কুর্কুমা বাটো মেন্দি বাটো ----- ৪
পরদিন সকালে উঠে মুখহাত ধুয়ে চারতলায় গিয়ে দেখি সেখানে বিরাট মচ্ছব, তুমুল হৈ হুল্লোড়। ঝলমলে পোশাক পড়া ছেলে মেয়েতে ঘর গিজগিজ করছে, এদের মধ্যে অনেকগুলো নতুন মুখ দেখলাম। এই প্রথম আমার বাড়িটাকে বিয়ে বাড়ি মনে হলো। নতুনদের দু' একজনকে দেখলাম লীনাকে উপহার দিচ্ছে এই সুযোগে আমিও আমার উপহার বের করলাম । আমি উপহার নিয়ে গিয়েছিলাম দুটো। বাতের তৈরি একটা কলমদানী (মেড ইন আড়ং) আর নতুন কড়কড়ে একটা খাঁটি দেশী গামছা (সম্ভবত মেড ইন পাবনা), উপহার পেয়ে লীনা আরেক প্রস্থ আমার উপর ঝাপিয়ে পরে ধন্যবাদ জানালো। গামছাটা হাতে নিয়া আদুরে গলায় জিজ্ঞাস করলো,
- এইটা দিয়া কি করে !
আমি উদাস গলায় বল্লাম - এইটা স্কার্ফের মত মাথায় পিন্দে।
মেয়েটা সাথে সাথে গামছার ভাজ খুলে মাথায় জড়িয়ে একটা লম্বা মত ছেলেকে ডাক দিয়ে বললো,
- উকাশ!দেখে যাও আমার বাংলাদেশী দোস্ত কত সুন্দর একটা উপহার নিয়ে আসছে আমার জন্য!
ছেলেটা হেলেদুলে কাছে এসে বললো – বাহ! সুন্দর তো!
লীনা তখন পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললো,
-দোস্ত পরিচয় করিয়ে দেই, এ হচ্ছে উকাশ, আমার হবু বর মানে আর কিছুক্ষন পরেই আমরা বিয়ে করবো।
খেয়াল করলাম কথাটা বলার সময় লীনার গাল আরেক প্রস্থ লাল হলো।
উকাশ ছেলেটা ছয় ফিটের মত লম্বা, মুখটা বাচ্চাদের মত, ছোট ছোট করে ছাটা কালো চুল বেশ হাসিখুশি। আজকেই বিয়ে অথচ সাতসকালে শ্বশুরবাড়ি বন্ধু বান্ধব সহ হুল্লোর করছে , কপাল বটে!
আমার সাথে হাত মিলিয়ে বললো –আরে ! তুমিই তাহলে সেই বাংলাদেশি বন্ধু !কি খবর ! কেমন আছো! আশা করি আমাদের বিয়েতে অনেক অনেক মজা করবে ।
আমি কাঁধ নাচিয়ে বললাম – সে আর বলতে !
লীনা কিছুক্ষন পরেই সমস্থ দায়-দায়ীত্ব নাস্তি নামের এক বান্ধবীর কাঁধে চাপিয়ে পার্লারের দিকে রওনা দিলো। নাস্তির কথা বলা হয়নি আগে। প্রথম যখন পরিচয় হয়েছিলো তখন মনে হয়েছিলো - এই সুন্দর বাচ্চা ছেলেটা এখানে কি করছে! মনে হয় লীনার কোন চাচাত মামাত ভাই হবে, বড়দের মত আবার ঢক ঢক করে বিয়ারও খাচ্ছে! আচ্ছা, ওর বয়স কি আঠারো হয়েছে!
কিছুক্ষন পরেই জেনেছিলাম , নাস্তির পুরো নাম এনেস্তাসিয়া (শেষ জার নিকোলাই রোমানভ এর সর্ব কনিষ্ঠ কণ্যার নাম যার অন্তর্ধান নিয়ে এখনো অনেক মিথ রয়েছে), লীনার স্কুল বান্ধবী। পচন্ড ছটফটে একটা মেয়ে একটু পরপরই তিড়িং বিড়িং করে লাফাচ্ছে, একেবারেই ছেলেদের মত করে ছাটা চুল এবং আপাদমস্তক ছেলেদের পোশাক পড়া হাফ স্লিভ ফ্লানেলের চেক সার্ট সাথে থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট এমন কি পায়ের স্নিকারটাও ছেলেদের। লীনার বিয়েটা যদি একটা যুদ্ধ হয় তাহলে নিঃসন্দেহে নাস্তি হচ্ছে এই যুদ্ধের সেনাপতি।
নাস্তি রিতিমত সেনাপতির মতই ঘোষনা দিলো
- সবাই শাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে যাও। বেলা ১১টায় বিয়ে শুরু হবে আমরা এখান থেকে দল বেঁধে বিয়ের রেজিস্ট্রি অফিসে যাবো, আমাদের প্রানপ্রিয় বন্ধুর বিয়ে শেষে সেখানে হল রুমে হালকা নাস্তা এবং সাথে পানীয় ব্যাবস্থা আছে, তবে আমি আমার বন্ধুদের নিষেধ করবো সেখানে পানীয় বেশি না খেতে কারন রেজিস্ট্রি অফিস থেকে আমরা সবাই ‘পাব পার্কোভি’ যাবো, পুরোটা পাব দুই দিনের জন্য ভাড়া নেয়া হয়েছে শুধু মাত্র আমাদের জন্য, সেখানে সবার জন্য পানীয় এবং খাবার আনলিমিটেড।
এটুকু বলার সাথে সাথে উপস্থিত পোলাপান সব আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
সাড়ে দশটার মধ্যেই আমরা গাড়ি বহর নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম। গাড়িতে বসে বসেই চিন্তা করছিলাম ‘প্রেম’ ব্যাপারটা মনে সারা দুনিয়া জুড়েই একই রকম। আমার এক রুমমেট ছিলো ডেমিয়েন নাম, সেই ছেলের বান্ধবী আশকা থাকতো আমাদের হোস্টেলে একই তলায়। সেই ডেমিয়েন মাঝে মাঝে যা পাগলামি করতো তার একটা নমুনা বলি, একদিন সন্ধ্যায় সে আমাকে ডেকে বললো
– দোস্ত একটু সাহায্য করবি ? আশকা নিচে গেছে ওয়াশিং মেশিনে কাপড় দিতে এই ফাকে আমি ওর রুমে ঢুকে সারাটা রুম ছোট ছোট মোমবাতি জ্বেলে ভরিয়ে দিবো ও ফিরে এসে চমকে যাবে । তুই কি আমাকে একটু সাহায্য করবি ?
লীনাকেও একা পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওর সাথে উকাশের পরিচয়টা কিভাবে হয়েছিলো? লীনা ছোট করে ঘটনাটা বলেছিলো –
- আমরা তো একই এলাকায় বড় হয়েছি এই শহরেই , তাই ছোটবেলা থেকেই ওকে আমি চিনি। একটু বড় হবার পর খেয়াল করলাম ও আমার দিকে সরাসরি তাকিয়ে কথা বলে না আর আমার সাথে কথা বলার সময় কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে থাকে, তখনই আমার সন্দেহ হয়েছিলো। একবার পাড়ার এক ছেলের সাথে কোন কারনে আমার মারামারি হয় পরে শুনেছিলাম সেই ছেলেকে উকাশ তার বন্ধুবান্ধব নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে এসেছিলো এটা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আমি ওর সাথে ঝগড়া-রাগারাগি করে কথা বলা বন্ধ করে দেই ।
এরপর অনেকদিন আমাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ ছিলো না। হাইস্কুল শেষ করে আমি যখন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হবার জন্য পোজনান শহরে যাই কাকতালীয় ভাবে উকাশ তখন সেই শহরের বাসিন্দা সেখানে সে বছরখানেক ধরেই পড়ছে। আমার সাথে তখন তার কথা হয়, সে বলে কোন চিন্তা করো না আমি সব চিনি , তোমার যেখানে যেখানে কাজ আছে তুমি চাইলে আমাকে সাথে নিয়ে যেতে পারো আমার কোন সমস্যা নেই। ওই আমাকে নিয়ে অফিস অফিস ঘুরে ভর্তি করিয়ে দেয়। এই সব ঘোরাঘুরির ফাঁকেই কোন একসময় রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হাঁটার সময় উকাশ বারবার আমার কনে আঙুল ধরার চেষ্টা করে , লজ্জায় আমি তখন অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে তাকাই, সে প্রথম একবার আমার আঙুল ধরে ছেড়ে দেয় আবার কিছুক্ষন পরে ধরার চেষ্টা করে আমি দুষ্টুমি করে হাত সরিয়ে নেই বেচারা মনে হয় তখন ভয় পেয়ে যায় পরে আমিই হাত বাড়িয়ে দেই। এই হচ্ছে আমাদের কাহিনী।
আমি অবাক হয়েছিলাম লীনার গল্প শুনে। মনে হচ্ছিলো আমাদের উপমহাদেশের কোন প্রেমের ঘটনা শুনছি।
চলবে …..
....আগের কাহিনী গুলা পরে পড়ুম, কাহিনী কুনদেশিয়, সেইডা বলেন....নাম দিয়া ধরতের পার্তাছিনা....
দুদিনের জন্য খানা আর পিনা আনলিমিটেড?? আহেম আহেম...
কাহিনী পোল্যান্ডের।
সেই দুইদিন কিন্তু কাজে লাগানো যায় নাই ... প্রথমদিন ওভারডোজ .. পরেরদিন হ্যাং ওভার
ওয়াও। সেইরকম আনন্দদায়ক হইছে লেখাটা। পড়তে চরম লাগলো। যাই আগের পর্ব গুলা পড়ে আসি।
থ্যাংকু
দারুণ লাগতেছে। হেব্বি মজা!
যাক বাবা বাইরাইলো শেষ পরযন্ত। আনলিমিটেড দুইদিনের যায়টা সবথিকা ভালা লাগছে।
হে হে হে হে.... জ্ঞানীরা নাকি একই রকম চিন্তা করে !!
চাইরে আইসা তো পুরাই আবেগী হইয়া গেল...
আবেগ বিবেক সব নিয়াই তো জীবন
বেয়াদব পোলাপাইনের কারনেই আমগো দেশে মদ ওপেনলি খাওয়া নিষেধ করা হৈছে ! কথার কী ছিরি ! প্রথমদিনেই ওভারডোজ, পরেরদিন হ্যাংওভার !!!
আরে হালায় দেশে খাইছেনি?
ছি ছি ছি ... আমি কুক ফান্টা চাড়া জীবনেও অন্যকিছু খাই নাই
তাতো বুঝলাম কিন্তু পোলাটাতো দেশি... নাকী দুলাভাই ???
বি এ রোমান হোয়াইল ইন রোম।
যেই দেশে যদাচার
কাছা তুলে খাল পাড়।
আপনেগো অনেক কিছু শেখার বাকী।
জাঝা রায়হান ভাই
তাতো বাকীই... তা, এর মইধ্যে কি " কাছা তুলে খাল পাড় "
ও পড়ে নাকী ?
চলুক । জমতেছে হেভী।
থ্যাংকূ
খুব মজা লাগলো পড়তে। দেশের বিয়ে আর বিদেশের বিয়ে, আকাশ পাতাল ফারাক।
হু , সেটাই ।
তুমি কবে আসলা এখানে !! স্বাগতম
আমি এই দুইদিন আগে আসছি ভাই। আইসেন আমার ব্লগে, কেমন?
অবশ্যই যাবো
তয় তুমি বিমা খালি চুল দেইখ্যা সিদ্ধান্ত নেও এইডা পোলা না মাইয়া-জাইনা একটু কষ্ট পাইলাম আরকী।
লেখা চলুক।
ইয়ে .. মানে .. সেটা না দুলাভাই ... ব্যাপারটা আসলে নজরে পড়ার মত ছিলো না
বিমার বিয়ার সময় এইরকম দুইদনের আনলিমিটেড হইবো না?
অবশ্যই হইবো ... সেইটার যাবতীয় ব্যয়ভার আমার দুলাভাই বহন করবো
গরীব মানুষরে টানো কেন আবার?
আরে নাহ ... আমার দুলাভাই গরিব হৈতে যাইবো ক্যান !! এই খরচ উঠাইতে উনার দুইটা টকশো কর্লেই চলবো
তয় তুমি বিমা খালি চুল দেইখ্যা সিদ্ধান্ত নেও এইডা পোলা না মাইয়া-জাইনা একটু কষ্ট পাইলাম আরকী।... হ দুলাভাই, হাছা কতা
আপনে কথা কইয়েন না মিয়া। আপনে তো লম্বা চুল দেখলেই মাইয়া ধইরা নেন।
হ .. দুলাভাই .. ঠিক কইছে । এইটার প্রমানও আছে । ইয়াজিদ একবার কৈছিলো লম্বা চুল হাতাইতে নাকি উনি খুব ভালবাসেন
আর কইয়ো না উনি ভাস্করদার চুল দেইখ্যা পর্যন্ত................
নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক
সাবধানে থাইকো বিমা। তুমিতো মাঝে মাঝে চুল বড় রাখো।
রায়হান ভাই ... এখন কিন্তু আপনার বড় বড় চুল ... সাধু সাবধান
এই জন্যইতো ল্যাবএইডের ধারে কাছে যাই না।
'ইয়াজিদ ভাই'
লে বাবা ! আমিতো আপনের পক্ষেই কৈছি...
আমি তো আপনার পক্ষে। বিপক্ষে কে কইলো?
হে হে হে হে ...
আরে ! কৈলামতো রে ভাই ... জিনিসগুলা ঠিক নজরে পড়ার মত না..
লালুদা এইরাম দুইদিনব্যাপী একটা আনলিমিটেড রিসোর্সওয়ালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে। (বিয়া-শাদীর অনুষ্ঠান বাদে)
লালুদা তো কইছে ... চাইর-পাঁচজন হইলে উনার কাছে কোন ঘটনা না
তাইলে বিষয়টা মনে মনে রাখো। নেক্সক্ট টাইম গেলে...
কেডারে !!! মুক্লা নাকি !!!
তোমার সময়মত হৈলেতো হৈবোনা মুক্লা ! সামনের মাসে লালভাই চইলা যাইবো কানাডায়.... তার আগেই হৈবো
হ .. ঠিক ঠিক
যাক, এটা টাটকা!... ভাল লাগছে তবে ছবি দিলে আরো ভালো হতো... আগেতো ছবি দেখেছিলাম...
আশকা/ডেমিয়েনরে মনে পড়লো...
কেমন আছে ওরা?... মানু শুধু ধারেকাছে নাই , তাইলে দেখতা আশকা'রে নিয়া ওর উদাসী কথা... 
হ ... (ফটু পরের পর্ব থিকা দিমু ঠিক করছি)
ওরা খুব ভাল আছে .. ফোনে কথা হয় মাঝে মাঝে
হ রমজান থাকলে তো এখনি প্রলাপ বকা শুরু করতো
"পাশাপাশি হাঁটার সময় উকাশ বারবার আমার কনে আঙুল ধরার চেষ্টা করে , লজ্জায়
আমি তখন অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে তাকাই, সে প্রথম একবার আমার আঙুল ধরে ছেড়ে
দেয় আবার কিছুক্ষন পরে ধরার চেষ্টা করে.........."
***********************************
এই পদ্ধতিটা পছন্দ হয়েছে খুব। আগামীতে প্রেমে পড়ার সময় এই পদ্ধতি অবলম্বন করবো। আসলে প্রেম জিনিসটা 'স্নিগ্ধ সুরভিত ইন্টারন্যাশনাল লাক্সে'র মতন
হু এইটা কিন্তু ভাল পদ্ধতি .. ট্রাই করতে পারেন ।
প্রেমের ব্যাপারটা সবখানেই একই রকম
বস, এই বয়সে আঙুল মাঙুলে পোষাইবো?
পেমের আবার বয়স কি?
শিখে রাখতে দুষ কি?
হ হ .. ঠিক ঠিক
আসলে প্রেম জিনিসটা 'স্নিগ্ধ সুরভিত ইন্টারন্যাশনাল লাক্সে'র মতন??????????
কেমনে কি?
এইটা ছেলেদের বিষয় .. তুমি বুঝবা না
ঘটনা কি?কুন পোষ্টে কয় বড়দের বিষয়, এইখানে ছেলেদের বিষয়!!সব বিষয়ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে।
যাউকগা, পোষ্ট পইড়া মজা পাইলাম।এখন থেকে নিয়মিত লেখ।শহীদ হইয়া গেলে কি লেখবা কে জানে!!!
বালাই ষাট ... কুকথা বলো ক্যান !
শহীদ হৈলে তো মনের দুঃখে বেশি বেশি কবিতা আসার কথা .. সেই কথা ভেবে একটা কবিতার খাতা কিনে রাখবো নাকি চিন্তা করছি
পর্ব ৩ পর্যন্ত আগের বাড়িতে পর্ছিলাম
এইটাও জোস লাগল
বিমা'দা কেমন আছেন?
আরে !! নিজের নামে নিক নিলা ক্যান !! আগেরটাই তো সুন্দর ছিলো

ম্যালাদিন পরে দেখলাম তোমারে .. সামুর সেই আড্ডা পিটানি দিনগুলি মনে হয় এখানে ফিরা আসতেও পারে
চতুর্থ পর্বের জন্য এতো দীর্ঘ অপেক্ষা সার্থক। সাথে বোনাস পাওনা কমেন্টগুলা
নুশেরাপা ঢাকায় আমাদের স্বশরীরিয় আড্ডাগুলোতে ক্যান জানি আপনাকে মিস করি ... জানি না আপনি দেশে থাকলেও আড্ডায় আসতেন কিনা ... আমাদের আড্ডায় কিন্তু আপনার জন্য নির্ধারিত একটা সেগমেন্ট থাকেই
সেই সেগমেন্টটা কি ছায়াছন্দ বিষয়ক? নাকি আরও অপমানজনক কিছু?
হি হি হি ... চিন্তা করেন ক্যান !! আমি আছি না !!
বিমা'দায় হাল্কা মিস্টেক কর্ছেন। এইটা মাল্টোভা ম্যাঠামে না
এ্যাঁ !! কেমনে কি !!
তোমার বিয়াতে তাইলে সুন্দর একটা কবিতার খাতা গিফট দিমুনে। ভালই হইলো কি গিফট দিমু আর চিন্তা করা লাগলো না।
আমার বিয়া যে কবে হবে !!!
হবে। সবুরে বউ ফলে, জানো না?
আমার তো ইচ্ছা ছিলো চাইটা একসাথেই সাইরা ফেলুম ... ঝামেলা হাতে রাইখা লাভ কি !!
সুবহানাল্লাহ।মনের খায়েশ পূরণ হোক।
হ, এইটা মরুর
সামুতে কইলাম ছয়মাস হইছে যাই না .. অনেক ভাষাই বুঝতার্তাছিনা
এইবার চিন্ছি রে
ফেসবুকে বিমার ফটুক মাইরা দেওন সংক্রান্ত মজমাতে এই পর্বের নামগুলা ওই দিন খুব দর্কার ছিল ...
অনেক দিন পর পর্ব দিলা
হ .. মিস্টেক হয়া গেছে।
কলম আটকাইয়া গেছিলো ক্যান জানি ...
যাক ৪ আসলো; আমি তো ভাবছিলাম আর আসবোনা; মানুষের আবেগ অনুভুতি তো সব যায়গায় ই নির্দিষ্ট কয়টাই শুধু তার প্রকাশ আর অনুপাত টা ভিন্ন; ঐদিন "মাই গ্রীক ফ্যাট ওয়েডিং " ছবিটা দেখার সময় আপনার লীনার কথা মনে পরতেছিলো
ওরে কাক্না, মুভিটার নাম হবে মাই বিগ ফ্যাট গ্রীক ওয়েডিং
বিগটা বাদ পইরা গেসে
অনুভূতির ব্যাপারটা নিয়া কিন্তু আমাদের অনেকেরই ভুল ধারনা আছে। আমাদের ধারনা আমাদের মত আবেগ অনুভূতি আর কোন জাতির নাই।
হয়তো সবজাতিই এইরকম ভাবে
সেইটাও অসম্ভব কিছু না
চলুক। ভাল্লাগছে...
থ্যাংকু
আরে এই লেখাটা শেষ পর্যন্ত চলতেছে!
সাথের ফেইসবুকের সেই ক্ষ্যাত ছবিগুলা দেন, বিমাভাই।
হ .. আবার ঠেলা দিয়া শুরু করলাম .. ফটু দিমুনি
kemon acho ??
নারু যে !!!! কি খবর !!!!!!!
যাক.. এতদিন বাদে পর্ব চার বাইরাইলো??


পর পর ৩ পর্ব তো অনেক আগেই পড়ছিলাম। কিন্তু, ৪ আর আসলো না।
এখন পইড়া শান্তি লাগতেছে।
বাকিগুলা যেন এইটার মত ডিউ না হয়।
নাহ ,, পুরাটা তাড়াতাড়িই নামায়া দিমু চিন্তা কর্তাছি
এইটা আরো চলব? এক বিয়াতে পুরা ব্লগ জীপন পার করবেন বইলা সিদ্ধান্ত নিসেন ?
আরে ! এইটা তো ভালো আইডিয়া !!!
মন্তব্য করুন