মাটির টানে, ঘরের পানে
মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। কল্পনা আর বাস্তবতার এই বেরসিক গোঁজামিল কখনো হৃদয় বিদারক, কখনো হতাশাব্যঞ্জক আবার কখনো ঘোর গ্রীস্মে মেঘ না চাইতেই এক পশলা শান্তিময় বারিষ। আমার ক্ষেত্রে ঘটলো শেষেরটাই। কথা ছিল আব্বা-আম্মা আসবেন তাইওয়ানে, আমরা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাবার আগেই নাতনীদের দেখতে। কিন্তু দেখা গেল তাদের ভিসা নিয়ে ঝামেলার এক শেষ, থাইল্যান্ড গিয়ে ভিসা নিতে হবে, সেখানে আবার অপেক্ষায় থাকতে হয় চার-পাঁচ দিন। বুড়ো হাড়ে এর এত ঝামেলা সইবে না বলে বাবার অসোয়াস্তি শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেরাই থাইল্যান্ডে চলে গিয়ে তাদের সাথে সপ্তাহখানেক সময় কাটাতে। কিন্তু সেখানেও অনেক হাঙ্গামা, ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি রিসোর্ট পাওয়াই মুশকিল। পাতায়া বা ফুকেটের অর্ধ নগ্ন বীচে তাঁদের পোষাবে না। তাই হুট করে অনেকটা ঝোঁকের মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম আমরা বরং বাংলাদেশেই চলে আসি এক সপ্তাহের জন্য। খুবই অল্প সময়, নিজের দেশে বেড়াবার জন্য। কিন্তু নাই মামার চেয়ে কানা মামা অনেক ভালো, তাই না?
হ্যাঁ বন্ধুরা, আমরা বাংলাদেশে আসছি, ঈদের দুই দিন আগে নেমে ২২ তারিখেই বিদায়। যাদের নিয়ে এত কথা তাদের আপনারা সবাই চেনেন, তবুও গত এক মাসের ছবি দেখাই কিছু আপনাদের। বেশ ঘটনাবহুল একটা মাস গেল, বিশদ বর্ণনা সহ একটা ব্লগ লিখেছিলাম, কিন্তু পোস্ট করতেই সব বেমালুম হাওয়া হয়ে গেল। সেই দুঃখে মোচড়ামুচড়ি করলাম অনেকক্ষণ, এদিকে রাতও হয়ে গেছে, তাই হাবিজাবি কিছু লিখেই নামিয়ে দিলাম।
ঈদসংখ্যা সাপ্তাহিকে প্রকাশিত রিটন ভাইয়ের ছড়া
স্ট্রলারে বসে মুখ গোমড়া দুইজনের
কোলে চড়তেই সব ফকফকা, হোক না সে অচেনা পথচারী
এষার ট্রেডমার্ক বোকা বোকা হাসি
ভাব শেষে হামাগুড়ি প্রতিযোগিতা, ফটো ফিনিশে বিজয়ী আয়লা
খেলতে খেলতে এষা, ঘেমে নেয়ে একসা
বাইরে যাবার আশ্বাসে, চোখ হাসে মোর মুখ হাসে
ভুল ঠিকানায় মিনি পুষি, কোন দুঃখে তোকে পুষি
খেলনা নিয়ে উত্তেজনা প্রশমণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
বন্ধুদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার কোনো সীমা-পরিসীমা নাই। জন্মের আগে থেকেই আপনারা ওদের মুড়ে রেখেছেন অনিঃশেষ ভালোবাসা আর মায়ার জালে। ওদের জন্ম বিদেশে, বা পাসপোর্ট ভিনদেশী বা ভবিষ্যতের ঠিকানা পরদেশ হলেও আমার দৃঢ় বিশ্বাস বড় হয়ে ওরাও বাবার মতো মনে-প্রাণে বাঙালী হবে। এ বিষয়টিকে বাস্তবে রূপ দিতে চাচা-ফুপু-মামা-খালা হিসেবে আপনাদের দায়িত্বও কিন্তু একেবারে কম না। ঈদের সময়ে যদিও সবাই ব্যস্ত থাকবেন তবুও আমার আশা যে কোনো একদিন বিকেলে কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও আপনাদের কোলে ওদের তুলে দেয়ার সুযোগ মিলবে। সম্ভব হলে চলেন একদিন ঢাকার কোনো খোলা মাঠে এক বিকেলের জন্য আমরা ছোটখাটো একটা শিশু মেলা বসিয়ে দেই। মানে যারাই আসবেন সাথে করে দুয়েকটা আণ্ডা-বাচ্চা নিয়ে আসবেন। নিজের বাচ্চা না থাকলে ভাই-বন্ধু বা বোন-দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে আসেন :)। শিশুদের সাথে সময় কাটানোর চাইতে আনন্দময় কিছু পৃথিবীতে আছে বলে আমার জানা নাই।
দেশে আসছি, আশাকরি দেখা হবে বন্ধু।
সোনামণিদের জন্য অনেক অনেক আদর
১৯ তারিখ শুক্রবার আছে....
সকলের অংশগ্রহন এবং সিদ্ধান্ত কামনা করছি...
আর মামুন ভাইকে... শুভ প্রত্যাবর্তন দিবস
ঢাকায় থাকবেন নাকি?
বিড়ালতো পালাচ্ছে ওদের ভয়ে।
ভাইয়ের ছেলে আমাদের বাসায় আসা নিরীহ এক কুকুরের লেজ/কান নিয়ে এমন টানাটানি করছে যে বেচারা ওরে দেখলেই গেটের বাইরে চলে যেত!
টুটুলভাই, ঋহান'রে বুকিং দিলাম আড্ডায় যাওনের এন্ট্রি পাস হিসাবে।
উরে বাবা, আমার কিউটি কিউটি আম্মুরা তো দেখি বড় হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। মামুন ভাই, আদর করে দেন আমার হয়ে।
অপেক্ষায় রইলাম...
ইসস, হিংসায় জ্বলে পুড়ে খাক
কত্তদিন দেশে যাই না।
কিন্তু যেই ভাব্লাম আমাদের আয়লা-এষা প্রথমবারের মত আমার দেশে বেড়াতে যাচ্ছে--তখন আপনা আপনিই মনটা ভরে উঠল। তোমার মেয়েদের এমনই গুন বস, হিংসাটায় পুষে রাখা যায় না
যাও, ঘুরে আস বস।
আমার নিজের একটা টুকরো পাঠিয়ে দিলাম তোমার সাথে
টুটুল ভাই তা না হয় বুঝলাম কিন্তু কোথায় হবে ১৯ তারিখে মিটিং টা। আর কখন হবে। আমি অপেক্ষায় রইলাম। মামুন ভাই আমি আপনার চিঠির কপি পাই নাই। আর টুটুল ভাই আপনার জ্যাকেট আগে থেকে বুকিং দিলাম তখন তো শীত শুরু হয়ে যাবে। তাই দরকার পড়তে পারে। যদি কোন ললনাকে পটাতে পারি। সে যাই হোক মামুন ভাই এর আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম।আর কিউট আর সুইট আংকেল দের জন্য রইলো শুভ কামনা।
কিছু বলার নাই।শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া।
এরপরের বার আমার দেশের সাথে আমাদের এষা-আয়লার ছবি দেখবো।ভাবতেই ভালো লাগছে।
শুভ কামনা রইলো।
বাহ কিউট গুলটুশ দুইটা তো দারুণ! ছবিগুলো আলো ছড়াচ্ছে পুরোপাতা জুড়ে।
আপনার প্রস্তাবটার প্রতি সমর্থন, একটা চমৎকার আড্ডা হতে পারে ঢাকায়।
ঢাকার শহরে কোন মাঠ নাই যেইখানে বইসা একটু আড্ডাবাজী করা যায়। সব জায়গায় ভীর থাকে... তার মধ্যে ঈদ
... এখন আর এত ভীর ভাল্লাগে না....
১৯/২০ তারিখ হতে পারে - যদি আমাদের যোগাযোগ কর্মকর্তা জয়ীতাফা অনুমতি প্রদান করে। পাবলিক লাইব্রেরী বিবেচনায় আনা যায়। নয়তো সংসদ ভবনের সম্মুখ প্রান্তে হতে পারে। নয়তো সাঈদের বাসায় হইতারে
রবীন্দ্র সরোবরও কিন্তু খারাপ না, বাচ্চারা বেশ ভালো বাসে।
মামুন ভাই গুড লাক উইথ টু গুল্টুশ। এবার তেমন ঝামেলা হবে না, ঝামেলা হবে এরপরে। আসতে চাইবে না দাদা-দাদী-চাচা-ফুপু, তুতো ভাইবোন ছেড়ে, ঘাড় ত্যাড়া করে কাঁদবে, আমিতো বাঙ্গালী তাহলে কেনো আমি বাংলাদেশে থাকতে পারি না। তারপর ডাক ছেড়ে কাঁদবে, আমি শুধু আর একটু থাকতে চাই, আর একটু, আজকে যেতে চাই না।
ওরেরেরেরেরেরেরেরে!!!!!!! ক-ত-দি-ন পরে ব্লগে গুটলুদের ছবি দেখলাম।আদর আর আদর।
টুটুল যে কি কয়! সবাই কোথায় আসলে সুবিধা হবে তা দেখ। তবে সংসদ ভবনের চেয়ে পাবলিক লাইব্রেরী মনে ভালো লাগবে বসতে, আড্ডা দিতে।
আর আমি তো এষা, আয়লারে আগেই বুকিং দছি।ঋহান, রিমঝিম, সমুদ্দুর, রাইয়ান, শ্রেয়া এদর তো বুকিং দিয়া রাথছি বহু আগেই থেকেই।ছোটখাটো মেলা তো হয়েই গেলো।
"শিশুদের সাথে সময় কাটানোর চাইতে আনন্দময় কিছু পৃথিবীতে আছে বলে আমার জানা নাই।" কিন্তু আমি সম্ভবত খুলনায় থাকব । ঢাকায় থাকলে আমার জীবন্ত জড়পিন্ড নাতি আরীবকে নিয়ে এ মিলনমেলা দেখতে আসব ; স্থান, তারিখ ও সময়টা ঠিক সময়ে জানতে পারলে ।
হ কোথাও গিয়া বসি
ব্যাপক কিউট! আড্ডায় আদর করতে চাই!!!
সুস্বাগতম
মামণিদের অফুরন্ত আদর
ইয়াল্লা !
এরা দুইজন এত্ত সুন্দর কেন !
খুব কিউট বেবী আপনার ... এসে পড়েন দেশে
আমি নিজেই আমার এন্ট্রি। কারণ আমি মাসুম।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটা তো অসাধারণ।
পিচ্চিগুলাতো অনেক বড় হয়ে গেছে। ইচ্ছে করে দুই কাঁখে দুইটারে লই!
তাইলে কী দাঁড়াইল...? আমরা কবে অনেকগুলা আন্ডা-বাচ্চা নিয়া আড্ডামু... কোথায়... কখন... জয়িতাবু কী বলে...
সবাইকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাক্স-প্যাটরা গোছানো নিয়া ব্যাপক ঝামেলায় আছি, তাই আলাদাভাবে ধন্যবাদ দিতে পারি নাই। তবে যে যারটা নিজ দায়িত্বে বুঝে নিয়েন

টুটুল ভাইঃ ঢাকাতেই থাকবো। ইচ্ছা ছিল দুই দিনের জন্য হলেও যাব কোথাও, কিন্তু পিচ্চি দুইটারে বেশী ঝাঁকাইতে সাহস হয় না। রমনা পার্কের ভেতরে একটা আউটডোর রেস্টুরেন্ট ছিল আগে, ঐটা কি এখনও আছে? থাকলে ওখানেও বসা যেত।
মাসুম ভাইয়ের কথায় যুক্তি আছে, কিন্তু তাতে আসল মাসুম সাথে আনার দাবী থেকে সরে আসা যায় না
নুশেরাপা, আপনি ঈদে কোথায় থাকবেন, আপনার সাথে আবার দেখা না হলে একটা আফসোস থেকে যাবে।
শুক্রবার ১৯ তারিখ একটা ভালো দিন। সূর্য তাড়াতাড়ি ডুবে যায় তাই আগেভাগেই দেখা হলে ভালো। সব্বাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা!
আখাউড়া না গেলে আছি।
শুক্রবার হলেই ভালো হয়। কারণ এখন সন্ধ্যা হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। অন্যদিন সবাই অফিস করে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।১৯ তারিখ শুক্রবার। কারো সমস্যা না থাকলে ভোট দিতে পারেন।
স্থানঃ পাবলিক লাইব্রেরী/ ছবির হাট
আমার যদিও বাচ্চা কাচ্চা নাই তবুও ভোট দিলাম।
কি আনন্দ!!
ওহ! এই গুল্টুশ দুইটারে আস্ত কাঠলের মত ধরতে পারুম নাকি!!
ইয়া!! আমিও এন্ট্রি দিলাম!
বিলাই টা (পুষিটা) দেখি ভালো বিপদে পড়ছে!!! হাহা-----
দেশে আসেন, সেফ জার্নি উইশ করতাছি।
শুভকামনা!
মন্তব্য করুন