অস্ত্রের ব্যবহার সবখানেই, নড়বড়ে নড়াইল
সামনে সেচ মৌসুম তাই ভাবছিলাম বিদ্যুতের উপর আরেকটা লেখা লিখব আর তাতে একটু রাজনৈতিক আলাপও থাকবে কারণ সরকার সম্প্রতি যে হলুদ কার্ড দেখেছে তার প্রধান কারণ সমূহের মধ্যে যেমন অনিয়ন্ত্রিত দলীয় আচারণ আছে তেমন মূদ্রাস্ফিতি, আইন শৃংখলা ও বিদ্যুৎ স্বল্পতাও সমান ভাবেই আছে । কিন্তু আজ আর বিদ্যুৎ নিয়ে লেখা হবে না, একটা নিউজ শুনবার পর কোন ভাবেই ওটা ছাড়া আর কোন কিছুতে মন নিতে পারছিনা । বাংলাদেশ বিশ্বকাপের দল ঘোষনা করেছে আর তার জের ধরে নড়াইলে হরতাল, বাংলাদেশের বড় অস্ত্রের আরেক দফা ব্যবহার।
অবাক হলাম যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঐ হরতালে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে সাথে বিএনপি ও আছে সহ অস্ত্রধারী হিসেবে । দাবী একটাই অসুস্থ্য মাশরাফিকে দলে নিতে হবে, উনি খুড়িয়ে খুড়িয়ে গিয়ে সেহবাগ, পিটারসেন বা ক্যালিজকে বল করবেন আর নড়াইলের মানুষদের তাতে মন ভরবে। মাশরাফি খেলতে পারলে আমারও ভালো লাগতো, তার মতো লড়াকু ক্রিকেটারের এমন বড় আসরে আসলেই দরকার অনেক কিন্তু আনফিট থেকে কেউ তো সাংবাদিকদের সামনে কেঁদে দলে জায়গা পেতে পারেন না।
নড়াইলের সাধারণ মানুষ না হয় আবেগের বসে একটা হরতাল ডেকেই দিয়েছেন তাই বলে কি রাজনৈতিক দল গুলোর এমন সময়ের সুযোগ নেওয়া প্রয়োজন? ইসলামি চেতনার দল হিসাবে কি খেলাধুলার কোন ইস্যু নিয়ে হরতাল সমর্থন করা যায়? সমর্থন মানে তো ক্যডার সাপ্লাই, ভাংচুর, দলীয় সাংবাদিকদের দিয়ে পত্রিকা ভরে ফেলা, পুলিশের বাহুতে ভর করে সরকারের দাদাগিরি ফলানো, আবার নতুন হরতালের পায়তারা ।
মাশরাফির এ সময়ে কান্না-কাটি না করে বাস্তবতা মানা উচিৎ কারণ ৮ ফেব্রুয়ারিতেও সুযোগ মিলতে পারে আর না মিললেও তাতে এতো কষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো উচিৎ নয় তার মতো জাতীয় তারকাদের । তার এ হতাশা আমাদের হরতাল ব্যাংক কে সমৃদ্ধ করলো, সুযোগ সন্ধানী পলিটিক্যাল দলকে মন্দ শক্তি যোগাল ।
লিমিটেড স্কেলে এ ব্যাপারটা দেখা যায় না, আমাদের মাশরাফি এ হরতালের মধ্যমনি হয়ে ম্যারাডোনা, মোহাম্মদ আলী আর সৌরভ গাঙ্গুলীকে ছাড়িয়ে গেলেন ওদের ভক্তরা ওদের ভালোবেসে প্রাণ দিলেও দেশ অচল করবার কথা ভাবেনি ।
এ দেশের কি হবে ভোটের জন্য হরতাল, ভাতের জন্য হরতাল, খেলোয়াড়ের জন্য হরতাল, ক্ষমতা না পেয়ে হরতাল, সব কিছুতে হরতাল, মানুষের রিপাবলিক থেকে তা আজ হরতালের উপত্যকা ।
মাশরাফি থাক না থাক, হরতাল হোক না হোক আমাদের ভাল খেলতে হবে এ বিশ্বকাপে । খুব বেশি জাতীয় অর্জন নেই সম্প্রতি এক ক্রিকেট ছাড়া, এটাতেই সুখ পেতে চাই --------
এমন কথাতো নিজ থেকেই বলেছেন উনি সমকালে তা হলে হরতালকারীরা কেন বুঝতে পারছে না ।
সমকালে তো এমনি বলেছে তাহলে এতো বাড়াবাড়ি করে হরতাল না করাই মঙ্গল ।
আমার মনে হয় আপনে বিদ্যুৎ নিয়া পোস্ট দিলেই তুলনামূলক সহনীয় হয়। এই পোস্ট আপনি কার বিরুদ্ধে কি কইতে চাইলেন বুঝি নাই। এই না বুঝনের জন্য আবার কানমলা দিয়েন না, কারণ এই বয়সে কানমলা দিতে আইলে সেইটা প্রতিরোধ করনের মতোন তাকদ তৈরী হইছে আমার।
বাংলাদেশের না কেবল সারা পৃথিবীতেই হরতাল বা বন্ধ আছে বিভিন্ন ফর্মে। প্রতিবাদের প্রকাশ হিসাবে এর প্রয়োগ হইছে বৃটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে, পাকিস্তানী হানাদারগো বিরুদ্ধেও...আপনে ভাই আমারে ডরেই ফালাইয়া দিছেন। এই যদি বাংলাদেশের ফার্স্টবয় টাইপ মেন্টালিটি হয় তাইলে দেশের ভবিষ্যত আসলেও বেশ শোচনীয়।
মাশরাফিরে বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়া কেউ যদি প্রতিবাদ করতে চায় তাইলে আমি তাতে কোনো সমস্যা দেখতে পাই না। কারণ এই সিলেকশান প্রসেসটারে আমার বেশ অস্বচ্ছ মনে হইছে। নির্বাচকরা কইতেছে মাশরাফি আর ২৬ দিনের মধ্যে সুস্থ্য হইয়া উঠবো, বোলিং উপযোগী হইবো...আবার তারাই কইতেছে মাশরাফি ইঞ্জুর্ড বইলা তারে দলে নেয়া হয় নাই। এইটার অর্থ কি? বিশ্বকাপের প্রথম খেলা তো আরো ৩০ দিন পর শুরু...তারমানে মাশরাফি তার আগেই খেলার উপযোগি হইবো।
হইতে পারে একজন আহত খেলোয়াড়রে নিয়া জুয়া খেলতে চায় নাই বিসিবি। কিন্তু তাদের বক্তব্য মানুষের কাছে আসলেই অস্পষ্ট। যেই সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ কর্তা লোটাস কামালের মতোন একজন দুই নাম্বার মানুষ তার বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগে আমি মনোযোগ দিতে রাজী আছি...
সবশেষ আবারো অনুরোধ করি আপনি বিদ্যুতেই ভালো ছিলেন অন্ধকারের পাচালিতে আপনারে মানায় না ভাই...ছাগল দিয়া কি আর হাল চাষ হয়?
@জাভা, মাশরাফিরে বাদ দেওয়া নিয়া আপনের বক্তব্য দিয়া পোস্ট দেন। একটু গপসফ করি।
আমি জানি এখন আমি যা লিখব তাতে আপনারা তির্যক মন্তব্য করবেন ।এটা আগের লেখার কোন ধারাবাহিকতা না যে এমন ছেদন দন্ত সাঁনিয়ে মাঠে নেমে যেতে হবে । আমি কি বলেছি কোথাও যে কেবল বাংলাদেশেই শুধু হরতাল হয় । তাড়াহুড়ো করে মন্তব্য করলেই হয় না ভালো করে পড়তে হয় পোস্টটা । বাকী পৃ্থিবীতে গত দশকে যত গুলো হরতাল হয়ছে তার থেকেও বেশি হয়েছে বাংলাদেশে, হরতালে জন্য মানুষ, মানুষের জন্য হরতাল নয় এখানে । আর আমি ভালো করবার জন্য লিখি না, যেটা ভালো পারি সেতা করেই জীবন চলে আর সেখানে আপনাদের এ্যাডভাইস লাগে না । আজ কাল যে গরু দিয়েও কিছু হয়না তা তো দেখছি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
আপনাকে দিয়ে যে কিছু হইবো না সেইটা অন্ততঃ বুঝতে পারলাম আপনের বক্তব্যে...সারা পৃথিবীর স্ট্রাইকের একটা তালিকা আর বাংলাদেশের হরতালের তালিকা দিলে আপনের দৌড়টা বুঝতাম। এইরম স্টেইটমেন্ট টাইপ বক্তব্য দিয়া আর যা করা যাক তর্ক করন যায় না। প্রতিবাদের প্রকাশ হিসাবে স্ট্রাইক সারা পৃথিবীতেই বিভিন্ন ফর্মে হয় এই ছিলো আমার বক্তব্য আর আপনে সেইটারে ধরলেন আমি আপনের পোস্ট না পইড়াই মন্তব্য করছি। বাংলা ব্লগিঙে কেবল একজনই এমন কইরা ঝোলে গড়াগড়ি যাইতেন আপনি সেই আচরনের প্রকাশই দেখাইয়া যাইতেছেন সমানে।
খেলোয়াড় দলভূক্ত করনের লেইগা যে কোনো খেলার ইতিহাসে জাতীয় অসহযোগের এমন নমূনা বহু আছে। নড়াইলের হরতালরে কেবল বাংলাদেশের অস্ত্র বলাতে কি অর্থ হয় সেইটা আপনে নিজে একবার ভাইবা দেইখা আলোচনা করতে আইসেন। আবারো কই সবাইরে দিয়া সব কিছু হয় না, যেমন ছাগল দিয়া মানুষের আমিষের প্রয়োজন মিটানো যায়, কিন্তু হাল চাষ হয় না।
আমি মাশারাফিকে নেয়ার পক্ষপাতী ছিলাম। কিনতু এজন্য হরতাল দেয়াটার মানে কি? এরপর কি স্টেডিয়ামে কয়েকজন নাগরিককে জিম্মি করা হবে মাশরাফিকে দলে নেয়ার জন্য। হরতালে তো কিছু হবে না। পরবর্তী কর্মসূচী কি? সবচেয়ে ভালো হয় যদি জিম্মিকারী নড়াইলবাসী গায়ে বোম বেঁধে বসে থােকন। জিম্মি করাও তো দাবী আদায়ের জনপ্রিয় উপায়।
হায়রে বাংলাদেশ।
আপনার পোস্টে একমত। এসব হরতালে কার আখেরে লাভ হবে কে জানে।
মাশরাফি আমার খুবি প্রিয় একজন বলার। তাকে বিশ্বকাপে জায়গা দেয়া হয়নাই অথবা পায়নি বলে একটু খারাপ লেগেছে কিন্তু এইসবই খেলার অংশ। কি হইছে কি হয় নাই এইসব বাদ দিয়ে এখন দলটার জন্য উৎসাহ ব্যাঞ্জক আলোচনা আসাটাই মঙ্গল।
বাংলাদেশ দল এই বিশ্বকাপে তার সর্বোচ্চ পারফর্মেন্স দেখাক এটাই আমার একমাত্র কামনা।
উৎপল শুভ্রের কল্যানে আশরাফুল দলে জায়গা পাইলো আর মামা চাচার জোরে জায়গা পাইলো শাহরিয়ার নাফিস, দলটার যে অবস্থা, না চাইলেও নাফিস আর আশরাফুলের যেকোনো একজনরে দলে রাখতে হবে, সেই জায়গাটাতে নাজিমুদ্দিন কিংবা মেহরাব জুনিয়ার কিংবা অন্য যে কাউকে নেওয়া যাইতো
১৩ জনের দল নিয়া বাংলাদেশ ভালো খেলুক এইটাই বড় চাওয়া হওয়া উচিত।
মেহরাব জুনিয়র .. শাহরিয়ার নাফিসে'র চেয়েও ভালো ???? ভালো কইছেন। ....
শাহরিয়ার নাফিসের কাছাকাছি ব্যাটসম্যান বাংলাদেশে কমঈ আছে । ঘোষিত টীম বেশ ব্যালান্সড আর চৌকস ।
একমত না।
শাহরিয়ার নাফিস অটোমেটিক চয়েজ। নিউজিল্যান্ডের সাথে কিংবা সাম্প্রতিক ঘরোয়া খেলা, সবগুলোতেই ধারাবাহিক।
যেটা পছন্দ হয় নাই, সেটা হল, জুনায়েদ সিদ্দিকী আর আশরাফুলরে টানা।
তার চাইতে অলক অনেক ভালো অপশন হতে পারতো।
হ .. আমিও এইটাই কৈতে চাইছি ... শাহরিয়ার নাফিস এখন অটোমেটিক চয়েস
কেউ একজনের বদলে অলক'রে আনলে ভালো হইতো
অলক কাপালী'র বিষয়টা আমার ক্রিকেট জ্ঞানে কুলাইতেছে না। এইবারের জাতীয় লীগে তার কোনো স্কোর নাই, ঢাকা লীগে তার মোহামেডানের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৬৯ রান ছাড়া কোনো নমূনা নাই...কিন্তু তার সেই আইসিএল পূর্ববর্তী টেকনিক নিয়া আমরা আশা করতেছি সে দলে আসা দরকার ছিলো। অথচ জুনায়েদ সিদ্দিকী পারফরমার..তার জায়গায় একাদশে শাহরিয়ার নাফিস বেটার চয়েস হইতে পারে, কিন্তু রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে সে পরীক্ষিত স্কোরার...গতোকালকের ম্যাচ বাদে এই লীগে তার পারফর্ম্যান্স বেশ ভালো। বেশ কয়েকটা ফিফটি আছে, ম্যাচ উইনিং স্কোর আছে। মেহরাব জুনিয়রের বিষয়টা অবশ্য বিবেচনার যোগ্য মনে হয় আমার কাছে...ঢাকা লীগ আর জাতীয় লীগে ওয়ানডে পারফর্ম্যান্স তার আগের যেকোনো সময়ের চাইতে ভালো। একটা সেঞ্চুরী আছে ৪/৫ টা ফিফটি আছে ১০ ম্যাচে। অবশ্য টেকনিক্যালি সে জুনায়েদ সিদ্দিকীর চাইতে পিছাইয়া আছে কিছুটা...জাতীয় দলে তার পারফর্ম্যান্স কখনোই ভালো ছিলো না। উল্টা দিকে জাতীয় দলে জুনায়েদ সিদ্দিকীর গড় কিন্তু খারাপ না...২৪ এভারেজে সে ৪৬টা ম্যাচ খেলছে। ৬টা ম্যাচ জেতানো ইনিংস আছে। উল্টাদিকে অলোকের গড় হইলো ২০'এর নীচে...
ভাস্কর'দা ।। রকিবুলের ব্যাপারে আপনার মতামত কি ? খোচাখুচি কইরা কয়েকটা ৫০ করা ছাড়া (যেদিন জেতার সম্ভাবনা নাই) ও'রেতো ন্যাশনাল টিমে আর কোনো কামে লাগছে বইলা আমার মনে হয়না
টেকনিক্যালি রকিবুল অনেক সাউন্ড একজন ব্যাটম্যান...কিন্তু তার সম্পর্কে করা অভিযোগটা আসলে এখন প্রমাণিত সত্য যে সে সেট হইতে অনেক সময় নিয়া ফেলে। আমি আসলেই কনফিউজ্ড রকিবুলের বিষয়ে, আমার মনে হয় তার মতোন টেকনিক্যালি সাউন্ড একজন প্লেয়ারের দরকার আছে টিমে, আবার মনে হয় এই টেকনিকের জন্যই সে পাওয়ার প্লেটারে কখনো কাজে লাগাইতে পারে না। ৪ অথবা ৫ নাম্বারে নামা একজন প্লেয়ার খানিক্ষণ টিকা থাকলেই পাওয়ার প্লের মধ্যে পড়ে। যেহেতু রকিবুল পাওয়ার প্লে'তে কামের না সেহেতু পাওয়ার প্লেটা বাংলাদেশ নেয় একেবারে স্লগিং ওভারে। যেই সময় আসলে প্রতিপক্ষ দলের সবচাইতে ভালো বোলাররা আবার ফিরা আসে। তখন রকিবুল আউট হয় একটা মিডিওকার ইনিংস খেইলা নতুন আসা প্লেয়ার কিছু বুইঝা উঠতে উঠতে খেলা শেষ নাইলে আবার আউট...
ইসলামি চেতনার দল বলতে কি জামায়াতে ইসলামিকে বুঝাইলেন ?
এ পোষ্টে মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করলেও কিঞ্চিৎ বাংগালি জাতির জাতীয় চরিত্র স্পষ্ট বোঝা যায়, কথার জন ক্থা বলা আর তর্ক। আর জ্ঞানের আত্ম জাহির প্রবণতা।
আমরা সবাই সব বুঝি এবং নিজের মত করে।
হরতাল কাম্য নয়, খেলোযাড় নিয়ে দলবাজী, ষড়যন্ত্র কাম্য নয়, তারকা খেলোয়াড়ের এরূপ কান্না কাম্য নয়, দল গঠনে র বিষয়ে এত জনের হস্তক্ষেপ আর কারসাজি কাম্য নয়, .............তবুও কোন কিছূ না ঘটা থেকে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা অতি উন্নয়ন শীল জাতি!
লাইক।
আবেগী হরতালের বিপক্ষে গিয়া মানুষজন আবেগী-ই থাকতেছে এইটা দেইখা মজা পাইতেছি। এখন দেশব্যাপী হরতাল হইলেও কারো কোন খবর থাকেনা, নড়াইলে হরতাল হইলে দেশ অচল হইয়া যাবে এই ভাবনাটা হাস্যকর। আর দুনিয়ার অন্যান্য জায়গায় ভালই হরতাল হয়, ডেনমার্ক টপ বইলা জানি, যদিও ফ্রান্সের এই ব্যপারে বিশাল সুনাম আছে।
মৌসমের সাথে একমত। বাংলাদেশের জলবায়ুই কি এতো আবেগের কারন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারলে ভালো হইতো।
হরতালের চেয়েও কদর্য লাগলো ব্যক্তিগত আক্রমণ। এটাই জানিয়ে গেলাম। এই সব কারণেই ব্লগিং হয়ে ওঠে ব্লগবাজি। কোথায় যে পাই নির্মল একটু বাতাস...
হরতাল দিছে, সেটা আমাদের আবেগী মনোভাবের প্রকাশ। এতে অসুবিধা দেখি না। যেটা হতে পারতো, মাশরাফি হরতালের বিপক্ষে কোন মতামত দিতে পারতো। তাইলে ব্যাপারটা অনেক শোভন হত।
আর, সবচাইতে বড় ব্যাপার, মাশরাফির নিজেরই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজেকে দল থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। একটা বিশ্বকাপ না খেললে তার তেমন কিছু ক্ষয়ে যাবে না, কিন্তু, অযথা রিস্ক নিতে যেয়ে বড় ইনজুরিতে পরলে, সেটা অনেকবেশি ক্ষতিকর হতো।
nice .....................this is the way to explain something decently.
ব্যক্তিগত আক্রমন পরিত্যাজ্য । 'আমরা বন্ধু' ।পরস্পরের সাথে বন্ধুসুলভ ভাষা ব্যবহার করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য । যার যার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে যেয়ে অপরকে আঘাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারলে ক্ষতির চেয়ে উপকারই বেশী । সহনশীলতাকে আমাদের নিত্য সঙ্গী করে নেবার চেষ্টা সকলকেই করতে হবে ।
এই পোস্টে অনেকেই দেখলাম ব্যক্তি আক্রমণের অভিযোগ করছেন, বিষয়টারে আরেকটু এক্সপ্লেইন করলে ভালো হইতো, যেইটা মাসুম ভাই এই পোস্ট দাতার আগের পোস্টে করছেন। এই পোস্টে পোস্টদাতা বাংলাদেশের বড় অস্ত্র হরতাল বইলা আসলে সারাদেশের মানুষরে আক্রমণ করছেন। এইটা হইতে পারে উনি না বুইঝাই করছেন এই আক্রমণ। কিন্তু বাংলাদেশের বড় অস্ত্র কখনোই হরতাল হইতে পারে না। যেই দেশ নয় মাস মুক্তি সংগ্রামের পর স্বাধীনতা পাইছে সেই দেশের সবচাইতে বড় অস্ত্র সংগবদ্ধতা। এইরম একটা ভুলের জন্য আমি উনারে বলছিলাম যে উনার আসলে এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে না লেইখা বিদ্যুৎ নিয়াই লেখা উচিৎ, আমার মনে হইছে ঐ সেক্টরটাই উনি কম্প্যারেটিভলি ভালো বুঝেন। সবাইরে দিয়া তো আসলেই সবকিছু হয় না। একজন ইঞ্জিনিয়ার যদি সামাজিক সংগ্রামের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া একটা দেশের চরিত্র নির্ধারণ করতে যান কোন শব্দবন্ধে তাইলে সেইটা হয় ছাগল দিয়া হাল চাষ করার মতোন একটা কাজ। যূক্তিবিদ্যায়ও এই ধরনের প্রয়াসরে ফ্যালাসী হিসাবেই ধরা হয়।
উদ্যোগী মন্তব্যকারীরা বুঝাইয়া বললে এই পোস্টের ব্যক্তি আক্রমণটা বুঝতাম, তাইলে হয়তো সবাই মিলাই বুঝতে পারতাম কোন বিষয়টা ব্যক্তি আক্রমণ আর কোনটা না।
আমি কোন দিনও ব্যক্তি আক্রমনের মানুষ না কারণ আমি জানি মরে যাওটাই একটা নিয়ম । আর হয়তো আমার এ আনাড়ি লেখা থেকেও তো অনেক কিছু ভাববার রসদ পেলেন সবাই। ছাগল দিয়ে হাল চাষের প্রয়োজন পড়লে সেটাও করতে হবে । তবে আমি আশা করব আমাকে যা খুশি তা নিয়ে লিখতে দেবার স্বাধীনতা দেয়া হোক যদিও সেটা মানে খুবই দূর্বল হোক না কেন । গত পোস্টটা সবার মনে আঘাত করা ছিল বলে এই না যে আমি মানুষ হিসেবে খারাপ বা সমাজ সংসারে আমার কোন অবদান নাই । আমাকে নেগেটিভ ভাবে নিয়ে ঘুরে ফিরে অপমানের সুরে কথা বললেই কি আমি অপমান হয়ে যাবো? পৃ্থিবীতে তারাই তো বাশি আপমানিত যারা অন্যকে অপমান করে। আমি আপনার প্রায় প্রতিটি একই রকমের মন্তব্যে কিন্তু হতাশ নই কারণ আমি জানি এক দিন আমার বন্ধুতে আমি সবের খুব প্রিয় বন্ধু হয়ে যাবো । বার বার হাল চাষ আর ছাগল গরু নিয়ে আমি অতো ভাবছি না , যে ভাবছে আল্লাহ তাকে ঐ বিষয়ে ভালো কিছু মিলিয়ে দিবেন ।
উপরের কথাটা আরেকবার পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো। আমার কাছে ঔদ্ধত্য মনে হলো।
দেশের চরিত্র নির্ধারণ করতে যাওয়ার পূর্বশর্ত বা যোগ্যতা কি? সামাজিক সংগ্রাম জিনিসটাও বুঝার ইচ্ছা জাগলো।
আমি বুঝলাম না কে কি লিখবে তা কি কেউ ঠিক করে দেবে ? মন্তব্য করবার মতো যথেষ্ট সুযোগ তো থাকেই । একজন ব্লগার কি লিখবে তা নিয়ে অন্য ব্লগারের এমন মন্তব্য খুবই দুঃখ জনক । আর লেখাটা তো খুব ভালো লেগেছে, সম সাময়িক কিছু নিয়ে উনার উপস্থাপনা তো চমৎকার তার পরেও ছাগল দিয়ে হাল চাষ এর মতো মন্তব্য করে কাকে ছোট করা হয়ছে ? নিশ্চয় যে বলেছেন তিনি বড় হননি ।
এই লাইনগুলি আপনার কাছে চমৎকার লাগতে পারে, আমার কাছে অপমানজনক ঠেকে। একজন আত্মম্ভরী প্রিভিলেজ্ড মানুষের এক্সপ্রেশন লাগে। যে ভোটের অধিকারের জন্য বা নিরন্ন মানুষের ভাত খাওয়ার অধিকারের জন্য সাধারণ মানুষের আন্দোলনের প্রকাশভঙ্গীরে অসম্মান জানায়। মানুষের অধিকার সচেতনতা নিয়া ভাবার কোনো যোগ্যতা এই লোকের নাই বইলাই আমি মনে করি।
পর পর দুইদিন যখন একজন মানুষ জেনারালাইজ পোস্ট দেন নিজের মতামত হিসাবে, যেইখানে একদিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আক্রমণ আরেকদিন আরো বড় পরিসরে পুরা জাতিরেই আক্রমণ করা হয়, সেই লোকরে আমার এই ধরনের সামাজিক ভ্যাল্যু এথিক্স নিয়া আলোচনার অযোগ্যই লাগে। সেই সম্পর্কে বলাটা ঔদ্ধত্য হবে কেনো!?
দেশের চরিত্র নির্ধারনের প্রথম আর প্রধান শর্ত আর যোগ্যতা হইলো অন্য মানুষদের আবেগ বিষয়ে সচেতন থাকা। হরতালরে যখন কেউ একটা দেশের প্রধান অস্ত্র হিসাবে অভিহিত করে সে একই সাথে হরতাল আর সেই দেশের মানুষের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে।
আজ কাল যে সব কারণে হরতাল হয় তাতে হরতাল জিনিসটা অবজ্ঞা করবার মতোই আর উনি তো এই পোস্টটায় একেবারে কাউকে আক্রমন করে কিছু লেখেন নি । আর উনার উপর যদি চড়াও হতে চান তবে অন্য ব্যাপার । আর একটা দেশে যে কোন ধরণের পরিবর্তন আনতে হলে তা রাজনীতির মাধ্যমে আনতে হবে, দেশ সম্পর্কিত সকল কিছুই হতে হবে রাজনীতির ছক পূরণ করে , যেখানে ঐ রাজনীতির নোংরা অস্ত্র হয়ে গেছে হরতাল সেখানে তো হরতাল নিয়ে অহংকার করে একজন ব্লগারকে ক্রমাগত ভাবে আক্রমন সভ্যতা বিবর্জিত। নাই কারণে হরতাল ডেকে দিবে আর ওটা যে রাষ্ট্রীয় ভাবে আমাদের সম্মান উপরে নিয়ে যাবে তা ভাবা যায় না। এই পোস্টদাতা চমৎকার লিখেছেন , আর উনি আপনার মনের মতো না লিখলে যে আপনি উনাকে এমন করে বলবেন তা আমরা দেখবো এবং ভুলব না । সবাইকেই বন্ধু ভাবতে শিখুন । একজন দন্ধু বাড়লে আপনার খুব বেশি ক্ষতি হবে না । উনি ভালো লিখেছেন এটা মানতে না পারলেও আমাদের মিস গাইড কইরেন না ।
ধন্যবাদ ।।।
আপনি ভালো বুঝেছেন। । আসলে যারা ভোট, ভাত সহ নানান ভালো দাবীতে হরতাল দেয় তারা তো ঐ সমস্যা গুলো বাঁচিয়ে রেখে রাজনীতির মন্ডাটা খায় যাই হোক ভাস্কর সাহেব সারশিতে তাকালে নিজেকে দেখতে পাবেন আর একটা কথা সত্যিই আমার ক্ষমা নামক বড় গুন আছে, আমি সেটাতেই শান্তি পাই।
রাজনীতির নোংরা অস্ত্র হরতাল আর বাংলাদেশের অস্ত্র হরতাল বিষয় দুইটা আপনাগো কাছে এক লাগলেও আমার কাছে লাগে না। সভ্যতা যখন বদলাইছে হরতালের মতোন আক্রমণেই তখন হরতাল আর দেশের মানুষরে কেউ আক্রমণ করলে সেই আচরণরে আমি নির্বোধের আচরণই মনে করি। আপনার কাছে ভোটের জন্য হরতাল, ভাতের জন্য হরতালরে নাই কারনে হরতাল মনে হইতে পারে আমার কাছে তা মনে হয় না।
ঢাকায় বইসা আপনের কাছে মাশরাফির জন্য হরতালরে নাই কারণ মনে হইতে পারে, একজন নড়াইলবাসীর কাছে সেইটা আবেগের প্রশ্ন। যখন বুয়েটের ছাত্ররে বাস চাপা দিয়া হত্যা করে তখন অন্য ছাত্ররা বাস ভাঙলে আমার বিষয়টারে তাদের আবেগের প্রকাশ মনে হয়, তারে আমি অশ্রদ্ধা করতে পারি না। বলতে পারি না তারা কেনো নাই কাজে অন্য মানুষের বাস ভাঙতে গেছে।
সব মানুষরে আমি আমার বন্ধু বানাইতে চাই না। সরি!
বাস ভাঙ্গাও নাই কাজ বা অকাজ, ঐ আবেগকে ভালোবাসলে লাদেনকেও ভালোবাসতে হবে । দেশে কি থানা পুলিশ নেই, বাস ভেঙ্গে দিলেই প্রতিকার পেয়ে গেল এক মাধাবী ছাত্রের মৃত্যুর ? যদি হরতাল বন্ধ করে, খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মেরে এক দিন অভুক্ত রাখা হয়, রোগীকে হাসপাতালে যেতে দেওয়া না হয় তবুও হরতাল নামের মহা কলংককে এতো ভালো কর্ম ভাবার বিলাসিতা করতে পারি না।
মদ, নারী, গাড়ী, বাড়ী ব্যবসা বানিজ্য কি ছিল না লাদেনের ? তবুও সে কেনো পানি বিদ্যুতহীন গুহার মধ্যে শুকনা রুটি মুখে দিয়ে পড়ে আছে ? মহা সুখ ছেড়ে সে কেন এমন জীবনে? লাদেনকেও ভালোবাসা যায় কিন্তু বাংলাদেশে আবেগের হরতালকে একটুকুও সমর্থন দেয়া যায় না। আহমেদ মারজুক অত্যন্ত সুন্দর লিখেছেন। আইন আদালত পুলিশ প্রশাসন যেখানে আছে সেখানে জিম্মির হরতালের মতো নোংরা ব্যাপার দেশটাকে একটা ক্যান্সার রোগী বানিয়ে ফেলেছে আর তাতে আপনাদের পক্ষ থেকে বাহবা মিলছে ঢের ।
কাল কোথায় ছিলেন আপনি । এমন করে ব্যাখ্যা দেবার লোকের দরকার ছিল । আপনাকে ধন্যবাদ ।
কে কেমন মানুষ কিংবা কার লেখা কতটা অর্থহীন বলতে তো কোনো সমস্যা নাই। আহমেদ মারজুক ফালতু লেখলে বলে ফেলবেন। সেটায় আমার আপত্তি নাই। এমনকি উনি যে অযোগ্য সেটাও বলবেন দরকার পড়লে। কিন্তু উনি কি লেখবেন আর কি লেখবেন না সেই বাউন্ডারি ঠিক করে দিলে সমস্যা। সামহোয়ারে একই কাজ করতো লোকালটক, সামহোয়ার থেকে কবি খেদাইতে নামছিলো। ব্লগে গল্প-কবিতা হবে নাকি নগর সাংবাদিকতা হবে, কোনটা ব্লগের চরিত্র হবে,- এই ধরণের আলগা মাতবরি হাস্যকর।
এইটা সমস্যা হইবো ক্যান...একজন লোক বিদ্যুৎ নিয়া ভালো লিখে সমাজ বিশ্লেষণমূলক পোস্ট দিতে গেলেই তার দাম্ভিক রূপ বাইর হইয়া আসে যাতে অন্য মানুষরে অশ্রদ্ধা করনের এক্সপ্রেশন থাকে। তারে তখন বলাই যাইতে পারে আপনি বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়া লিখেন ভাই। বিষয়টাতো এমন না যে সবাইরে সবকিছু লিখতেই হইবো। সবাইরে দিয়াতো সবকিছু হয় না, এইটা দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয়। লোকালটকরে দিয়াতো আর কবিতা হইবো না...ছাগলরে দিয়াতো আর হাল চাষ হয় না। এইটারে লিটারালি নিলে তো সমস্যা। ফ্রেইজের ইন্টারপ্রিটেশনে ব্যক্তি আক্রমণ হয় বইলা আমার জানা নাই। তাইলে তো কইতে হয় আমি ব্লগ লেখারে হাল চাষ কইছি...তারমানে আমি সমস্ত ব্লগাররে অপমান করছি। কিন্তু এইটা একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ ভাই...এইখানে প্রয়োগের মতোন আর কোনো ফ্রেইজ আমার জানা নাই...বা ধরেন আপনে যেমনে কইলেন তাতে আমার সমালোচনার বা মন্তব্য করনের ধরণ কি হইবো এইটা আপনে ঠিক কইরা দিতেছেন...সেইটা করনটাও তো জায়েজ হয় না তাইলে...নাকি?
কিন্তু আমি সেইটা কই নাই, আমি যূক্তিবাক্য দিয়াই বিষয়টারে বুঝি।
আবার আমারে নিষেধ কইরা কিন্তু আপনিও সেম কাজ করলেন...লুপে পড়ে গেছে
তর্ক করতে চাইলে জিনিসটা ক্লিয়ার হবে না আর, ঘোলাই হবে। আমি যা বলতে চাইছি তা হল, যে যা মন চায় লেখুক। ভাল না লাগায় কারো ফালতু বলতে মন চাইলে সেও তা বলুক। ভিন্নমত হইতে পারে ... সমালোচনাও হইতে পারে, এমনকি চাইলে নিন্দাও করা যায়। সবকিছুতে সবাই একমত হবে না। কিন্তু কে কি লেখবে কিংবা কে কোন বিষয়ে লেখবে না সেটা অনধিকার চর্চা। ব্লগিং এর মূলমন্ত্রই তো এইটাঃ
I may not agree with what you say but I will defend to the death your right to say it.
নড়াইলে দিছে দিক মাশরাফি যদি জামালপুরের ছেলে হইতো তবে আমিও জামালপুরে হরতালের জন্য কাজ করতাম।কোন যুক্তিতেই মাশরাফিকে বাদ দেয়া যায় না!
শফিক সাত্তার তার প্রত্যেকটা কমেন্টে লিখেছেন,
হা হা প গে অবস্থা হৈল।

শান্তি শান্তি
ওম শান্তি
অসাধারণ লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
আহমেদ মারজুককে রাজনৈতিক বিষয়ে লিখতে নিষেধ করার জন্য আমি দুঃখিত। ভাঙ্গা পেন্সিলকে ধন্যবাদ ব্লগিং স্পিরিট নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জন্য।
"মধুরেন সমাপয়েত"ই কাম্য । জগতের সকল জীব সুখী হোক ।
মন্তব্য করুন