চ্যাপলিনের “দ্যা গোল্ড রাশ” (১৯২৫)
কয়েক দিন আগে নামালাম সিনেমাটা । চ্যাপলিন অনেকবার বলেছিলেন “দ্যা গোল্ড রাশ”এর জন্য তাকে স্মরণ করলে তিনি সবচেয়ে খুশী হবেন । কমেডি, ড্রামা, ট্রাজেডি আর রোমান্সের এক অসাধারণ নান্দনিক মিশ্রণের ফলাফল এই ছবি, যাতে চ্যাপলিন একাধারে অভিনয়, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনা ও প্রযোজনা করেছিলেন ।
একশ বছর আগের স্বর্ণান্বেষীদের জন্য বিপদসংকুল আলাস্কার প্রেক্ষাপটে চ্যাপলিন এই ছবিটি বানিয়েছিলেন । চ্যাপলিনের ট্রেডমার্ক ভবঘুরে "ট্রাম্প” আলাস্কায় স্বর্ণের সন্ধানে গিয়ে নানাবিধ প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় আর ঘটনাক্রমে নাচিয়ে “জর্জিয়া”র সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেমে পড়ে । সিনেমার কয়েকটা দৃশ্য ভোলার নয়, যেমনঃ খাবারের অভাবে চামড়ার জুতা সিদ্ধ করে খাওয়া, ক্ষুধার্তের চোখে ভবঘুরে ট্রাম্পকে মানুষের বদলে মুরগী মনে হওয়া, ভবঘুরে ট্রাম্প আর জর্জিয়ার নাচ, তুষার ঝড়ে পাহাড়ের কিনারায় কেবিনের প্রচন্ড দুলনি ।
সম্ভবতঃ এর আগে কেউ একই সিনেমায় কমেডি আর ড্রামার সংমিশ্রণকে রূপদান ও দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন নি । কমেডি আর ড্রামার সমন্বয় এই ছবিতেই চ্যাপলিন প্রথম সার্থক করে দেখান । তিনিই কেবল অনাহার আর বেঁচে থাকার সংগ্রামের দৃশ্য থেকেও দর্শকের জন্য হাসির উপাদান বের করে আনতে পারেন ।
পঁচাশী বছরের পুরনো হয়েও সিনেমাটি আজো অনেক আনন্দদায়ক । সময় পেলে দেখে ফেলুন...
~
দেখার ইচ্ছে আছে
গোল্ড রাশের আবেদন আরও হাজার বছর পরেও থাকবে বলেই মনে হয়। অসাধারণ একটি মুভি। আর চার্লি চাপলিন তো অলটাইম বস।
দেখেছি! অনেক মজা লাগছে, তবে "দা গ্রেট ডিক্টেটর" বেশি পছন্দের! চ্যাপলিন অল টাইম বস!
দেখার ইচ্ছা আছে
আমি দেখি নাই। দিখে তার্পর বলতে চাই।
চ্যাপলিন অল টাইম বস! আমাদের ছোটবেলায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকালে টিভিতে চার্লি চ্যাপলিন দেখাতো। প্রচন্ড আনন্দ পেতাম, অথচ এখন ভাবি, আসলে কি বুঝে হাসতাম?
মন্তব্য করুন