স্বপ্নজটিলতায় স্থবির ভাগাড়
স্বপ্নের রঙ কালো।
দক্ষিণের বালিয়াড়ি পার হয়ে ধনুক বাঁকা একটি খাল তোমাকে স্বাগত জানাবে। ইপিলইপিল গাছের ঝিরিঝিরি পাতায় বইবে দুপুরের হাওয়া। পাশ দিয়ে বয়ে যাবে সবুজ মাঠ, ধানেদের চারা, আর এখানে ওখানে আলের ভাঁজে ভাঁজে শামুকের সলাজ ঘোমটা।
রোদের কনসার্ট থেমে গেলে ফুরফুরে বাতাসে গলা ভিজিয়ে পান করো রাতের আঁধার। ততক্ষণে বাদামী হলুদ গরুগুলো জুড়ে দেবে অপার্থিব গান। গরুদের কোরাস শিখে নিও- হতাশার পৃথিবী নিয়ে জাগবে নতুন চর। আর বকুলীদের পুরনো টিনের চালে টুংটাং ঝরবে ইটের ভৌতিক নামতা।
তৃতীয় দিন স্বপ্নের সাথে দেখা হবে। শুনে নাও দ্বিতীয়দিনের নসিহত। ভোরের বাতাসে খুব ধীরে খুলে দিও জানালার রশি। শিশির ভারে নুয়ে থাকবে সবুজ ডগা। কবুতরের খোপ থেকে বকম বকম বাক শুনে হেঁটে যেও দীগন্তের ধারে। সেখানে মরচে ধরা স্মৃতির কোলে খেলা করছে একটি বেঢপ শৈশব। আনমনে তাতে এঁকো লাল-সবুজ আলপনা।
ভালবাসার বিলাপ শেষে আঁকতে পার প্রেয়সীর নির্লোভ চাহনী! ভ্রু, তনু, তট পেরিয়ে মাথায় এঁকো ঘোমটার প্রলেপ। শরীরে সামিয়ানা টাঙানো তোমার মর্জি। আমি শুধু সুডৌল স্তনে লাল-কালো তিলক আঁকার কৌশল শেখাতে পারি। শরীর আঁকা শেষে শিখে নিও রূপসীর মন আঁকার বিবিধ উপায়।
ডাইনী পাড়ায় শর্টকাটে যেতে হয়। মহাসড়কের কোলঘেঁষে গর্ত দেখে ঢুকে যেও সন্তর্পনে। এলোমেলো চিন্তার জাল পৌঁছে দিবে। পরিচিত মানুষগুলো তাকাবে বাঁকা চোখে। এখানে ওখানে মাতাল হাতছানি। ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিলেই পেয়ে যাবে স্বপ্নের ডানা।
আরেব্বাহ্! গরুর নামতা শেখানো হয়নি এখনো! বিলেতী গরুগুলো ঘাসের বদলে গিলে খায় গম আর যবের ভুসি। সর্বভুক গরুও আছে। অনেকেই হয় পর্ণোসিডির মডেল। তুমি ওদিকে পা মাড়াবে কিনা সে তোমার খুশী। আমি বরং বলি, সময়ে দুয়ে না নিলে বাছুর খেয়ে যাবে সবটুকু দুধ। যখন জুড়বে হালের গরু-দুটো যেন একদিকেই রাখে মুখ নইলে সময় থমকে যাবে তোমাদের পাড়ায়!
হ্যাঁ স্বপ্নের রঙ নিয়ে বলছিলাম। কালো- সেও মনে আছে। এবার তবে দেখো একটি চকচকে নতুন স্বপ্নের মডেল! জুতোর কালি থেকে মসজিদের মিনার সবখানেই থাকবে স্বপ্ন। বাতাবীদের বাড়িতে সদ্যনির্মিত কিংবা ভেঙ্গে পড়া টাট্টির ঘ্রাণেও পাবে স্বপ্ন-নির্দেশ। তোমার বৌয়ের হাত থেকে মেহেদীর রঙ মুছে যাবে নাকি আরো গাঢ় রঙ তাকে আচ্ছন্ন করবে সেখানেও থাকবে স্বপ্ন দেবতার পদধূলী।
পূজারী হলে কালো আলখেল্লায় মুড়ে নাও নিজেকে। জিহ্বায় মাখিয়ে নাও রাতের আঁধার। চোখ, কান, নাক, ত্বক সবখানেই জুড়ে নাও কাকের পেখম।
এবার তুমিই বল হে ! স্বপ্নের রঙ কালো না সাদা না লালসবুজ ? নাকি বাদামী, খয়েরী, হলুদ অথবা গোলাপী অথবা গোপালী...
কালো রঙের স্বপ্ন দেখা অনেক জটিল...
নিজের সব কিছু কালোয় আবৃত করে নিলে স্বপ্নের রঙ কালো না হইয়া যাইব কই?
আর আমরা বর্তমানে এমন সিজন পার করতাছি যে, এমনিতেই সব স্বপ্ন কালো হইয়া যাইতাছে। ভালো কিছুই আমরা ভাবতে পারিনা। সব কিছু কালো.........
হুমম...
কালো সময়ে কালো স্বপ্ন দেখবো কিভাবে?
বাত্তির দর্কার
লেখা মুড়মুড়ে
চমৎকার লিখেছেন।

ধন্যবাদ ভাইডি।
স্বপ্নের কালার হলুদ
এইলেখা স্যাটেয়ার গোত্রের কেমনে হইলো? এন্টেনায় ধরলো না
ইহা একটি রাজনৈতিক কহানী। এইখানে গোলাপী এবং গোপালী দুইজনই আছেন (শেষ লাইন দ্রষ্টব্য) এদের অনুসারীরা এদের রঙে নিজেকে রাঙায় তাই স্বপ্নের রঙও এদের কালারে হয়। মাল্টিডাইমেনশনাল রাজনৈতিক দল আছে তাদের রঙও ভিন্ন তাই তাদের অনুসারীদের স্বপ্নের কালারও ভিন্ন। কিন্তু সকলেই দুর্ণীতি প্রবণ বলিয়া তাহাদের স্বপ্নের কালার কালো হইতে বাধ্য।
গরু বলতে কাহাদেরকে বোঝানো হইয়াছে তাহা বলিতে পারিবোক না। স্বপ্রনোদিত হইয়া কোন রুলনীশী জারী হইয়া যাইতে পারে...তবে অনেকে হয়তো জানেন কোন এক কালে একজন ডাকসাইটে ছাত্রনেতা পর্ণ সিডির মডেল হইয়াছিল... তাহার নাম খুন হয়ে যাওয়া একজন মডেলের খুনীর তালিকায় রহিয়াছে বলিয়াও পত্রিকান্তরে প্রকাশ।
আরো ব্যাখ্যা করিতে গেলে তাহা লেখাটার মানবাধিকার (!)ক্ষুণ্ন করিতে পারে...তাই চুপ হইয়া গেলাম।
বরাবরের মতন মচমচে ।
আপনার লেখায় একটা মাদকতা আছে।
ধন্যবাদ সাইদ ভাই।
মাথার সামান্য উপর দিয়া গেছে!
পুরাপুরি বুঝিনাই।
নেশাধরা লেখা।
ধন্যবাদ।
বরাবরের মতন মচমচে ।
আপনার লেখায় একটা মাদকতা আছে।
খুব ভালো লেগেছে। আরো চাই
উখে । চেষ্টা করবানে আরো লেখা দিতে।
মন্তব্য করুন