বিদ্যুৎ ও বাংলাদেশ- ৩
পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত, পুঁজি হারানো মানুষের আর্তনাদ,পৌর নির্বাচনের প্রাক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সাময়িক ব্যবস্থাপন টুল গুলো এতো বেশি ব্যস্ত হয়ে যাবে যে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি কাজ গুলোতে গুরুত্ব কিছুটা কমতির দিকে থাকবে এবং কাক্ষিত লক্ষ্য মাত্রার যাত্রা পথ দীর্ঘায়িত হয়ে অসীমে মিলাবে । সাময়িক ভাবে আসতে থাকা বিষয়গুলো স্থায়ী হবে , হতে বাধ্য কারণ রাজনীতির মাঠে ওয়াক ওভার মানে বিশাল ক্ষতি। সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক শক্তিগুলো কেবল মাত্র নিজেদের লাভের করণে জনতার স্বার্থ না ভেবেই বিভ্রান্তির জালে জড়িয়ে পরিস্থিতি অন্য দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে আর তার অনেকটা জুড়ে থাকবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রাপ্তি সংক্রান্ত অপ্রকৃ্ত বিশ্লেষন।সরকারের দু আড়াই বছর শেষে রাজপথের মিছিল আর প্রতিপক্ষ সামলানোই হয়ে পড়ে সরকারের একমাত্র কাজ । এমন সব কারণ সমূহে বিদ্যুতের জন্য সরকারের দৈনন্দিন কাজ কর্ম, চিন্তা কল্পনা হয়ে পড়বে গৌন আর শ্লথ।টেকনিক্যাল এ্যাডভান্সমেন্টের মূল পরিকল্পনাকারীরা বাস্তবায়নের কী-পারসনরা চলে যাবেন সরকারের দ্বিতীয় সারিতে আর রাজনৈতিক কৌশলে রণ বিজয়ীরা চলে আসবেন সাম্নের কাতারে। কেবল সামাজিক কর্মকাণ্ড দিয়ে সরকার সরাসরি পৌঁছুতে চাইবে জনতার দরজায়, ব্যক্তি পর্যায়ে সন্তুষ্টির ভোট কেন্দ্রিক চিন্তায় আটকে যাবে দেশের বৃহৎ ও অতি প্রয়োজনীয় উন্নয়নের জায়গা গুলো, পাহাড়সম প্রতিশ্রুতির মেনুফেস্টো হয়ে যাবে আগামীবারের জন্য খসড়া মাত্র । এর মাঝে বিদ্যুতের উন্নয়ন অগ্রগতি প্রকৃ্ত অবস্থান হারাবে।
বাংলাদেশের মানুষ যতো দ্রুত টেকনোলজী কব্জা করতে শিখেছে আর প্রচার মাধ্যমের কল্যানে তথ্য সংগ্রহে আগ্রহী হয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে তাতে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃ্দ্ধি ছাড়া দেশকে দা্ঁড় করানো তথা ম্যন পাওয়ারের যথাযোগ্য ব্যবহার সম্ভব নয়।এমন বিষয়ে সরকারকে যদি তার অর্ধ মেয়াদ কাজ করবার পরিবেশ দেয়া হয় তবে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর । ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমান এতো কম যে তা সামাজিক শৃ্ংখলার মতো ব্যাপারেও প্রবেশ করেছে সরাসরি। বিদ্যুতের উৎপাদন, জন গনের কর্মসংস্থান কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয় তাই এগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী আর ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত খুব কঠিন কিছু নয়।
সামনে সেচ মৌসুম, কৃ্ষকের কাছে বিদ্যুৎ পৌছাতে হলে লোড শেডিং এর মাধ্যমে যোগাড় করতে হবে ১২০০ থেকে ১৫০০ মেগাওয়ার্ট যা আনতে হবে নগরবাসির ব্যবহার থেকে । উভয় জায়গাতে চক্ষুশূল হতে হবে সরকারকে। পরোক্ষ ক্ষতির সাথে যোগ হবে অনিয়ন্ত্রিত গ্রিড, পাওয়ার প্লান্ট ট্রিপ, লো ভোল্টেজে গরীব কৃ্ষকের পাম্প মোটরের করুণ সমাধি।
আমাদের অনেকেরই ধারনা আছে বিদ্যুৎ বিভাগের অদক্ষতার কারণে লোডশেড ও সিস্টেম লস বাড়ছে, আসলে কিন্তু তা না, অনেক ডিপারটমেন্টের চেয়ে এটা অনেক সচল এবং প্রোডাকটিভ। আদলতে কতো মামলা বিচারের অপেক্ষায়,সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে কতো মানুষ ছুটছে ক্লিনিকে, অনাদায়ী ঋনে ডুবেছে ব্যাংক গুলো, মামলা করতে পারছে না কতো লোক, কত লোক ফেঁসে যাচ্ছে মিথ্যা মামলায় পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতায় ? এগুলোর তুলনায় বিদ্যুৎ বিভাগ ভালো কাজ করছে যেখানে লাইভ ডিমান্ড আর প্রোডাকশনের ফারাক বিস্তর । এ্যানার্জী কনজারভেশন টেকনিক আর পাবলিক রিলেশনে কিছুতা দূর্বলতা আছে কিন্তু অন্যান্য জায়গায় তা বিশ্ব মানের।যে সংস্থা গুলোর উল্লেখ করেছি তাদের সাফল্য নির্ভর কর্ম গতি, পদ্ধতি বিন্যাস তথা ব্যবস্থাপনার উপর কিন্তু বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সাফল্য উৎপাদন, সংরক্ষন, অর্থ আদায় এবং অন্যদের মতো গতি ও বিন্যাসের উপর । শক্তির রূপান্তর, বানিজ্যিকি করণ, ব্যবস্থাপন এক সাথে করে এ সংস্থা এক রকম সফল বলা যায়।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন এবং বিতরন পরিকল্পনা ছাড়িয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জালে বন্দি । পরিকল্পনা অনিযায়ী পুরো দেশকে কিছু লোড সেন্টারে ভাগ করা হয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করলে চমৎকার গ্রীড স্ট্যাবিলিটি পাওয়া যাবে ভোল্টেজ লেভেল ধরে রাখতে এটা অপরিহার্য । এখন ঐ স্থান যদি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এলাকা হয় তবে তাতে সরকারের আগ্রহ কমে যায় এবং সমগ্র পরিকল্পনা স্থানান্তরের জন্য উৎপাদন ব্যয় ও অহেতুক গ্রীড বিস্তারের ব্যয় হয় আকাশ চুম্বি। আবার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ঠিক করেন কতো খুঁটি গেড়ে কতো বিস্তার ঘটাবেন ইলেকশন প্রতিশ্রুতির প্রতিদান হিসাবে। এ ক্ষেত্রে বিভাগীয় রোড ম্যাপ, পরিকল্পনা সবই পরিত্যাগ করা হয়। এর ফলে বিতরণ নেটওয়ার্ক হয় আনব্যালান্সড আর ত্রুটিপূর্ণ এবং উৎপাদনের সঠিক বন্টন হয় অসম্ভব।কম বেশি চাহিদার সময়ও গ্রীড ফ্রিকোয়েন্সি উলটো রকমের হয়ে যায় অনেক সময় ।এর কারণই হলো লোড পয়েন্ট, গ্রীড, বিতরণ নেটওয়ার্ক প্রপার অবস্থায় নাই আবার ক্ষমতাবানরা চান তাদের এলাকায় সব সময় বিদ্যুৎ থাকুক যা বিতরণ নেটওয়ার্ক কে বন্টন উপযোগী রাখতে পারে না।
যা হোক জ্বালানী সংগ্রহ, টেকনোলজীর জন্য দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ,টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালা প্রনয়ন, অর্থের উৎস সন্ধান ইত্যাদি ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও হস্তক্ষেপ কাম্য কিন্তু বিদ্যুতের বিস্তার , উৎপাদন, বানিজ্যে অংশ গ্রহণ, কারিগরী মতামত প্রদান বা সিদ্ধান্তে আসলে রাজনীতির ভূমিকা থাকা ঠিক না অথচ বাংলাদেশে হয়ছে তাই ।
আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা ক্রস বর্ডার এ্যনার্জী ট্রেডের কথা ভাবছে। আস্থা স্থাপন হলে ভারত ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানী এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ কারণ এতে গ্রীড সম্প্রসারন এবং মূল্য পরিশোধের ব্যাপার ছাড়া অন্যান্য ধাপ সমূহ নাই।প্রফেসর আনু মুহাম্মদ বিরোধিতা করে বলেছেন দেশে উৎপাদন , আমদানী নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে গরীব দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানী সংগ্রহ অতো সহজ কর্ম নয়। আর উৎপাদনের দরজা বন্ধ করে তো আমদানী করা হচ্ছে না ।আমদানী করা বিদ্যুৎ যদি উৎাদন খাতে ব্যবহার করে ক্রয় মূল্যের কাছাকাছি মূল্যমানের ফিড ব্যক পাওয়া যায় এবং দেশের অভ্যন্তরে জনগনের কাজের ক্ষেত্র বেড়ে যায় তবে তাকে স্বাগত জানাতেই হবে । দেশে উৎাদন করবার জন্য অভ্যন্তরিন জ্বালানী সোর্স খুঁজে অদম্য ইচ্ছা আর চেষ্টা নিয়ে এগুতে হবে সাথে সাথে বিদ্যুতের মতো শক্তির আমদানী আমাদের উন্নয়নকে বেগবান করে তুলনা মূলক শক্ত অবকাঠামো দেবে প্রতিবেশিদের থেকে একটু দ্রুতই----------------
( দ্রঃ ব্লগে এটা আমার শেষ লেখা হয়তো এখন কেবল পাঠক হয়ে যাবো । আমি জানি লেখা বা মন্তব্য করবার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা আমার ছিল না, চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক সমস্যা করে ফেলেছি অনেকের তাই থেমে গেলাম । বিদ্যুৎ নিয়ে নিতান্তই মূল্যহীন দশটা পর্ব লিখতে চেয়েছিলাম সেটা আর হলো না । কাঁচা হাতের এ লেখাটা ভাস্কর ভাইকে উৎসর্গ করলাম । ভালো থাকবেন সবাই। আমরা বন্ধু বেঁচে থাকুক। )
চলে না যাবার অনুরোধ করছি।
আগের পোস্টগুলোতো আপনার ফাইটিং স্পিরিট দেখে ভালোলাগছিলো... কিন্তু্এই পোস্টের শেষে এটা কি বললেন? এটা আপনার কাছ থেকে আশা করি নাই
চলে না যাবার অনুরোধ করছি।
আহমেদ মারজুক, বন্ধুদের সাথে সব বিষয়ে মতের মিল না হতেই পারে, মনোমালিন্য হতে পারে খুব সামান্য ব্যাপার নিয়েও, তাই বলে বন্ধুত্বের দায় অস্বীকার করা যায়না । 'আমরা বন্ধু' আমার মতে সব চেয়ে রুচিসম্মত একটা ব্লগ, যেখানে নিজের মতটা প্রকাশ করা যায় অক্লেশে। বন্ধুরা সেটা নিয়ে আলোচনা করে, সমালোচনা করে । সমালোচনা করতে যেয়ে কখনোবা শব্দ ব্যবহারে অসতর্কতা বা অদক্ষতার কারণে কারো মনে নিজের অগোচরে আমরা আঘাত দিয়ে ফেলি । আমাদের সকলের বলবার ক্ষমতা, ভাব প্রকাশের ভঙ্গী সমান নয় । আর কথা যা হয়, তা কোন ব্যক্তিকে আহত করবার জন্য হয়না, পোস্টের গুণাগুণ নিয়েই তো হয় । এ নিয়ে অভিমানী হয়ে উঠলে চলবে কেন ভাই । আপনার পোস্টগুলো পড়ে সবাই কেমন সাড়া দিয়েছে তা থেকেই তো আপনি বুঝতে পারছেন যে, এগুলো তাদের ভালো লেগেছে । ভালো লাগা থেকে সমালোচনার জন্ম, মানুষ যা অপছন্দ করে তা সযত্নে পরিহার করে চলে । 'আমরা বন্ধু' ত্যাগ করলে জোর করে আটকে রাখবার মত শক্তি আমার নাই বা আর কোন শক্ত যুক্তিও আমি দিতে পারবো না, তারপরও আমার অনুরোধ এমন অভিমান করে যাওয়াটা আমি মেনে নিতে পারছিনা ।
আরো আহমেদ মারজুক ভাই (আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানি/চিনি না বলে দুঃখিত),
আপনার লেখাটা পড়ে শেষ করছিলাম এবং ভাবছিলাম আমার সে কমেন্টা দিব "চুপচাপ পড়ে গেলাম'। কিন্তু শেষ আপনি এটা কি বললেন। চলে যাবেন কেন! আর লিখবেন না কেন! আমি আপনার লেখা গুলোর ভাল পাঠক ছিলাম। অনেক ব্যাপারে একমত হলেও কিছু ব্যাপারে দিমত ছিলাম। কিন্তু আমি সাধারনত সরাসরি নেগেটিভ লিখি না বলে বড় বড় উত্তর (আমার উত্তর বড় হত) দেই নাই। ব্লগে লিখতে গেলে এমন একটু হয়!
আমি নিজেও এমন ঝামেলা পাকিয়েছিলাম। অতি পাকনা কিছু ব্লগার আমাকেও যা তা বলেছিল। গ্রুপ ব্লগিং এর পাল্লায় পড়ে জান যায় অবস্থা আমারো হয়েছিল। আমি ওদের বিচার নিয়তির কাছে ছেড়ে দিয়ে 'তওবা' করেছি। এই 'পৌড়' বয়সে এসে এসব কথা শুনা ফিট হয় না তাই সিদান্ত নিয়েছিলাম - আর যাই করি সিরিয়াস বিষয়ে কিছু লিখব না। আমার লিখা গুলো তাই ফান টাইপ হয়। এই সবেও মাঝে মাঝে তীর্যক কমেন্ট দেখি, পাশ কেটে যাই।
আপনার সে ব্লগ গুলো (যেখানে বিতর্ক চলছিল) আমি পড়ছিলাম, কেন মন্তব্য করি নাই। ব্লগে ভিন্ন মনের/ মতের ব্লগার থাকবে তাতে কি! আপনি আপনার মত লিখে যাবেন, ভাল হলে মানুষের মনে টিকে থাকবেন। পাঠকরা অন্ধ নয়! তারা সত্য মিথ্যা বুঝে। তাদের কাছেই ছেড়ে দিন বিচার। আপনি অহেতুক অভিমান করছেন কেন!
আশা করছি আপনি ফিরে আসবেন। আপনার লিখে আপনি লিখে যাবেন। পক্ষপাত দুষ্ট লেখা নয়, সত্য বিবেকের লেখা। সত্যকে সত্য বলবেন, মিথ্যাকে মিথ্যা। একদিন আপনার এ সত্য গুলোই টিকে থাকবে। কারন সত্য লিখা সহজ নয়, যা আপনি পারেন বলে আমি মনে করি।
(দ্রঃ কেন যে ব্লগাররা নেগেটিভ কমেন্ট করে! একটা নেগেটিভ কমেন্ট করা আর একটা গুলি ছোড়া সমান কথা। এই গুলিতে খুন হয়ে যায় একজন ভাল ব্লগার। আসুন সবাই মিলে মিসে চলি কারন ব্লগিং করে আমরা টাকা পাই না উলটা আমাদের টাকা/সময় চলে যাচ্ছে। সেই চলে যাওয়া টাকাটা/সময়টা 'আমরা বন্ধু' হিসাবে কাজে লাগাই। অন্তত প্রান খুলে হাসি।)
সবারতো আর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ না। তাই নেগেটিভ কমেন্ট করে।
এতো সিরিয়াস হওয়ার কিছু নাই।
আমরা বন্ধু ছেড়ে সামুতে যোগ দিয়েছেন! ওরা বাপ্রে, ওখানে তো তুমুল গালাগালি! বড়/ ছোট কেন মান সন্মান নাই। কিছু ইন্টার পড়া ছেলে আছে, যারা মনে করে ব্লগিং ই জীবন! এমন সব কথা বলে, রক্ত পানি পানি হয়ে যায়!
আপনার এই ব্লগটা প্রথম পাতায় এলেই ওরা আপনাকে গালি দিয়ে বসত।.।
ভাল থাকুন।
আমি আসলে সামুতে আর এবিতে প্রায় এক সময় সদস্য হতে চেয়েছিলাম । এখন কোনটাতেই তেমন যাওয়া হয়না । আমি কিছু ছেড়ে কিছুতে যোগ দেবার মানুষ নই ।সময় কাটানোর জন্যই ব্লগে আসতে চেয়েছিলাম এবং অনেক গুলো ব্লগের সদস্য হতে চেয়েছিলাম, কোনটা ছেড়ে কোনটা নয় । এবার আসবার সময় ১০ কিলো বই নিয়ে এসেছিলাম, আপাতত সে গুলোই পড়ি । আমার মতো মানুষের ব্লগে লেখার যোগ্যতা নাই, আর কি লিখব না লিখব তা অন্য ব্লগার ঠিক করে দেবে তা আমি মানতে পারছিনা, অহেতুক অনুরোধে প্রথম পাতা থেকে পোস্ট সরিয়ে ফেলবে এটা কোন সাম্যতা বিধান হলো না । কান মলা কথাটা হয়তো চরম ছিল কিন্তু অবাক হলাম যারা খুবই অখুশী হয়ে কমেন্ট করেছে তারা নিজেদের নিয়ে এদেশ ওদেশ ঘুরে অনেক পড়াশুনা করে ঐ সব দেশে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে আর ব্লগে ব্লগে লিখে দেশের জন্য ভালোবাসায় ফেটে পড়ে। সবচেয়ে অবাক হলাম ফেইস বুকে করা সবার মন্তব্য দেখে । আমি পোস্ট দিয়ে খারাপ মানুষ কিন্তু তাদের ফেইস বুকে ভাষা দেখে তাদের ভালো বলব কেমন করে ? এক ওম্যান ডাক্তার তো খুব বাজে ভাবে কমেন্ট করেছে ওখানে। যা হোক আমি বুঝে গেছি ২৫০০ মেগাওয়ার্ট-এর পাওয়ার প্লান্ট আমার কাছে সহজ হলেও ব্লগে আমাকে দিয়ে কিছু হবে না------ তাই সামু টামু এবি টেবি আমার কাছে আর কিছু না। কোনটা ছেড়ে কোনটাতে যাবার ইচ্ছা নাই আমার ।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো যে ভুলটা ভেঙ্গে দেয়া দরকার তাই আবার আপনাদের ব্লগে মন্তব্য করে ফেললাম । খুব খারাপ না লাগলে ক্ষমা করে দিয়েন । সামু বা এবি কোনটা কোনটার বিকল্প না। ধন্যবাদ ।
আহমেদ মারজুক ভাই, আপনাকে পুরা না বুঝতে পারলেও অনেকটা বুঝেছি।
বাংলা লিখতে না পারার কারনে আমিও ব্লগে ছিলাম না। গত এক বছরের মত আছি। অনেক দেখেছি! কিছু কিছু ব্লগার এমনি বাজে মন্তব্য (এরা নিজকে বিরাট কিছু মনে করে) করে যে, একজন ভাল মানুষের পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর চেয়ে কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়াকেই উত্তম মনে হয়। আমারো এমন মনে হয়েছিল।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এই সব ব্লগাররা বয়সে তরুন। ব্লগের সাথে নানা ভাবে (প্রোগ্রামার, ডেভালপার কিংবা প্রাতিষ্টানিক) জড়িত। কিংবা ব্লগের (আজকাল যে হারে ব্লগে আসছে) মডারেটরদের কাউকে না কাউকে চিনে বা জানাশোনা থাকে। কিংবা বেশী বেশী (খোঁচা খুছি করা) লিখে থাকে বলে ব্লগের হিটের জন্য ব্লগ পক্ষো এদের ভালবাসে (! সময়ে আবার ফেলেও দেয়)।
ব্লগিং করতে গেলে, আমার মনে হয় আগে ব্লগ পড়ে পড়ে এদের চিনতে হয়। ফলাফল হয়, এরা যখন আপনার লেখায় কমেন্ট করবে, তখন আপনি এদের সিরিয়াস নিবেন না। উত্তর না দিয়ে পাশ কেটে যাবেন। ব্যস, এরা চুপ মেরে যাবে। আমি অনেক ব্লগে আছি। আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। বার বার ইগ্নোর করলে দেখবেন এরা আপনাকে চিনে ফেলবে, আপনার নাম দেখলেই আর ব্লগ খুলেবে না, আপনার ব্লগে কমেন্ট করবে না। এতে সুবিধা হয় আপনি আপনার মত করে লিখতে পারবেন।
এদের চেনার নানা উপায় আছে। আপনি যাই লিখবেন (ভাল কিংবা মন্দ), দেখবেন এরা বিরোধীতা করছে, বিদ্রুপ করছে না পারলে এটলিষ্ট বানান ভুল ধরবে, আচরনটা করে আবার তীব্র দেশ প্রেমিক হিসাবে! কাছে ডাকবেন দেখবেন এরা আসবে না, পরিচিত হতে চাইবে না। দাওয়াত দিলে দেখবেন পালাবে! মোবাইল নাম্বার দিবেন - ফোন করবে না!
আমার কাছে সর্বশেষ মনে হয়, এরা গ্রুপ ব্লগিং করে। একজন যদি বলে খারাপ, তবে হুয়াকা হুয়ার মত সবাই বলে মাইনাস, মাইনাস! যেন মাইনাস দিয়ে ভুকম্পন তুলে ফেলবে। এদের নিজদের মাঝেও বিবাদে লেগে থাকে।
যাক আর কি বলব, আপনার স্বাধীনতা। আপনি থাকলে, লিখলে খুশি হব। তবে আমি মনে করি আপনি একজন ভাল চিন্তাশীল ও বিবেকবান ব্যক্তি এবং এটা আপনার লিখায় প্রকাশ পেয়েছে।
তবে ব্লগে এখন আবার নূতন সমস্যা। কোন ব্লগটা জামাতের, কোনটা প্রগতিশীলদের। এটাও বেশ ঝামেলায় ফেলে দিচ্ছে - লিখে বা রেজিষ্টার করে লজ্জা পেতে হয়!
আপনাকে শুভেচ্ছা জানাছি।
আপনার দেওয়া তথ্যাবলী আহমেদ মারজুকের মনকে সুস্থির করতে পারবে কি পারবেনা সেটা নিতান্তই তার ব্যাপার । তবে এ সব তথ্য আমাকে সমৃদ্ধ করলো, আমার কাছে এগুলো ভবিষ্যতের সঞ্চয় হয়ে থাকলো । আপনাকে অনেক, অ-নে-ক ধন্যবাদ ।
পেরেছে ।
উদরাজীর উদরে যে এতো বিষ আগে তা বুঝতে পারি নাই। আপনার এই মন্তব্যটা অত্যন্ত আপত্তিকর লাগলো। একজনকে আপনি প্যাম্পার করতে চাচ্ছেন করেন, সেজন্য সবাইকে গালি দেয়া কি জরুরী? আপনার এই বিশ্লেষনের কারনগুলো সাথে বলেন, শুধু রেজাল্ট দিলে কিভাবে হবে।
অত্যন্ত দুঃখিত হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে।
মন খোলা মন্তব্য করেছেন উনি । শুধু উনি বেশি যেটা করেছেন তা হলো একজন নতুন ব্লগারকে যেতে নিষেধ করেছেন । একজন পুরানো ব্লগার হিসেবে উনার ভূমিকা অসাধারণ । সবারই এমন ভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ । নাজমুল হুদা ভাই আর জয়িতা-কে এমন ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ ।
একজনকে থামানোর জন্য অন্যদের গালি দেয়া কি অর্থে সমর্থণ করছেন আপনি? এর মানে কি আপনার জন্য অন্য সবাইকে কেউ গালি দিলে সেটা ঠিক আছে? তাহলে কাদের সাথে “বন্ধু” হয়ে ব্লগিং করবেন আপনি?
আমি সহমত জানাইলাম। সাহাদাত ভাইকে ভালো পাই। কিন্তু তিনি এ কথাগুলো কেন লিখলেন বুঝলাম না।
উনি বলেছেন এ জন্যই যে অনেক ব্লগে এমনতা হয়, আর এবি কিন্তু ভাল ব্লগ , সবাই ভালোই----------------------
আহা ! উনি গালি দিবেন কেন ? উনি বাস্তবতাটা বলেছেন । উনি যা বলেছেন তা কি হচ্ছে না ? এমন তো হয় আর হচ্ছেও । সবাইকে গালি দিবেন কেন উনি ? আবার এমনও হতে পারে য়ামি বুঝছি না , লম্বা সময় ধরে ব্লগে থাকলে হয়তো গালি আর বাস্তবতার ব্যাপারটা বুঝতাম । আমি সবাইকে বন্ধু ভাবি, এমনকি যে ডাক্তার ম্যাডাম ফেইস বুকে গালা কাল করেছেন ভয়াবহ ভাবে তাকেও, আর ব্লগিং করব কি করে ওটা যে আমি পারি না তা তো প্রমাণিত ।
এটাই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে নিজেকে না জড়ানোই ভালো, কি বলেন? আর বার বার এ্যলিগেশণ দিচ্ছেন গ্রুপিং, এর প্রমান কেনো দিচ্ছেন না? কোথায় হয়েছে গ্রুপিং আমিও জানতে চাই।
আপু,
এমন সিরিয়াস কিছু না এটা । আপনি এমন শক্তভাবে নিয়েন না বিষয়টা । আর আমার দু টা পোস্টে দেয়া মন্তব্যে এমন ভাব তো ফুটে উঠেছে । যা হোক এ গুলো বড় কিছু না, এমন হতে পারে । সব মানুষ সমান হয় না, বলা আর বুঝার ধরণে তাই দূরত্ব থেকে যায়।
যাক বুঝলেন তাহলে ব্যাপারটা এতো সিরিয়াস কিছু না। বন্ধুদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি স্বাভাবিক।
ভালো থাকবেন। চার ণম্বর পর্বটা লিখে ফেলেন।
হা হা হা---------------------------
ধন্যবাদ ।
লম্বা সময় ধরে ব্লগে থাকলে হয়তো গালি আর বাস্তবতার ব্যাপারটা বুঝতাম কথাটা ভুল। এমনকি সাহাদাত ভাইকেও এটা বোঝার জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় নি।
আহমেদ মারজুকের মত অন্ততঃ একজন মানুষ ব্লগে থাকাটা খুবই দরকার । তিনি এসেই জমিয়ে ফেলেছিলেন । আলোচনা-সমালোচনা, আক্রমন-প্রতিআক্রমন নিয়ে 'আমরা বন্ধু' ব্লগ উঠেছিল সরগরম । আহমেদ মারজুক ব্লগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে কতটুকু লাভবান হবেন তা' তিনিই ভাল বুঝবেন; তবে ব্লগের সুষ্ঠু বিনোদনের যে প্রবাহ তা' থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন এতে কোনই সন্দেহ নাই । আর 'আমরা বন্ধু'র বন্ধুরা হারালেন এমন একজন বন্ধুকে, যার পোস্ট নিয়ে অনেক মজার মজার কমেন্ট করবার অপূর্ব সুযোগ ছিল ।
হুদা ভাই, আপনার জন্য শুভেচ্ছা। আপনি আরো বেশী সন্মানের উচু আসনে চলে গেলেন। (বিস্তারিত ব্যাখা দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।)
উচ্চাসনে আমার বড্ড বেশী ভয়, পড়ে যাবার সম্ভাবনা অত্যাধিক ।
মন্তব্য করুন