“Invictus” ...হার না মানার গল্প
“Invictus” মানে "অপরাজেয়" বা "অপরাজিত"। উইলিয়াম আর্নেস্ট হেনলের এই নামে একটি কবিতা আছে যেটা তিনি হাসপাতালে হাড়ের যক্ষ্মায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিখেছিলেন। খুব কম বয়সে তিনি এই রোগে পরেন আর এই কবিতা লেখার কিছু আগে তার পা কেটে ফেলা হয়। জীবনের চরম দুঃসময়েও সাহস এবং নিজের মর্যাদা ধরে রাখার কথাই এই কবিতার প্রতিপাদ্য। “Invictus” কে ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান অনুপ্রেরণার কবিতা হিসাবে দেখা হয়। ২৭ বছর কারাবন্দী জীবনে এই কবিতা নেলসন ম্যান্ডেলার নিজের এবং অন্য কয়েদীদের অনুপ্রেরণার শক্তি হিসাবে কাজ করে। “Invictus” সিনেমাতে ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দলের অধিনায়কের হাতে এই কবিতাটি তুলে দেন যা তাদেরকে রাগবি ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ে অনুপ্রাণিত করে।
রাগবি খেলাটা বুঝি না। তাই এই সংক্রান্ত সিনেমা নিয়ে কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু সিনেমাটার সাথে ম্যান্ডেলার নাম জড়িত থাকায় কালকেই নামালাম। সাধারনতঃ সিনেমা হার্ডডিস্কে বেশ কিছু দিন ঘুমানোর পরে আমার দর্শন পায়। কালকে কি মনে করে ঘুমাতে যাবার কিছু আগে সিনেমাটা ছাড়লাম, একটু দেখে রেখে দিবো পরে সময় করে দেখার জন্য। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি, সোয়া দুই ঘণ্টার সিনেমা দেখে তবেই ওঠা গেল।
কি আছে এতে? সময়কাল মধ্য ‘৯০। ম্যান্ডেলা মাত্র বর্ণবাদ-বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন। শুরুতেই সংবাদপত্রের শিরোনাম “"He can win an election, but can he run a country?" নির্বাচনে জেতা আর দেশ চালানো যে এক কথা নয় সেটাই আবার স্মরণ করিয়ে দেয়।
জাতিবিদ্বেষে ক্ষত-বিক্ষত আর অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত দেশের নেতৃত্বে ম্যান্ডেলা। পুরো দেশ দ্বিধা-বিভক্ত, সাদারা যা করে কালোরা তা সহ্য করতে পারে না, কালোরা যা করে সাদারা তা সহ্য করতে পারে না। সাদাদের সবচেয়ে পছন্দের খেলা রাগবি, তাই সেটা কালোদের চরম অপছন্দের। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় রাগবি দল অন্য কোন দেশের সাথে খেললে কালোরা নিজের দেশকে সমর্থন না দিয়ে বিদেশী দল কে উৎসাহ দেয়!! দেশের এরকম একটা পরিস্থিতিতে ম্যান্ডেলা রাগবি কে ব্যবহার করলেন পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে। রাগবি জাতীয় দলের অধিনায়ক সহ পুরো দল কে উজ্জীবিত করে বিশৃঙ্খল, বিভক্ত, অবহেলিত একটা দলকে করলেন সর্বজয়ী, সাথে জিতলো ঐক্যবদ্ধ দেশ!
সিনেমার মধ্যে দিয়ে ম্যান্ডেলা কে আরেকটু জানা গেল। সাথে আমাদের গত একশো দশ বছরের আঞ্চলিক ইতিহাস চিন্তা করলে, একজন ম্যান্ডেলার অভাব বেশ চোখে পরে।
শেষ লাইন দু’টি “I am the master of my fate. I am the captain of my soul.” সবাইকেই কোন না কোন ভাবে নাড়া দেয়। ক্লিন্ট ইস্টউডের পরিচালনা আর মরগ্যান ফ্রিম্যানের অসাধারণ অভিনয়ে সিনেমাটি দেখতে ভালোই লাগবে আশা করি।
~
অতি দ্রুত দেখতে হবে। আজকাল এই মুভিটার প্রচুর আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি চারদিকে।
হু ... আপনিও তাড়াতাড়ি দেখে প্রতিঃধনি দ্যান
~
এখানেই ম্যান্ডেলা আর আমাদের নেতা নেত্রীগন।
আফসুস!!
আফসুস
~
দেখা লাগবে। লিস্টে রাখলাম।
ডাউনলোড লিংক
লিস্টে ঢুকান তার পরে বটমআপ দেখা শুরু ক রেন
~
রোজার দিনে সিনেমা!!!!!
রোজার রাত্রে...নিঃর্দুশ ছিনেমা
~
লিস্টে রাখলাম। রোজায় ধরছে। সিনেমা দেখতে নিলেই ঘুম পায়।
আমিও ঘুম ঘুম চোখে দেখতে বসছিলাম...কয়েক মিনিটেই ঘুম হাওয়া....
~
আগে ডাউনলোড করে রাখি, রোজা শেষ হলে দেখুম্নে।
দেখা পরবর্তী মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম
~
দারুণ একটা মুভি। ক্লিন্ট ইস্টউড এ সময়ের অন্যতম সেরা পরিচালক
আসলেই দারুণ
~
দেখার লিস্টে তুলে নিলাম! আপাতত অলিম্পিক ২০১২ ওপেনিং অনুষ্ঠান টা ডালো চলতেসে, এইটা শেষ করেই মুভিটা নামানো শুরু
খাইছে... রইন্যা এই পোস্টে কমেন্ট করছে ?!? ম্যান্ডেলার সৌভাগ্য
~
ইয়াহ! ব্লগে মুভি ফেরিওয়ালাদের সব পোস্টই আমি ফলো করতেসি আপনার দেয়া The Boy In The Striped Pyjamas (2008) দেইখা পুরাই টাস্কি খাইসিলাম!
আরেকবার ধন্যবাদ, মুভিটা সম্পর্কে জানানোর জন্য! এই টাইপ আরো থাকলে জানায়ে বাধিত করবেন
ভাল লাগছে দেখে ভাল লাগলো
~
অসাধারন।
আমার দেখা বেস্টেস্ট মুভিগুলার একটা।
লিস্টে তুলে রাখলাম।
মন্তব্য করুন