আমার সিসিমপুর (২)
১।
আমার সিসিমপুরের সব চরিত্রের একটা করে জাতীয় সঙ্গীত আছে। জন্মের পরপরই তাদের পছন্দের তালিকায় কয়েকটা গান যোগ হয় যা শুনে উনারা খায়-ঘুমায়-কান্না থামায়। তো সবচেয়ে শেষে যিনি যোগ দিলেন, শ্রেয় (আমি অবশ্য রসগোল্লা ডাকি) ভদ্রলোকের বয়স এখন সাত মাস। প্রথম প্রথম তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে শাহরুখ খানের একটা গান শুনতেন। বেশ কতগুলো গান যাচাই-বাছাই করে শেষ পর্যন্ত যেটাকে তিনি উনার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মনোনীত করেছেন সেই গানটা হলো
এক জীবনে
যত জোরেই কান্না করতে থাকুক আমার রসগোল্লা এই গান শোনা মাত্র সে চুপ হয়ে যায়। এমনকি তার মায়ের কোলেও যখন থাকে এই গান শোনা মাত্র সে আমার কোলে চলে আসে। কি হাসি যে দেয় গানটা শুনে!!!!
২।
আমার রুমে আমার ভাগ্নী মেঘলার একটা বিশাল সাইজের ছবি বাঁধাই করা আছে । খাটের পাশের দেয়ালেই লাগানো সেটা। আমার আরেক বোনের মেয়ে পারিসা একটু একটু হাঁটতে শিখেছে। তো পারিসা বাসায় আসলে খাটের উপর টুকটুক করে হেঁটে ছবিটার কাছে যায় আর সেটা ধরতে চেষ্টা করে।
এইবার বেড়াতে এসে সে খুব জোরে 'তা তা দা দা' চিৎকার করতে করতে ছবিটাকে নাড়াতে লাগলো। অবস্থা এমন যে কোনো মূহুর্তে ছবিটা ফেলে দিবে। তাহিয়াও ছিল পাশে। আমি বললাম তাহিয়াকে, পারিসা বড় আপুর ছবিটা নষ্ট করছে তুমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছো?
তাহিয়া বলল ও তো খেলছে!!
আমার মাথায় চাপলো শয়তানি। মিথ্যা রাগ দেখিয়ে তাহিয়াকে বললাম, আমার রুমে আসতে হলে বড় আপুকে সালাম দিয়ে ঢুকতে হবে। ঢুকার সময় একবার বের হওয়ার সময় একবার সালাম দিবা। বুঝসো???
একটু পর দেখি তাহিয়া মেঘলার ছবির দিকে তাকিয়ে পারিসাকে সালাম দেয়া শিখাচ্ছে।
৩।
সিসিমপুরের পিচ্চিদের কাহিনি পরে আবার বলবো। এবার অন্য কিছু বলি।
তিন-চার দিন আগের ঘটনা। রাত প্রায় ১১ টা বাজে। আমাদের বাসায় আমি ছাড়া সবাই মোটামুটি ১০.৩০ এর মধ্যে ঘুমায়। সবাই ঘুমানোর পর আমি পড়তে বসি।
তো সেদিনও আমি পড়তে বসছি। একটু পরই আম্মুর রান্নাঘরের দু'জন ম্যানেজার সমানে কাশতে শুরু করলো। একজন দুইটা কাশি দিয়ে থামে তারপর অন্যজন দুইটা কাশি দেয়। এবং ঠিক দুইটা করে কাশি দেয়। তাদের কাশির ধরন থেকে আমি বুঝলাম আসলে এটা পাশের বাসার ব্যচেলারদের শুনানোর জন্য কাশি।
চরম মেজাজ খারাপ হলো আমার। কিন্তু কি করি!!!
উঠে গিয়ে বললাম কি সমস্যা এত শব্দ হচ্ছে কেন?
দুইজন কাশির জন্য কথাই বলতে পারছে না। কোনোমতে বলল, আপা ঠান্ডা-কাশির জন্য ঘুমাতে পারতিসি না।
আমি বললাম ঠিকাছে ঔষধ দিচ্ছি এখনই ঠিক হয়ে যাবে।
আমার মায়ের কাছে ঔষধের ভালো স্টক থাকে। কিন্তু সেখানে ঠান্ডার কোনো ঔষধ পেলাম না। এখন কি করি!! হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি আসলো। আমার কাছে একটা বিচ্ছিরি রকমের তিতা ভিটামিন ঔষধ আছে। যেটা আমি ভয়ে খাই না কিন্তু কেন জানি না যত্ন করে রেখে দিয়েছি। বিশাল সাইজের বোতল, দেখলেই ভয় লাগে।
সেই বোতল নিয়ে গিয়ে বললাম কার বেশি ঠান্ডা লাগছে?? ঔষধ খেতে আসো। একজন আর একজনকে দেখিয়ে বলে আমার না ওর। আমি বললাম দুইজনই খাও।
দুই চামচ করে দিলাম খাইয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে জিজ্ঞাসা করলাম রাতে যে ঔষধ খাইসো কাশি কমসে?? দুইজনই একসাথে বলে উঠলো কমসে আপা, সেরে গেছে। আর কাশি হয় নাই।
সেই দিনের পর দুজনে আর একটা কাশিও দেয় নাই
অনেক ভাল লাগলো।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
শেষটা মজার। আর পিচ্চিকাচ্চিদের কথা শুনতে হিয়ে মনে হচ্ছিল যেন "চাঁদের হাট" বসেছে।
ভালো লেগেছে, আপু।
গিয়ে হবে "হিয়ে"র জায়গায়।

আসলেই "চাঁদের হাট"।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সিসিমপুর ভালু পেলাম!
কাশির ওষুধ চ্রম হইছে!
আপনারও কি লাগবে নাকি ওষুধ একটু ?? দু'চামচে কাজ হয়ে যাবে।
হাহাহাহাহা
একি ডাক্তারন্নি! তিতা অষুদ গেলায়!
পুচকাদের কাহিনি আসলেই অনেক অনেক মজার হয়, কাছ থেকে না দেখলে বুঝা যায় না।
আমাদের সিসিম্পুরের মাসখানেক বয়েসি নতুন্টা নাকি মশারির মাঝে ঢুকালেই ক্যাওম্যাও শুরু করে, কিন্তু বাইরে দিব্বি মশার কামড়ে দুষ্টুমি করে চলে!
মিস করতেছি না দেখা ঐটারে! 
তিতা কই ভালো জিনিস দিলাম!!
পিচকি পাচকা রক্স...
জটিল!! আজই ভাবছিলাম মায়াবতী মেয়েটা পোষ্ট দেয় না কেন? তোমার সিসিমপুর জোশ।
এর মানে কি? আমারে গালি দাও নাই তো!
মাথা খারাপ হইসে আমার আপ্নেরে গালি দিবো?
আমিও শ্রেয় এর পছন্দের গানটা দিন রাত নিয়ম করে শুনছি
এটা আমি বাংলা করেছি।
তুমি আমার রসগোল্লা, চমচম
কালোজাম, গোলাপজাম
....................... বাকি অংশ বিরতির পরে
ঔষধের নাম এবং প্রাপ্তিস্থান জান্তে চাই। কেউ ঝামেলা করলেই ধরে দুই চামুচ ...........
থাক ভাই। আমি যে ভুল করছি সেটা আর কেউ না করুক সেই ভালো।
আমারতো মনে হইলো ডাক্তারনী নিজের কথা কওয়াতে অসুবিধা হওয়াতে মেজাজ খারাপ হয়ছে।

নিজের কি কথা

নতুন কোনো ভর্তা বানান নাই? রেসিপি দেন
পাশের বাসার ব্যাচলরদের আপনি কি দেখেছেন ?
কেন ভাই আপনি দেখতে চান নাকি? খোঁজ নিয়ে জানাবো সেখানে কোনো সুন্দরী ব্যাচলর আছে কি না?

এই মেয়েটা কি সুন্দর লেখে
।
পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভালো থাকবেন।
তোমার মাথায় তো অনেক বুদ্ধি!
শ্রেয়, পারিসা আর তাহিয়া। মাসুমদের কাহিনী পড়লেই মন ভাল হয়ে যায়
আরো মাসুম আছে মাসুম ভাই। আরভিন, মেঘলা
আমি শ্রেয় এর পছন্দের গানগুলো দিন রাত নিয়ম করে গাইছি
শুনতেই হবে। পালাবি কোথায়
মন্তব্য করুন