হংকং ইমিগ্রেশন ও সর্ষের তেল বৃত্তান্ত
(আমরা বন্ধুতে নিবন্ধন করেছি বেশ কিছুদিন আগেই কিন্তু নানা ঝামেলায় আর আলসেমিতে কোন পোস্ট দেয়া হয়ে ওঠেনি। আজ ঝমঝম বৃষ্টি পড়ছে বাইরে , এমন দিনেই আমাকে অতর্কিতে আক্রমণ করে মনের সিন্দুকে লুকিয়ে থাকা স্মৃতিকাতরতা, তাই লিখতে বসে পুরোনো সব কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। ভাবলাম লিখে ফেলি হাবিজাবি যাই মনে আসে, কেন জানি হংকংয়ের কঠিন দিনগুলিই স্মৃতির ভেলায় চেপে কড়া নাড়তে লাগলো। তাই এই লেখালেখির অভিনয়, আপনাদের ভালো লাগলে পরের পর্বও আসবে...)
এগুলো যে সময়ের ঘটনা তখন হংকং এ যেতে বাংলাদেশীদের ভিসা লাগতোনা। পোর্ট এন্ট্রি ছিল ম্যাকাও আর কোরিয়াতেও। তাইওয়ানের ভিসা লাগতো, প্রথমবার স্পন্সর দিয়ে ভিসার আবেদন করাতে হতো, এর পর থেকে শুধু ইনভাইটেশন লেটার দেখলেই ভিসা দিয়ে দিত। হংকং এ ১৪ দিন, ম্যাকাওয়ে এক মাস আর কোরিয়াতে ৩ মাসের অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যেত। এই সুযোগে আমরা অনেক বেকার বাঙ্গালী এই অঞ্চলে চরে খেতাম। ১৪ দিনের ভিসায় হংকং ঢুকেই চায়নার ভিসা উঠিয়ে নিতাম। হংকং থেকে চায়না যেতে লাগে ৪৫ মিনিট, দিনে গিয়ে দিনেই ফেরা যায়, থাকা-খাওয়াও সস্তা। তাই ভিসা নবায়নের জন্য চায়না যাওয়া ছিলো সবচে সহজ উপায়। আমাদের সবার পরিচয়ই ছিল ব্যবসায়ী। ইমিগ্রেশন অফিসার ধরলে সবারই এক কথা, চায়না যাবো শিপমেন্টের আগে মালামাল যাচাই করে দেখতে। তবে পুরো বিষয়টা যেন বেশি রকমের একঘেয়ে না দেখায়, তাই মাঝে মাঝে ফেরীতে উঠে ম্যাকাও চলে যেতাম, সমুদ্রপথে এক ঘন্টার রাস্তা। আর পকেটে পয়সা থাকলে চলো তাইওয়ান বা কোরিয়া।
তো এভাবে জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে চলতে ফিরতে গিয়ে হংকং এয়ারপোর্ট, রেলস্টেশন,ফেরীঘাট সব বড়ো আপন হয়ে গিয়েছিল। এর যেকোন একটাতেই ফিরলেই মনে হতো ঘরে ফিরেছি।
আজকের লেখাটি হংকং ইমিগ্রেশনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে। সময়কাল ২০০১ থেকে ২০০৮।
গোড়া থেকেই শুরু করি। তখন আমার ভীষণ দূরাবস্থা। অর্থনৈতিক, মানসিক সবদিক দিয়ে। আল্লাহ ভিসায় ( পোর্ট এন্ট্রি ভিসাকে ঐ নামে ডাকা হতো) হংকং এ আছি। এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে গাদাগাদি করে ৩জন এক রুমে থাকি, এক বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে রাতে একবেলা খাই, তাও বাকী। পকেটে টাকা আসলে শোধ দেব সেই বন্দোবস্ত। সারাদিন এখানে সেখানে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরি, ভাবি, রাস্তা খুঁজি। আমার সাথের লোকেরা প্রতিদিন ভোরে শামসিপো নামের এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো। রাস্তার কোনায়, লুকিয়ে চুরিয়ে, অনেক সময় পোর্টে লোডিং আনলোডিং এর কাজ পাওয়া যেত, তার অপেক্ষায়। সারাদিন খাটলে ২০০-৩০০ হংকং ডলার মজুরী। তবে এই ধরনের কামলা দেয়া অবৈধ ছিল, এবং অনেকেই ধরা পরে বহিস্কৃত হয়েছে। চরম অভাবে থাকলেও ওখানে গিয়ে দাঁড়াবার মতো মনের অবস্থা কখনোই হয়নি। আরেক বন্ধুর সাথে মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম কমিশন এজেন্টের কাজ বাগাতে।
তো এরকম চরম সময়ে, একদিন ভোরে খেয়াল করলাম এক টাকাও আর পকেটে নাই, সিগারেট বন্ধ, ইন্টারনেট বন্ধ, সকাল-দুপুরের খানাপিনা তো দিল্লী বহুদ্দূর। ভাবছি আজ সব সংকোচ ভুলে গিয়ে দাঁড়াবো ঐ রাস্তার কোনায়, অবৈধ দেহপসারিনীদের মতো। খদ্দের এসে ঘুরে ফিরে দেখবে, তারপর পছন্দ হলে গাড়ীতে উঠিয়ে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাবে। কায়িক পরিশ্রমে সন্তুষ্ট করার পরে মজুরী, কপাল ভালো হলে টিপসও মিলতে পারে। কমন বাথ্রুমে দাঁত-চোখ ধুয়ে বেরিয়ে যাব এমন সময়ে সেখানে এসে হাজির হলেন পূর্ব পরিচিত এক সিনিয়র বাংলাদেশী ব্যবসায়ী। আমাকে দেখেই খুশী হয়ে গেলেন—অনেক দিন পরে দেখা। গুয়াংজোতে একটা ট্রেড ফেয়ার চলছিল, সেখানে যাবেন। দরাজদিলের এই মানুষটি আমাকে বললেন তার সঙ্গে যেতে। সংকোচভুলে জানালাম, যেতে তো আপত্তি নেই, কিন্তু পকেট যে গড়ের মাঠ দাদাভাই। ভদ্রলোক জানালেন তার এমনিতেই একজন সহকারী বা অনুবাদকের দরকার সাপ্লায়ারদের সাথে নেগোশিয়েট করতে, আমি রাজী থাকলে কাজটা আমাকে দিতে পারেন—অবশ্যই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। লাফ দিয়ে উঠতে গিয়েও নিজেকে সংযত করলাম—বেশি উচ্ছ্বাস দেখাতে গিয়ে কেচে গণ্ডুষ করে ফেলেছি কত সুযোগ অতীতে সেসব কথা মনে পড়ায়।
কথা ছিল সাড়ে পাঁচটার ট্রেনে হংকং ছাড়বো। সোয়া ছয়টায় পৌছাবো চায়নার শেনঝেন বর্ডারে। সেখানে ইমিগ্রেশন শেষ করেই সাতটার ট্রেনে চড়বো গুয়াংজোর পথে। শেনঝেন থেকে ওটাই শেষ ট্রেন, তাই আগে ভাগেই টিকেটও কেনা হলো। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই এগোচ্ছিল। শেনঝেন বর্ডার দিনরাত সবসময়েই মারাত্মক ব্যস্ত, কিন্তু তার আগে আমাদের হংকং ইমিগ্রেশনকে বিদায় জানিয়ে আসতে হবে। আমরা তড়িঘিড়ি করে হেঁটে লাইনে দাঁড়ালাম—যদিও আলাদা কাউন্টারে। সিনিয়র ভাইটিকে দেখলাম পাসপোর্ট জমা দিতেই ঠাস করে ডিপারচার স্ট্যাম্প মেরে তাকে ছেড়ে দিলেন ইমিগ্রেশন অফিসার। ভদ্রলোক ইশারায় জানালেন চায়না ইমিগ্রেশনে আমার জন্য অপেক্ষা করবেন। আমি পাসপোর্ট জমা দিতেই হংকং অফিসারের চেহারা বাংলা পাঁচের মতো হয়ে গেল। সে পাসপোর্ট উলটে পালটে দেখে, কম্পিউটারে গুঁতোগুঁতি করে কিন্তু আমার দিকে একবার তাকায়ও না, প্রশ্ন ট্রশ্ন করা তো দূরের কথা। মিনিট দশেক কেটে গেলে আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -‘এক্সকিউজ মি অফিসার ইজ দেয়ার এনিথিং রং?’ বিশ্রী ত্যাড়া কন্ঠের জবাব এল, ‘ ডিড আই সে এনিংথিং রং? ’
আর কী বলি, চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। এদিকে মনের মধ্যে টেনশন দানা বাঁধছে—সময়মতো এখন থেকে বেরুতে না পারলে চায়না ইমিগ্রেশন শেষ করে ট্রেন ধরতে পারব কিনা কে জানে। আরও দশ মিনিট কেটে গেল। ব্যাটা ফোন তুলে কার সাথে গপ্পো জুড়ে দিল, হয়তো আমার বিষয়েই, কিন্তু ক্যান্টনিজের ক ও জানা ছিলনা—তাই আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারলাম না। টেনশন বাড়তে বাড়তে দম বন্ধ হবার অবস্থা, পকেটে নাই চার আনাও—এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পরে যদি দেখি ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে তাহলে প্ল্যাটফর্মে ঘুমানো ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। দুঃসহ সেই অপেক্ষার মুহূর্তগুলো কোনদিন ভুলবনা। এতটা অসহায় জীবনে খুব কমই বোধ করেছি। এদিকে লাইনে আমার পিছনে দাঁড়ানো লোকেরাও ফিসফাস শুরু করে দিয়েছে। অস্বস্তিতে আমার ধরনী দ্বিধা হও অবস্থা। এক কোরিয়ান দেখি আমার পেছনে অপেক্ষা বাদদিয়ে পাশের সারিতে গিয়ে দাঁড়ালো। আমার মুখের খোঁচাখোঁচা দাড়িগোফ দেখিয়ে তার সঙ্গীকে বলে ‘পিন লাদেন’ (কোরিয়ানরা ব রে প বলে)। লজ্জা আর ক্ষোভে আমার দৌড়ে পালিয়ে যেতে ইচ্ছা হলো। কিন্তু যাবই বা কোথায়?
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে ইমিগ্রেশন অফিসারের আমার পাস্পোর্টে স্ট্যাম্প মারার শব্দ যখন কানে এলো ট্রেন ছাড়ার আর মাত্র সাত মিনিট তখন বাকি। বুঝে নিলাম সব শেষ। সাত মিনিটে চায়না ইমিগ্রেশন ক্রস করে ট্রেন চড়া সুপারম্যানের পক্ষেও দুঃসাধ্য। হংকং অফিসার পাস্পোর্ট ফিরিয়ে দিয়ে শুকনো মুখে কেবল বলল, ‘মুভ, নেক্সট প্লিজ।’ এতক্ষণ অযথা অপেক্ষায় রেখে হাতের ইশারার তাচ্ছিল্যে আমাকে বিদায় করার নোংরামি দেখে আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল। ডুবেছি যখন এই ব্যাটাকে নিয়েই ডুবি। আজকে ওর সুপেরিওরের কাছে নালিশ না করে আমি এখান থেকে যাচ্ছিনা ( তখনও জানতাম না ইমিগ্রেশন অফিসারদের বিরুদ্ধে নালিশে সচরাচর কোন কাজ হয়না)। আমাকে নড়তে না দেখে অফিসার চেহারায় চরম বিরক্তির ছাপ ফুটিয়ে তুলে জলদি ভাগতে হুকুম করে। মাথার মধ্যে দপ করে আগুন ধরে গেল তার এই আচরণ দেখে। সামনে গিয়ে কাউন্টারে দু’হাত রেখে বললাম, ‘তোমার কারণে আমার ট্রেন মিস হয়েছে, এখন আমাকে এখানে আটকে থাকতে হবে সারারাত । হয়তো আমাকে বুঝিয়ে বলো কেন এতটা সময় নিলে, আর নয়তো সবাইকে শুনিয়ে আমাকে সরি বলো। এছাড়া আমি এখান থেকে যাচ্ছিনা। ব্যাখ্যা না দিলে আমি তোমার সুপারভাইজারের কাছে লিখিত অভিযোগ করবো।’
বেচারা হয়তো এর আগে এমন কোন রণংদেহী যাত্রীর সামনে পড়েনি। সে শুরুতে একটু চিমসে গিয়েও সামলে নিল। মুখে জোর করে হাসি ফুটিয়ে বলে, ‘ প্লিজ জাস্ট গো, প্লিজ। আমার কাজ যাত্রীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া, সেটা করতে গিয়েই দেরী হয়েছে।’ আমি তবুও জায়গা ছাড়িনা। দেয়ালে পীঠ ঠেকে গেলে আর হারাবার কিছু থাকেনা। এভাবে আমাদের তর্ক-বিতর্ক চলতে লাগলো, আমি গোঁ ধরে আছি সরি না বলা পর্যন্ত যাবনা, আর সেও তার ভুল স্বীকার করবেনা। অবশেষে কোনভাবেই আমাকে দমাতে না পেরে গলা নামিয়ে বলে, ‘ ওকে ওকে আমি সরি যে তোমার ট্রেন মিস হয়েছে আমার কারণে। পরেরবার একটু আগেভাগে স্টেশনে এসো।’ আমি প্রায় চিৎকার করে বললাম, ‘ দেয়ার উইল বি নো নেক্সট টাইম। আমি আর আসবই না হংকং এ কোনদিন...’
সরি তো ব্যাটাকে দিয়ে বলানো গেল, কিন্তু সরি ধুয়ে কি আর পানি খাব? পা দাপাতে দাপাতে চলে এলাম ইমিগ্রেশন কাউন্টার ছেড়ে।
ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগেই।
এখন যাই কই?
( চলবে?)
কিরে ভাই লেখা দেখি খালি এক প্যারা দেখায়। মডুরা কেউ ঠিক্করে দেন কাইন্ডলি
ঠিকিতো আছে বস
হ, পুরাই তেলেসমাতি! লেখা চলবো কিনা তা কইলেন না?
আরে কি কন... চলবো না মানে? অবশ্যই চলবে... চলতে হবে
... তারাতারি চালান 
আর সরি.. স্বাগতম বলি নাই
স্বাগতম ...
শুরুহোক লেখালেখি
নতুন নতুন লেখায় এবি সায়লাব হয় যাক
অনেক ধন্যবাদ বস। লেখা আসবে, আসতেই থাকবে...আপনেরা মামুন...অনেক হয়েছে এবার একটু থামুন বলার আগ পর্যন্ত
পয়লায় স্বাগতম।
দুইলায় 'চলবো না মানে? দৌড়াইবো'
আর তিনলায়-
দোস্ত, তোর এই জীবনটারে কী যে ঈর্ষা করি আমি। অকল্পনীয় একটা জীবন তোর। এরকম যাযাবর আমি খুব কম দেখছি। এই সিরিজ তো অবশ্যই চলবো। তবে আমার অনুরোধ থাকলো তুই তোর যাযাবর জীবন নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ কর। যেটা আগামী বইমেলায় পুস্তকাকারে দেখতে পারুম...
অগ্রীম অভিনন্দন
ধন্যবাদ দোস্ত। এখানে এসে আসলেই ভালো লাগছে। কেমন জানি একটা নতুন বইয়ের ভাঁজখোলার মতো ব্যাপার। সিরিজখেলাপীদের তালিকার আমার নাম বোল্ডাক্ষরে লেখা আছে, তাই সিরিজের ওয়াদা আর করছিনা। তবে চালিয়ে যাব যদ্দুর পারি। আর ঈর্ষা মির্ষা বলে আর লইজ্জা দিসনা। আমিও তো তোরে বিয়াফক ঈর্ষাই...কাটাকাটি
স্বাগতম...
শেনঝেন স্টেশনটা খারাপ না.....এক রাত না হয় কাটালেনই ......ভিনদেশে একটু ওদের ত্যাদরামি সহ্য করবেন না, নেমক তো খাইলেন ..একটু সহ্য আর কি।
সে যা হোক....ইমিগ্রশনের কখন যে কি মরজি হয় ..কেই বা জানে।
কাহিনী এরপর .....চলবে তো নাকি?
অপেক্ষায় রইলাম।
এখন শুনেছি শেনঝেন স্টেশনটা দারুণ চকমকা হয়ে গেছে। তবে আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন একটা মফস্বলী স্টেশনের মতো ছিল ...খুপচিমতো সুরঙ্গের ভেতর দিয়ে বেরোতে হতো। বাইরে আসলেই রাজ্যের ভিখারী আর যৌনকর্মীদের ভীড়। এক পাও হাঁটা যেতনা শান্তিতে। তবুও সেই শহরটা আমার প্রিয় শহরদের তালিকায় থাকবে চিরদিন, অসহায় এক ভাগ্যাণ্বেষীকে আশ্রয় দিয়েছিল সেই শহর, পরম মমতায় বরণ করে নিয়েছিল। শুধু শেনঝেনে কাটানো তিনমাস নিয়েই গোটা একটা বই লিখে ফেলা যায়।
জটিল...এডভেঞ্চার ব্যাডভেঞ্চার কাহিনী মনে হইতাছে!
আসলে লিখতে গিয়ে নিজেও বেলাইনে চলে যাচ্ছি। ইচ্ছে ছিল শুধু ইমিগ্রেশনের স্মরনযোগ্য ঘটনাগুলো নিয়েই লিখবো, এখন দেখি আপনারা অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধও শুঁকে নিয়েছেন। দেখি কদ্দুর যাওয়া যায়
আমি আপনের এইরম লেখার ভক্ত ছিলাম। ছিলাম কইলাম কারণ বহুদিন পর আপনের লেখা আবার পড়তেছি। আমাগো মতোন মানুষের আজীবনের আকর্ষণ যেই যাযাবর জীবন, যেই অনিশ্চয়তার যাপন সেইটা আপনের লেখা পড়লে মনে হয় ডাইল-ভাত।
আশা করি পরবর্তী পর্বের লেইগা খুব বেশীদিন অপেক্ষা করন লাগবো না।
আপ্নেও শরম দিতাছেন মিয়া, যামু কই। অনিশ্চয়তার একটা আকর্ষণ আছে, রক্তে বাজে। এই বাজে ব্যামোতে পরেই এককালে গুল্লির মতো ছুটে বের হয়ে গেছিলাম দেশ ছেড়ে, কিছুরেই ডরাই নাই। এখন বউ বাচ্চা নিয়া ঘোর সংসারী...মাঝে মধ্যে পুরান কথা মনে হলে নিজের কাছেই আশ্চর্য লাগে...আসলেই কি ঐটা আমি ছিলাম। এতটা বোকা, এতটা দুঃসাহসী। কিন্তু বস ঘটনা হইল আমি নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে গেলেই আকণ্ঠ সংকোচে ডুবে যাই, মনে হয় শুধু আমি আমি করতেছি। তাই গল্প লিখেই শুরু করতে চেয়েছিলাম এখানে, কিন্তু আপ্নেই কইলেন স্মৃতিচারণমূলক ব্লগ জার্নাল নামাইতে...আপনার কথা ফালাই ক্যাম্নে?
আমি আপনের একজন ভক্ত পাঠক হিসাবে চাইছি জার্নাল টাইপ লিখনের কথা...আমি আমি করনের প্রয়োজন পড়লে করবেন না ক্যান? আমার নিজেরো এই অভ্যাস আছে...কিন্তু ভাবি যদি ঐটা না করি তাইলে অন্যের কথা কমু কোন দায়িত্ব নিয়া...অভিজ্ঞতার দিক থেইকা আপনের মতোন আর্ন্জাতিক আর চড়াই উৎড়াই না থাকলেও আমার জীবনো তো এমনই ছিলো...অনিশ্চয়তার কিচ্ছা। এখন এইসবই তো মানুষ লেখে...প্রকাশের ভঙ্গী খালি ভিন্ন হয়...
আন্তর্জাতিক*
যদি ঐটা না করি তাইলে অন্যের কথা কমু কোন দায়িত্ব নিয়া...

ফার্স্ট পার্সোনে লিখিত যে কোন বর্ণনামূলক লেখা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বেশী কমিউনিকেটিভ মনে হয়। মামুনভাই, আপনার নিজের জীবন এই সময়ের ডেভিড কপারফিল্ড বা অপুর জীবন। পাঠকদের বঞ্চিত করার কোন মানে হয় না।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আমরা বন্ধু ব্লগে স্বাগতম
অনেক ধন্যবাদ ভাই। পরের পর্ব আসবে
যেমন বৈচিত্র্যময় জীবন, তার নিখুঁত বর্ণনায় ঠিক তেমন মানানসই লেখনী। অধীর আগ্রহে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
নজরুলভাইয়ের মন্তব্যের তিনলায়তে ডিটো দিলাম।
ধন্যবাদ আপামনি। আপনার লেখার আমি মন্ত্রমুগ্ধ ভক্ত পাঠক :)
পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়া আছি , জলদি দিয়া দ্যান।
সুন্দর
....খাইছে, এইরকম দম আটকানো অবস্থায় আইনা লেখা ছাড়ে নাকি কেউ? কি আজীব!!
....এইরকম কাহিনী তো আমার ফেভারিট....আর লেখছেনও একদম, উমদা কৈরা....দরকার হৈলে দলে দলে দাবী জানাবো, এই লেখা কন্টিনিউ করার জণ্য....
স্বাগতম মামুন ভাই। আপনাকে এই পাড়ায় দেখে ভালো লাগছে।
প্রথম লেখাটাই সেইরাম ফাটানো হয়েছে.......প্রথম পর্ব নেহায়েত ছোট হয়নি, তবু পরের পর্বের জন্য তৃষ্ণার্ত আছে পাঠকেরা।
ফাটাফাটি। পরের পর্বের অপক্ষায় আছি সিরিয়াসলি।
মজা পাইলাম .........কন্টিনিউ করেন...পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ...
এখন যাই কই ? ......... বইলা থাইম্মা গেলে চলবো ?
পরের পর্ব দেন তার্তারি
এবি'তে স্বাগতম
ভাইসগল একটু ধৈর্য্য ধরেন। পরের পর্ব অচিরেই আসবে। ঘটনা হলো আমার স্ত্রী আর সদ্যজাত মেয়ে দু'টিকে আবার ক্লিনিকে নিয়ে আসতে হয়েছে গতকাল। মেয়েরা সুস্থ্যই আছে, তবে তাদের মায়ের শরীর একটু খারাপ। যমজ বাচ্চা সামলানোর ধকল এখনই নিতে পারছেনা। অন্তত সপ্তাহখানেক থাকতে হবে ক্লিনিকে। তবে ল্যাপটপ নিয়ে এসেছি সাথে, একটু স্থির হতে পারলেই পরের পর্ব নামিয়ে দেব। সুখের কথা হলো এমন প্রবল ঝঞ্ঝামুখর দিনগুলিতেই আমার লেখালেখি করতে হাত কামড়ায়, অস্থিরতার বাস্প উদগীরনে এরচেয়ে কার্যকর কোন পন্থা আমার জানা নেই।
আপাতত সকলের দোয়াপ্রার্থী
ঠিক আছে মামুন ভাই, আস্তে ধীরেই দেন ।
পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো
আমি গেছিলাম ২০০৫ সালে। তয় ডব্লিউটিও সম্মেলন ছিল বইলা অভিজ্ঞতা বেশ ভালই।
মামুন ভাই, আপনার লেখা আমি অনেকদিন থেকেই পড়ি - আপনার লেখার অকপট, সোজাসাপ্টা ভাবটা আমারে টানে। এইধরণের প্রথাভাঙ্গা, ক্ষ্যাপাটে মানুষ দেখলে আমার খুব হিংসা হয়-নিজে অনিশ্চয়তাকে ভয় পাই বলে। এই রকম আরো লিখেন, ঘরের কোণে ঘাপটি মেরে বসে থাকা ভীতু এই আমাদেরকে রং-বেরঙ্গের অভিজ্ঞতার স্বাদ দেন। অপেক্ষায় থাকব।
পিন লাদেন! হা হা হা হা
লেখা ভাল হইছে ভাই। আরো লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আমরা বন্ধু ব্লগে স্বাগতম
vai hongkong eh visit eh gale taka jay..????
মন্তব্য করুন