দিন যায়, কথা থাকে
I become ugly when I don’t love
And I become ugly when I don’t write
--Nizar Kabbani
প্রিয় আরব কবির লেখা অমর পংক্তি দু’টো বোধহয় আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই খাটে। অন্তত নিজের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। তবে বাপ হবার পর থেকে জীবনে নিষ্কলুষ ভালোবাসার কোনো কমতি দেখা না দিলেও, লেখালেখির প্রায় বারোটা বেজে গেছে। শিশুপালন আসলেই এতটা ঝক্কি-ঝামেলার বিষয় যে মন চাইলেও আর লেখার শক্তি থাকে না। কিন্তু না লিখলেও যে অশান্তি লাগে, কী যে করি ভেবে কূল পাই না। না লিখতে লিখতে মগজে মরিচা পড়ে যায়, কী বোর্ডে ধরে জং। দেখেন এখন লেখার কী ছিরি, একটা সময়ে ঝরঝরে গদ্য লিখতাম, অনেকটা নির্ঝাঞ্ঝাটেই। আর এখন শব্দের কাছে ধর্ণা দেই, নতজানু হই বাক্যবিন্যাসের দেবীর কাছে, তবুও পেটের কথা পেটেই থেকে যায়, কলমে বা কী বোর্ডে আর এসে হাজির হয় না।
তবুও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, এ ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই।
তাইওয়ানে বছরের এগারোটা মাস খুব শান্তিতে থাকলেও একটা মাসে জীবন যাত্রার মানের পারদ নেমে যায় পাতালে। সেটা হলো রমজান মাস। এত কষ্ট হয় রোজার সময়ে যে মন মেজাজ সব খিঁচড়ে থাকে। অথচ এটা সংযমের মাস, ধৈর্যধারণের মাস। ইফতারীর কোনো বালাই নেই, সেহ্রীর সময়ে ডাকাডাকি নাই, দেশে রমজানের সময়ে যেই উৎসবমূখর পরিবেশ তার ছিটেফোঁটা মেলারও কোনো প্রশ্ন ওঠেনা এখানে। সব মিলিয়ে সময়টা এতই খারাপ কাটে যে, মনে চায় দেশে চলে যাই। কিন্তু কোনোবারেই সময় সুযোগ মেলে না। গতবার গিয়েছিলাম সপ্তাহ খানেকের জন্য। এবার তো তারও উপায় নেই। একা একা ভোরে উঠে হাবিজাবি দিয়ে সেহ্রী খাওয়া, সারাদিন অফিসে কাজ-কারবারের হ্যাপা সামলানো, সন্ধ্যায় আবার হাবিজাবি দিয়ে ইফতারী করা—সব মিলিয়ে এ জ্বালা আর প্রাণে সহে না।
এত ঝামেলার মধ্যেও বাজার সদায় সব নিজেই করতে হয়। গতকাল সুপার মার্কেটে সাপ্তাহিক বাজার করতে গিয়ে দেখি পার্কিং এ গাড়ী তো দূরের কথা একটা তিল রাখারও জায়গা নেই। হুট করে মনে পড়লো এ শহরে ঘাঁটি গাড়ার শুরুর দিকে শহর থেকে কিছুটা দূরে একটা কাচা বাজারে কেনাকাটা করতে যেতাম। সবই পাওয়া যায়। তাজা, দামে সস্তা, মুলামুলি করার সুযোগও আছে। গাড়ী টান দিয়ে চলে গেলাম সেখানে। ভেতরে ঢুকেই কেন যেন মনটা ভালো হয়ে গেল। সরগরম বাজার, অনেকটা দেশী স্টাইলেরই। আমি ঘুরে ঘুরে খুঁজে পেতে এটা সেটা কিনতে শুরু করলাম। ইলিশ মাছে মতো দেখতে এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যদিও স্বাদে ইলিশে ধারে কাছেও না। তবুও সেই মাছই কিনে নিলাম গোটা কয়েক। বাজারে ঘুরছি, দেখছি লোকজনের কেনাকাটা, হৈ হুল্লোড়। সবজি আর ফল মূলের আড়তে এসেই মনে হলো যেন ঠিক গ্রামের কোনো বাজারে চলে এসেছি। কাচা কলার ঘ্রাণ কতদিন শুঁকিনা, বুনো ওল কতদিন দেখিনি। তেতুল দেখলাম এক জায়গায় থরে থরে সাজানো। জাম্বুরা, গাব, কামরাঙ্গা, আতা ফল সবই হাতে ছুঁয়ে দেখলাম, মন ভরে ঘ্রাণ নিলাম—মনে হয় অনেক বছর পরে। আসলেই যতই বিদেশে থাকি, প্রাণটা যে বর্গা দিয়ে এসেছি দেশের মাটির কাছে। সময়ে-অসময়ে নাড়ির টান এসে কলার ধরে ঝাঁকি দিয়ে মনে করিয়ে দেয়—যেখানেই থাকো, যত দূরে, তোমার আমার ঠিকানা...পদ্মা মেঘনা যমুনা।
এই মাসেই অস্ট্রেলিয়া মুভ করার কথা ছিল। কিন্তু গতমাসে ড্যাং ড্যাং করে আমেরিকা গিয়ে খুব একটা ভাবাভাবির তোয়াক্কা না করেই বেশ কিছু নতুন প্রজেক্টের কাজের দায়িত্ব ঘাড়ে করে নিয়ে এসেছি। এখন সেই সব নতুন প্রজেক্টের রান্না চুলায় না চড়ানো পর্যন্ত আমার নিস্তার নেই। তাই আরও মাস কয়েক থেকে যেতে হবে তাইওয়ানে। বউ চলে যাবে নভেম্বরের শুরুতে, ঘর-দুয়ার গোছাতে। আমি চলে আসব ডিসেম্বরেই। একটান দশটা বছর একটা দেশে! কত গল্প যে জমে আছে, কত কথা রয়ে গেছে না বলা। একটা সময়ে দেশে টিকতে না পেরে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আর এখন অনেকটা দ্বিতীয় স্বদেশের মতো হয়ে যাওয়া এই দেশটিও ছেড়ে চলে যেতে হবে দূরে কোথাও। আক্ষেপ করে লাভ নেই, জীবন এ রকমেরই, কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতো ভেসে চলে , নোঙ্গর ছেঁড়া নৌকার মতো ভেসে চলে, চাইলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না সব সময়।
এষা-আয়লা খুব ভালো আছে। আজকেই ওদের সাত মাস পুরোলো। আজ আবার অস্ট্রেলিয়ান বাবা দিবসও। মেয়েরা খুব ভোরে উঠে এ কারণেই বোধহয় দুষ্টুমি শুরু করলো। বাবা দিবসের উপহার, পালা করে একেক জনকে কোলে নিয়ে লাফানো ঝাপানো, হেঁড়ে গলায় গান গাওয়া, স্ট্রলারে বসিয়ে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া। আমার পাড়া-প্রতিবেশীরাও ওদের নামে অজ্ঞান। রাস্তায় বেরুলেই লোকজন ঝাঁকেঝাঁকে ভীড় করে। মেয়েরাও এমন মন ভুলানো হাসি দেয় যে রীতিমতো মিছিল চলে তাদের পেছনে। মূলত রিটায়ার্ড বুড়বুড়ি, আর পার্কে বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে আসা অন্য সব মায়েরাই। পৃথিবীব্যাপী দৈনন্দিন অসংখ্য অনাচার আর নৃশংসতার মধ্যেও অজানা-অচেনা বা স্বল্পচেনা মানুষদের এই সহৃদয়তায় মন ভালো হয়ে যায়, জীবনের স্বাদ অনেকটা বেড়ে যায়, কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়ে আসে এই সংসারের প্রতি।
আমার মেয়েদের মতো পৃথিবীর আর সব শিশুরাও থাকুক দুধে-ভাতে।
এখন আপনাদের নতুন কিছু ছবি দেখাই।
পালটে গেছে বসার ঘরের চেহারা সুরত
গভীর ভাবনায় মগ্ন দুইজন, কোনটা দিয়ে কী করে?
চাচার দেয়া জামায় এষাকে মানিয়েছে বেশ
বাইরে যাবার খুশীতে আত্মহারা দুই বোন
এই গরমে কোন পাগলে গায়ে জামা রাখে!
হাসতে না কি জানে না কেউ, কে বলেছে ভাই?
প্রথম বারের মতো পায়ে জুতো গলানো
আচ্ছা, জুতা কি খায় না মাথায় দেয়?
আরে রাখো তোমার সিরিয়াসনেস, আরেকটু হেসে নেই
মেয়েরা এখন অনেক চঞ্চল। এ আনন্দ যেমন, যন্ত্রণাও তেমন। তবুও এই যন্ত্রণা সব পুষিয়ে যায় ঘুম থেকে উঠে ওদের একটা ভূবনভোলানো হাসিতেই। দেখলেই গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে সুমনে গান--তুই হেসে উঠলেই সূর্য লজ্জা পায়...
আপনাদের আন্তরিক শুভকামনা আর অনিঃশেষ ভালোবাসার যাদুতেই আমাদের মেয়েরা চাঁদের কলার মতো বড়ে উঠছে দিন দিন। ধন্যবাদ দিয়ে কাউকে খাটো করতে চাই না, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
এরকম অভিজ্ঞতা আরো হবে স্যার। যাই হোক ছবিগুলো চমৎকার হয়েছে। ওরা বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে।
ব্যস্ততা থাকলেও সময় করে ব্যস্ততার এই দিনলিপিগুলো লিখে রাখা দরকার। অনেকদিন পরে পড়তে ভালই লাগবে, দেখিস।
এইটা কারে দেখি??
পিপিদা নাকি??
হ্যাঁ দোস্ত লিখে রাখতেছি টুকটাক। তবে ছবিই তোলা হচ্ছে বেশি
কি লিখেছেন এইসব মামুন ভাই????????চোখ ভিজে যায়।ঈদ করবো বিদেশের মাটিতে কিন্তু মন পড়ে আছে সেই রাজশাহীর একতলার অপরাজিতাতে।মায়ের কাছে খুব কাছে।
এষা-আয়লার ছবিগুলো দেখে আসলেই মন ভালো হয়ে গেল।মাত্র সাতমাস বয়স কিন্তু এত জাদু কোথা থেকে শিখেছে এই পরীদুটো এক আল্লাহ জানে!!!!!!!!!
কী আর করবো রে ভাই, আমারও যে চোখ ভেজা। বাপ-মা ভাই বোন ভাগ্নে ভাগ্নি সবার জন্যই খুব অস্থির লাগে, কিন্তু চাইলেই তো আর দেশে চলে যাওয়া যায় না।
সত্যিই তাই।
নতুন কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও আশা করি সময় করে আমাদের জন্য দুচারলাইন লিখবেন, সোনামণিদের ছবি দেবেন। মায়ার দলা হইছে দু্ইটা। কষে আদর দু্ই মাকেই।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা নুশেরা। লেখালেখির চেষ্টা বজায় থাকবে। আর মেয়েদের ছবি না দিলে তো আমার কান ঝালাপালা করে ফেলবে রাসেল এবং আরও কয়েকজন
কি কিউট...সারাক্ষণ হাসে
জ্বি, তবে বিস্তর কান্নাকাটিও করে কারণে অকারণে, সেইসব ছবি কি আর দেয় যায়?
অনেক নিস্পাপ মুখ আর মুখের প্রান কারা হাসি,অনেক ভাল লাগ্ ল---
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অতিথি
দুনিয়ায় এই একটা জিনিসই আছে, যেটা মুহূর্তে যত কষ্ট- নোংরামী- লজ্জা ভুলিয়ে দেয়, সেটা হল এই শিশুদের হাসি।

আপনারে অসংখ্য ধইন্যা নিয়মিত আমাদের এই উপহারটা দিয়ে।
এষা- আয়লাকে অনেক অনেক আদর।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত শুভকামনা আর ভালোবাসা বিলিয়ে যাবার জন্য। ভালো থাকবেন
ভাইয়া, ৫ কেজি ধইন্যা নিয়া যান। তবে আপনার শাস্তি হওয়া উচিত। এতদিন পর পরীদের ব্লগে আনলেন! জান্টু গুন্টু টুনটুনিদের দেখে মন ভরে গেলো। আপনার ঘরে চাঁদের হাট। সারাজীবন ধরে এই চাঁদের আলোয় আলোকিত হোন। মামমনিদের অ-নে-ক আদর চুম্মা দিয়েন। গুল্টুসদের কোলে নিয়ে গাল দুইটা টিপে দিয়েন। কি মন ভোলানো হাসি!
ধইন্যা বুঝিয়া পাইলাম। উহা দিয়া অদ্য রজনীতে মৎস রাঁধিয়া খাইবো
পিচ্চি দুইটাকে অসংখ্য আদর, কোটি কোটি আদর। আপনি দেশে আসলে আপনার কাছ থেকে ওদেরকে কেড়ে নিতে পারি।
কেড়ে নিতে পারেন, তবে রাখতে পারবেন কি না জানি না। কন্যারা খুবই হাই মেইন্টেন্যান্স হয়ে উঠতেছে দিনকে দিন!
মামণি দুইটা অতি কিউট
শুভ কামনা
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
মন ভোলানো, চোখ জুড়ানো ছবিগুলো দেখে কথা হারিয়ে ফেলেছি গো মিয়াভাই!

আপাততঃ মামণিদের জন্য একপৃথিবী ভালোবাসা, আদর আর দোয়া দিয়ে গেলাম
মিয়াভাই আপনার আন্তরিক শুভকামনার শক্তিতে মেয়েরা লাফঝাঁপ আরও বাড়িয়ে দিছে। আগামী দিনেও এই প্রাণঢালা ভালোবাসা আর স্নেহ তাদের চলার পথে পাথেয় হিসেবে থাকবে।
এই দুইটারে যে কী করমু। আদর কইরা খায়া ফালাইতে মন চায়...
[বিদ্র: ভাই, আমার জন্য জলদি কিছু একটা করেন। আয়লা এষার খেলার সাথী দরকার
]
হা হা করতেছি। রতন তুই পারলে আজকালের মধ্যেই আমার সাথে একটু যোগাযোগ কর। অন্য একটা কাজে তোর হেল্প লাগবেরে ভাই।
আসলে এতো খারাপ লাগে দেশের জন্য যে রোজই মনে হয় চলে যাই......খুবই সুন্দর ছবি......হাজার বছর এমন হাসবে ওরা এই দোয়া করি.........
অনেক ধন্যবাদ ভাই
সারাটা জীবন এষা আর আয়লার এভাবে আনন্দে কাটুক... ভালো থাকুক ওরা। সুন্দর ছবিগুলো আর বিদেশে থেকেও দেশের জন্য মন পোড়ানোর কথাগুলো বলবার জন্য আপনাকে থ্যাংকু। ভালো কাটুক আপনার, আপনাদের...
কৃতজ্ঞতা জানবেন মেসবাহ ভাই। আপনার সবগুলো লেখাই আমি পড়ি, কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে মন্তব্য করা হয় না। কিছু মনে নিয়েন না মিয়া ভাই
মন ভরে গেল। ভাইয়া, মা দুইটার ফ্রক পরা ছবি দেবেন। বিভিন্নরকম ফ্রক পরা ছবি। ছবিগুলো দেখে কী ভালো যে লাগছে! মায়ামায়া অনুভূতিতে মন-প্রাণ ভরে গেল।
মাত্র তো সাত মাস, ওদের সাইজের ফ্রক এখানে তেমন পাই না। দেখি দেশ থেকে কিছু আনিয়ে নিয়ে ছবি তুলে আপনাদের দেখাব
দুইটা একমাথে ঘুমের ভান করলো কেমনে? এইটাই সেরা ছবি লাগছে আমার কাছে।
হিংসা করতাছি আপনারে। তরিকাও জানাইলেন না।
এরা যে কত পদের ঢং শিখছে তা যদি দেখতেন! তবে দুইজনে একসাথে কীভাবে ভাণ করলো সেটা একটা রহস্য আমার কাছেও। দুই বোনে যদিও গলাগলি ভাব, কে জানে হয় তো নিজেদের মধ্যে কোনো টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ আছে তাদের
তরিকা কেমনে জানাই ভাইজান, সবই খোদার খেয়াল 
এই প্রথম কোন বাবারে দেখলাম, "বিটিভির আনন্দ মেলা টাইপের"। সারাক্ষণই বাচ্চাদের হাসানোর জন্য ব্যাকুল!!!! আমরা পরী দুইটার সঙ্গে আহ্লাদী বাপেরও একখানা ফটুক চাই।
বাবাগুলা তো হয় মহা ফাঁকিবাজ। কাজের দোহাই দিয়ে সহজে ছানাদের কাছে ঘেঁষতে চায় না।

বাবা হিসেবে আপনি সেরাদের একজন
আয়লা-এষাকে অন্নেককককককককককককককককককককককক আদর।
একেবারে ঠিক বলছে শাপলা। সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটানোর পর বাসায় গিয়ে মেয়েদের হাসিমুখ দেখলে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাই নিজেই নানা রকমের ভাঁড়ামো করে ওদের হাসাই। মাঝে মাঝে এরা হাসতে হাসতে কান্না শুরু করে দেয়, তখন বুঝি যত হাসি তত কান্না
মেয়েদের সাথে আহ্লাদী বাপের ছবি দিয়েছি তো ব্লগে। একটু কষ্ট করে আমার পুরোনো লেখাগুলো খুঁজে দেখবেন।
অনেক দিন পর লিখলেন বস। ভালো লাগলো পড়ে। ছবিগুলোও দারুন লাগলো। জলদি চইলা আসেন ক্যাঙারুর দেশে।
হ ভাই আসতেছি চলে। ভালো থাকবেন
সুখের ছবি দেখতেও সুখ, সুখের গল্প শুনতেও সুখ
মন্তব্য করুন