আশেপাশের ঘুরাঘুরি
দেশের বাইরে বলতে আমার শুধু ভারতই যাওয়া হয়েছে। আর ভারত ভ্রমণও আমার জন্য নতুন কিছু না। বছরে একবার না হলেও দু’বছরে একবার যাওয়াই হয়। গত বছর, এমন মার্চ মাসের শুরুতে যখন ডাক পড়ল ভারতীয় পণ্য বর্জনের তখন একাত্নতা জানিয়ে ছিলাম ঠিকই কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ ছিল ঠিক কতদূর বর্জন করতে পারবো ভারত!! কোন কোন ক্ষেত্র/ পণ্য বর্জন করবো আমি ভারতের!! কেননা আমাদের এই হারে ভারত যাওয়ার শুরু আব্বুর চিকিৎসার কারণে।
২০০৩ এ যখন আব্বুর বাইপাস সার্জারি হল, প্রথম ছয় মাসে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠলো আব্বু। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হলো ইনফেকশন। ইনফেকশনের জন্য দ্বিতীয় বারের মত ওপেন করা হলো। ঢাকার স্বনামধন্য ডাক্তার (?) কি করলেন সেই বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না যাই। ইনফেকশন থেকে টিবি হয়ে গেলো। শেষে ভাইয়া কলকাতায় নিয়ে গেল। তৃতীয় বারের মত ওপেন করে ক্লিন করা হলো ইনফেকশন। তারপর থেকেই আমাদের এই ভ্রমণ, আব্বুর চেক আপের উদ্দ্যেশে। এত যখন পয়সা নাই সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক করার জন্যে তখন ভারতই আমাদের ভরসা।
তবে যতবারই গিয়েছি ডাক্তার দেখানোর পর চেষ্টা করতাম কলকাতার আশে পাশেই একটু ঘুরাঘুরির। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে এবং আমাদের ঘুরাতে আব্বু অনেক ভালোবাসেন। তাই কোনোদিনই কোথাও ঘুরতে যেতে চাইলে কিছু বলেন নি আমাদের। বরং কবে কোথায় যেতে চাই সেই ব্যাপারে অনেক উৎসাহ দেন। আর সবসময় বলেন - ‘যত হাঁটবে, তত দেখবে’। ঘুরতে গেলে সাথে কেনাকাটাও হয়। এই নানান ঘুরাঘুরি আর কেনাকাটার কারণে অনেক রকমের অভিজ্ঞতাও হয়। যেমন বিড়লা মন্দির সহ বিভিন্ন স্থাপনা দেখে আমার যা মনে হয়েছে ‘ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল’টাকে যদি ওরা পাঁচিল তুলে বা চাদর দিয়ে ঢেকে রাখতে পারত তবে তাই করত।
আবার জন্মের পর থেকে বাসায় ডিশ থাকায় হিন্দিটা বেশ ভালোই পারি। কলকাতার টানে বাংলাও বলতে সমস্যা হয় না। তাই খুব একটা ধরা পড়ি না যে বাংলাদেশ থেকে গেছি। একবার এক দোকানে কেনাকাটার শেষ পর্যায়ে কথায় কথায় দোকানীকে বললাম বাংলাদেশ থেকে গেছি। সে খুবই অবাক হয়ে বলল যে সে ভেবেছিল আমি মুর্শিদাবাদের। তারপর বলেই ফেলল ‘আমরা কি জন্য যাবো আপনাদের দেশে বলুন, আপনাদেরই তো আসতে হয় ভারতে’। কথাটা সত্যি হলেও হজম করতে কষ্টই হয়েছিল। তবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা হল।
কলকাতার কাজ শেষে আমরা যাবো শান্তি নিকেতন ট্রেনে করে। ভোর ছয়টার ট্রেন। ঠিক সময়েই ট্রেন ছাড়ল। আমাদের পাশের ভদ্রলোক, ‘খেয়ে এসেছেন না গিয়ে খাবেন’ ভাব তো ছিলই না বরং আব্বুকে খুব খাতির করে কফি খাওয়ালো। আমাদেরও নিতে বলল আমরা কেউ নিলাম না। সবাই আরেক দফা ঘুম দিলাম। সাড়ে নয়টার দিকে বোলপুর স্টেশনে গিয়ে ঘুম ঘুম চোখে সুমি আপু জিজ্ঞাসা করল, আমরা কি এখানে নামবো? আর কি, একটুর জন্য মিস না করে তাড়াহুড়া করে নামলাম ট্রেন থেকে।
সারাদিন শান্তি নিকেতন ছিলাম। কি দেখলাম, না দেখলাম সে বর্নণা অন্যদিন দিবো।
ফিরতি ট্রেন আমাদের সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। ট্রেন আসলে আমরা উঠলাম আস্তে ধীরে। উঠে দেখি আমাদের সীটে অন্য এক ফ্যামিলী বসা। আমাদের অনুরোধ করলেন তারা একসাথে বসতে চান। তাদের কথা মেনে নিয়ে আমি, আব্বু অন্য সীটে বসলাম। আমাদের বগীর বেশীর ভাগ মানুষ তখন একটা পূজা শেষ করে ফিরছিলেন। ভীড় ছিল ভালোই। তারমধ্যে পাশের ভদ্রলোক আমাদের কথা থেকে আঁচ করলেন আমরা লোকাল না। ড্রাগস নেয়া কয়েকটা ছেলেকে দেখিয়ে বললেন, সেই ছেলে গুলোকে যেন আমরা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিচ্ছবি না মনে করি।
এবং আর দু’একটা কথা বলেই প্রশ্ন করলেন, আপনাদের দেশে কি আর একটা সামরিক অভ্যুথান হবার সম্ভাবনা আছে নাকি? আব্বু বলল, হতেও পারে, বলা যায় না। আস্তে আস্তে আশে পাশের সীটের আরো চার-পাঁচ জন আলাপে অংশ নিলো।
এই প্রথম কোনো ভারতীয়র মুখে শুনলাম, ‘বাংলাদেশ আসতে খুব ইচ্ছে করে। ভিসা, পাসপোর্টের জটিলতার জন্য আসা হয় না’। বাংলাদেশের ঢাকা আর কক্সবাজার তাদের খুব টানে। তারা নিজেরাই একজন আরেক জনকে বলতে লাগল - ‘বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে আমাদের দীঘা, পুরী কিচ্ছু নয় দাদা!! কক্সবাজার তো পৃথিবী বিখ্যাত!! কত দেশ থেকে কত মানুষ আসে কক্সবাজারে ঘুরতে’!
একজন আব্বুকে বলল - আপনারা ইলিশ দেন না কেন বলুন তো? শুরু হলো ইলিশের জন্যে তাদের হাহাকার। সিজনে আমাদের দেশের ইলিশের দাম শুনে আর ওজনের আন্দাজ দেখে তাদের চকচকে চোখ গুলা ছিল দেখার মত। আগে দূরের কোনো বাড়ি ইলিশ ভাজলে কেমন গন্ধ ম’ ম’ করত আর এখন নিজের বাড়ি ইলিশ ভাজিতে কোনো গন্ধই পাওয়া যায় না সেই আলাপও হলো।
আব্বুও সীমান্তে হত্যা নিয়ে কথা বলল। উত্তরে তারা কি জানি কি বুঝাইলেন। বললেন - যে ব্যাপারটা এমন না। তাদেরও এটা ভাবায় কিন্তু বিএসএফের সৈনিকদের প্রশিক্ষণটাই দেয়া হয় এভাবে। আবার কাশ্মীরের মানুষের কথা বললেন যে, কাশ্মীরের মানুষজন নিজেদের কাশ্মীরি বলে দাবী করে, হিন্দুস্থানী বা ভারতীয় নয়।
তারপর তারা বললেন - রুনা লায়লার গান! ‘‘সব সময় কানে বাজে দাদা! আমাদের বাপ্পি লাহিরীর সাথে রুনা লায়লার গানের জুটির তুলনা নেই’’।
ঐদিকে আম্মু আর সুমি আপুর কাছ থেকে জনৈক ভদ্রমহিলা দুনিয়ার রান্না আমরা কিভাবে করি, ওরা কিভাবে করে শুনে শেষ।
তারপর তারা রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে বাংলাকে আদায় করে নেয়ার জন্য বেশ প্রশংসা করলেন। বললেন - ‘বাংলা ভাষাটা তো আমরা বাংলাদেশীদের জন্যেই আজকে পেলাম’।
আমাদের দেশে পূজা কেমন হয় জানতে চাইলেন আবার তাদের দেশে ঈদ কেমন হয় তাও কিছু বললেন। পূজা দেখতে সময় করে একবার কলকাতাও যেতে বললেন।
সব মিলিয়ে দেখলাম, যদি তারা স্রেফ মিথ্যাও বলে থাকে তবু আমি নিজে তো শুনলাম! অনেকদিন পর, হয়তো বা প্রথমবারের মত ভিনদেশী কারো মুখে নিজের দেশের এমন প্রশংসা শুনে ভালোই লাগছিল।
আমি ফাস্ট!
আমার ভারতীয় পন্য বর্জন কর্মসূচি সেই মার্চ থেকে শুরু হয়ে আর থামেনাই। পারতপক্ষে জেনেশুনে বিকল্প থাকলে ওদের কিছুতেই আমি নাই।
শুধু আনন্দের বই দেখলে মাথা আউলায় যায়!
আমি ভারতকে অপছন্দ করি আর
ওদের বাংলাদেশ বিষয়ক পররাষ্ট্রনীতি কে ঘৃণা করি।
শান্তিনিকেতন নিয়ে লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। ভাল থাকো, সামিয়াপু।
এই ভারত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে যে সাপোর্টটা দিয়েছিল সেটি না দিলে আরও অনেক রক্ত ঝরতো, আরও অনেক মা-বোন সম্ভ্রম হারাতো, আরও অনেক সময় ধরে আমাদের লড়ে যেতে হতো। সে-সময় প্রায় কোটিখানেক শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। আগরতলায় তখন যত অধিবাসী ছিল, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা ছিল তারচে' অনেক বেশি। স্টপ জেনোসাইড দেখুন, এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ-ধরনের বাকী ডকুমেন্টারিগুলোও দেখুন। এত সহজে ১৯৭১-কে ভুলে না যাই এবং কোনোদিন যেন আমাদের দুঃসময়ে সাহায্য দানকারী দেশটির ত্যাগের কথা ভুলে না যাই।
১৯৭১-এ ভারত আমাদের জন্য কি করেছে না করেছে তা আমাদের কারোই অজানা নয়। তবে সেটা কতটা তাদের নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য অথবা সময়ের দায়বদ্ধতার জন্য আর কতটা তাদের মহানুভবতা তা নিয়ে আমার যথেষ্টই সন্দেহ আছে। স্টপ জেনোসাইড নিশ্চয়ই আমাকে আমার দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের অপরিহার্যতা দেখায় নি।
ওদের বিজ্ঞজনেরা নানা সময়ে বলে বেড়ায় ৭১-এ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ নাকি হয়েছিল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নয়। এমনকি সেই সময়কার ভারতীয় দলিলপত্র বা তাদের সেনা কর্মকর্তাদের ভাষ্যও এমনটাই। আমরা অবশ্য এসব জেনেও না জানা ও বোঝার ভাণ করতেই স্বস্তি বোধ করি।
লেনদেন বা বাজার ভারসাম্যের কিছুই অবশিষ্ট নাই। ৭১ এর দোহাই দিয়ে ৪২ বছরে আমাদের ছোট্ট দেশটা ভারতীয় পণ্যের বিশাল একটা বাজারে পরিনত হয়েছে। আর কত?
আপনার কথাবার্তাতো ইতিহাসবিকৃতঅলাদের মতোই লাগলো। ভারত নিজেদের সার্থে সাহায্য করেছিল বলে যে বুলি কয়েকদশক ধরে গুলে খাওয়ানো হয়েছিল সেটি ভালোই গিলেছেন বোঝা যায়। ভারত নিজেদের সার্থ যদি দেখেও তাতে আমার দেশটাতো শত্রুমুক্ত হয়। তা অস্বীকার করবেন কীভাবে?
। আপ্নে স্টপ জেনোসাইড আবার দেখেন।
ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। আমাদের রপ্তানি পণ্য আর আমদানি পণ্য তালিকা দেখেন। সবদেশের সাথেই আমাদের ঘাটতি বাণিজ্য, সেখানে ভারত আলাদা করে আসে কেনো? ৭১ এর দোহাই তো দেবোই। বারবার দেবো। ৭১ ছাড়া আমাদের গৌরব খুব বেশি কিছু নেই।
সত্যি কথার ভাত নাই।
আমি কথা কাটাকাটি পছন্দ করি না।
যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে কারও বিশ্বাসেরই কিছু যায় আসবে না।
আর কথা বাড়াব না।
আপনার সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত।
যুদ্ধের কথা বা আগের কথা বাদ দেই। ছোটকে সবাই মাইরা খায়। ভারত পাশে আছে, ভারত না থেকে অন্য দেশ থাকলে তাই করত। তবে তুমি যেটা বললা, ওরা ওদের সুবিধার জন্য সাহায্য করসে। ঠিক আছে। কিন্তু সেইটুকুও তো অন্য কেউ করে নাই।
শুধু আনন্দের বই কেন রে ভাই গান শুনো না?? টিভি দেখার সময় নাই তাই ওদের নাটক সিনেমার কথা খুব একটা বলতে পারবো না। কিন্তু গান ছাড়া তো অসম্ভব বলেই মনে হয়। আর যে কারণে যাওয়া শুরু বললাম, আব্বার চিকিৎসা। কোনোদিন অস্বীকার করতে পারবো ওদের অবদান!!
দেখলেতো আব্বু যে ঠিক বলে, ‘যত হাঁটবে, তত দেখবে"। মানুষ সব আলাদা। তাই কোন জাতিকে / দেশকে / ভাষাকে ঘৃনা করি / অপছন্দ করি বলা কতো কঠিন।
হুম। কার কাছ থেকে কি পাচ্ছি, কি নিচ্ছি তা তো অস্বীকার করতে পারবো না তাই ঘৃণা করতেও পারবো না।
ফাটিয়ে দিয়েচেন দিদি!
আমার জন্য কিচু আনলেন না তাতেই দুঃক্কো পেয়েচি!
ঘন ঘন যান আর শান্তি নিকেতন নিয়ে জলদি একটা পোস্ট দেন
তোমার জন্য আনছি তো
সুন্দর, সাবলীল লেখা।
ছবি, কাহিনি সহ জম্পেস কলকাতার গল্প চাই।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু
ভালো লিখেছ। ববিতার সাথে দেখা হলো সেটা লিখবা কবে?
সবাই এত ঘুরতে যায় তাই সবাইকে হিংসা । (
হ তাইতো ববিতার কথাই লিখলাম না!!! এই জন্যই তো মাসুম ভাই কমেন্ট করে নাই পোস্টে। আমারে ধইরা মাইর। গোল্ডফিশ হইসি একটা
চমৎকার লাগলো ভ্রমণ কাহিনী।
শান্তি নিকেতন নিয়ে লেখা চাই।
অনেক ধন্যবাদ চেষ্টা করবো শান্তি নিকেতন নিয়ে লিখতে
আপা ইলিশের গল্পটা আরেকটু বলতেন
নেপালে গিয়ে টাকা বদলের সময় এরকম খুব লজ্জা পেয়েছিলাম, দোকানে টাকা চেক করে নিচ্ছি, লোকটা আমায় বলল, "আপনারা এখন দুর্নীতিতে কত নাম্বারে আছেন? আমাদের কাছে জাল টাকা পাবেন না।" লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করেছিল।
তবে ভারতে যেটা খুব আকর্ষণ করেছে আমাকে তা হল মেয়েদের স্বাধিনতা, মায়েদের ও। বাচ্চারা নিজেরা স্কুলে যাচ্ছে, মেয়েরা রাতেও নিজের মত ঘুরে বেরাচ্ছে--আমি শাহাবাগে এমন ঘুরেছি এবারে। আশা করি আমরাও এমন নিরাপত্তা উপভোগ করতে পারব!
ইলিশের গল্পটা আমি অনেক এনজয় করসি। ইচ্ছা করে তিন হাত লম্বা একটা সাইজ দেখাইসি দাদাকে হাহাকারটা আরো একটু বাড়ানোর জন্য
আর স্বাধীনতা
দুষট পচু গনধ (মেঘের ভাষায় বললাম)
কি করবো বলুন দিদি? দাদারা তো আমাদের মুখের উপর বলেন, 'কি আছে আপনাদের দেশে'? তখন যে কষ্ট লাগে!!
ববিতা কাহিনী মিস গেলো!! পোষ্ট বর্জন করলাম!!
শান্তিনিকেতনের পোষ্টে ছবিসহ বর্ননা থাকে যেন!
ববিতা কাহিনি বিশেষ কিছু না। তাও লিখবো ।
শান্তি নিকেতন নিয়ে কিছু লিখলাম। কিন্তু নেট এত্ত স্লো যে ছবি দেয়া যাচ্ছে না। তাই আজকে পোস্টই দিবো না
তাইতো কই পোস্ট পড়ে মজা পাচ্ছি না কেন? পরে দেখলাম ববিতা কাহিনী লেখা হয় নাই।
আপনারে মাইনাস
ঐখানের মিষ্টি অনেক মজা। ভাবসিলাম মিষ্টি খাবো। পরে সময়ে হয় নাই
ববিতা কুথায়?
ববিতা পরের পোস্টে
মন্তব্য করুন