বাঘে ছুঁলে আঠার ঘা
শিরোণামের কথাটা হয়তো কিউই পক্ষীর দেশের লোকেরা আগে শুনে নাই। তবে এবার শুনুক বা না শুনুক একদল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হাতে নিদারুণ নাকানিচুবানি খেয়ে কথাটার বাস্তবতা যে হাড়ে-মজ্জায় অনুভব করতেছে সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সমীহ জাগানো শক্তি নিউজিল্যান্ড, এর আগের প্রতিটি সফরেই হেসে খেলে সিরিজ জিতে 'বাংলাদেশ এগোচ্ছে, লেগে থাকলে হবে, জয় নয় অংশগ্রহণই বড় কথা'- জাতীয় মায়াময় বক্তব্য দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। কিন্তু এবারের বাংলাদেশ শুধু তাদেরই না বলতে গেলে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকেই চমকে দিয়েছে। ভারতীয় আনন্দবাজার গোষ্ঠী ছাড়া ( এরা কেবল বেছে বেছে বাংলাদেশের হারার খবরগুলোই ফলাও করে প্রচার করে) অন্যান্য অনেক দেশের খেলার খবরে স্থান করে নিয়েছে বাংলার বাঘের হাতে অল ব্ল্যাকসদের নাস্তানাবুদ হবার ঘটনা।
নিউজিল্যান্ড বড় আশা করে এসেছিল, বিশ্বকাপের আগে এটাই নাকি তাদের পার্ফেক্ট প্রস্তুতি। মুখে না বললেও টোনে বোঝা গেছে যে বাংলাদেশের মতো দূর্বল দলকে চুনকাম করে দিয়ে দলীয় মনোবল বৃদ্ধির এক সুবর্ণ সুযোগ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে তাদের এই সফর। উপমহাদেশের মাটির নাড়ি নক্ষত্র বুঝে অভ্যস্ত হবার আগডুম বাগডুম সব বোগাস, নিউজিল্যান্ড বরাবরই ভারতীয় উপমহাদেশে আসার আগে ব্যতিক্রমধর্মী এবং চূড়ান্ত সিরিয়াস ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আসে। গেলবার যখন তারা ভারতের মাটিতে ভারতকে নাকানি চুবানি খাইয়েছিল, তার আগে নিজেদের স্টেডিয়ামে বিশাল সব মাইক্রোফোন বসিয়ে উচু ভলিউমে চালিয়ে দিয়ে প্রাক্টিস করে একটানা অনেকদিন। যাতে করে ভারতের দর্শকে ভরপুর স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়ে তাদের হৈ চৈ এ অনভ্যস্ততার শিকার হতে না হয়। সেই টোটকায় কাজ হয়েছিল, ভারতকে ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়ে কলার উঁচু করেই ঘরে ফিরেছিল তারা। এবারে বাংলাদেশে আসার আগে বিশেষ কোনো তুকতাক তারা করে এসেছিল কি না জানি না, বাংলাদেশকে শেষ নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ ম্যাচে তুলোধুনা করার স্মৃতি তাদের আলাদাভাবে শক্তি জুগিয়েছিল কি না তাও জানি না। তবে একজন বাংলাদেশী হিসেবে ৬ ওভারে একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারা দুঃখ আমাকে তাড়া করেছে অনেকদিন।
আজ এতদিন পরে সূদে-আসলে সেই শোধ তোলা হলো, গত বিশ্বকাপে ভারতকে হারানোর মতোই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজকের দিনটি অন্যতম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রত্যেকেই সর্বস্ব উজাড় করে বাঘের মতোই লড়েছে, আর পৃথিবীর সুন্দরতম বাঘের হালকা ছোয়াঁতেই নিউজিল্যান্ড দল রণ সঙ্গীতের বদলে মিউমিউ স্বরে গেয়ে চলেছে--'সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দিব কোথা'।
যারা ঢাকায় থাকেন তারা মানবিকতার খাতিরে হলেও দয়া করে নিউজিল্যান্ড দলকে দুই-চার বোতল খাঁটি মাণ্ডার তেল পৌঁছাইয়া দিয়া আসবেন। যদিও জানি তারপরেও পরের ম্যাচে তারা মাজা সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না, বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা কোনোকালেই বাঁধা সম্ভব না। সিরিজের সম্ভাব্য পরিণতি-আগাপাশতলা চার পর্দা চুনকাম হওয়া ফ্যাকাশে কিউই পক্ষীর অধোবদনে ঘরে ফিরে যাওয়া। পুরানাকালের মতো এবার আর আশা থেকে একথা বলছি না, বলছি অনুভব থেকে।
সাবাশ বাংলাদেশ!!!
বিমাদার ফেসবুক থেকে কাট পেস্ট।
বিমাদা যদি কপিরাইটে মামলা দেয়?দিক।।
আজকের দিনে একটা মামলা খাওয়া কোন ব্যাপার না।এর চাওতে বড় কিছু খাইতে পারুম।

ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়
মামুন ভাইতো ভেট্টোরি গংরে চুনকাম করে দিলো।
বাংলাদেশ মানেই হারু পার্টি এই কালিমা অন্তত ঘুচুক।
অভিনন্দন সবাইকে
তাহলে নির্দিধায় বলা যায় আমরা ভারতীয়দের তুলনায় ভাল খেলেছি । কারন সবাই হারু পার্টি বলে জানলেও , যারা ভারতীয়দের সাথে সিরিজ জয় করে ঘরে ফিরে, তারা যে আজ বাংলাদেশী টিম এর কাছে সিরিজ হারছে সেটা অনেক বড় পাওয়া আমাদের জন্য। অন্তত আর শুনতে হবে না বাংলাদেশ শুধু জিম্বাবুয়ে বা কেনিয়া কে পেলেই তাদের বাঘ্র তেজ দেখাতে পারে। আর সিরিজ জয়ের চিন্তা ভাবনা করে। আজ বাংলাদেশ দল ঠিকই প্রমান করলো যে তারাও পারে । তবে অন্যান্য দেশের খেলোয়ারদের তুলনায় অলপ অভিজ্ঞতা আর যথেষ্ট তরুন। আন্তর্জাতিক পরিসরে অনেক বেশি ম্যাচ খেলা হয়েছে এমন খেলোয়ার অনেক কম। আর সিরিজ জয় করা ছিল স্বপ্ন। আজ তাও পূরন হয়েছে। এখন ওয়ান ডে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন হাত ছানি দিচ্ছে। আশা করি হয়তো তাও হয়ে যেতে পারে। যদি না পারে তা মেনে নেব যে, খেলায় হার জিত আছে। যদি হেরেও যাই, অন্তত যা কিছু পেয়েছি , তা যেন ধরে রাখতে পারি, যেন উদ্যম হারিয়ে না ফেলি। সাবাশ বাংলাদেশ। সাবাশ। শুভ কামনা রইলো বাংলা টাইগারদের জন্য।
কেম্নে কী হয়ে গেল বুজতারছি না

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি অভিনন্দন
দেশের একশ' একটা হতাশাজনক ঘটনার খবর ভুলে যেতে পারি, এরকম একটা ঘটনার কারণে! খুব ভালো হইছে, যেদিন প্রথম আসলো কিউই দল, তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কিরাম 'দিবাম মাইর' জাতীয় ছিলো খবরে দেখছিলাম
সেই তাদের আচ্ছামতো দেবার জন্য ক্রিকেটদলকে অনেকক ধন্যবাদ।
সাবাশ বাংলাদেশ। সাবাশ টাইগারদের দল।
"ভারতীয় আনন্দবাজার গোষ্ঠী ছাড়া ( এরা কেবল বেছে বেছে বাংলাদেশের হারার খবরগুলোই ফলাও করে প্রচার করে"
একটা কথা মনে পরে গেল! ভারতকে হারানোর পরে আনন্দবাজারে প্রথম পাতার হেডলাইন ছিল- 'এগারো বাঙ্গালীর ভারতজয়' বা ওই টাইপ এর কিছু একটা। কোলকাতায় থাকার সুবাদে সেকথাটা খেয়াল করেছিলাম। অনেকদিন অবশ্য আর আনন্দবাজার পড়া হয় না। ইদানীং কি হাল জানি না।
সাবাশ বাংলাদেশ সাবাশ, এতদিনের সমস্ত ক্ষোভ ধুয়ে মুছে সাফ। আমি গর্বিত আমাদের ক্রিকেট দল নিয়ে!!! সবাইকে ধন্যবাদ সদয় মন্তব্যের জন্য। আর কথা না বাড়াই এখন পার্টি টাইম
বাংলাওয়াশ সুসম্পন্ন, আর কী চাই!!!!
শেষ উইকেটটায় চিক্কুর দিয়া গলা ভাংছি। তাই বেশি কথা কথা কইতে পারলাম না।
সাবাসসসসসসসসসসসসসসসস
আপনার চুনকাম শব্দটা জাফরউল্লাহ শরাফত জানলো ক্যাম্নে? সে তার টিভি ধারাভাষ্যে হোয়াইট ওয়াশের বাংলা চুনকাম কইছে
এইখানে পাইবেন
মন্তব্য করুন