ইউজার লগইন

ব্লু-মুনে অরণ্যবাস

সকালটা বরাবরের মতই রোগাটে, বিবর্ণ, পাংশুটে। যথারীতি ৭ টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিস। অফিসের এক ফাঁকে বসের রুমে প্রবেশ। বিকেল তিনটায় অফিস ত্যাগের অনুমতির সাথে রোববার ছুটির পারমিশন। ব্যস আর ঠেকায় কে ?

সবার আগে সদরঘাট পৌঁছে গেলাম। অবশ্য ১২ টা থেকে হাসান ভাই উপস্থিত ছিলেন কেবিন বুকিং সংক্রান্ত জটিলতায়। ওনারে না ধরলে আমিই হলাম আমাদের এই অভিযাত্রার প্রথম অভিযাত্রী। কথা ছিল ঘাটে উপস্থিত থাকবে সৈতক-৮ নামের আমতলীগামী লঞ্চটি। কিন্তু আমাদের আল্লার মর্জি (বরগুনার লঞ্চ) হয়ে উঠতে হল সৈকত এ।

৫টায় লঞ্চ ছেড়ে দেয় । শেষমুহূর্তে সাইফুল আর খোরশেদ ভাই গিয়ে পৌছেন লঞ্চ এ। আমরা আনন্দ উল্লাসে ভাসতে ভাসতে রওয়ানা হলাম। সন্ধ্যার আগেই চাঁদের দেখা পেলাম। সাইদ ভাইকে বললাম পূর্ণিমার আগেই এত বড় চাঁদ ! পূর্ণিমায় না যেন কী অপেক্ষা করছে!

চাঁদের আলোয় ভিজতে ভিজতে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি এক নদী থেকে আরেক নদীতে। শুরু হয় সাইফুল-মাসুদের যৌথ প্রযোজনার সঙ্গীতানুষ্ঠান “নীলাভ চাঁদে সাগর পাড়ে।” লঞ্চে কেবিনের যাত্রী আমরা ছাড়া সর্বসাকুল্যে আর ৭/৮ জন। তাই তিন তলার এ অংশটি হয়ে যায় একান্তই আমাদের পদচারণায় মুখর। আমরা কখনো হল্লা করছি, কখনো গানে গানে মাতাল হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছি মন, কখনো প্রজেক্ট টুয়ান্টি নাইনের কারিকুরিতে ভরিয়ে তুলছি অভিযাত্রা, কখনো স্ন্যাপের পর স্ন্যাপে বিপর্যস্ত করে তুলছি চাঁদকে।

নদী পাড়ি দিচ্ছি আর ভাবছি এভাবে চাঁদের সাথে মিতালী করতে করতে রাত কাটানোর সাথে তুলনীয় হতে পারে আর কোন ভ্রমণ। মাসুদকে জানালাম এর পর যদি কখনো মন খুব উতলা হয়ে যায় ঘোরার জন্য। তাহলে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে বরিশাল চলে যাব কোন এক পূর্ণিমার রাতে। পরদিন বরিশাল থেকে বিকেলে একই লঞ্চে চলে আসব ঢাকা।

ছারপোকায় কাটা আসলে শাপেবর
ঘুমুতে গিয়ে টের পেলাম ছারপোকা আছে বিছানায়। সাথে আনা চাদর বিছিয়ে দিয়ে তার উপর শুয়ে পড়লাম। ভোর রাতে ছারপোকার কামড়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল। রুম থেকে বের হয়ে সামনে ডেকে আসলাম। আমাদের ডানদিকে ভয়াবহ সৌন্দর্য নিয়ে চাঁদটি তখনো দৃশ্যমান। একটি ঘাটে লঞ্চ দাঁড়ানোর সময় নদীর পানিতে পড়ে চাঁদের আলোর যে রিফ্লেকশন তৈরী হলো তা ক্যাপচার করার সাধ্য কোন ক্যামেরার নেই। সেই ভয়াবহ সৌন্দর্য শুধু দেখাই সম্ভব ধারনা করা নয়। আমি বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে পানির দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হল বৃষ্টি। এক রাতে বৃষ্টি এবং চাঁদের আলো- দুটোতেই ভেজার দুর্লভ সুযোগ হল!

সাড়ে সাতটার মধ্যে আমতলী পৌঁছে যায় লঞ্চ। আমরা সেখান থেকে বাস রিজার্ভ করে পৌঁছে যাই নিউপাড়া বাজারে। সেখান থেকে পরদিন পর্যন্ত ট্রলার ভাড়া করে রওয়ানা হই ফাতরার চরের উদ্দেশ্যে। পৌনে একটা নাগাদ আমরা পৌঁছে যাই মহীপুর বন্দরে।

মহীপুর দ্য ঘোস্ট সিটিঃ
মহীপুর সম্পর্কে কিছু বলতেই হয়। দুপুরে খাওয়া এবং রাতের বারবিকিউর কেনাকাটার জন্য আমাদের যেতে হয় দক্ষিণ বঙ্গের ইলিশের সর্ববৃহৎ আড়ৎ মহীপুরে। খালের একপাশে মহীপুর আরেক পাশে আলীপুর। আলীপুর বাজার থেকে কুয়াকাটা হেঁটে যেতে সময় লাগে পঁচিশ থেকে ত্রিশ মিনিট।

আমরা নিউপাড়া বাজার থেকে একটা জংলী খাল ধরে যখন আন্দারমানিক নদীতে পড়লাম তখন ট্রলার চালক বলেছিল দেড় ঘন্টা নদীতে থাকতে হবে আমাদের। কিন্তু জোয়ারের স্রোত আর বাতাসের তীব্রতায় সে সময় গিয়ে দাড়ায় প্রায় আড়াই ঘন্টায়। সাগরের একেবারে কাছাকাছি এসে আন্দার মানিক থেকে বড় একটা খাল চলে গেছে বামে। সেই খাল দিয়ে যেতে হয় মহীপুর। আমরা যখন খালের কাছাকাছি চলে আসলাম নাকে বাড়ি দিলো শুঁটকির ঘ্রাণ। জনলাম এবং দেখলাম শুঁটকির কারখানা। কিছু দূর এগোনোর পর ছোখে পড়ল খালের দু পাশে শত শত মাছ ধরা ট্রলার। মুহূর্তেই আমি চলে গেলাম কোন প্রেতের নগরীতে। বলাবাহুল্য পাইরেটস অব দ্য ক্যারাবিয়ান দেখে চোখ নষ্ট করার ফল এটি। আমার মনে হলে ঘোর অমাবশ্যায় জীবন হাতে করে প্রবেশ করছি কোন বন্দরে। যেখানে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে এমনি শত শত মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলার!

ইলিশের সর্ববৃহৎ আড়ৎ
আমি আবুল কোম্পানীর (আবুল হোসেন) সাথে মাছ কিনতে গেলাম। এই ভদ্রলোকই ওখানকার অন্যতম হোটেল আল রুম্মানের মালিক। উনি পাইকারী বাজার থেকে পাইকারী দামে আমাদের ৫টি মাছ কিনে দিলেন। পাঁচ কেজি মাছ ১৬০০ টাকা। ওখান থেকে ঢাকায় মাছ আনার ব্যাপারেও কথা বলেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ফেরার রুট বদলে যাওয়ায় আর আনা হয়নি মাছ।

মুরগী কেনা
বারবিকিউর জন্য মুরগী কিনতে গিয়ে দেখি ছোট একটা ছেলে বসে আছে। ওদিকে ট্রলারের সবাই অস্থির হয়ে গেছে দেরী হয়ে যাওয়ায়। আমিও সেই ছেলের সাথে হাত লাগালাম। চারটা মুরগী জবাই দিলাম। ততক্ষণে মূল দোকানী চলে আসায় সে-ই মুরগীগুলো সাইজ করে দিয়েছিল।

ডাকাতের আতঙ্ক
প্রথমে ট্রলারের মাঝি বলেছিল রাতে ফাতরার বনে থাকলে ডাকাতের ভয় আছে। তারপর সাঈদ ভাইর সাথে পরামর্শ করে আলীপুরে এসে হোটেলের খোঁজ করলাম। যদি ফাতরায় রাত কাটানো অসম্ভব হয় তাহলে হোটেলে চলে আসব। মাসুদ বল্ল রিস্কি হলেও ওখানেই থাকব। জঙ্গলে রাত কাটাতে এসেছি। জঙ্গলেই থাকব। আমরা চলে গেলাম ফাতরার বনে। রাতে তুষার মিজান ধীরে ধীরে অনেকের মনে ভয় ধরিয়ে দিল ডাকাতের।

আমরা কয়েকজন ডাকাতের সম্ভাব্য আক্রমন কিভাবে ঠেকানো যায় তার ফন্দি-ফিকির শুরু করলাম। ওখানকার কেয়ারটেকার চাচার কাছে জেনে নিলাম তার কাছে রাম দা আছে কিনা। তিনি জানালেন আছে। আমরা আশ্বস্ত হলাম। হাতের কাছে রাখলাম কিছু সুদৃশ্য লাঠি।

গরম পানিতে গোসল।
দুপুরে সাগরে গোসল করার জন্য জঙ্গল পার হয়ে পৌঁছে গেলাম বীচে। কিন্তু নামার উপযুক্ত পরিবেশ পেলাম না। অগত্যা হালকার উপর ফটো সেশন করে ফিরে এলাম। পুকুরের পানিতে নেমে টের পেলাম কে যেন আমাদের গোসলের জন্য পানি গরম করে রেখেছে। দারুণ মজা লাগছিল গরম পানিতে গোসল করতে।

এরই মধ্যে ভাটা মাছকে সাপ ভেবে এক দফা হালকার উপর ভয়-ভীতির মহড়া হয়ে গেল। দলের সবাই পুরুষ সদস্য হওয়ায় গোসল করতে কারো কোন সংকোচে পড়তে দেখিনি। কী পরে গোসল করবে সেটা নিয়েও কাউকে ভাবতে দেখিনি।তাই বলে একেবারো উদোম আদম হয়ে কেউ নামেনি।

চাঁদের আলোয় বারবিকিউ
বারবিকিউ কোথায় হবে এটা নিয়ে জোর আলোচনা হচ্ছিল। কেউ খালের পাড়ে জঙ্গল ঘেষে আয়োজনের কথা বলল। রাত হয়ে গেলে আমরা ঘুরে ঘুরে একটা চমৎকার জায়গা বের করলাম। এখানে চাঁদের আলো পুকুরের পানিতে রিফ্লেক্ট হচ্ছিল। বারবিকিউর পাশাপাশি শুরু হল সঙ্গীতনিশি। এমন চাঁদের আলোয় এমন মোহনীয় সুরের পরিবেশনা বোধকরি একজন মানুষের জীবনে খুব বেশি আসে না। আমরা কৃত্রিম আলো বর্জন করেই যতটুকু সম্ভব কাজ সারছিলাম।

অতি ভোজন
আমাদের সব কিছুই যেন বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছিল। ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় চাঁদ পাব কিনা সেই আশংকা ছিল। আশংকা ছিল বৃষ্টির। কিন্তু আমরা তিন রাতেই পেলাম চাঁদকে। যেতেও পেয়েছি। থেকেও পেয়েছি। আসতেও পেয়েছি। ট্রলারে কতক্ষণ ঘুরতে পারব এই আশংকা দূর হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রলার ভ্রমণ সাদামাটা হয়ে গেল অনেক সময় ট্রলারে থাকার কারণে। রাতে ইলিশ মাছ ভাগে কয়টা পাব এই আশংকা দূর হয়ে প্রত্যেকের প্লেটে পৌঁছে গেল চার পিচ মাছ। সাথে মুরগীর বিশাল আয়তনের মাংশ। আরো ছিল কাঁকড়া প্রেমীদের জন্য কাঁকড়া ভুনা। আমি মাছ খেলাম দুই পিচ কম।

জঙ্গলে ঘুম
রেস্ট হাউজে ঢোকার পথ বন্ধ। তালা দিয়ে বাড়ি চলে গেছে বনকর্মকর্তারা। এক কর্মকর্তা আসবে বলেও আসেনি শেষ পর্যন্ত। দশজন স্টাফের কেউ নেই সেই সংরক্ষিত বনে। একজন চাচা দোকান চালান একটা ওখানে। তার সাথে তার দুই আত্মীয়। সেই চাচা দুটো রুম (কাঠের ঘরে টিনের চাল একটায়, আরেকটায় নাড়ার ছাউনি, ঘরগুলো মাটি থেকে ২/৩ ফুট উঁচু, খুঁটি দিয়ে উঁচু করা হয়েছে, জোয়ারে তলিয়ে যাবার ভয়ে) দিলেন। সেখান ধরল ৫ জন।

পুকুর পাড়ে বেড়াহীন দুটো বসায় জায়গা। উপরে টিনের চাল, নীচে পাকা ভিটি। সেই বসার জায়গা দুটোর একটিতে ৭ জন আরেকটিতে ৩ জন শুয়ে পড়লাম। সাইফুল চেয়েছিল জঙ্গলে গিয়ে থাকবে। কিন্তু এটাও জঙ্গলে থাকার চেয়ে কম নয়। কারণ এর লাগোয়াই জঙ্গল ছিল।

বৃষ্টি বৃষ্টি এবং বৃষ্টি
রাতে ডাকাতের ভয়ে পাহারা বসালাম। আমি তুষার মিজান আর খোরশেদ ভাই রাত ২ টা পর্যন্ত পাহারা দিলাম। তারপর ঘুম। রাত চারটার দিকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। উঠে দেখি চারদিকে বৃষ্টির উৎসব। উপরে টিনের চাল। একপাশে পুকুর আরেক পাশে জঙ্গল। আহ কি অনির্বচনীয় সেই আনন্দ। সকাল ৬ টায় আমরা তিনজন নেমে পড়লাম পুকুরে। ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে পুকুরে গোসল! পুকুরে নেমে টের পেলাম পানি তখনও গরম আছে। কখনো গলা পানিতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি মাখছি কখনো কোমড় পানিতে দাঁড়িয়ে শরীরে নিচ্ছি বৃষ্টির ঝাপটা। কয়েকজনকে ডাকলাম গোসল করার জন্য। কেউ সাহস করল না।

টয়লেট বিভ্রাট
জঙ্গলে আবার টয়লেট লাগে নাকি! শহর থেকে গেছি তো তাই টয়লেটের খোঁজ করতেই হল। ও বাবা ওদের টয়লেটে বদনা নেই। অগত্যা ফ্রেশ পানির তিন লিটার বোতলই ব্যবহৃত হল বদনা হিসবে। টয়লেটটা বেশ দূরে জঙ্গলের মধ্যে। একজন টয়লেটে যেত আরেকজন দাঁড়িয়ে তাকে সাহস যোগাত। একবার তো এমন হল পাহারাদার ভয় পেয়ে আরেকজনকে ডেকে আনল। না ওখানে চাঁদের আলো পৌঁছেনি। টর্চ জ্বালিয়ে যেতে হয়েছে।

এবার ফেরার পালা
আমরা ক’জন আমতলী চলে যাব আগে ভাগে কেবিন বুকিং কনফার্ম করার জন্য। অন্যরা কুয়াকাটা ঘুরে দুপুর নাগাদ পৌঁছে যাবে-এমন একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু খোরশেদ ভাই সহ কয়েকজনের কঠোর বিরোধিতায় তা বানচাল হয়ে গেল। ফাতরার বন থেকে ট্রলারে সরাসরি কলাপাড়া। সেখান থেকে বাসে আমতলী। লঞ্চে পৌছে গেলাম ১১ টার মধ্যে। বাকী সময় কি করা যায়? একজন কে জিজ্ঞেস করলাম আমতলী দেখার কি আছে সে বলল-পায়রা নদী। যেই নদীতে লঞ্চটি দাঁড়িয়ে। আরেকজন জানাল-কিছু টাউট বাটপার।

গরমে অতীষ্ঠ হয়ে আমাদের কয়েকজন গোসল করল নদীতে। কিছুক্ষণ প্রজেক্ট টুয়ান্টি নাইন চালিয়ে আমিও একসময় গোসল সেরে নিলাম পায়রার জলে। পেয়ারা, আখ, ডাব, কলা সহ নানা ধরনের ফর্মালিন মুক্ত খাবার ধ্বংস চলছিলই। দুপুরে আমতলীর সবচেয়ে ভাল পাচক জয়নালের হোটেলে খেয়ে নিলাম। পোয়া মাছ, বোম্বে মরিচ, পাতলা ডাল আর লাউয়ের তরকারী সহযোগে সে খাবারও ছিল দারুণ উপাদেয়।

টিকেটের দামে দুর্ণীতি
আমরা দেখলাম একটা সিঙ্গেল কেবিনের টিকেটের দাম রেখেছে ৮০০ টাকা। সে হিসেবে ডবল কেবিনের দাম হওয়ার কথা ১৬০০ টাকা। কিন্তু আমাদের কাছে রেখেছে ২১০০ টাকা। আমরা বুঝলাম আসলেই ওখানে কিছু টাউট বাটপার আছে।

আবার চন্দ্রাহত হয়ে ফেরা
আবার সারারাত চাঁদের সাথে সাথে ফিরে এলাম ঢাকার চেনা জীবনের গলীতে।

কিছু তথ্য:
০১. হোটেল রুম্মানের মালিক আবুল হোসেনের মাছের আড়তের ব্যবসা আছে। তার কাছ থেকে মাছ কিনে ঢাকা আনতে পারেন। তার ট্রলারও আছে ভাড়া নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন আশপাশের চর থেকে। আর হোটেল তো আছেই। তার মোবাইল নম্বর-০১৭১২৮৫০৫৯৮ ও ০১৭৪০৯৪৫৯৩১
০২ সৈকত লঞ্চ আগে ছিল সাগর। সাগর ৮,৯ ই বর্তমানে সৈকত ৮,৯। ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় ৫টায় আর আমতলী থেকে ছাড়ে সাড়ে তিনটায়। কেবিন পেতে হলে ওই দিন সকালে লঞ্চ ঘাটে ভেড়ার সাথে সাথে হাজির হতে হবে।ভাগ্য ভাল আর যাত্রী ১/২ জন হলে যাবার সময়ও কেবিন পাওয়া যেতে পারে।
০৩. কুয়াকাটা বা ফাতরার বনে যাবার বেস্ট রুট আমার কাছে মনে হয়েছে। সরাসরি পটুয়াখালী গিয়ে ওখান থেকে বাসে যাওয়া। তবে শর্ত হল কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে সে জন্য। তিনটা ব্রীজের কাজ মাঝামাঝি হয়ে আছে। ওগুলো শেষ হলেই এটা হবে বেস্ট রুট।
০৪. ওখানকার স্থানীয় সাধারণ মানুষগুলোর মধ্যে কক্সবাজারের লোকদের মত প্রফেশনালিজম নাই। খুবই আন্তরিক এবং অল্পে তুষ্ট মনে হয়েছে আমার কাছে।
০৫. কেউ ওদিকে যেতে চাইলে পূর্ণিমার কথা মাথায় রাইখেন। চাঁদ দেখতে দেখতে নদী পাড়ি দেয়া সত্যিই অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

পোস্টটি ১১ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

মৃন্ময় মিজান's picture


ওমর ফারুকের ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি

gorom panir pukur.jpg
গরম পানির পুকুর

Loncher Deck a.jpg
লঞ্চের ডেকে

Loncher Deck a1.jpg
লঞ্চের ডেকে

trolar a kore new para theke fatra.jpg
নিউপাড়া থেকে ফাতরায় যেতে

trolar a kore new para theke fatra 1.jpg
ট্রলারে

মৃন্ময় মিজান's picture


সাইদ ভাইর ক্যামেরায় চাঁদ
1.jpg

2.jpg

মৃন্ময় মিজান's picture


সজীব ভাইর ক্যামেরায় কিছু ছবি

tengra giri bon at fatrar chor.jpg
টেংরাগিরি বন

fatrar chor.jpg
ফাতরার চর

blue moon over the river payra.jpg
পায়রা নদীতে চাঁদের আলো

Alipur theke ferar pothe.jpg
আলীপুর থেকে ফেরার পথে

Akash.jpg
আকাশ

মৃন্ময় মিজান's picture


তারিক ভাই এর ক্যামেরায়

nodi jibon.jpg
পায়রার সৌন্দর্য

Hilsha.jpg
তাজা রূপালী ইলিশ (এখনো বরফ দেয়া হয়নি)

Ghathin Ghate.jpg
ঘাটহীন ঘাটে লঞ্চের অপেক্ষায় যাত্রীরা

মৃন্ময় মিজান's picture


BBQ (ananda).jpg আনন্দ ভাইজানের ক্যমেরায়

(ইলিশের বারবিকিউর ছবি পাইলে দিয়া দিমুনে)

টুটুল's picture


দূর্দান্ত ভ্রমন কাহিনি

ভারো একটা ব্লুমুন ট্যুর হইলো আপনাদের

মিস্কর্লাম Sad

মৃন্ময় মিজান's picture


আপ্নারেও মিস করছি আমরা। আমি তো নিশ্চিত ছিলাম আপনে যাইবেন। পরে সাইদ ভাইর কাছে শুনলাম যাইবেন না।

মেসবাহ য়াযাদ's picture


ভালোই আনন্দ করলেন, দেখছি... Big smile
আমরাও আমাদের মত করেছি। আমাদের টিমটা ছিলো বিশাল।
প্রায় ৭০ জন। ঢাকা থেকে আমরা ৪১ জন...
মেয়েদের সংখ্যা ছিলো আশাতীত। ১৮/১৯ জন। শিশু মাত্র ২ জন।
অসাধারণ ছিলো সে ট্যুর... Wink
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আপনাদের মিস করেছি।
তারেককে স্পেশাল থ্যাংকস। বেশ কবার ফোন করে আমাদের টিমের খবর নেবার জন্য।
যারা যাননি/যেতে পারেননি- তারা জানেন না, কী মিস করেছেন Sad

মৃন্ময় মিজান's picture


বস আপনার নেতৃত্ব মিস করছি সব চেয়ে বেশী। তবে আমাদের টিম ছোট থাকায় ঝামেলা ছিল কম।

১০

শওকত মাসুম's picture


আশাতীত মেয়ের ব্যাখ্যা কি?

১১

মৃন্ময় মিজান's picture


সাইদ ভাইর আরো কিছু দুর্দান্ত ছবি
429933_10151060450589024_238833658_n.jpg

423747_10151060455354024_1431919472_n.jpg

381051_10151060454804024_907344893_n.jpg

381029_10151060453369024_1837239973_n.jpg

318359_10151060450789024_678600867_n.jpg

285571_10151060457174024_626186062_n.jpg

262953_10151060451134024_894037101_n.jpg

262238_10151060453939024_376814843_n.jpg

216806_10151060456549024_793557921_n.jpg

১২

প্রিয়'s picture


দূর্দান্ত ভ্রমন কাহিনি।

১৩

মৃন্ময় মিজান's picture


ভ্রমণটা দুর্দান্ত ছিল সন্দেহ নাই। তয় কাহিনী বর্ণনায় আমি অত পরিপক্ক নই। Sad

১৪

আরাফাত শান্ত's picture


ছবি ও ভ্রমন কাহিনী দুটোই ফ্যানটাসটিক। আরও ছবি দেখতে চাই!

১৫

মৃন্ময় মিজান's picture


ছবির জন্য সাইদ ভাইরে ধরেন। উনি ফাটাফাটি অনেকগুলো ছবি তুলেছেন।

১৬

অনিমেষ রহমান's picture


চমৎকার লিখেছেন মিজান ভাই।
Star Star Star Star Star

১৭

মৃন্ময় মিজান's picture


ধন্যবাদ ভাই।

১৮

স্বপ্নের ফেরীওয়ালা's picture


ভ্রমন কাহিনী আর ছবি - সবটাই দারুন!

এইরকম আরো পোস্ট আসুক..

~

১৯

মৃন্ময় মিজান's picture


বারিকের টিলায় যারা গেছে তারা পোস্ট দেয় না কেন ? আমরা দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইতাম।

২০

সাঈদ's picture


দারুন বর্ননা দিলেন মিজান ভাই।

এরকম raw place এ বড় টিম না নিয়ে গেলে যাওয়া সম্ভব না আবার এরকম না গেলে আর হয়তো যাওয়াও হবে না।

সামনে এরকম কোথাও যাবার উদ্যোগ নিলে জানায়েন, আমি হাজির থাকবো আপনাদের নেতৃত্বে যাবার জন্য।

২১

মৃন্ময় মিজান's picture


বস আপনে তো অনেক জায়গা ঘুরছেন। জানেনও অনেক জায়গার কথা। সুতরাং এই ধরনের আরো উদ্যোগ ভবিষ্যতেও নিবেন আশা করি। আর আমি যদি সামান্য কোন খেদমতে আসতে পারি তাতেই ধন্য।

আপনার কারণেই জীবনের প্রথম ইলিশের বারবিকিউর স্বাদ পাইলাম। এরপর থেকে সব ঘোরাঘুরিতেই আপনাকে আপনার বারবিকিউর সরঞ্জামসহ চাই। Big smile

২২

তানবীরা's picture


আমাদেরকে অনেক মিস করছেন ভেবেই আমার মন খারাপ লাগছে, আহারে বেচারারা Sad(

২৩

মৃন্ময় মিজান's picture


আপনাদেরকে মিস করছি এটা ঠিক। আবার আপনারা সাথে থাকলে ডাকাতের ভয়ে আমরা আরো ভীত হয়ে পড়তাম সেটাও ঠিক। সে দৃষ্টিকোণ থেকে না গিয়ে এক অর্থে আমাদের বাঁচাইয়া-ই দিছেন। Tongue

২৪

উচ্ছল's picture


Star Star Star Star Star দারুন।

২৫

মৃন্ময় মিজান's picture


ধইন্যা পাতা

২৬

জ্যোতি's picture


জট্ট্রিল ঘুরাঘুরি, জট্টিল পোস্ট, জট্টিল সব ছবি।হিংসিত।

২৭

মৃন্ময় মিজান's picture


সামনের দিকে হিংসিত না হইয়া যাওয়ার ট্রাই কইরেন। Smile

২৮

মৃন্ময় মিজান's picture


তারিক ভাইয়ের এলবাম থেকে আরো দুটো ছবি

551979_4643055923494_363890670_n.jpg
ইলিশের বারবিকিউ

539078_4643056963520_2032031573_n.jpg
কাঁকড়া ভূনা

২৯

অতিথি's picture


দারুন লাগল.....মিজান ভাই শুভকামনা রইল

৩০

এই মেঘ এই রোদ্দুল's picture


ধন্যবাদ মিজান ভাই

৩১

মৃন্ময় মিজান's picture


আপনাকে স্বাগতম।

৩২

রন's picture


চমৎকার বর্ণনা, সাথে ছবি, অসাম অবস্থা!

৩৩

মৃন্ময় মিজান's picture


সব ছবি ধার করা। আপনাদের ভাল লেগেছে এটাই বড় কথা।

৩৪

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


চমৎকার ব্লগ, ছবিগুলা মিলে পুরাই দুর্দান্ত অবস্থা!

৩৫

মৃন্ময় মিজান's picture


ধন্যবাদ ভাই।

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

মৃন্ময় মিজান's picture

নিজের সম্পর্কে

টুকটাক লেখার চেষ্টা করি।