তারপর একদিন এগিয়ে এসেছিলো সমাপ্তি
একটানা রাপ শুনতে থাকলে যে ঝাকুনিটা তৈরী হয়, বিশেষ করে মাথায়; সেটা সম্পর্কে একটু ভাবছি। এমন করে কি লেখা সম্ভব যে, পড়ার সময় মাথায় ক্রমাগত ঝাকুনি দিতে থাকবে? হুমায়ুন আজাদ স্যারের ফালি ফালি করে কাঁটা চাঁদ বইটা পড়ার পুরোটা সময় একটা ঢেউএর ওপর ভেসেছি। যখন লেখক যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে দুলিয়েছেন। গল্প বলার ছলে মাঝে মাঝে পাঠককেই যেন প্রশ্ন করেছেন, আর এইমাত্র যে বিষটা ঢাললাম সেটা কেমন লাগলো?
জানি একটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা কোনো নারী নায়কের চরিত্রকে নিজের মাঝে রূপ দিতে পারে না। আর ছেলে চরিত্রটাতে নিজেকে প্রতিস্থাপন করার কোনো যৌক্তিকতা নেই, ওই উপন্যাসে। লেখক অন্তত রাখেন নি। ছেলেটার ছবি এঁকে তিনি শুধু দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন পথ। বলবো, শেষ পর্যন্ত এটা একটা অসামান্য উপন্যাস। বাংলার জমিনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হীরে-জহরতের একটি বড় খন্ড।
আমি নিশ্চিত উস্তাদ বেঁচে থাকলে তার আশপাশে ঘুরঘুর করতাম। তিনি হয়তো আমায় দেখে তর্জনী উৎক্ষেপপূর্বক রাগত স্বরে 'অন্তত এক কোটি আলোকবর্ষ দূরে গিয়ে বসো হে বাচাল' বলে একটা নির্দেশনা দিতেন। হে বাচাল, এই দু'টো বাড়তি শব্দ ব্যয় করতেন কি না, আমি নিশ্চিত না। অতোটুকুন মনোযোগ কি আসলেই দিতেন? তবে আমি সে বাক্যটাকেই গুরুর আদেশ হিসেবে গ্রহণ করে নিতাম। মানুষটাকে এ পরিমাণ ভালবাসি।
আর তিনি নিশ্চই একটা রাপ উপন্যাস লিখে যেতে পারতেন। টানা রাপ শোনার মতো ঝাকুনিসহ সেই উপন্যাস পড়তাম। আপাতত আমি বেশ ক'দিন ধরে তার যে বইটি পড়ার জন্য সুযোগ খুঁজছি তা হলো; সবকিছু ভেঙ্গে পড়ে।
শুনছি ফার্স্ট কাট ইজ দ্য ডীপেস্ট। এই কথাটাই কিন্তু ভয়ংকর। ফার্স্ট কাট। হাউ বাউট য়ুর ওয়ান, ওল্ড চ্যাপ? রড স্টুয়ার্টকে মনে হয় কেউ জিজ্ঞেস করেছিলো। যেখান থেকে এই গানের উৎপত্তি। উইকি ঘেঁটে দেখলাম, এটার ইতিহাস বর্ণাঢ্য। প্রথম গেয়েছিলেন, ক্যাট স্টিভান্স। আমার রড স্টুয়ার্টের ভার্সনটাই সেরা মনে হয়।
একটা ব্যপার আছে। এই গানটা নিয়ে আমি আগেও একবার লিখেছি। আমার সবচে' প্রিয় গানের তালিকায় আছে এটা। এর কয়েকটা লাইন ভীষনভাবে বিদ্ধ করে। আ স্টিল ওয়ান্ট য়ু বাই মাই সাইড, জাস্ট টু হেল্প মী ড্রাই দ্য টিয়ার্স আ'ভ ক্রাইড। কান্নার জল মুছে দেয়ার জন্য, আজো আমি তোমাকেই চাই।
যাক্ এর সঙ্গে চলছে একটা রাপ। ফর্ট মাইনরের হয়ার্ড য়ু গো। এক নিঃসঙ্গ যুবক বেঁচে আছে একটা দুরবর্তী সম্পর্কের স্মৃতির ভেতর। একটি মেয়ে যখন তার ক্যরিয়ারের জন্য বয়ফ্রেন্ড বা জামাইকে সময় দিতে পারে না, ছেলেটার সেই হতাশার সময়টা কেমন কাটে?
টাইম পত্রিকায় নিবন্ধ পড়েছিলাম, ওয়াই জেনারেশন কি স্লো স্টার্টার? একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিলো। আমার কেন যেন মনে হয়, আসলেই। আজকাল ওয়াই জেনারেশন শুরু করে ধীর গতিতে। তবে তাতে কোনো সমস্যা নেই। খুব বেশি আর্জেন্ট না হলে কোনোকিছু ধীরে-সুস্থে বুঝে করাই ভালো।
মিউজিক ভিডিওটা দারুণ। একটা ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলে, একটি মেয়ের কথা ভাবছে। হয়ার্ড য়ু গো? আমি মিসড্ য়ু সো। আমার অবশ্য তেমন কোনো কাজ-কাম নাই। যে কারণে উলটপালট লিখে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। কখনো কী-বোর্ডে, কখনো মনে মনে। কি যে হয়।
---
হুমায়ুন আজাদ পড়া হয় নাই বেশী.. তখন ইন্টারে..। কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ কিইনা ফিরত দিছি..। ভেংগে পড়া নিয়া কি একটা বই পড়তে গিয়া বমি আসার অবস্হা.। মনে হইছিল কি বালছাল লিখচে!! কারণ যেকোনটা হতে পারে যেমন সে বাজে লিখে, নইলে আমি মনে হয় তখনো হুআ পড়ার উপযুক্ট হই নাই..
.। তয় প্রবচন পইড়া হেভী মজা নিছি.. তবে কয়েকটা প্রবচন বেশ মেলোডরামায়টিক
.।
যাউগ্গা, প্রিয় লেখকের পাশে বইসা কথা শুনা??? পুরা ফাটাফাটি হয়া যাইত . কতশত প্রশ্ন জমা..
হুমায়ূন আজাদ স্যার অলটাইম ফেভ। কবিতা - উপন্যাস দুইতেই।
ইয়ে মানে, তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকুক, এর মধ্যে তুমি একটা উপন্যাস নামিয়ে ফেলো জুনিয়ার হুমায়ূন আজাদ
ইয়ে মানে আজকাল আমার সুইটু তাতাপুর কথার সাথেই শুধু আমাকে একমত হতে হয় ।
হুময়ুন আজাদের প্রেমে পরি যখন ক্লাশ নাইনে পড়ি তখন। ক্লাশ এইটে বৃত্তি পাবার কল্যানে একটি বই উপহার দিল স্কুল থেকে। তার নাম "লাল নীল দীপাবলী।" বইটি এখন ও আমাকে সময় দেয়। সেই সময় এই বইটি পেয়ে মাস্টারদের উপর মেজেজ চড়ে গিয়েছিল। এত কষ্টের পড়াশুনার পর একটা ভাল বই দিতে পারলো না। কয়েকদিন পড়ার চেষ্টা করে রেখে দিয়েছি। একদিন কবি নজরুলের মৃত্যু ক্ষুধা বইটি শেষ করবার পরও দেখি সেহেরী খাবার ডাক পরছে না। ঘুম দিলে উঠতে কষ্ট হবে তাই হাতের কাছে বইওটি পেয়ে পড়তে শুরু করলাম আর আশ্চর্য আমি বইটিতে ডুবে গেলাম। তার লেখা বইগুলির মধ্যে এই বয়সে আমাকে বেশি টানে নারী, আমার অবিশ্বাস, পাক সার জমিন সাদ বাদ, ফাল ফালি করে কাটা চাঁদ ইত্যাদি
জোস জোস
কত কিছু জানলুম 

বুক রিভিউ করা শুরু করেন।
চঞ্চল আশরাফ এর লেখা, 'আমার হুমায়ূন আজাদ' (নামটা এদিক ওদিক হতে পারে) পড়ছেন? জটিল একটা বই। পড়ে একটা রিভিউ দিয়েন
বই সম্পর্কিত রিভিউ পেলে ভালই হয়...অজানা বিষয় জানা হয়ে যায়...
খোদা স্বাক্ষী, নিকট অতীতে এত জটিল আর কঠিন লেখা পড়ি নাই...

মীর ভাই, ভাল আছেন কিরাম ?
আপনেরে বালা পাই...
এইখানে আমার এক্টা কমেন্ট ছিলো। ডিলিট করলো কে?

কষ্ট থেকেই সবসময় উঠে আসে মহৎ শিল্প, ব্যাপারটা কৌতুহলের কিন্তু। যেমন দ্যাখেন ইউরোপের গানগুলোর মধ্যে দাগ কাটে আইরিশ লোকসঙ্গীত, ওরা তো ঐতিহাসিক ভাবে সবচেয়ে গরীব ও নীপিড়ীত। আবার র্যাপের জন্ম ও হয় নিউ ইয়র্কে কালোদের গেটো হারলেমে। র্যাপ/ হিপহপ আমেরিকার একমাত্র মৌলিক সঙ্গীত যাতে উঠে আসে কালো তরুনের হতাশার কথা, গ্যাং-ফাইট, ড্রাগ, কুমারী মাতৃত্ব অথবা এইডস এর মত আরো অনেক রাজনৈতিক প্রসংগ।
উল্টাপাল্টা লিখতে থাকেন, ভক্তকূল অপেক্ষায় থাকলো।
ঠিক বলেছেন।
দুর্দান্ত হৈছে
চিরন্তন এক অনুভূতি ...। ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
শর্মি আপুর মত করে বললাম - ভক্তকূল অপেক্ষায় থাকল
১৫০ তম পোষ্টের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম। সময় এ ভাবেই এগিয়ে যায়! এই তো কয়দিন আগের কথা, আপনাকে প্রথম পড়া শুরু করেছিলাম। একজন উদিয়মান সাংবাদিক খবরের খোঁজে বের হয়েছিলেন!
আগামী বই মেলায় এই লিখা গুলো দিয়ে ৪টা বই বের করুন। শুভকামনা থাকল।
এখনও সমরেশের আবাশে ভাসছি... কিন্তু আজাদ sir এর লেখাও পড়ে ফেলব..
. তারপর আমিও বলব... sir এর , কোন বই আমার ফেব... 
এখনও সমরেশের আবাশে ভাসছি... কিন্তু আজাদ sir এর লেখাও পড়ে ফেলব..
. তারপর আমিও বলব... sir এর , কোন বই আমার ফেব... 
কোনটা পড়ছিস রে... আমিও ২ টা পড়লাম.... পরীক্ষা সামনে আসলে কেন যেন গল্প ,উপন্যাস এর প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়...

অনেক গুলানি আছে। সম্প্রতি
কালেকশন খুজতাছি, থাকলে বইল আপ্পি
১৫০ তম পোস্ট!! কোনো খাওয়া-দাওয়া নাই???? নাকি আমি মিস করছি??
এটা শুনে দ্যাখেন...
Take me where love isn't up for sale
Take me where our hearts are not so frail
Take me where the fire still owns its spark
There's only one way to mend a broken heart
(Beautiful Dawn, The Waillin' Jennys)
মীর আপনি কোথায় গেলেন!
হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস পড়ার আগে . . .
পড়ার পরে
হুমায়ূন আজাদের প্রবন্ধ, একপেশে সমালোচনা আর প্রবচন ছাড়া আর পড়ার কিছুই নাই । অবশ্য একজন লেখকের আর কিছু লাগেওনা । কিন্তু একজন হুমায়ুন আজাদের বোধহয় আরও কিছু লাগে
! তাইতো দেখি উনি কবিতাও ল্যাখেন , লেখেন উনার সৃষ্ট শব্দজাতকে সফল করতে ল্যাখেন 'অপন্যাস' ! ল্যাখেন , না প্রসব করেন উনারই শব্দবান্ধব সন্তান 'অকবিতা' !
উনি আমারও একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব । আর এই কারণেই কী না জানি না তাঁর প্রায় সব বইই পড়া । আর বাঙলা সাহিত্য নিয়া পড়তেছি এইটাও একটা কারণ । তবে উনার ভাষাবিজ্ঞান , লাল নীল দীপাবলি , কতো নদী সরোবর , আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম ,আমার অবিশ্বাস , সাক্ষাৎকার , নারী , দ্বিতীয় লিঙ্গ , শামসুর রাহমান এক নিঃসঙ্গ শেরপা , রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কবিতা , আধুনিক বাঙলা কবিতা , আব্বুকে মনে পড়ে এইসব বই তাঁকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে ।
মীর কই?
খুঁজে নিয়ে আসেন মাসুম ভাই।ছেলেটা গেলো কই!
থাক ভাই খাওয়ানো লাগবে না। এবার একটা গল্প দেন।
মীর কখনো এতদিন ব্লগে থাকবে না ভাবতেই পারিনি।বন্ধুদের এমন ভুলে যায় কেউ! জানতে তো চাই কেমন আছেন।আপনাকে, আপনার লেখা ভীষণ মিস করি সবাই।
আপনাকে, আপনার লেখা ভীষণ মিস করি
... সতি্যই....।
মন্তব্য করুন