মাসিক শিশুবার্তা
এমনিতেই একদিন দেরী হয়ে গেছে, আরও একদিন দেরী করলে রাসেল আশরাফ আর জয়িতা আমারে ভেজে খেয়ে ফেলবে। তাই তড়িঘড়ি করে অফিস থেকেই এই ছবি ব্লগের সূত্রপাত। আসলে বেশ একটা ঘটনাবহুল মাস গেলো--ঈদ, ভয়াবহ টাইফুনের নির্দয় হামলা, দেশ-বিদেশ থেকে আত্মীয় পরিজনদের বেড়াতে আসা, কর্মক্ষেত্রে নিদারুণ ব্যস্ততায় খাবি খাওয়া, চন্দ্র মাস উপলক্ষে চন্দ্রোৎসব, আয়লা-এষার আজগুবি ভঙ্গীতে হামাগুড়ি শেখা আরও কত্তো কী! ইচ্ছা ছিল সবিস্তারে একটা জমজমাট ব্লগ লিখবো, কিন্তু কপালের নাম গোপাল। তাই আহা উঁহু বাদ্দিয়ে যা পারি তাই লিখে আপনাদের পাতে তুলে দেই। সময়াভাবে অন্যদের সব ব্লগ পড়তে পারি না, অথচ নিজে হাবিজাবি লিখে পাতা ভরিয়ে ফেলি-- ক্ষমা-ঘেন্না করে দিয়েন গো
মেয়েরা খুব ভালো আছে আপনাদের দোয়ায়। দৈনিক একেকজন একেক পদের আবিষ্কার নিয়ে হাজির হয় আমাদের সংসারের মজমায়। ধরেন এষা গড়াতে শিখে নিয়ে একটানা গড়িয়ে হারিয়ে যায় কফি টেবলের নীচে, তো আয়লা অদ্ভূত ভঙ্গীতে হামাগুড়ি দিয়ে ধরে ফেলে নিরীহ বেড়ালছানাটিকে। দু'জনেই পানি পাগল, মানে পানিতে নামলে আর উঠতেই চায় না। ছোটবেলায় আমিও এমনই ছিলাম। এখন কিছু ছবি দেখাই আপনাদের, আলাদা ক্যাপশন দেয়ার সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলেছি কোন অজানায়, তাই ক্যাটাগরি করেই নামিয়ে দিচ্ছি আপাতত
সবাইকে প্রাণঢালা ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, দেখেন আপনাদের শুভকামনার শক্তিতেই ওরা কী ভাবে তরতর করে বড় হয়ে উঠছে।
মাশাল্লাহ্। পিচ্চি দুইটা যত বড় হচ্ছে তত সুন্দর আর আদুরে হচ্ছে। দেখেই মনটা খুশীতে ভরে গেলো।
এই ছবিটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে -
মামুন ভাইকে কয়েক কোটি ধন্যবাদ।
মীর ভাই আপনাকেও কয়েক বিলিওন ধন্যবাদ। আমাকে ফেসবুকে অ্যাড করেন, নিয়মিত ছবিগুলো দেখতে পাবেন
মামুন ভাই, আনন্দ অক্ষয় হোক চিরদিন এই কামনা রাখছি
একটা ভয়ের কথা, এগুলোতো পুরাই নানীর দেশের টার্ন নিতেছে। এগুলোর গায়ে একটু ব্রাউন মাটি ডলা দেন, প্লীইইইজজজজ
হা হা ভালোই বলছেন। কিন্তু গায়ের রঙে কী বা আসে যায় গো আফা!
এদের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এরা আপনাকে ব্যস্ত রাখবে অনেক।
একদম ঠিক বলেছেন অরিত্র। আমি ভয়ে ভয়ে আছি!
কারো মন খারাপ করলে এই পোস্ট আইসা ঘুইড়া যাওয়া উচিত... পুরা চাদের হাট
দেখলেই মন জুড়ায়....
মাজননীরা অনেক ভাল থাকুক
ধন্যবাদ টুটুল ভাই। আপনার ছেলের ছবি ব্লগের কী হইলো? অপেক্ষায় আছি
পরীদের ছবি দেখে ফেসবুকে অনেক সময় কেটে যায়। মীর যে ছবিটা দিলো, আর মামুন ভাই এর সাথে বীচে যে ছবিটা এই দুইটা ছবি যে ক-ত-বা-র দেখলাম!ভাইয়া, আপনার ঘরে সত্যি চাঁদের হাট।আমাদের মন ভরে যায় চাঁদের হাসি দেখে। দোয়া করি মামনিরা এমন হাসি আনন্দে সবার মন ভরিয়ে রাখুক।
আদর দিয়েন কিন্তু। কবে যে আসবেন দেশে!এদের দুইজনকে তখন একসাথে কোলে নিতে পারব তো!
ভাইয়া, মাসিক শিশু বার্তা এখন থেকে পাক্ষিক হবে। মেয়েরা কি করে এসব চাচা-ফুপুরা দেখবে না!
মাসিক শিশু বার্তা এখন থেকে পাক্ষিক হবে
এই কথাটায় সমর্থন জানাচ্ছি।
জয়িতা এমনিতেই মাসে একটাই থাকুক আপাতত, আরেকটু বড় হলে ওরা নিজেরাই নিয়মিত ব্লগ লিখবে
মাথা খারাপ করা সব ছবি, আসলেই মন খারাপ থাকলে এই পোস্টে এলে মন ভালো হয়ে যাবে।
ভালো থাকুক আয়লা-এষা।
ধন্যবাদ মেঘ, আপনিও অনেক ভালো থাকবেন।
বিকালে একবার ফেসবুকে ধরতে গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি আপনি অফলাইনে।
বেচেঁ গেলেন আজ।ছবি না দিলে আজ খবর ছিলো।
আহা রে দেখলেই চোখ জুড়ায় যায়।
হা হা, জানতাম যে তুই তক্কে তক্কে ছিলি, তাই তো তড়িঘড়ি করে পোস্টাইলাম
মাশাল্লাহ! আপনি অনেক লাকি
জ্বি, এই বিষয়ে আমারও কোনো দ্বিমত নাই!
মাসুম বেবি দুটোকে দেখলে মন জুড়ায়। আহা....
হ, বেবীরা তো মাসুমই হয়, বড় মাসুমরা কী আর আজীবন মাসুম থাকে?
ধন্যবাদ ভাঙ্গা পেন্সিল। অনেকদিন আপনার কোনো নতুন লেখা পড়ি না।
prathona kori onnk onnk boro maper manush hishabe bere uthuk ma monira.......
আপনার প্রার্থনা আর আশীর্বাদ পৌঁছে দিলাম মেয়েদের কাছে
মা দুইটাকে দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। আহা!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রশীদা। ভালো থাকুন সব সময়।
আছি সাথে।
আপনার শিশুবার্তা পড়ি আর টের পাই কত আদর পিচ্চিদুটোর জন্য তাদের বাবার মনে ... অনেক দোয়া রইলো
আরেকটা কথা, ফটোগ্রাফারের সেন্স খুবই ভালো, একদম রাইট টাইমিং
ভালো থাক আমাদের শিশুরা। ওদের জন্য একটু ভাল পরিবেশ যদি রেখে যেতে পারতাম আমরা ! আফসুস।
এরকম পরীর মত শিশু থাকলে যেকোন জায়গাই স্বর্গে পরিণত হয় গো মিয়াভাই। মাশাল্লাহ্, আপনি বিশেষ ভাগ্যবান, পৃথিবীতেই স্বর্গ দর্শণ হয়ে গেলো। পরীদ্বয়ের মুখের হাসি অমলিন থাকুক সে দোয়া করি। হাসি দিয়ে, মায়া দিয়ে সর্বপুরি মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠুক। টুটুলভাইয়ের কথা খুবই সত্যি। আমিই দু'দিন আপনার আগের পোষ্ট খুলে ওদের হাসিমুখ দেখেছি, দেখিয়েছি
ভালো থাকুক এই দুই মামণিসহ পৃথিবীর তাবৎ রাজকণ্যা-রাজপুত্তুরেরা 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
মন্তব্য করুন