গল্প লেখার গল্প
সে এক বহুকাল আগের কথা। আমি তখন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ক্লাস টেনে পড়ি। ক্লাসমেট, বেঞ্চমেট এবং ফুটবল টিমমেট হিমেল আমার খুবই কাছের বন্ধু। পড়াশোনায় আমি ছিলাম বরাবরই ফাঁকিবাজ আর ও হাড়মাস কালা করা ধরনের সিরিয়াস। কিন্তু মজার বিষয় হলো প্রায় প্রতিবারেই আমার রেজাল্ট ওর চেয়ে ভালো হতো। আমরা ক্লাস এইট থেকেই এক গ্রুপে। খেয়াল করে দেখতাম প্রতিটা পরীক্ষার আগেই ওর চোখেমুখে ভয়াবহ রকমের ভীতি খেলা করতো। রাতদিন জেগে সব মুখস্থ করে এসেও পরীক্ষার হলে গিয়ে টেনশনে সব ভুলে বসতো। আমার পরীক্ষা-ভীতি বলতে গেলে ছিলই না। বরংচ রীতিমতো নিয়ম করে পরীক্ষার দুই দিন আগে থেকেই পড়ালেখা সব বন্ধ করে দিয়ে সেবা-হুমায়ুন-শীর্ষেন্দুতে ডুবে থাকতাম। ঠিক পরীক্ষার দিন সকালে নোটগুলোতে আরেকবার দায়সারা গোছের চোখ বুলিয়ে হেসেখেলে পরীক্ষার হলে ঢুকতাম। হিমেলকে দেখতাম পরীক্ষা শুরুর মিনিট খানেক আগ পর্যন্ত রিভিশন দিতে দিতে গলা শুকিয়ে ফেলতে। ক্লাসের ফার্স্ট বয় হবার স্বপ্নে ও নাওয়া-খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যেত। হয় তো একারণেই সে মুকুট ওর মাথায় কোনোদিনই চড়েনি।
হিমেল ক্লাসেও থাকতো চরম সিরিয়াস। স্যার একটা কাশি দিলেও সেটা নোট করে ফেলতো। আর আমি স্যারের লেকচার ভালো লাগলে মন দিয়ে শুনতাম, আর না লাগলে পাশে বসা আরেক ফাঁকিবাজ জাহিদের সাথে কাটাকুটি খেলতাম। তবে মনোযোগী ছিলাম বাংলা স্যারের ক্লাসে। ফজলুল করিম স্যার। আমাকে হাত ধরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সহ বাংলা সাহিত্যের অনেক অলি গলি তিনি চিনিয়েছেন। হিমেলের কাছে এই ক্লাস ছিল বিষবৎ, সাহিত্যের নামে তার চরম অভক্তি। একদিন বাংলা স্যার ওকে আবদুল্লাহ উপন্যাস থেকে একটা প্রশ্ন করলে ও মিনিট কয়েক ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে একেবারে ঘেমে নেয়ে ওঠে। স্যার কিছুটা আহত হয়ে আমাকে ডাকেন তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। প্রশ্নটা ছিল মদনবাবুর সহায়-সম্পদ মহাজনের কুক্ষিগত হবার চ্যাপ্টার থেকে। স্যার বললেন উওরটা সবিস্তারে পুরো ক্লাসকে বুঝিয়ে বলতে। আমি গড়গড় করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় প্রতিটা লাইন বলে গেলাম। স্যার সহ সবাই অবাক, অথচ আমি মুখস্ত করার কোনও চেষ্টাই করিনি। পড়তে ভালো লাগতো, আর বাসায় আউট বই পড়া বিরাট ঝামেলার ছিল বলে পাঠ্য বইয়ের গল্প উপন্যাসই বারবার পড়তাম। পড়তে পড়তে মুখস্ত হয়ে যেত গল্প কবিতা এমনকি উপন্যাসের মনকাড়া অধ্যায়ও।
ক্লাস শেষে আমাকে নিয়ে হিমেলের মোক্ষম সব টিটকারী। বাংলা ক্লাসে এতটা মনোযোগী হওয়া নাকি শুধু মেয়েদেরই মানায়। সাহিত্য মানেই চোখের পানি, নাকের পানি এক করা ইনিয়ে বিনিয়ে কান্না অথবা ছেলে ভুলানো রাক্ষস-খোক্কসের বানোয়াট গল্প। ছেলেদের মানায় অংক, বিজ্ঞান বা বড়জোর ভূগোলের ক্লাসে সুপারস্টার হওয়াতে। ইটের বদলে পাটকেল মারার ইচ্ছা থাকলেও উপায় ছিল না, হিমেলের ঝামেলাবাজ জমজ ভাই বিশালদেহী তমাল ছিল সাক্ষাৎ যমের মতো। পড়াশোনায় কাচাগোল্লা মারলেও মারামারিতে ওর কুখ্যাতি একেবারে হেডস্যার পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছিল। তাই আমরা সহসা দুই ভাইয়ের কাউকেই ঘাঁটাতাম না।
প্রিটেস্ট পরীক্ষার আগে সেই চরম সাহিত্য-বিদ্বেষী হিমেল নিতান্ত নালায়েকের মতো পাশের ফ্ল্যাটে নবাগতা এক পরমা সুন্দরীর প্রেমে পড়ে গেল। মেয়ে পড়তো ভিখারুন্নেসায়, একই ক্লাসে। একে তো দেখতে আগুন তার উপরে ভাগ্যের মধুর প্রতিশোধ হিসেবে বালিকা ছিল বইয়ের পোকা। না মদনমোহন হিমেলের মতো জ্যামিতি, রসায়ন আর ভূগোল বইয়ের পোকা না, হুমায়ুন-সমরেশ-সুনীল-জুলভার্ন-হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড- ও হেনরি-এডগার রাইস বারোজের পোকা। হিমেল কোনোদিন তাঁদের একটা বইও পড়ে দেখেনি। তো মেয়ের সাথে খাতির করতে গিয়ে হিমেল দেখে গল্প-কবিতা-উপন্যাসের বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে সে আলাপই করতে তেমন একটা আগ্রহী না। হিমেলের অবস্থা হলো গ্রামদেশের সেই ষোড়শীর মতো, পাত্রপক্ষ দেখতে এসে সুরা ফাতেহা জিজ্ঞেস করায় যে গুবলেট করে ফেলে এবং পরদিন সকাল থেকেই খেয়ে না খেয়ে ছোটে মসজিদের হুজুরের কাছে। সে ছুটে এল আমার কাছে। দোস্ত এখন উপায়? এই মেয়েকে না পেলে যে আমার জীবনই বৃথা। আমি আমার মিনি লাইব্রেরী থেকে বেছে বেছে কিছু বই ওকে পড়তে দিলাম। কিন্তু দু’পাতা আমপারা পরেই কী আর সুরা ইয়াসিনের তাফসীর বলা যায়? বালিকা ওকে সাহিত্যের খুঁটিনাটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করলেই ও ভ্যাবলার মতো ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থেকে ঘেমে নেয়ে ওঠে। ফলে যা হবার তাই হলো, বিদূষী বালিকা ওকে রীতিমতো লালকার্ড দেখিয়ে প্রেমের ময়দান থেকে পত্রপাঠ বিদায় করে দিল।
হিমেলের এখন খাওয়া-নাওয়া সবই চুলায় ওঠার অবস্থা। সামনে টেস্ট পরীক্ষা। পড়াশোনায়ও ওর কোনো মন নেই। প্রথম প্রেমের ধাক্কা যারা খেয়েছেন তারাই ঐ মজনুন অবস্থার জ্বালা আঁচ করতে পারবেন। একদিন দেখি আমার বাসায় এসে হিমেল অংকের বই খুলে জানালা দিয়ে বিরহী চোখে বাইরে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ করে মাথায় একটা বুদ্ধি ভর করলো। আগেরদিনই বাংলা স্যার ক্লাসে জানিয়েছেন সামনে স্কুলের সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশিত হবে। আমরা বিদায়ী ব্যাচের ছাত্ররা তাতে অগ্রাধিকার পাব। আমি হিমেলকে বললাম বন্ধু ভাবিস না , আমি একটা উপায় বের করতেছি, তুই কয়টা দিন ধৈর্য্য করে থাক। সে রাতেই একটানে একটা গল্প লিখে ফেললাম। গল্পের নাম ভাঙনঃ অভাবের কারণে একজন সৎ,আদর্শবাদী, ছাপোষা সরকারী কর্মচারীর স্বভাব নষ্ট হবার কাহিনি। যদ্দুর মনে পড়ে গল্পের কথাগুলো আমার ভেতর থেকে আসছিলো, লিখতে একটুও ক্লান্তি বোধ হয়নি। পরেরদিন গল্পটা নিয়ে জমা দিয়ে আসলাম বাংলা স্যারের কাছে। যথারীতি পরের মাসে সাময়িকী প্রকাশিত হলো, সেরা গল্পের জায়গায় দেখি ভাঙন মিটিমিটি হাসছে। চমৎকার প্রচ্ছদে, দারুণ কাগজে ছাপা ম্যাগাজিনটি এখনো চোখে ভাসে। চটজলদি একটা কপি হাতে নিয়েই ছুটলাম হিমেলের বাসায়। গিয়ে দেখি বেচারা তখনও মনমরা। বললাম, বন্ধু কোদালের মতো মুখ করে আর কতকাল থাকবি? এই দেখ তোর প্রেম রোগের তাবিজ নিয়ে এসেছি। ও ভাবছিল ফাজলামো করছি, টেবিল থেকে জ্যামিতি বক্স ছুঁড়ে মারলো। আমি পাশে গিয়ে ম্যাগাজিন খুলে দেখালাম। সম্পাদকের পছন্দের সেরা গল্পঃ ভাঙন। লেখকের জায়গায় হিমেলের ভালো নাম। বেচারা দেখেই লাফ দিয়ে উঠলো, এ কী করেছিস! বললাম বন্ধু এখন এই ম্যাগাজিন নিয়ে বালিকার কাছে যাও। তাকে বলো তার বিরহে তুমি আনপড় আদার ব্যাপারী থেকে লিখতে-পড়তে জানা জাহাজের কারবারী হয়ে গেছ।
আজ এত বছর পরে ভাবতে অবাকই লাগে যে সেই দাওয়াইয়ে কাজ হয়েছিল। চারপাশের আটপৌরে জীবনের চেনা দুঃখ-চেনা সুখের গল্প পড়ে তো বালিকা হিমেল সম্পর্কে তার মনোভাবই পালটে ফেলতে বাধ্য হলো। সেই শুরু। এর পরেও নানা সময়ে হিমেলকে হাবিজাবি এটা সেটা ( পড়ুন প্রেম পত্র, প্রেমের গান, কবিতা ইত্যাদি) লিখে দিতে হয়েছিল। একবারও তো নির্মলেন্দু গুণের কবিতার উপরে গোটা বিশেক প্রশ্নের উত্তর লিখে দিতে হয় হিমেলের ডাইরিতে। ঐসব দিনে প্রেম-ভালোবাসায় জটিলতা অনেক কম ছিল, তবে পদে পদে আকর্ষন-বিকর্ষনের কোনো কমতি ছিল না। স্কুলের পরে আলাদা কলেজে চলে যাওয়ায় হিমেলের সাথে আর তেমনভাবে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি। তবে অনেক বছর পরে জেনেছিলাম ওরা শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে এবং বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সুখে-শান্তিতে সংসার করছে। জানি না হিমেল কোনোদিন ওর বউকে এই গল্প লেখার গল্পটা বলেছিল কিনা। না বললেও ক্ষতি নেই, বন্ধু সুখে থাকলেই আমি সুখী।
ভাবছেন গল্প শেষ—বাবারে এই লোকটা যে কত কথা প্যাঁচাতে জানে! না ভাই আরেকটু থাকেন আমার সাথে। সেই গল্প লেখার প্রায় এক যুগ পরের কথা। আমি বিদেশে থাকি, একলা। নিঃসঙ্গ জীবনের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে আগ-পাশ না ভেবে পছন্দ করে বসলাম এক বিদেশিনীকে । কথায় কথায় তাকে একদিন বললাম আমি এককালে লেখালেখি করতাম। বলেই বুঝলাম ভুল নাম্বারে ডায়াল করে ফেলেছি, এই ভদ্র মহিলা ইংরেজী সাহিত্যের জাহাজ, তাইওয়ানে এসেছেও ইংরেজী পড়াতে। হুট করে আমাকে বলে বসলো, তোমার প্রকাশিত প্রথম লেখাটা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেখাও, না হলে কথা নাই এক সপ্তাহ ( মেয়েরা পারেও ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং করতে!)। পড়লাম তো বাইশ বাও জলে, সেই লেখার অস্তিত্ব ছিল আমার স্মৃতিতে, আসল কপি কবে কোথায় ভেসে গেছে তার পাত্তাও ছিল না। তো মন থেকেই গোটা রাত জেগে ভাঙনের ইংরেজি অনুবাদ করে ফেললাম, আসলে বলতে হয় গল্পের কাঠামোটা ঠিক রেখে নাম-ধাম সহ নতুন করে লিখলাম। কেউ পড়তে আগ্রহী থাকলে আওয়াজ দিয়েন, ইমেইল করে দিব ( তবে গল্পের সাইজ মাশাল্লা, আর ইংরেজি ভাষাজ্ঞাণের সাস্থ্যও খুব দুর্বল, নিজ দায়িত্বে পড়বেন )। গল্পটা এই বিদেশিনীরও ভালো লেগে গেল। তারপর...নাহ থাক, আজকে অনেক বকবক করে ফেলেছি এমনিতেই—এখন খ্যামা দেই।
ওহ্ ভালো কথা সেই বিদেশিনীকে সম্ভবত আপনারা সবাই চেনেন—এষা-আয়লার মা
আমি বুক দিলাম।আমারে পাঠান।
নাইলে কিন্তু পুরান আবদার নতুন করে করুম।
তোর ইমেইল অ্যাড্রেস কী?
russel_acct@yahoo.com
আপ্নে দেখি আম্রার স্কুলের বড়ভাই
য়াম্রা সবাই আউট বইয়ের পোকা 
হ, স্কুল ব্যাগে টেক্সট বইয়ের চাইতে আউট বই থাকতো বেশি
সালাম স্কুলের বড় ভাই!
এক গল্পে দুই রমণী কাইত! গল্পটা হাতে রাখা দরকার, কখন কই কাজে লাগে!
আইডিয়ালে সিক্সে ভর্তি হওয়ার পরে খুব দ্রুত একটা দারুণ সার্কেলের সাথে মিশে গেছিলাম শুধুমাত্র 'আউট' বই পড়ার সুবাদে।
সালাম ছোট ভাই
আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়েন, গল্পটা মেইল করে দিবনে।
ওহ! আপনারা তো মানিকজোড়!
এষা-আয়লার মা কি লিখেন? এবার আপনার দায়িত্ব হল তার কিছু লেখা আমাদের কে উপহার দেবার।
মূল ইংরেজী লেখাটা দেবেন আর তার সাথে আপনার ঝরঝরে বাংলা অনুবাদ।
গল্পের শেষেরটুকুই বেশী ভালো লাগলো।
এষা-আয়লার মা দারুণ গল্প-কবিতা লিখতো আগে, কিন্তু আমি একদিন তার লেখা নিয়ে একটু ঠাট্টা-তামাশা করতেই এখন আমাকে আর কিছুই দেখায় না। পুরানা লেখা সব পড়ে আছে অস্ট্রেলিয়ায় তার মায়ের বাসায়। দেখি সামনে কিছু উদ্ধার করা যায় কিনা। হাতে পেলেই অনুবাদ করে দেখাব আপনাদের। ভালো থাকবেন।
ঝরঝরে এরাম লেখায় ডুবে যেতে সময় লাগেনা এট্টুও! বরং শেষ হওয়াতেই বিরক্ত হইছি
কী এমন ক্ষতি হইতো আরেকটু কইলে
মিয়াভাই, কিপ্টামী না কইরা ঐ লেখাটা এইখানে দেনদি..সবাই পইড়া মুগ্ধ হই। সাহিত্য করতে না পারি, পড়তে পারি বিন্দাস।
তাই অনুরোধ, নিয়মিত লেখবেন আম্রার জন্ন। আপনার দুই পরীর জন্য অনেকককককক দোয়া আর আদর।ভালো থাকুন নিরন্তর।
ধন্যবাদ ভাই। এখন টুকটাক যা লিখি সে তো আপনাদের জন্যই। ইংরেজি লেখা বাংলা ব্লগে দেয়াটা বেয়াদবী মনে হয়, তাইতো ইমেইল করে দিচ্ছি সবাইকে। ভালু থাকুন সব সময়
আপনে একটা মাল ওস্তাদ। পুরা পাঙখা।
আরেকটা কথা, আমিও আইডিয়ালের।
কী যে বলেন না ওস্তাদ! আচ্ছা আপ্নে কোন ব্যাচের? আমি ৯২ মেট্রিক
পড়তে ইচ্ছে করছে।
ইমেইল করবো কোথায় বলে দিয়েন কাইন্ডলি।
ronykus@gmail.com
ডান হাত তুললাম। rashidaafrose@gmail.com
মেইল দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ।
তারপরের কাহিনী বলেন। ঘটনা শুরু না হতেই শেষ করলেন কেন?
পরের কাহিনী তাড়াতাড়ি লিখেন।পাঠকের চাহিদা।
এষা আয়লাকে আদর দিয়েন কিন্তু।
হা হা তার আর পর নেই
কী দরকার এত পুরানা কাসুন্দি ঘেঁটে!
মামুন ভাই, গল্প লেখার গল্প কি লাষ্ট প্যারাটা? আগের গুলাতো ভূমিকা মনে হইতেছে
কিছু টাইপো, সূরা, হুমায়ূন আহমেদ তার নাম দীর্ঘ উকারে লিখেন বলেই জানি আর ভিকারুন্নিসা হবে
আপনার স্মরন শক্তি বটে, আমারে কেটে কুঁচি কুঁচি করে ফেললেও কোন কাঠামো থেকেই কোন লেখা দ্বিতীয়বার বেরোবে না। যতো দ্রুত লিখি ততো দ্রুত ভুলে যাই
কইতে পারি না আপা, হঠাৎ করে লিখতে মন চাইলো, লিখে ফেললাম।
খাইসে! আপনেও আজকাল বানান পুলিশি শুরু করলেন নাকি। ধন্যবাদ যদিও
খাতা-কলম হাতে এখনই যে বেরুতে হচ্ছে
শুধু বের হলেই চলবিনানে, লিখে আমাদের দেখাতিও যে হবে
মামুন ভাই, দারুণ। গল্প লেখার গল্পটাও দারুণ।
ধন্যবাদ মীর, ভালো থাকবেন।
এরি নাম জীবন!
(আপনি আইডিয়াল স্কুলের কত সালের ব্যাচ। আপনারা কি দুইভাই এক ক্লাসে পড়তেন, আপনার বড় ভাইয়ের নাম কি হারুন। আমাদের ক্লাসে দুই ভাই ছিল, হারুন ও মামুন, দুঃখিত - আমি চোহারা মনে করতে পারছি না।)
শুভ কামনা।
হ ভাই! আমি আইডিয়াল এর ৯২ সালের ব্যাচ। আপনে কবেকার? আর আমার বড়ভাই আইডিয়ালের হইলেও আমার ব্যাচের না, আরও পাঁচ বছর আগের।
আর কিছু না বলি। উই আর এনাফ ওল্ড!!
একটা সফল গল্প পড়া হল। ধন্যবাদ লেখককে। আশা করছি নিয়মিত আপনার লেখা পাঠের সুযোগ হব। যদিও আমি নতুন সদস্য।
অনেক ধন্যবাদ রোমেলা। আমিও নিয়মিত লেখার চেষ্টা করবো। ভালো থাকবেন
এমন গল্প আরো আসুক। আমরা আরো বেশী বেশী মুগ্ধতায় থাকতে চাই।
ধন্যবাদ সুমন। কম-বেশী আমাদের সবারই অনেক গল্প জমে আছে জীবনের ভাঁড়ারে, আসুন শেয়ার করি
মামুন ভাই .। আমিও আছি ।। দয়া কইরা মুল গল্প আর ইংরেজী ভার্সন টা পেতে পারি।। পড়তে মঞ্চাইতাছে। পারলে মেইল করে দিয়েন .।
friendship_never_die2003@yahoo.com
ভাল থাকুন...
আচ্ছা দিবনে মেইল করে, তবে একটা সাবধানবাণী, এই পর্যন্ত যেই কয়জন ইংরেজী গল্পখান মেইল করতে বলছে তাদের কেউই আর সেই গল্প প্রসঙ্গে কোনো কথা বলে নাই। বাজে গল্প হজম করা সহজ কর্ম্ম্য নয় হে
বুঝছি। হিমেলের গল্প ছাড়া আজতক যে কয়খান লিখছেন সবই ভাবীর লেখার অনুবাদ
ভাবীর এমন চমতকার লেখা নিয়মিত পড়তে চাই
মন্তব্য করুন