বিশ্বজয়ী স্পেনকে অভিনন্দন!
শেষ হলো ফুটবলের সবচাইতে বড় উৎসব। আগামী কয়েকদিন হয়তো রাতে ঘুম ভেঙে যাবে মাঝপথে। রাত জেগে ফুটবল ম্যাচ দেখার মহোৎসবকে মিস করবো নিশ্চিত। তবু শেষটা মনমতো হোলো বলে ভালো লাগছে। যোগ্য দল হিসেবেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নিলো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন। প্রথম খেলায় পরাজিত হলেও পরবর্তী সবগুলো ম্যাচেই তারা মন ভরিয়ে দেয়া ফুটবল খেলেছ। একটা ঘাটতি যদিও ছিলো তাদের খেলায়, স্কোরার সংকটের কারনে তাদের সবচাইতে ভালো ফল ২ - ০ দূর্বল দল হন্ডুরাসের সাথে। বিশ্বমানের ক্লাসিক স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেস দলে থাকলেও তার ফর্মহীনতার জন্য স্পেনকে ভালোই ভূগতে হয়েছে। ডেভিড সেমিফাইনাল পর্যন্ত তারা গোল করেছে ৭টি তার মধ্যে এক ডেভিড ভিয়া'র গোল ৫টি। দেল বস্কের দলে ভিয়া একটু নীচে নেমে খেলে বলে তার গোলে ফুটবল ভক্তদের ঠিক মন ভরেনা। যদিও জাতীয় দলের পক্ষে ভিয়া এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৬৩ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ৪২।
ইনিয়েস্তা আবারো প্রমাণ করলেন বার্সেলোনার মেসি'র পেছনে তার প্রয়োজনিয়তা। ক্যাসিয়াস দেখিয়ে দিলেন কেনো তাকে বিশ্বের এক নাম্বার গোলরক্ষক বলা হয়। পুয়োল আর পিকে যেভাবে ফেয়ার ট্যাকল করে আক্রমণে উঠলেন তাতে বুঝে ওঠা অসম্ভব একসময় লা লিগার সব টিমের ডিফেন্স দূর্বল ছিলো। পেদ্রোর বদলি হিসেবে নামা নাভাসের খেলা দেখে মনেই হয়নি এই প্রথম সে বিশ্বকাপের কোন খেলায় মাঠে নামলো। সার্জিও রামোসের খেলা দেখে অনেকে ভুল করে তাকে মাঝমাঠের খেলোয়াড় মনে করেছে, কিন্তু তার নিজের মূল দায়িত্বটাও সে পালন করে গেছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
নেদারল্যান্ডস দলের শক্তিময় টাফ ফুটবলের বিপরীতে ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন জিতলো সুন্দর ফুটবল খেলেই। যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হোলো কার্যকরী ফুটবলের নামে শুধু মেথোডিকাল খেলা নয়, আবেগ আর আনন্দের ফুটবলেও জিতে নেয়া যায় বিশ্বকাপ।
অভিনন্দন স্পেন ফুটবল দলকে!
অভিনন্দন স্পেন ফুটবল দলকে!
অভিনন্দন স্পেন ফুটবল দলকে!
খেলা একসময় কিছুটা এলোমেলো মনে হয়েছে। আর রেফারিং এর মানও ততটা উন্নত মনে হয়নি। এতগুলো হলুদ কার্ড দেখালে খেলার স্বাভাবিক গতি এমনিতেই বিঘ্নিত হয়।
বিজয়ী স্পেনকে অভিনন্দন। পরাজিতদেরও অভিনন্দন।
বিশ্বকাপ জয় করায় অভিনন্দন স্পেনকে
অভিনন্দন তাতাপুর নেদারল্যান্ডকে রানার্সআপ হওয়ার জন্য
বিজয়ী স্পেন কে অভিনন্দন ।
বিশ্বকাপ জয় করায় স্পেনকে অভিনন্দন
অভিনন্দন তাতাপুর নেদারল্যান্ডকে রানার্সআপ হওয়ার জন্য
সেরা খেলোয়াড়: ডিয়েগো ফোরলান (উরুগুয়ে)
গোল্ডেন বুট: টমাস মুলার (জার্মানি)
সেরা তরুণ ফুটবলার: টমাস মুলার (জার্মানি)
সেরা গোলরক্ষক: ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন)
ফেয়ার প্লে পুরস্কার: স্পেন
দলগতভাবে সর্বোচ্চ গোল করেছে : জার্মানি (১৬)
একটিও গোল করেনি: হন্ডুরাস, আলজেরিয়া
দলগতভাবে সবচেয়ে বেশি গোল হজম করেছে: উত্তর কোরিয়া (১২)
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল: টমাস মুলার, ডেভিড ভিয়া, ওয়েসলি স্নাইডার, ডিয়েগো ফোরলান (প্রত্যেকে পাঁচটি করে)
দলগতভাবে সবচেয়ে বেশি শট: স্পেন (১২১)
দলগতভাবে সবচেয়ে কম শট: নিউজিল্যান্ড (১৫)
ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি শট: আসামোয়া গায়ান (৩৩)
দলগতভাবে সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে: হল্যান্ড (১২৬)
দলগতভাবে সবচেয়ে কম ফাউল করেছে: উত্তর কোরিয়া (২৬)
ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে: কিউসুকে হোন্ডা (১৯)
ব্যক্তিগতভাবে বেশি ফাউলের শিকার: আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (২৬)
এক ম্যাচে সর্বাধিক ফাউল: ৫৫ (প্যারাগুয়ে-জাপান)
দলগতভাবে সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ড দেখেছে: হল্যান্ড (২২)
দলগতভাবে সবচেয়ে কম হলুদ কার্ড দেখেছে: উত্তর কোরিয়া (২)
এক ম্যাচে সর্বাধিক হলুদ কার্ড: ১৩ (স্পেন-হল্যান্ড)
দলগতভাবে সর্বাধিক পাস দিয়েছে: স্পেন (৩৮০৩)
ব্যক্তিগতভাবে সর্বাধিক পাস দিয়েছে: জাভি (৬৬৯)
মোট গোল: ১৪৫
মোট হলুদ কার্ড: ২৪৬
মোট লাল কার্ড: ১৭
একমাত্র অপরাজিত দেশ: নিউজিল্যান্ড
সূত্র: রয়টার্স
সবাই মিলে যেভাবে হল্যান্ডের সমালোচনা করতেছে, বুঝলাম না, তারা ফাইনালে যাওয়া কি অপরাধ হয়ে গেলো নাকি
মন্তব্য করুন