আরো একটি গফ
আমার আসলে নিজের কোনো প্রতিভা নেই। আশেপাশে ঘটনা যা দেখি, অন্যের মুখে শোনা গল্প, লিখি ধার করে। যাকে বলে ‘পরের ধনে পোদ্দারি’ অথবা আমাদের গ্রামের ভাষায় বলতে হয় ‘মামুর ক্ষেতের ক্ষীরা দিয়া শাহীদারি’।
আজকেও আমি হাজির সেই টাইপ ক্ষীরা নিয়ে। আর আজকের গল্পে মামুর ক্ষেতটা হল আমার বড় ভাই, দুলাল ভাই, ওনার মুখেই শুনেছিলাম গল্পটা।
গ্রামের এক সাধারণ চাষী, তারচেয়েও সাদামাটা তার মেয়ে মর্জিনা। দেখতে শুনতে মোটামুটি সেই কিশোরী। পুকুর ঘাটে চোখে চোখে কথা হয়ে, মন দেয়া নেয়া হলো পাশের বাড়ির কুতুব মিয়ার সাথে। কিন্তু প্রেম তেমন গভীর হওয়ার সুযোগ হলো না। তার আগেই বাবা মা মর্জিনার বিয়ে দিয়ে দিলো পাশের গ্রামের আবুল মিয়ার সাথে।
বিয়ে হয়ে স্বামীর সংসারে আসে মর্জিনা। কিন্তু বাপের বাড়ির সেই কুতুব ভাইয়ের কথা সে আর ভুলতে পারে না। গৃহস্থালীর কাজের ফাঁকে, নতুন জায়গার নানান হাঙ্গামায় কিংবা অবসরে ঘুরে ফিরে শুধু মনে পড়ে কুতুব ভাইয়ের কথা। হাট-বাজারের দিনে কুতুব ভাই বাবা-মার চোখ ফাঁকি দিয়ে তেঁতুল-বরইয়ের আচার, কদমা-বাতাসা কত কিছুই না এনে দিতো মর্জিনাকে।
সংসারের অত শত প্যাঁচ বুঝতে পারে না কিশোরী মর্জিনা। তাই স্বামীর কাছেও গল্পচ্ছলে সে বলে ফেলে কুতুব ভাইয়ের কথা। প্রতিদিন তার স্বামী সারাদিনের খাটাখাটুনির পর যখন ঘরে ফিরে আসে তাকে ভাত খেতে দিয়ে হয়ত সে বলে ফেলে -
‘জানেন!! আজকে না আমি কুতুব ভাইরে খোয়াব দেখসি, কুতুব ভাইয়ে না আমার লাইগা চুড়ি-ফিতা নিয়া আইছে’
স্বামীর বিরক্তি বুঝতে পারে না মর্জিনা। দুজনে একান্তে গল্প করার সময়েও হয়ত বলে ফেলে-
‘জানেন!! আজকে না আমি কুতুব ভাইরে খোয়াব দেখসি, কুতুব ভাইয়ে না আমার লাইগা আইজ কদমা নিয়া আইছে।'
এদিকে বউয়ের মুখে প্রতিদিনই পরপুরুষের কথা শুনতে আবুলেরও ভালো লাগে না। রোজ কুতুব ভাইকে নিয়ে কোনো না কোনো খোয়াব দেখে বউ। একদিন, দুইদিন, তিনদিন - শেষে স্বামী বেচারা গেলো রেগে। বউয়ের চুলের মুঠি ধরে দিল মাইর। আর বলল -
‘হারামজাদী, ভাত খাস আমার আর খোয়াব দেখস কুতুইব্বার!!’
----------------------------------------------------------------------------------
গল্পটা, বলা ভালো ক্ষেতের ক্ষীরাটা বর্তমান আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কারো চরিত্রের সাথে মিলে গেলে আমি বা আমার কথিত মামুর ক্ষেত দায়ী না। আর আপনারাও কারো উপর এ্যপ্লাই করতে চাইলে নিজ দায়িত্বে করতে পারেন।
‘হারামজাদী, ভাত খাস আমার আর খোয়াব দেখস কুতুইব্বার!!
দারুন হইছে। এই লাইনটা বেশি জোস!
সকল প্রশংসা মামুর ক্ষেতের ক্ষীরার প্রাপ্য
গফ সিরাম ভালা হইছে!
ইয়েস সেইরম ক্লিয়ার
গফ ভাল হইছে
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
ভালো গফ বলছো
থ্যাঙ্কু। জায়গা মত বইলা দিয়েন
কারো লগে মিলাইলাম্না
মিলাইয়েন্না। ডাইনে গেলে সনদ লাগবে, বায়ে গেলে গুম
মামুর ক্ষেতের ক্ষীরা সিরাম টেস্টি, আর সেইটা দিয়া শাহীদারিও জমসে সিরাম...
আপনে এমনেই শুকনা পাতলা মানুষ। আপনার ক্ষীরা খাওয়া ঠিক না
নিজে জানি কত্ত মোটাসোটা
এই জন্যেই তো ক্ষীরা নিজে না খাইয়া শাহিদারি করতে ধরসি
ভাগ্যিস, কুতুব মিয়ার লগে আর কী কী করছে- ঘটছে, সেই গপ করে নাই...

আমরা ম্যাংগো পিপল যা বুঝনের বুঝছি... থ্যাংকু থ্যাংকু...
সনদপত্র নিসেন মেসবাহ ভাই?
শাহিদারী ভালো, চালিয়ে যাও
ভাত খাওয়া আর খোয়াব দেখা দুইটা আলাদা বিষয়
আফা কথা সত্য বলেছেন
মন্তব্য করুন