আমার সিসিমপুর (৭)
বহুদিন ব্লগে আসি না। যদিও এখন অনেক সময় আমার হাতে, কমবেশি সারাদিনই অনলাইন থাকি, তবু আসি না। আলসেমি করে যে আসি না তাও না। কেন যেন ধৈর্য্যে কুলায় না বড় কিছু লেখা পড়ি, কিছু দেখি বা লিখি।
নিজের সিসিমপুর নিয়ে লেখা গুলা প্রায়ই খুব মিস করি। কত কিছু হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। কিছুই লিখে রাখছি না। কয়দিন পরই ভুলে যাচ্ছি। নিজেই যখন সবটুকু মনে করতে পারি না কি হয়েছিল তখন আবার ভাবি লিখে রাখলে তো আর ভুলতে হত না। মাঝে মাঝে হয়ত একটা ছবি তুলে ফেসবুকে এক লাইনের একটা ক্যাপশন দিয়ে আপলোড করে রাখি। কিন্তু আজকে যা হল সেইটা শুধু এক লাইনের ক্যাপশনে লেখা যাবে না। তাই বসেই গেলাম লিখে রাখতে যেন কোনোদিন ভুলে না যাই।
১।
আমার বাসা আর আম্মুর বাসা একই গলিতে। দুই বিল্ডিং আগে পরে। রাজার খুব পছন্দ আমার বাসায় এসে থাকা। মাঝে মাঝেই চলে আসে কখনো সারাদিন থেকে চলে যায় তো কখনো রাতে ঘুমাতে আসে। তবে আগের চেয়ে রাজা নিজেই এখন ব্যস্ত। কেজি ওয়ানে পড়ে, আর্ট স্কুল যায়, ম্যাথের জন্যে আলোহাতে যায়। এর মধ্যেই সে সময় বের করে আমার বাসায় আসার জন্যে। কখন সে আসতে পারে জিজ্ঞাসা করার জন্যে সব সময়েই ফোন দিয়ে বলবে – আম্মু আমি না তোমার জন্যে একটা গিফট রেডি করেছি। এই কথার মানে হল আমি এখন আসতে চাই।
আমি বাসায় থাকলে বলি ঠিক আছে নিয়ে আসো গিফট। সে কাগজে কিছু একটা কার্টুন বা ছবি কালার করে নিয়ে আসে।
২।
যে কোনো বিশেষ দিন গুলোতে রাজাদের স্কুলে ছবি এঁকে কার্ড বানাতে দেয়। তো নারী দিবসেও সে স্কুলে কার্ড বানিয়েছে। স্কুলের বানানো কার্ড তো নারী দিবসেই ওর মাকে দিয়েছে। আজকে স্কুল বন্ধ, আমার বাসায় আসবে তাই আমার জন্যেও গিফট রেডি করেছে সে। নারী দিবসের কার্ড।
বাসায় এসে কার্ডের সাথে সে আমাকে একটা পাঁচ টাকার কয়েন দিলো। বলল আম্মু এই টাকাটা রাখো, তোমার কিছু কিনতে ইচ্ছে করলে এইটা দিয়ে তুমি কিনো।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম কে দিয়েছে এইটা তোমাকে?
রাজা – পাপা দিয়েছে ব্যাংকে ফেলার জন্যে। আমি তোমার জন্যে নিয়ে এসেছি।
আমি – কেন এনেছো তুমি এটা?
রাজা – তোমার জন্যে এনেছি। তুমি কিছু কিনতে ইচ্ছে করলে কিনতে পারো
হাহা সুন্দর স্মৃতি। লিখে রাখাটা জরুরিই ছিল। আর ছবিগুলো বেশি কিউট। দুই নাম্বারটাতো আজীবন সংগ্রহে রাখার মতো
ফাঁকা মাঠে গোল --- রাজার সব ভালবাসা একা পাচ্ছো -- একদিন আমাদেরও দিন আসবে গো আসবে
ইউ আর ওয়েলকাম বাজি
কত বছর পর লিখলা!
কত কিছু লেখার কথা ছিল তোমার, ব্লগে আসো নাই।
তাও যে লিখলা তাই অনেক। নিয়মিত লেখা চাই।
মন ছুঁয়ে গেল লেখাটা।
মন্তব্য করুন