো ঈদুর বিড়াল সকাল দুপুর রাতে
ভয় কি গো পাও, একটু বলে যাও এসো না আমার সাথে
যার মনে যা সে পাবে তা করুনা ভরে মাওলার কাছে যদি চায়।
আমার কিছু ভাল লাগে না উরুউরু মন কি যেন আরো চায়।
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি
আবুল হোসেন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৬/১২/২০২০
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি//
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।
নিন্দার কাটা না লাগলে গায় প্রেম কি কভু সার্থক হয়।
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।।
ফুলের ঘ্রাণে ভ্রমর এসে গুনগুনিয়ে গেয়ে যায়
ভ্রমর ছুঁয়া না পাইলে ফুল রেণুর দেখা নাহি পায়।
মওলার প্রেমে ডুবলে হৃদয়, হৃদয় পুড়ে সোনা হয়
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।
জোয়ার ভাটা হয় নদীতে প্রেমের জোয়ার উজান বয়।
রঙ্গিন চশমা না পড়িলেও রঙ্গের দুনিয়ায় ডুবে রয়
জেনে শুনেই প্রেমিক হৃদয় প্রেম যমুনায় দেয় হৃদয়।
প্রেম একটি জলন্ত কাঠি ধীরে ধীরে অঙ্গার হয়।।
শ্যাম পিরিতের সাথে কি দর্শন
আবুল হোসেন//শ্যাম পিরিতের সাথে কি দর্শন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৫/১২/২০২০
শ্যাম পিরিতের সাথে কি দর্শন//
একদিন যাবে দুইদিন যাবে এমনি করে দিন ফুরাবে ভবে
শ্যাম পিরীতের সাথে কি দর্শন এই জনমে আর হবে
একদিন যাবে দুইদিন যাবে এমনি করে দিন ফুরাবে ভবে
শীতের কালে তালের পিঠা চিতই বা ভাপা পিঠা
আরো কত পিঠা আছে খাইতে যে কি মিঠা
তিতা মিঠার আস্বাদন কি
তিতা মিঠার আস্বাদন কি
শ্যাম বিনে আর হবে
শ্যাম পিরীতের সাথে কি দর্শন এই জনমে আর হবে।
আষার শ্রাবণের বর্ষার জোয়ার পৌষ মাঘের ওই শীত
ফাগুনের সাথে চৈত্র মেলে গায় প্রেম জোয়ারের গীত
আমার কোন কালেই হইলো না প্রেম
কোন কালেই হইলো না প্রেম
আর হবে আর কবে।
শ্যাম পিরীতের সাথে কি দর্শন এই জনমে আর হবে।
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা
আবুল হোসেন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৪/১২/২০২০
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা/
কালা যদি না হয় বালা চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা
কালারে কেন খোঁজ?
সুন্দর সুন্দর স্বপন দেখতে আরাধ্যের হাতটি ছুঁতে
চোখটি কেন বুজ??
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা কালারে কেন খোঁজ।
সারা বেল কাজের খেলা, ঘরে ফিরে সন্ধ্যা বেল
ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ খানি, গলিয়ে বিছেয়ে পাটিখানি
চোখ বুজিয়ে অমাবস্যার আঁধার কেন খোঁজ।
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা কালারে কেন খোঁজ।
যৌবন জোয়ার ফুরিয়ে গেলে,সায়াহ্নের দর্শন পেলে
সাদা কালো লম্বা খাটাে,কিছুতেই আর সুখ না মেলে।
পারের কড়ি সন্ধান করি, পারাবারের ফেরাফেরি
পেয়েছ কি, পেয়েছ কি আজো?
চুল পাকিলে লাগিয়ে কালা কালারে কেন খোঁজ।
দুঃখে ভরা জীবন আমার
আবুল হোসেন
মানিকদী, ঢাকা সেনানিবাস
২৪/১২/২০২০
দুঃখে ভরা জীবন আমার//
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে
কি হবে আর বলে দুঃখ, দুঃখে যে দিন গেছে
কুড়াতে গিয়ে শাপলা শালুক বিলের ঝিলের জলে
খুনশুটিতে মেতেছি, কেঁদেছি অভিমানের ছলে
সেই অভিমান বুমেরাং হয়ে বক্ষে বিধে গেছে
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে।
সাইকেলেরই চেইনে কেটে গিয়ে, পায়ের আংগুলের ক্ষত
নিদ্রাবিহীন রাত কেটেছে বুঝতে তোমার কষ্ট তোমার ব্যথা কত।
কিশোর বুকের ছোট্ট নীড়ে এত ব্যথা যে সইতে নারে, আজও মনে আছ
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে।
তোমার গায়ে হলুদ যেদিন সকল জায়গায় ঘুড়েছি সেদিন
একা একাই ঘুড়তে গেছি, ঘরেছি আর ঘুরেছি
বিলে ঝিলে বনে বাদারে,লুকিয়েছি গাছের আড়ে
তখনই যে বুঝতে পেরেছি,সব হাড়িয়ে গেছে।
দুঃখে ভরা জীবন আমার দুঃখ লেগে আছে।
বিজয় দিবস তুমি //
১৬ই ডিসেম্বর, ২০১২ ইং
উত্তরা ঢাকা
বিজয় দিবস তুমি//
আমার কৌশোরে বড়শী ফেলে
দীর্ঘ শ্যান দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকা
প্রতীক্ষার পর পাওয়া
ছট ফটানো মাছের আনন্দ।
কৌশোরে আম কাঠালের গাছে চড়ে
পাকা পাকা আম, কাঠাল পারা,
প্রমান সাইজের কাঠাল বা দু একটি আম
গাছে বসেই সাবার করার আনন্দ।
খেলতে গিয়ে ঘাম জড়ানো বিজয়ের পর,
মিছিল করতে করতে গ্রামে ফেরার আনন্দ।
বিজয় দিবস তুমি
এস,এস, সি রেজাল্টের পর বৃষ্টিতে ভিজে
রেজাল্ট সংগ্রহ করার পর আত্নীয় ও পড়শীদের
বাড়িতে মিষ্টি বিতরণের আনন্দ।
তুমি আমার বোনা ধান ক্ষেতে
ফলানো সোনালী ধান কাটার আনন্দ।
বিজয় দিবস তুমি, ন মাস প্রতিক্ষার পর
প্রথম বাবা হবার আনন্দ।
কিন্তু তোমাকে পেতে
হে বিজয় দিবস,
মনে পড়ে, গজেন স্যারের কথা,
কত আদর করতো আমাকে,
বড় ভাইয়ের বন্ধু, টগবগে তরুণ
যুদ্ধে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।
তার বিধবা মা আমৃত্যু
শুতে, বসতে, কাজ করতে করতে
আল্ কোরান
হাসনাবাদ
১৫/১২/২০২০
আল্ কোরান//
হে অনন্ত কালের দূরন্ত পথিক,
একটু শুনো
কোথা তুমি যাও, কোথা হতেই বা এসেছ তুমি
খানিক ফিরে চাও
জীবন নদীর অবিদিত পারাবারে, এপারে বা ওপারে
কে তব সহযাত্রী, ভেবেছ কি, জেনেছ কি, জানিতে কি চাও।
একটু শুনো,খানিক ফিরে চাও।
হে মহাকালের দুরন্ত পান্থ হে,
তব উদাহরণ, তব মিশাল তুমি এ ভবে
দেখেছ কি, দেখিতে কি চাও।
তব চলার নেই তো অন্ত, শীত গ্রীষ্ম কিংবা বসন্ত
তুমি চল, তুমি ছুটে চল, ফিরে নাহি চাও।
সে যেমন বলে,
চন্দ্র সূর্য, গ্রহ নক্ষত্র, তারা বা নিহারিকার দলে
আপন কক্ষপথে চলে।
কেহ কারো স্থান না করি দখল, চলার গতিও হয় না বিকল।
সে চলে, সে বলে
কে সে? কে বলে? কে সে, কে চলে??
অনন্ত কালের অনন্ত গতিতে চলে।
সে যে জীবন্ত, নয় জড় গ্রন্থ, চাও কি উদাহরন
চাও কি প্রমাণ।
সে যে আল্লাহর বাণী, পারাবারের সহযাত্রী
আল্ কোরান। আল্ কোরান।
রঙের দুনিয়া
হাসনাবাদ
১১/১২/২০২০
রঙের দুনিয়া কি হবে ভাবিয়া
একদিন তো যেতে হবে দুনিয়া ছাড়িয়া
কি ভাব বসিয়া বসিয়া
কি হবে চিন্তা করিয়া।
মনরে কি ভাব বসিয়া বসিয়া
মনরে মনরে আমার
কি ভাব বসিয়া বসিয়া।
ভাবনা চিন্তা ছাড়, সময় থাকতে পথ ধর
যে পথে গেলে পাবে মওলার দিদার
সময় থাকতে আসল পথটি ধর।
পথের তো কোন শেষ নাই, কোন পথে বল যাই
কোনটা সঠিক পথ কেমনে লইব চিনিয়া,
কে বলবে সঠিক পথ আসিয়া।
কি ভাব বসিয়া বসিয়া।
পীরের নামে সেজদা করা, হয় মহাপাপ যেন শিরিক করা।
আবার দেখি কত লোকে, মাজারে সেজদা দিতে
হুমরি খেয়ে পরে
যখন যে মতের কাছে যাই, মনে হয় সঠিক তাই
আমি অন্ধ কপাল মন্ধ মরি হা হুতাশ করিয়া।
কি করব নাহি পাই ভাবিয়া চিন্তিয়া।
কি ভাব বসিয়া বসিয়া।
বড় বড় আলেম যারা নিত্য নতুন ওয়াজ করে তারা
একে কয় অপরকে কাফের, মতামতের হইলে হেরফের
কেউ বা লাঠি সোটা নিয়ে করে ভীষন তাড়া
সূর্যের শ্বশুর বাড়ি যাত্রা
হাসনাবাদ
১৩/১২/২০২০
সূর্যেরখ শ্বশুর বাড়ি যাত্রা//
বাসে চড়ি শ্বশুর বাড়ি
যাচ্ছে সুর্য নতুন বউটা সাথে করি
ভালমন্দ খাইছে ঠাসি, জবাই দিয়া পালা খাসি
আহা কি যে চর্বি ছিল গায়ে,পালছে কালাই/ভুষি ফল খাওয়ায়ে।
খাসির সাথে মাছ তো ছিলই, ধরছিল মাছ ভইরা খালই।
শাক সবজি আর ভর্তা ভাজি, কি যে মজা হইছিল আজি।
চাটনি পাঠাইছে খালা শ্বাশুড়ি, মামা শ্বশুরের মিষ্টির হাড়ি।
গৌড়গোপালের দধির টেষ্ট, যে যাই বলুক আমি বলি বেষ্ট।
একে একে সকল খাবার তপন দাদা করলো সাবাড়।
এখন খাবে না খাবে কখন, নতুন বিয়ে শাদি করল যখন।
শক্ত সামর্থ্যবান তাগড়া ছেলে শক্তি কি হয় নাহি খেলে।
নাইট কোচটা এবার ছাড়ল বাহে , কি মজা হাওয়া ধীর বহে।
নতুন বাসটার সিটগুলা মজার কিরে, বাসটা এবার ছাড়লো জোরে।
খাবার গুলা সব পেটের ভিতর, হুমড়ি খেয়ে পড়ে একে অন্যের উপর।
বাসটা যখন চলে জোরে নাগরদোলা আরো বাড়ে
সংগীত সুরে সবাই অস্থির, হিশি মামা হলো হাজির
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না//
আবুল হোসেন
হাসনাবাদ
১০/১২/২০২০
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না//
ওগো বন্ধু আমার,তোমার কি মনে পড়ে না।
তোমার কি কখন ব্যথা লাগে না।
সেই যে কিশোর বেলা একসাথে
কেটে যেতো বেলা হাসিতে খেলিতে
বালুকা বেলায় অলস হেলায়
কিশোর বেলা চলে গেল ধরা গেল না।
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না।
ছুটির দিনে কিংবা মক্তবে পড়ার ফাকে
ঘুড়েছি বনে বাদারে চড়েছি গাছের শাখে
ধরেছি মাছ বিলে তুলেছি শাপলা ঝিলে
শাপলার মালা গেথে পড়িয়েছি গলে
এসব কি কখনো মনে আসে না।
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না।
আজ তো সবই স্মৃতি তুমি ঘুমিয়ে গেলে মাটির চাদরে।
খুব কি তারা ছিল যেতে জীবন নদীর পারাবারে
তুমিই তো বলেছিলে হাতে রেখে হাত
কাটিয়ে যাবে জীবন সুখ দুঃখের সাথে সাথ।
এই কি ছিল নিয়তি নাকি তোমার ইচ্ছা বুঝা গেল না।
তোমার কি কখনো মনে পড়ে না।
তবে লজ্জা কি পাও
হাসনাবাদ
০৬/১২/২০২০
কেন বল, কেন বল, কেন বল বলোনা
বলোনা,কানে কানে বলোনা
তবে লজ্জা কি পাও।
লাজে রাঙা মিটলে হৃদয় প্রেমের রঙে
রাঙবে যে জান কি তাও
কেন বল বলোনা
তবে লজ্জা কি পাও
তুমি বল তুমি জান তুমি কত মনোহর
হে উষসী না না তুমি জান না জানিতে পার না
আরশী বিনা তব বদন তুমি হেরিতে না পাও।
তুমি বল তুমি জান তুমি কত মনোহর
কেন বল বলোনা,তবে লজ্জা কি পাও।
তুমি ছমকি ছমকি চল কোন কথা নাহি বল
সমীরও বক্ষ চিরি, হে হরিনী নয়না
তুমি ছুটে চল,তুমি ছুটে চল
মৃয়মান প্রাণ, গেয়ে উঠে গান
তুমি ফিরে নাহি চাও, তুমি দেখিতে না পাও
কেন বল বলোনা লজ্জা কি পাও।।
তব নেত্র যুগল বান বধে কত প্রাণ
হয়ে অগ্নি বাণ
কত কবি লেখে, তব আখি দেখ
বাধে বাউল গাণ।
ওহে চপল ললনা, ক্ষনিক দাড়াও না
খানিক দরশন দাও
কেন বল বলোনা লজ্জা কি পাও।।
হে ষোড়শী, হে নবীনা, তব নব যৌবন
লভিবে সে আশে ভূবন ভ্রমিয়া আসে