মেঘলা আলাপের ঘোর কিংবা বিরহ বিলাস
- মেঘের ঘনত্ব দেখেছ ? বৃষ্টি হয়েই ঝরবে বুঝি আজ আষাঢ়!
- আমার এখানে আঁধারের উৎসব। জানালায় ঝুলছে বিষণ্ন পর্দার ঢেউ।
- বাইরে বাড়িয়ে দাও মুখ। দৃষ্টি খুঁজে নিক দিগন্তের কালো মেঘ। বৃষ্টি নামবেই। বাইরে না হোক অন্দরে।
- কাঁদিয়ে সুখের দেখা পেতে চাও কেন বিরহপুজারী ?
- সমাগত আষাঢ়ের কোলাহলে কার হৃদয় হাহাকার করে না বিরহপুরীতে ?
- একাকী এ পথচলা কি ফুরোবে না কখনো!
- আড্ডার মধ্যমনি হয়েও তুমি একা ! জীবন জটিল এক পথ, একাকীত্বই সম্বল। আসা যাওয়ার মত পথচলাও একা। দুজন বা সমবেত বলে আসলেই কিছু নেই।
- স্মৃতিগুলো মুছে যাক। একাকী আকাশে ভেসে উঠুক একখণ্ড খেয়ালী চাঁদের আলো!
- কখনো নষ্টালজিক হতে চাও যদি হয়ে যাও নিজস্ব নিয়মে। স্মৃতি হাতড়ে মানুষ তো কেবল নিজেকেই খোঁজে। এই যে মেঘলা আকাশের হাতছানি, এর কষ্টটুকুও নিজস্ব। রাগ কিংবা অভিমান সেও হাজির হয় নিজস্বতা নিয়ে। অন্যের সাথে মিল বা মিলানো অর্থহীন।
- অর্থহীন এই জীবন আর কত!
- একমুঠো আঁধার জড়িয়ে নাও চোখে কিংবা আলো। হেঁটে যাও বহুদুর কিংবা কাছে। শেষ আলোয় দেখবে সব অর্থহীন। ছেড়ে যেতে হয় সবই।
- তোমার আকাশ আজ কোন রঙে রাঙিয়েছো কবি !
- আকাশ যদি হয় রঙিন কিংবা বিরহী - ভেদ নেই তাতে। সব আকাশই আকাশ। সব তুমিই তুমি। সময়ের ফেরে হয়তো অন্য কেউ হয়ে যাও - সত্তাধিকারীর পরিবর্তন নেই কোন। চৈতন্য না হারালে নিজেকে ঠিকই খুঁজে পাবে ভুল কিংবা ঠিক ঠিকানায়।
- এসবের মানে কি ?
- যদি কখনো মনে হয় বোঝ না কিছু; অর্থ করে নাও নিজের মত। সেও আলাদা জগত। নিজের মত জগত গড়ার আনন্দ ক'জনের মেলে!
- বৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা-ই বল!
- এখানে অঝোর বরষায় থমকে আছে একটি ইতিহাস। সাদা মেঘের পালে হাওয়া দিয়ে চলে গেছে দূরাগত নিয়তী। তোমার মায়াবী কাজলের ঢেউ গ্রাস করবে অন্ধকার। আর ইতিহাসের অপর পিঠে লেখা হবে চোখঝর্ণার বাতিল শিলালিপি।
- এক ঝলক সুখী বৃষ্টিতে মন রাঙিয়ে নেবার ভীষণ সখ আমার!
- দু’মুঠো বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজেয়ে নাও আত্মা। এক নিমিষে জ্বলে উঠবে তোমার অন্তর্গত সুখ। অঝোর আষাঢ়ে ধুয়ে যাক যাবতীয় দু:খের নকল সমীকরণ।
- আমাকে ডানা দাও! দূরে কোথাও উড়ে যাই সীমানা মাড়িয়ে।
- বকেদের সারী দেখেছো মেয়ে ! ঝাঁক বেঁধে উড়ে যায় দূরে! তুমি কখনো কি হারিয়েছো ওদের সমতটে ? পালিয়েছো চেনা জীবনের অচেনা সড়কে ? ডানা মেলে শুধু একবার উড়ে যাও দূরে। ফেরার হবে নিশ্চিত দুঃখের কালীমা।
- হৃদয়ে জলপ্রপাতের শব্দ পাচ্ছি জানো !
- গহীনে ভাঙ্গার শব্দ বুনে যায় কারা ? কারা তোলে সমবেত প্রেতাত্মার সুর ? অলীক জীবনের মোহে সুখের স্বপ্ন দেখে যায় কোন অচেনা নাগর ? তুমি রূপের পসরা সাজিয়ে রুপহীন অক্ষম আক্রোশ পুষে রাখ কার তরে ? সময় সমরে লড়বে এবার নিয়তীর সাথে পরাক্রান্ত বাস্তব। আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখে যাও শুধু বিকার বিলাপ।
- তুমি আজীবন এমনই থেকে যাবে ?
- আমি এই পথে হেঁটে গেছি বহুদূর। পাইনি পথের হদিস। উপরে জ্বলছে জ্বলজ্বলে চাঁদ। নীচে ঘোরে পথভ্রান্ত উন্মত্ত পথিক।
চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ
ভাল লাগলো।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
অসাধারণ…খুব ভালো লেগেছে।
আপনার ভাল লেগেছে আমারও ভাল লাগছে....
আমি এই পথে হেঁটে গেছি বহুদূর। পাইনি পথের হদিস। উপরে জ্বলছে জ্বলজ্বলে সূর্য। নীচে ঘোরে পথভ্রান্ত উন্মত্ত পথিক।
দারুন!
থেংকু থেংকু।
দারুন লিখেছেন।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ।
কিভাবে পারেন!!
হেইয়া তো মুই কইতে পারি না।
বেশ কাব্যিক ঘোর লাগানো একটি লেখা, ভাল লাগল।
ধন্যবাদ বিষণ্ণ বাউন্ডুলে ।
সুন্দর
ধন্যবাদ।
অনুভুতির সঙ্গে ভাষার গভীরতার মিশেল অনবদ্য। মিজান ভাই দ্যা গ্রেট। (y)
মন্তব্য করুন