শিশুবার্তা ইজ ব্যাক!
কেমন আছেন সবাই? অনেকদিন নানা ঝামেলায় এদিকে আসা হয় না। আগে নিয়মিত বাচ্চাদের ছবি নিয়ে পোস্ট দিতাম সেটাও অনেক দিন ধরে বন্ধ। ইন্টারনেটে বাচ্চাদের ছবি পোস্টানো নিয়ে অনেকে ভয়ধরানো সব সাবধানবাণী শোনায়, যার কারণে ফেসবুকে ছবি আপ্লোডানোও আগের মতো নিয়মিত না। তবুও এবির বন্ধুরা আয়লা-এষার সেই জন্মলগ্ন থেকেই সাথে আছেন, তাঁদেরকে মাঝেমধ্যে আপডেট না জানালে বড় ধরনের বেয়াদবি হবে। তাই বেশ কয়েকমাস বন্ধ থাকার পরে আবারও শিশুবার্তা নিয়ে হাজিত হলাম আপনাদের সামনে।
আয়লা-এষা এখন বেশ বড় হয়ে গেছে। হাঁটাচলা তো হাতের ময়লা, মাঝেমধ্যে প্রায় স্প্রিন্টারের গতিতে ছুট লাগায়। এদের দৌড়-ঝাপ আর দুষ্টমির দৌড়াত্মে আমার জান ঝালাপালা, তবে বড় মধুর সে যন্ত্রণা। বাপ-মা যারা তাঁরা ঠিকই জানেন।
ওরা এখন টুকিটাকি কথাও বলতে পারে। আয়লার মধ্যে এখন থেকেই নাচানাচির একটা ঝোঁক দেখা যায়, আর এষার আগ্রহ হলো যন্ত্রপাতি খোলা আর জোড়া লাগানোর ভিতরে। পুরাই ছ্যামড়া মার্কা শখ, তার আবার মুখের আগে হাতও চলে বেশ। সেইদিন দেখি আয়লাকে ঘোড়া বানিয়ে পীঠে চড়ে বসছে। কাহিনি আরও আছে পরে আরেকদিন বলবো। আজকে কিছু ছবি দেখাই।
ওদের গায়ের পোশাকগুলো আমার ব্লগাতো বোন নূপুর এবং দুষ্ট বালিকার যৌথ প্রযোজনায় তৈরী। ওদের এই সুযোগে বিপ্লবী শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি, বাচ্চাদের পোশাক তৈরী মোটেও কোন সহজ কম্ম নয়। কাপড়গুলো বানিয়ে নূপুর পাহারা দিয়ে রেখেছিল অনেকদিন, বুদ্ধিমতী মেয়ে সে বানিয়েছিল একটু বড় করেই। পরে আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যকে সেগুলোকে তাইওয়ান আনার বন্দোবস্ত করি। সাইজে বড় হওয়ার এতদিন গায়ে চড়াতে পারেনি। গত সপ্তাহে আমার এক ফটোগ্রাফার বন্ধুর স্টুডিওতে আয়লা-এষার কিছু ছবি তোলা হয়। দেখা গেল সব পোশাকের ভীড়ে নূপুর-দুষ্ট বালিকার মাস্টারপিসই সুপারহিট। মেয়েরাও পারলে ওগুলো পরেই ঘুমাতে যায়।
পৃথিবীতে মানুষে-মানুষে হাজারো জটিল-কূটিল টানাপোড়েনের ধামাকায় নিঃস্বার্থ সম্পর্কগুলো এখনো সগৌরবে টিকে আছে বলেই বেঁচে থাকা একেবারে বিস্বাদ হয়ে যায়নি।
আমার ব্লগাতো ভাই-বোনদের অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
এখন ছবি দেখেন
আয়লা একটা কিছু বাজিয়ে শোনা দেখি
ভাব নিতে গলায় ওড়না ঝুলিয়ে আয়লার বাজনা শুরু
তোরটা কিছুই হচ্ছে না, দেখ আমি বাজিয়ে শোনাই
হায় হায় আমিও দেখি বাজাতে ভুলে গেছি!
ঝগড়া অথবা ক্লান্তি আমায় ক্ষমা কর প্রভূ
সবাই ভালো আছেন আশাকরি। ভালোই থাকুন সবসময়। দেখা হবে আবার অচিরেই
এবির সব টমেটোগুলারে যদি একদিন ভর্তা বানাইতে পারতাম!!

রাসেল ভাই পৃথিবীর যাবতীয় কিছু আপনার ভর্তা করতে মন চায় কেনো???
আপনার নাম রাসেল আশরাফ থেকে বদলে ভর্তা আশরাফ করে দিলে কেমন হয়??
রাসেলের বদলে ভর্তা???? কার নাম চেঞ্জ করার আগ্রহ দেখাইছেন সেটা কি একটু খেয়াল করেছেন ম্যাডাম??


কেন?? আপনি কি রাসেল নামের আড়ালে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের কেউ???

না ভাবতেছি হাসুবু বা রেহেনাপা রে ফোন দিমু না থাক জয় মামারে একটা মেইল দিলেই হবে। এইবার বুঝছেন?? কাখে ল্যাড়তে কাখে ল্যাড়েছেন।

আমার ছেলেকে আশেপাশে রাখলাম মামুন ভাই।
রাইয়ানের ছবির পাশে একভোট।

এ তো দেখি এক রাজপুত্র। অনেক আদর বাবাটাকে।
আমাদের পরী ২ টাকে আবারো নিয়ে এলেন বলে আপনাকে এক বস্তা ধইন্যা ভাইয়া। খুব মিস করছিলাম এই ব্লগে আমাদের মামনিদের, সেটা তো আপনি জানেনই। সোনামেয়েদের জন্য এক পৃথিবী আদর। এমন হাসি-আনন্দে কাটুক জীবন। নজর না লাগুক।
মেয়ে দুইটাতো একদম ফুপুর মতো হইছে দেখি
সুন্দর লাগছে জামাগুলোও।
মাসুম ভাইয়ের প্রস্তাবে পাঁচ তারা
ঋহানের কথা খিয়াল রাইখেন
ক্যামন আছেন?
মা দুইটাকে অনেকদিন পর দেখে প্রাণ ভরে গেল।
এদের দৌড়-ঝাপ আর দুষ্টমির দৌড়াত্মে আমার জান ঝালাপালা, তবে বড় মধুর সে যন্ত্রণা। বাপ-মা যারা তাঁরা ঠিকই জানেন।
এই কথাটায় আমার মাঝারি আপত্তি আছে। বাবা-মা ছাড়াও কিছু মানুষ থাকেন যারা এই মধুর অনুভূতিকে অনুভব করতে পারেন।
শিশুবার্তা নিয়ে প্রায়-প্রায় হাজির হবেন প্রত্যাশা করছি।
আপনার বাচ্চা দুইটা দেখতে খুব সুইট হইসে ভাইয়া। ওদেরকে অনেক অনেক আদর।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের দোয়াতেই মেয়েরা ভালো আছে, সুস্থ্য আছে, দিনকে দিন আরও দুষ্টু হচ্ছে। আগামীতেও এভাবেই আপনাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের ছায়াতলে থাকবে সে আশাই করি
দুই পোলার বাপে আমাদের ভাতিজীদের পিছনে লাইন লাগাইছে! আগে ফুপুদের কাছে অনুমতি নিতে হপে।
পরের বাড়ির বৌ মানে ফুপুদের কোন কথা চলবে না। চাচারা যা বলবে তাই হবে।

মামুন ভাই, কন্যাদুইটাতো পুরো রাজকন্যা হয়ে গেছে

মাশাল্লাহ
লগ ইন যেহেতু হয়েছেনই পরীগুলারে নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে যান মামুন ভাই।
মন্তব্য করুন