প্রবাসে ঈদ
এর আগে এক লেখায় আপনাদের জানিয়েছিলাম তাইওয়ানের মতো পাণ্ডববর্জিত দেশে রোজার মাসে কষ্টে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থার কথা। তো সমস্ত রোজার মাস যদি হয় ফূটন্ত কড়াই তাহলে খোদ ঈদের দিনটি হলো জ্বলন্ত উনুন। এক হচ্ছে প্রবাসে বাপ-মা, আত্মীয়-স্বজন, পুরানা বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই। বাসায় ফোন করলেই মায়ের ফোঁপানো, কান্না সামলে ফ্যাঁসফেঁসে গলায় কী খেয়েছি, কী রেঁধেছি ইত্যাদির ফিরিস্তি চাওয়া। বাবার থমথমে গলায় হাঁটু ফুলে যাবার বয়ান, ভাই-বোনদের অভিযোগ-অনুযোগ ইত্যাদিতে জেরবার করে তোলা। আর দ্বিতীয় হলো নিজেও বানিয়ে বানিয়ে খুব ভালো থাকার-খাবার বর্ণনা ইত্যাদি দিয়ে সবাইকে আপাতত ঠাণ্ডা করে একছুটে সাগর পাড়ে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকা। পরেরটাতেই কষ্ট লাগে বেশি, হিমঘরে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হৃদয় গলে ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ঝরে।
তো ভাবছিলাম এবার আর আমি একেলা নাই, ঘর জুড়ে আছে আয়লা-এষা। ওদের প্রতিটি হাসিতেই সহস্র ঈদের খুশীর ঝলকানি। প্রতিবার হাত বাড়িয়ে বুকে আসাতেই নক্ষত্র বিজয়ের আনন্দ, আমাকে আর পায় কে!
ঈদের দিনে খুব ভোরে উঠে ওদের নিয়ে হাঁটতে বেরালাম। বউকে স্ট্রলারের ভার দিয়ে আমি আগে আগে হাঁটি, মানে রাস্তা-ঘাট ক্লিয়ার রাখি আর কি। বাড়ির পাশেই তাইওয়ানের প্রাচীণতম বৌদ্ধ মন্দির, বেশ ছায়া-ঘেরা, ছিম-ছাম পরিবেশ। পরপাটি করে সাজানো বাগান, চমৎকার বন্ধুবৎসল মানুষজন সব সেখানে। মেয়েদের দেখেই তাইচি ( এক ধরনের শরীরচর্চা) করা বাদদিয়ে উঠে আসলেন বেশ কয়েকজন ভিক্ষু। আপনাদের ভাতিজিরাও যে কী আহলাদী হয়েছে না, সে আর বলে শেষ করা যাবে না। অপরিচিত লোকজন দেখলেও তাদের হাসির কোনও বাঁধ মানে না। ওদের খিলখিল করা হাসিতে ভিক্ষুদের রক্ষণেও চিড় ধরলো, আগে কখনও ছবি তোলার অনুমতি না দিলেও সেদিন নিজেরাই মেয়েদের কোলে নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো। সামনের ছবি ব্লগে তার কিছু ছবি আসবে।
মর্নিং ওয়ক শেষ বাড়িতে ফিরতে ফিরতে প্রায় আটটা। স্থানীয় মসজিদের ঈদের নামাজ সকাল নয়টায়। গোসল সেরে দুবাই থেকে এক বন্ধুর পাঠানো সন্দেশ মুখে দিয়ে দৌড় লাগালাম মসজিদের দিকে। প্রতিবারের ঈদের দিনের প্রধাণ আকর্ষণ মসজিদে নামাজে পড়ে বিশাল খানা-দানার আয়োজন। একেক বছরে একের দেশের লোকেরা দায়িত্ব নেয় আর মজাদার সব রান্নায় দিনটাকে আলোকিত করে তোলে। গেলবার দায়িত্বে ছিল মরক্কোর ছেলেরা, তাঁদের রান্না করা খাবারের স্বাদ এখনও জিভে লেগে আছে। এবার কাদের ঘাড়ে দায়িত্ব পড়েছে সেটা আর সুযোগ করে জানা হয়নি। ভাবছিলাম ব্যাপার না, মসজিদে গিয়ে জেনে নেব, তাছাড়া যেই রাঁধুক মজাদার খাবারেই সবাইকে পাগল করার চেষ্টায় কমতি থাকবে না।
মসজিদের নিজস্ব পার্কিং নেই, গাড়ি নিয়ে পড়লাম বিরাট ঝামেলায়। কোথাও রাখার জায়গা পাচ্ছিলাম না। অবশেষে মেইন রোডে গাড়ি রেখে ফিরতে ফিরতে দেখি সবাই কাতার সোজা করে দাঁড়িয়ে। নামাজ শেষ করে সবাই কোলাকুলিতে ব্যস্ত। এই শহরে আমি ছাড়া বাঙ্গালী মাত্র আর দুইজন, তাদের মধ্যে একজন আবার নামাজে আসেনি। যে এসেছে তার কাছে খাবারের দায়িত্বে কারা আছে সেটা জানতে যাচ্ছিলাম, এমন সময়েই দেখি বিশালদেহী এক পাকিস্তানি গমগমে গলায় ঈদ মোবারক বলে সবাইকে জাপটে ধরছে। লোকটাকে চেহারার চিনি, নামধাম জানিনা, তাই হাবেভাবে মিল থাকায় তাকে আমি আর আমার দেশী বন্ধু ইদি আমিন বলে ডাকি। তো ইদি মিয়ার সাথে কোলাকুলি এড়াতেই আমরা বারান্দায় গিয়ে কতক্ষণ দেশে ঈদের দিনের স্মৃতি নিয়ে কতক্ষণ নাড়াচাড়া করলাম। সবাইকে দাবড়ানি দেয়া শেষে সেই লোক বিদায় হলে, আমরাও নিচের তলায় খাবারের ঘরের দিকে আগাই। সত্যি বলতে এই মিলিত খানাপিনাটাই আমাদের ঈদের দিনের সবেধন নিলমণি। তাই সামান্য হলেও কিছুটা আনন্দের পূলক অনুভব করছিলাম ভেতরে।
কিন্তু অভাগা যেদিকে চায়..সাগর শুকায়ে যায়। নিচে খাবার ঘরের দরজায় দেখি আবারও সেই পাকিস্তানি লোক দাঁড়িয়ে। ইন্দোনেশিয়ান এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করে জানলাম এবারের খাবারের দায়িত্ব আছে পাকিস্তানিরা। নামাজিরা দেখলাম ধীরে ধীরে খাবারের ঘরে ঢুকে চেয়ার-টেবিল দখল করে নিচ্ছে, বাতাসে মশলাদার খাবারের সুবাশ, আমার সাথের দেশী বন্ধুটিও দেখলাম তার পরিচিত কয়েকজনের সাথে গিয়ে যোগ দিল। আমি সকালে নাস্তাও করিনি এই খাবারের আশায়। পেটের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু তাই বলে পাকিস্তানি কারও সাথে বুক-হাত মিলিয়ে, তাদের হাতের রান্না খাওয়া? আমার দেশের মাটি থেকে তো এখনো রক্তের দাগ শুকায় নাই। পারলাম না, কাউকে কিছু না বলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে এসে চুপিচাপ অফিসে চলে গেলাম।
ঢাকার বাসায় আম্মাকে ফোন করতেই সেই একই কান্না, একই আক্ষেপ--আহা রে আমার ছেলেটা ঈদের দিনে না জানি ভালো-মন্দ কিছুই খেতে পায় না। মা রা বোধ হয় কোনদিনই আমাদের আর বড় হতে দেবে না, আমি তো চাইলেই শহরের সবচে বড় রেঁস্তোরায় গিয়ে ভরপেট খেয়ে আসতে পারি। তবুও এত আফসোসের কী আছে? যাই হোক বুড়ির কান্নাধরা গলা থামাতেই মোরগ পোলাও-কোর্মা-রেজালা-রসমালাই ইত্যাদির বানোয়াট বিবরণ দিয়ে গেলাম। মায়ের মুখের ভারটাও কিছুটা কমলো বলে মনে হলো।
আমাকে লোকে রেসিস্ট বলুক আর যাই, একটা পাকিস্তানির হাতের রান্না খাবার বদলে আমি প্রয়োজনে বাকী জীবন মায়ের কাছে ঈদের দিনের খাবার দাবারের মিথ্যা ফিরিস্তি দিয়ে যাব, তাতে আমার গলা একটুও কাঁপবে না। একাত্তুরে এই মা কেই যে গর্ভবতী অবস্থায় দশমাস গ্রামে তার দাদার বাড়িতে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল, পাকিস্তানি হায়েনাদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে। পাকিস্তানিদের পছন্দ করি না আমি, তারা ঈদের দিনে চমৎকার সব খাবার-দাবার বানিয়ে নিয়ে এলেও।
ভালো লাগলো। বিশেষ করে পাকিস্তানীদের খাবার মুখে তোলেন নি এটা জেনে বেশি ভালো লাগলো। মানুষের মধ্যে স্থান-কাল-পাত্রভেদেও এরকম বোধ টিকে থাকে কি না জানি না। প্রয়োজনের খাতিরে তো কতকিছুই মানুষকে করতে হয়, আর এখন সময়ও এত বেশি প্রতিযোগিতামূলক যে অনেকে চাইলেও পারে না। কিন্তু আপনার এই শক্ত অবস্থান গ্রহণ করাটা খুব ভালো লেগেছে। অশেষ শুভকামনা আপনার জন্য মামুন ভাই।
সে নো টু পাকিস্তান।
ধন্যবাদ মীর ভাই। সে নো টু পাকিস্তান
স্যালুট বস।
স্যালুট দিয়া কী করুম রে পাগলা নতুন কিছু লেখা দাও
আধুনিক সুশীল যুগ তো, এইজন্য এইসব ঘৃনা টৃনা করা রেসিজম আরকি।
৩৮/৩৯ বছর আগের বর্বরতা মনে কৈরা রাইখা বিদেশের মাটিতেও, নানা রকম ঝঞ্ঝাটের মাঝেও এই বিরাগ, কহুব খারাপ, বর্বর।
তবে কিনা, এইটুকু বর্বরতা না থাকলে তাদের আমি বাঙ্গালী মনে করতে পারিনা, হয়তো কেউ কেউ বিশ্ব নাগরিক--
আপনারে স্যলুট।
আমি কোরিয়া থেইকা ফেরার জন্য তখন উতলা, কিন্তু টিকিট পাওয়াটা ঝামেলার হৈয়া দাড়াইছে।
একজনের কাছ থেইকা পরিচিত ট্রাভেল এজেন্সীর টিকিট পাইলাম, পরে ফুন কৈরা কাটার সময় টের পাইলাম, পাকিস্থানি এজেন্সি ওডা।
ওডার টিকিট না নিয়া আরেকটা টিকিট কাইটা দেশে ফিরতে আরো ৮ দিন দেরী হৈলো, বাড়ি ভাড়া খাওয়া মিলাইয়া কিছু খরচ গেলো টেলো আরকি---আর মায় একটু বেশি উতলা হৈছিলো!!
আসলে অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম পাকিস্তানিদের সাথে সুশীল সহাবস্থান সম্ভব নয়। ধরেন তারা ৭১ এর জন্য প্রতিটা বাংলাদেশীর হাতে পায়ে ধরে মাফ চাইলো, আমাদের অর্থ-সম্পদও ফেরত দিল, তারপরেও কি তাদের কে মন থেকে মেনে নেয়া সম্ভব? ৩০ লাখ স্বজন হত্যা আর লাখ লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে শুকনা মাফি মাঙা আর সম্পদের হিসাব-কিতাব মেটানো গরু মেরে জুতা দানের চাইতেও জঘণ্য। উদারমনা ভদ্দরলোক না হয় না ই হইলাম আর এই জীবনে কিন্তু পাকিস্তানের সাথে কোনও আপোষে যাওয়া সম্ভব না।
ধন্যবাদ শাওন।
এ প্রসঙ্গে সেদিন একটা মজার তুলকালাম হয়েছে। একজন "বিশ্বনাগরিক"। আজকাল অনেক মর্ডান টার্ম চালু হয়েছে, "বিশ্বনাগরিক" হলো এর মধ্যে একটা। তিনি বললেন তিনি জাতি ধর্ম বিচার করেন না। শুধু মানুষকে দেখেন। সে বাঙ্গালী, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানী যাই হোক তিনি তার সাথেই মিশবেন। আমার থেকে সাড়া না পেয়ে ফাজিল আমারে বলে, ঠিক না। আমি বলছি আপনার বিচার আপনার কাছে। আমি কোন পাকিস্তানীর সাথে ফ্রেন্ডশিপে আগ্রহী না, যতো ভালো মানুষই হোক। বিশ্বনাগরিক আমারে বলে ৭১ এর যুদ্ধ কি আমি চোখে দেখেছি? তাহলেতো ইংল্যান্ডে কোন ভারতীয়র থাকা উচিত না। আমি বল্লাম আমি দেখি নাই, ঠিকাছে কিন্তু আমার বাবা যে দৌড় খাইছে যুদ্ধের সময়, বাবারে বাদ দিয়েতো আমি না। আর ইংল্যান্ড ইন্ডিয়ারে পেইন দিছে এখন ইন্ডিয়ানরা ওদের পেইন দিচ্ছে। আমরাও পাকিস্তানীদের পেইন দিয়ে নেই ইচ্ছামতো দেন যাবো ওদের বাড়ি পোলাও কোর্মা খাইতে।
দিন দিন কতো মর্ডান ফিলোসোফী যে মানুষ বের করে, যত্তোসব
ঐসব বিষনাগরিকদের আক্কেল সম্পর্কে আমি ভয়াবহ রকমের সন্দিহান। এত্ত সহজে অতীত ভুলে গেলে চলে না। এর পরে এজাতীয় বস্তাপচা ফিলোসফি কেউ কপচাতে আসলে একটা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে দিয়েন গো দিদি।
ইস! ভাবছিলাম, এই বুঝি আপনি খাবার টেবিলে গিয়ে যোগ দিচ্ছেন। খাবার টেবিলে যোগ দিলেই মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে যেত।
শেষটা ভালো ভাবে শেষ করলেন বলে, সকাল বেলাই মনটা অনেক অনেক ভালো হয়ে গেল।
ছোটবেলা থেকেই পাকিস্তানি কোন খাবার আমাদের বাসায় কেনা হয়নি। এখন পর্যন্ত এই নিয়মই মেনে চলছি।
এখানে দেখি, পাকিস্তানীদের সাথে সবচেয়ে পরহেজগার বাঙ্গালীদের কি ভাব! এদের পেছনে নামাজও পড়ে। মানছি, সরাসরি এই পাকিস্তানীদের হয়ত কোন দোষ নেই, কিন্তু তবুও কোথায় যেন একটু কষ্ট লাগে। রক্তক্ষরণ হয়।
সবার নিশ্চই এমন হয়না। আচ্ছা এটা কি বাড়াবাড়ি?
জানিনা। জানতে ইচ্ছা হয় না।
এটা মোটেও বাড়াবাড়ি না শাপলা, এটাকে বলে জাত্যভিমান, আত্মসম্মানবোধ। পাকিস্তানিরা আমাদের যতটা ক্ষতি করেছে, যেভাবে কুকুর-বিড়ালের মতো আমাদের সাথে ব্যবহার করেছে, সেটা দুইচার জন সুবেশী পাকিস্তানির সদ্বব্যবহারে মুছে যায় না, যেতে পারে না। আমরা ওদের লাই দেই বলেই ওরাও অতীত ঘেঁটে দেখে না, জানার চেষ্টাও করে না যে ওদের কারণে আজও আমরা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারছি না। আমি জানি না এত কষ্ট কী করে ভুলে যাওয়া সম্ভব।
ভাগ্যিস খাননি!
ঈদের দিনে ঘরোয়া রান্নার সুবাসে ঘুম না ভাঙলে ঈদ-ঈদ লাগে না। আর আপনি সত্যি সত্যি খেলেও মায়েরা কোনদিন সেটা ঠিক বিশ্বাস করতে পারেন বলে মনে হয় না।
আয়লা-এষাকে অনেক অনেক আদর। তাদের ঈদের জামা পরানো ছবি দেখতে চাই।
ধন্যবাদ নুশেরাপা। ছবি আসবে
আপনাদের ঈদ কেমন কাটলো?
আপনার গোয়ার্তুমিকে স্যালুট! এই অনুভূতি আমার ভীষণ ঘনিষ্ট।
জানি ভাই। আমাদের মাথা যে একই ক্ষুরে কামানো
বাসায় কী খাইলেন?
বাসায় নিজেই রান্না করছিলাম সেই রাতে। বিশেষ কিছু না বাটার চিকেন, মাছের দো-পেয়াজা আর সাদা ভাত। পোলাওর চাল শেষ
আপনার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা জানাই।
ভাইয়া, মেয়েরা কেমন আছে? ছবি দেন ব্লগে।
মেয়েরা আছে খুব ভালো তোমাদের দোয়ায়। ছবি ব্লগ দিব কিছুদিনের মধ্যেই। অনেক ছবি জমে গেছে
আপনাকে স্যালুট জানাইলাম না বস... কারন এটাই দাবি... কোন পাকির সাথে এক টেবিলে নয়...
সে নো টু পাকিস্তান।
ছবির আশায় থাকলাম
আমার পুত্রের জন্য পাত্রি খুজতেছি... আয়লা আর এষার বায়োডাটা দিয়েন
ভাতিজার চাচাদের এখনো কোন গতি হইলো না আর ভাতিজার বাপে এখনই কি শুরু করলো।।

আমিও খুজি না , পোলায় নিজেই খুইজা নিবো। আয়লা এষা - দুইজনেরই ফটুক দেখে পোলায় দেখি মিটি মিটি হাসে।
হা হা ভালো বলছেন। আমরা অ্যা্রেঞ্জড ম্যারেজ এর ব্যবস্থা না করে পাত্র-পাত্রীদের মধ্যে আলাপ পরিচয় করিয়ে দিলেই বোধ হয় ভালো হবে
দেশে আসতেছি সামনের বছরের শুরুতে।
সে নো টু পাকিস্তান।
সে নো টু পাকিস্তান।
আপনার অনুভূতিকে সম্মান জানাই।
পরিচিতজনদের অনেককে মুখে রাজা-উজির মারতে দেখেছি, করে দেখাতে পারেন কমলোকই।
ধন্যবাদ আসিফ। পাকি বিদ্বেষ দেখাইতে গিয়া লোকজনের কাছে রেসিস্ট গালি শুনছি, কিন্তু এই বিষয়ে কোনো আপোষ নাই।
হুমায়ুন আজাদের একটা কথা আছে
'' পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে তখনও।''
এই কথাটা অন্নভাবেই বললেন।
জ্বি মাসুম ভাই, হুমায়ুন আজাদের কথাটাই মাথায় গেঁথে আছে
এই পোস্ট টা না পড়লে ঠকতাম।
কিয়ের রেসিস্ট! পারুম না ব্যাস শেষ কথা।
মন্তব্য করুন