আমার মেয়েরা, আমার মায়েরা-৩
সম্মানীত সূধীবৃন্দ,
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আবারও আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে মাসিক শিশুবার্তা। আমাদের এই পর্বে থাকছে ছোট্ট এষা এবং আয়লার ছয় মাসে পদার্পণের সুখবরের পাশাপাশি বাছাই করা কিছু ছবি।
বিগত পাঁচ মাসের ইতিহাস, বাপ-মায়ের হাড়মাস কালি হবার ইতিহাস, নির্ঘুম রজনী আর ত্রাহি চিৎকারে পোকা উড়ে যাওয়া কর্ণকুহরের ইতিহাস। তবুও দিনশেষে একটা নিস্পাপ মুচকি হাসি, অথবা অভিমানে সামান্য ঠোঁট উলটানো বদলে দেয় সবকিছু। অপার ক্লান্তি ছাপিয়ে বিজয়ী হয় স্বর্গীয় ভালোবাসা, কোচকানো ভ্রূ সোজা হয়ে মুখ ফুটে বের হয়---' আয় মা বুকে আয়।'
এবার কিছু ছবি শেয়ার করি আপনাদের সাথে।
দাঁত উঠছে মনে হয়, নিজের অজান্তেই ওদের হাত মুখে চলে যায়
ইদানীং ওরা নিজে থেকেই কাৎ বা প্রায় উপুড় হতেও শিখেছে
আয়লার কান্না কোনোভাবেই থামছিল না, শেষ পর্যন্ত বেড়ালের পী্ঠে চড়ে তবে ঠাণ্ডা
পা পড়ে না মাটিতে, তবুও ওয়াকারে বসতে কত আগ্রহ!
নানী আসছিল বেড়াতে, তার সাথে পার্কে বিকেলে ঘুরতে
যেখানেই যায় লোকজন ভীড় করে চারপাশে, বুড়ো-বুড়িরা মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দেয়
আরও কাড়াকাড়ি, এক দুপুরে বিশজনের কোলে চড়ে ছবি তুলতে হয়েছিল ওদের
এক ফাঁকে কেউ তাইওয়ানিজ জাতীয়তাবাদ হাতে ধরিয়ে দিয়েছে এষার, শখ কতো!
আমার ছেলের বয়স ২১ মাস চলছে
এই মুহুর্তে ও আপনার দু কন্যার ছবি দেখে মিটি হাসছে 
সাবাশ! বাপকা ব্যাটা
আপনার কপাল ভালো।কিছু গালিগালাজ থেকে বেচে গেলেন।কারন আজ ল্যাবে এসে আগে ফেসবুক ওপেন করে দেখি একটা ছবি গাল দিতে গিয়ে দেইনি ভাবলাম সকালবেলা গালিগালাজ দিলে দিন খারাপ যাবে সুপারম্যান ডলা দিবে।কিন্তু ব্লগ খুলে মনটা ভালো হয়ে গেলো।
আহা রে অনেক আদর।এষা আর আয়লা কে।
যাক কন্যাভাগ্যে এ যাত্রা বেঁচে গেলাম
ধন্যবাদ আশরাফ।
আপনে বাচঁছেন কন্যা ভাগ্যে আর আমি বাচঁছি ভাতিজি ভাগ্যে।দুইদিন ল্যাবে আসি নাই।আজ সকালে আসার সময় চিন্তা করতে করতে আসছি আজ কপাল খারাপই আছে।সুপারম্যান আজ আমারে নিয়া ফুটবল খেলবো।কারন কোন আউটপুট নাই যেই কাজ দিছিলো তার বারোটা বাজায়ছি।স্যাম্পল নষ্ট করেছি।
কিন্ত হায় একি সুপারম্যান কয় আরে এতে আপসেট হওয়ার কি আছে!!!আমি আরো স্যাম্পল আনতেছি।তুমি দুঃখ করোনা।শুধু মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাও।সব ঠিক হ্যে যাবে।আমি কইলাম জি ঠিক আছে.।.।।

সারাদিন রাত ফেসবুক আর মেসেন্জারে থাকলে তো এমন হবেই।
ফুপি বদ দোয়া দিয়েন না গো.।
আর সারাদিন রাত আমি ফেসবুক আর মেসেঞ্জারে থাকি এটা আপনে জানলেন কেমনে?
আমি যখনই ফেসবুকে যাই, মেসেন্জারে আসি দেখি আপনি আছেন, সাঈদ ভাই আছে।অতএব না জানার কি হইলো?লেখাপড়া করনের সময় পান কখন?
যে রাধেঁ সে চুলও বাধেঁ।
তার মানে কী? রাসেল রাঁধে, চুলও বাঁধে? আর কী কী নারীসুলভ গুণ আছে পোলার?
রান্না করা এখন আর মেয়েদের কাজ নাই ওটা ছেলেদের কাজ হইয়ে গেছে এখন।আর এই পরদেশে নিজেই রাইন্ধা খাইতে হয়।কারন আমি ঘাস লতা পাতা শামুক ঝিনুক খাইতে পারি না।

সকালটা সুন্দরভাবে শুরু হলো, সবটাই এষা আর আয়লার জন্যে
সুইট বেবীদের অনেক আদর....
অসংখ্য ধন্যবাদ লীনা। ভালো আছেন আশাকরি।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই একবার পিসি অন করি ব্লগ একনজর দেখার জন্য।আজ সকাল শুরু হলো এষা আর আয়লার চাঁদমুখ দেখে।টুনটুনি গুল্লুগাল্লু ময়না পাখিদের জন্য অনেক আদর। আদর আদর আর আদর।
এখনও অফিসে, বিকালে তোমাদের সবার দেয়া আদরের ঝুড়ি নিয়ে বাড়িতে যাব, মেয়েদুইটাকে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিতে হবে
মেয়ে দুইটারে যতই দেখি মন ভরে না তো! জানের টুকরা দুইটা।আদর দিয়েন । গাল টিপে দিয়েন কিন্তু।
লাইক্কইরা গেলাম
আমার মোবাইল (!) দিয়ে ওদের কিছু ছবি তুলতে হবে!
আমার মডেলরা, ভাল থেকো।
কিছুটা কৌতুহল
প্রশ্ন ১: ক্যান... তারা কি হারাইয়া যাইতারে?
প্রশ্ন ২: মামুন ভাইয়ের কি ক্যামেরা নাই যে আপনার মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে রাখতে হবে?
টুটুল দেখি পচ্ছোপেছি করতাছ!
দুলাভাই,
আপনার মেয়ের ছবিও আমি আমার মোবাইল(!) দিয়া উঠামু।
পারলে কিছু কইরেন!
আপনার কি কাজ কাম নাই! ছুটি নিয়েছেন নাকি?
টুটুল ভাই, আপনার ছেলে হবে শুনলাম য়ে! মেয়ে হবে নাকি?আপনি দেখি ভুল তথ্য দিয়া জাতিরে বিভ্যান্ত করছেন!আমরা ছেলের জন্য এত্ত নাম দিলাম আর এখন জানলাম মেয়ে হবে?
টুটুল ভাই এর সাথে কুনু কথা নাই। বদ লুক। আমাদের মিছা কথা কইলো?

পেচ্ছাপেছিতে ছেলেও আজকাল মেয়ে হয়ে যায়
কি কইরা= ঠিক কইরা
যার শ্যালক গরুর বেপারি... তার তো গুলাবেইগো আফামনি
থাক গুলাইয়েন না। ঠিক কইরা কন দেখি পুলা না মাইয়া?পেচ্ছাপেছিতে সব ভুইলা গেলেন?
এত্ত সুইটো বাবুদের পোস্টে আর পেচ্ছাপেছি কৈর না

চল আম্রা মেসবাহ ভাইয়ের পোস্টে যাই
দুলাভাই, আপনার এত নারী ভক্ত আছে, তা জানা ছিল না!
মাদার, আই আম সরি! আমার ইনফরমেশনে ভূল আছে।
দুলাভাই আমার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে!
দুলাভাইর একদিন কি আমার একদিন!
মেজবাহ'র পোস্টে আসুন।
সোনামনিদের এখানে বেশী কথা বললে ওরা জেগে যাবে।
ধন্যবাদ সাহাদাত ভাই, টুটুল ভাই। দেশে আসবো ফেব্রুয়ারিতে। তখন দেখা হবে নিশ্চয়ই
এক সাথে 'ধন্যবাদ' মানি না। আমার ধন্যবাদ আমারে দেন, দুলাভাইয়ের ধন্যবাদ আলাদা দেন।
দুলাভাই আজকাল আমারে বেশী জালাচ্ছে। দেখুন দেখি, আপনার মেয়েদের ছবি আমি আমার মোবাইল দিয়ে উঠাবো, তাতে ওনার কি?
আমার হাই ফাই ডিজিটাল ক্যামেরা নাই, তাই বলে কি আমি বসে থাকবো?
হা হা হা উদরাজি ভাই, ঘাট হয়েচে, মাফ করে দেন। এই নেন আপনারে একটা সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টনী ট্রাক ভর্তি তাজা ধইন্যাপাতা দিলাম! এতেও মন না ভরলে জানাবেন, এই জাহাজ ধন্যবাদ পাঠিয়ে দেব আপনার ঠিকানায়।
সেটাই, বসে থাকবেন ক্যান? আপনার ভাতিজিদের ছবি আপনে মোবাইল দিয়ে উঠান বা হাতে আঁকুন, তাতে দুলাভাইয়ের বলার কী আছে!
আপনে একটা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ব্যানার ধরায় দিবেন না!
বাংলাদেশী না বাংগালী????????
ভাঙ্গা পেন্সিল, বাংলাদেশ তো ওদের অন্তরে খোদাই করা আছে। ব্যানার না হলেও চলবে
তবে এটা ঠিক ওরা তাইওয়ানিজ পাসপোর্ট না নেয়ায় এখনকার লোকজন বেশ অখুশী। কিন্তু কী আর করা, একটা বাপের দেশের আরেকটা মায়ের দেশের পাসপোর্টের বেশি তো রাখার উপায় নাই।
কী সাহসী !!বিড়ালের পিঠে চড়ে বসছে
হা হা, বেড়ালটাও এত পোষ মানা যে একটুও নড়েনি। তবে ওরা খুব জোরে চীৎকার শুরু করলে পালিয়ে ব্যালকনীতে চলে যায়
চারিদিকে মন ভাল করার এতো উপাদান, মন খারাপ করার সময়ই পাইতাছি না।
ধন্যবাদ মাসুম ভাই, মন ভালো রাখাটা আসলেই জরুরী এখন।
সোনামনীরা দীর্ঘজীবি হোক। মন্টা সত্যিই ভালো হয়ে গেল।

জীবন্টা অনেক শান্তিময়...
অনেক অনেক ধন্যবাদ মেসবাহ ভাই
সময় কতো দ্রুত যায়। পাঁচ মাস হয়ে গেলো। মেয়েদের স্বভাবও এমন বড় হওয়ার ভীষন তাড়া থাকে।
ভালো থাকুক আমার মামনিরা।
হ্যাঁ আসলেই দেখতে দেখতে পাঁচ মাস কেটে গেল! আর কতো দূরে বসে শুভকামনা পাঠাবেন? একবার কাছে এসে দেখে যানগো আফা!
আপ্নে অসি যান, আমরা আসবো দেখতে
হে হে হে ........ বাপ হইতে মন চায় ........
হইয়া যান চৌধুরী সাহেব, শুভকাজে দেরী করতে নাই!
কি কিউট আপনার দুই মা!!!
একেবারে বাপ কা বেটি দেখি! যেখানেই যায় মানুষের মন জয় করে
ধন্যবাদ বাদশা ভাই। বাপ আর পারলো কই মানুষের মন জয় করতে! মেয়েরা সেই দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে
পিচ্চি দুইটাকে অনেক দিন পর আনলেন। খুব ভালো লাগলো। ওরা যত দিন যাচ্ছে তত বেশি কিউট হচ্ছে। মহান করুণাময় তাদের মঙ্গল করুন।
অশেষ শুভকামনা মামুন ভাই। পিচ্চিদের জন্য, আপনার জন্য আর পিচ্চিদের মায়ের জন্য।
অনিঃশেষ ধন্যবাদ মীর ভাই। ভালো আছেন আশাকরি।
ভালো আছি। সবসময়ই পিচ্চিদের দেখার পর অনেকক্ষণ ভালো থাকি।
তৃতীয় ছবিতে ডানেরজন এত ব্যাজার করে আছে কেন মুখ??

মনমুগ্ধকর সব ছবি।

লাইকর্লাম।
দুইজন মারামারি করে মামুন ভাই ??
দুইটা এমন খেলনা আপনে পাইছেন মামুন ভাই। খালি দুই চোখ ভরে দেখি।
৩নং ছবিতে একজন ভাবছে, "" কি যন্ত্রনা! আমার চুশনী'র দিকে নজর দিছে!! "
৪নং টা দেখে তো ভাবলাম, টেনিস প্লেয়ার এলো কই থেকে!!.।।
সুন্দর সবগুলা ছবি.।
মন্তব্য করুন